হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'কেরালা ক্রাইম ফাইলস' ওয়েব সিরিজটির পঞ্চম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "এভিডেন্স"। গত পর্বে শেষ দেখেছিলাম যে, যে থানায় সিজুর বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়েছিলো সেখানেও ভুয়া এড্রেস দিয়েছিলো। আজকে এই পর্বে দেখা যাক কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
✠মূল কাহিনী:✠
এরপরে ওখানে লোকাল থানায় একটা বয়স্ক লোক হোটেলের মালিক আসে একজনের নামে কমপ্লেইন করার জন্য। তবে মূলত যার নামে কমপ্লেইন করার জন্য আসে সে ওই বদমায়েশটাই অর্থাৎ সিজুর বিষয়ে। এই সিজু নাকি তাকে মাঝে মাঝে ফোন করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে থাকে। আর এটা দীর্ঘদিন হওয়ার ফলে উনি বিরক্ত হয়ে এই কমপ্লেইনটা করতে আসে। এখন সে আবার সে ফোন নম্বর আর তার কাছে দেওয়া সম্ভবত ভোটার আইডেন্টিটি কার্ড নিয়ে আসে এড্রেস প্রুভ হিসেবে। এটা সম্ভবত তার হোটেলে ওঠার সময়ে নিয়ে রেখেছিলো, এই ভুলটা অন্যান্য লজ বা হোটেলের মতো করেনি চেক করার বিষয়ে। আর সম্ভবত এই কারণেই এই লোকটাকে নিয়মিত হুমকি দিতে থাকে। সে যাইহোক, তার স্টেটমেন্ট অনুযায়ী তার কাছ থেকে সমস্ত ডিটেলস নিয়ে নেয় লিখিত।
এদিকে এই কেস এর মাঝে আবার একটা কেস আসে যে, কারো মদের গোডাউন থেকে এক গাদা মদ চুরি হয়ে গিয়েছে। আর এইসব কেস তো নরমালি তেমন গুরুত্ত্ব দিয়ে হ্যান্ডেল করতে চায় না কোনো পুলিশ যদি এর সাথে কোনো ক্রিটিকাল কেস জড়িয়ে থাকে। এই সিজুর কেসটাও একটা জটলার মতো প্যাঁচিয়ে আছে তাদের মাঝে। এখন এই এডড্রেসটা ফেক ছিল না, অরিজিনালি ছিল একটি গ্রামের। তবে এই সিজু কাজের ধান্দায় কিন্তু কেরালার মোটামুটি সব চত্বরে দোকান বা হোটেল সব জায়গায় ফেক এড্ড্রেস দিয়ে কিছুদিন করে কাজ করে চলে গিয়েছিলো। এখন এমন একজনের কাছে একটা কাজের ঠিকানা পায় যেখানে একটা দোকানে কাজ করতো মাসখানিক আগে।
সেখানে পুলিশদের নিয়ে যায়, কিন্তু সেটা নাকি সেই ১ মাস ধরেই বন্ধ পড়ে আছে। তবে একটা বিষয় বলে রাখি যে, এই যে বয়স্ক লোকটা থানায় গিয়ে সিজুর নামে কমপ্লেইন করেছিল সেটা কিন্তু মনোজদের থানার এরিয়ার মধ্যে না, ফলে এটা অন্য আরেকটি থানায় করে। কিন্তু মনোজ আর কনস্টেবল প্রদীপ এরা সবাই মিলে একটি গোডাউনে যায় যেখানেও এই সিজু কাজ করতো আর সেখানেই এভিডেন্স পায় তারা একটা। সেটা মনোজকে জানালে সেই গ্রামে চলে যায় ফোর্স নিয়ে। তবে গ্রামের যেখানে তাদের বাড়ি সেটা অনেকটা জঙ্গল এরিয়ার মতো. সহজেই কেউ বুঝতে পারবে না যে, ওখানে কেউ বসবাস করতে পারে। তবে তারা রাতের দিকে সেখানে লুকিয়ে দেখে যে সিজু আছে।
✠ব্যক্তিগত মতামত:✠
এতদিন যে সত্যিটা জানার জন্য পুলিশ ফোর্স হর্ণে হয়ে ঘুরে বেরিয়েছে অর্থাৎ একপ্রকার ফেক ঠিকানার মধ্যে দিয়ে। এখন অনেক প্রতীক্ষার পরে আর তল্লাশি চালানোর পরে একটি এভিডেন্স পায়। যদিও এইগুলো অনেকের মারফতে পেয়েছে। কারণ এই সিজু যে এতগুলো কাজ নিয়েছিল যাদের মাধ্যমে, তারাই এর বিষয়ে সব কথাগুলো বলে অর্থাৎ কোথায় কোথায় কাজ করেছিল এবং সেইসবের মালিকদের সাথে কথা বলে। শেষপর্যন্ত একটি ফটোশপে গিয়ে এবং সেখানের একটা গোডাউন থেকে খোঁজাখুঁজি করে এই এভিডেন্স সংগ্রহ করে। এরপর তো ওই যায় সিজুর ঠিকানায়। এখন দেখার বিষয় এখানে সবকিছু কিভাবে খোলাসা হচ্ছে আর সিজু ধরা পড়ছে কিনা তাদের পাতানো জ্বালে।
✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৮.৪/১০
✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সিজু তো দেখছি একেবারে বাজে প্রকৃতির লোক। সে আবার হোটেল মালিককে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। পুলিশ যদি সিজুকে ধরতে পারে, তাহলে উচিত শিক্ষা দিবে। আর এমন বাজে লোকের শিক্ষা হওয়াটা দরকার। আমার তো মনে হচ্ছে পুলিশ সিজুকে ধরে ফেলবে এবার। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা। বরাবরের মতো এই পর্বের রিভিউ দারুণভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কেরালা ক্রাইম ফাইলস ওয়েব সিরিজের এবারের পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো। যদিও কিছু কিছু জায়গায় বুঝতে একটু অসুবিধা হয়েছে। কারণ বিগত পর্বগুলো পড়া হয়নি। সত্যি দাদা এবার ব্যস্ততার কারণে মিস হয়ে গিয়েছে। সময় করে আগের পর্বগুলো পড়ে নিবো। তাহলে সবকিছুই বুঝতে পারবো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit