ভারতের কাছে পাকিস্তানের শোচনীয় পরাজয়

in hive-129948 •  last year 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।


স্ক্রিনশর্ট: ষ্টার স্পোর্টস (WILLOW)

আজকে আপনাদের সাথে একটি খেলাধুলা বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গতকাল বিশ্বকাপ এর ১২ তম ম্যাচ এর খেলা ছিল। আর এইটা সবার মতে সব থেকে বড়ো খেলা ছিল, কারণ ভারত আর পাকিস্তানের খেলা মানে সব থেকে বড়ো একটা বিষয় সেটা দর্শকদের জন্য হোক বা ভারতীয় খেলোয়াড়দের জন্য হোক। অন্যান্য কোনো ম্যাচে দর্শকের সংখ্যা আর যাই হোক না কেন, এই দুই টিমের খেলা হলে সেদিন কোটি কোটি দর্শকের নজর থাকে, সেটা খেলার মাঠে হোক আর কোনো টিভি বা ফোনের পর্দায় হোক। এইটা খুবই একটা ইন্টারেষ্টিং একটা ফ্যাক্ট। যাইহোক, গতকাল আমেদাবাদে এর পিচে খেলাটা হয়েছে আর এই পিচে বলা যায় বেশিরভাগটাই ব্যাটিং পিচের আওতায় পড়ে। তবে এই পিচে সব থেকে একটা বড়ো বিষয় হলো সেকেন্ড ইনিংসে ভালো ব্যাট করা যায় আর রান দ্রুতও করা যায়। ভারত টসে জিতেই ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়।


স্ক্রিনশর্ট: ষ্টার স্পোর্টস (WILLOW)

পাকিস্তান ব্যাটিং করতে আসে ঠিকই, কিন্তু তাদের যে ওপেনিং জুটি এতদিন এতো ভালো খেলেছে তাদের আজকে বুমরাহ লেন্থ, অফ কাটার সব দিক দিয়ে এটাক করেছে। তবে সিরাজের বলে মেরেছে ভালোই, তবে মারলেও উইকেট নিয়েছে ভালো ভালো এটা মানতে হবে। পাকিস্তানের সাথে একটা আলাদা জোশ নিয়ে খেলে সবাই সেটা বোলিং, ফিল্ডিং বা ব্যাটিং যাই হোক না কেন। সব কোহলি খুবই উচ্ছুক থাকে কখন আউট হবে আর একটা হুঙ্কার দেবে হা হা। যাইহোক, ওপেনের দুইজন আউট হয়ে গেলেও বাবর আর রিজওয়ান এরা দুইজন মোটামুটি বেশ ভালোই সেট হয়ে যায় আর ভালো পার্টনারশীপ করেও। মোটামুটি যদি দেখা যায় তবে প্রথম থেকে ৩০ ওভার পর্যন্ত রান ভালোই ছিল আর হাতে উইকেটও ছিল। কিন্তু এখানে রোহিত একটা মাস্টারমাইন্ড প্ল্যান খাটায়, যেখানে সাথে সাথে ১০ ওভারের মধ্যে ৪-৫ টা উইকেট নিমিষেই ঝরে যায় বুমরাহ, সিরাজ, কুলদীপ আর জাদেজার ওভারে।


স্ক্রিনশর্ট: ষ্টার স্পোর্টস (WILLOW)

এখানে বল আসলে এক রকম করতে করতে হঠাৎ অফ কাটার দেয় ফলে বুঝে ওঠার আগেই ক্লিন বোল্ড এর খাতায় নাম লিখিয়ে দেয় তাদের। প্রথম থেকে যেভাবে খেলছিল, তাতে রান মোটামুটি আশা করেছিলাম ২৫০+ একটা রানের পর্যায়ে যাবে, কিন্তু বিষয়টা হয়ে গেলো উল্টো, রান ২০০ করতে পারেনি, লাস্টে ১০-১২ ওভারেই সব উইকেট ঝরে গেলো। এখানে রোহিত শর্মার ক্যাপ্টেন্সি অসাধারণ ছিল। আর এই রান এই পিচে যে সহজে তুলে দেবে সেটাও অবিশ্বাস্য কিছুই না। কিন্তু রোহিত যে এই ম্যাচেও এইরকম আগুন ঝরা ব্যাট করবে সেটাও আন্দাজের বাইরে ছিল, ব্যাটে যেন চার আর ছয় এর খেলা চলছে তার। যদিও তার ব্যাটিং এর ক্ষেত্রে যতক্ষণ পিচে থাকে ততক্ষন ৬ এর রেশিও বেশি চলে। চার কয়টা মারলো সেটা দেখার দরকার নেই, কিন্তু রান বোর্ডে তার ৬ এর সংখ্যা সর্বাধিক।


স্ক্রিনশর্ট: ষ্টার স্পোর্টস (WILLOW)

আর ওয়ার্ল্ড কাপে দ্রুততম রান বা শতক এর স্থানে নিজের নামটাও জুড়ে নিয়েছে। রোহিত মোটামুটি একাই রান বের করে দিয়েছে। যদিও মাঝে কোহলি এসে খেলতে পারেনি, কিন্তু শ্রেয়াসও মেরেছে ভালোই আর অনেক আগেই ম্যাচ জিতে গেছে অর্থাৎ ১১৭ বল হাতে থাকতেই। তবে ইন্ডিয়া আর পাকিস্তানের এই বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো যদি এনালাইসিস করা যায় তাহলে দেখা যাবে এই পর্যন্ত ভারতের সাথে পাকিস্তান একটাও ম্যাচ জিততে পারেনি, এটাও একটা ভারতের রেকর্ড আর এই রেকর্ড সব সময় বজায় রাখার চেষ্টাই তারা করবে। পাকিস্তানের সাথে খুব সহজে ম্যাচ জিতে গেলেও দর্শকরা বেশ আনন্দ পেয়েছে বলতে গেলে।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

জী দাদা গতকাল আরেকটি কাগজের পাতা ইতিহাসের বইতে জমা হয়ে গেল। আর সেটি হলো ভারতের কাছে পাকিস্তানের শোচনীয় পরাজয়। ভারত পাকিস্তানের খেলা হলে মানুষের মাঝে অন্যরকম উত্তেজনা কাজ করে। দর্শকদের মাঝে যেমন উত্তেজনা থাকে তেমনি আমি মনে করি খেলোয়ারদের মাঝেও তেমন উত্তেজনা থাকে। কারন এই দুই দলের খেলা হলে আলোচনা সমালোচনা হয় বেশি। গত কাল পাকিস্তান শুরুটা মোটামুটি ভালো করলেও শেষের দিকে গিয়ে তেমন ভালো করতে পারে নি। প্রথম দশ অভারে ভালো একটি স্কোর করেছিলো। কিন্তুু উইকেট গুলো ধরে রাখতে পারেনি। যার ফলে মাত্র ১৯২ রানে অলআউট হয়ে যায়। পাকিস্থানের তুলনায় আফগানিস্থান ভারতের সাথে ভালো খেলেছে। কারন তারা ভারতের সাথে ২৭২ রান করেছে। যেটা মোটামুটি একটি জেতার স্কোর ধরা যায়। সবাই ভেবেছিলো এই ম্যাচটা টান টান উত্তেজনা থাকবে। কে জিতবে সেটা নিয়ে জল্পনা কল্পনা হবে। কিন্তুু বাস্তবে কিছুই হলো না। এক তরফা ভাবে ভারত জিতে গেল। রোহিত শর্মা সব সময় ভালো খেলে। সেটা প্রথম থেকেই দেখে আসতেছি। যে কোন দেশের সাথে খেলা জেতায় তার কৃতিত্ব বেশি। ধন্যবাদ দাদা।

ভারতের কাছে পাকিস্তান চিরকালই ক্রিকেট ম্যাচে হেরে আসছে এটা আর নতুন কিছু নয় আমাদের মত মানুষের কাছে। অতি কমন একটি বিষয় হয়ে গেছে তাই এই খেলা দেখার পূর্বে বলে দেওয়া যায় পাকিস্তান আজকে হেরে যাবে ভারতের কাছে। ঠিক এমনটাই বলাবলি হয়েছিল কালকে, তার বাস্তব প্রমাণ দেখে নিল দেশবাসী।

বাবর এবং রিজওয়ান এর ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছিল ফাইটিং স্কোর গড়তে পারবে পাকিস্তান। কিন্তু মিডল অর্ডার এবং লো অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়,অল্প রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান টিম। রোহিত শর্মা এই ম্যাচেও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। লাইভ দেখার সময় মনে হচ্ছিল হাইলাইটস দেখছি। এমন সহজ জয়ের ম্যাচ গুলো দেখতে তেমন ভালো লাগেনা। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হলে বেশ উপভোগ করা যায়। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

কথাটা ঠিকই বলেছেন দাদা পাকিস্তানের পরাজয় টা শোচনীয় ছিল। পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমাম এবং শফিক শুরু করেছিল ভালো। কিন্তু ভারতের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এ বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারেনি। 200 এর আগেই অলআউট হয়েছে। কিন্তু ভারত তার স্বাভাবিক ব‍্যাটিং টাই করেছে। সবমিলিয়ে ভারতের কাঙ্খিত এবং অসাধারণ জয় ছিল।

Posted using SteemPro Mobile

  ·  last year (edited)

এটা কিন্তু আপনি একেবারে সত্যি বলেছেন দাদা, ভারতের কাছে পাকিস্তানের পরাজয়টা ছিল একেবারে শোচনীয়। আমি খেলার কিছু অংশ দেখেছিলাম। বলতে গেলে শেষের দিকটা দেখা হয়েছিল। আসলে ভারতের একটা রেকর্ড এটা, কারণ ভারতের সাথে পাকিস্তান একটাও ম্যাচ জিততে পারেনি। আশা করছি এভাবেই তারা এগিয়ে যেতে পারবে আরো বহুদূরে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আজকেও খেলা বিষয়ক একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে আপনার লেখা এই পোষ্ট পড়তে। আমি খেলা দেখি না তবে আগে দেখতাম, কিন্তু আমি এই ম্যাচটার শেষের অংশ দেখেছিলাম। তবে এই ম্যাচটা দেখে সত্যি খুব ভালো লেগেছিল আমার কাছে। দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।

দাদা আজকে আবারো আপনার মাধ্যমিক খেলা বিষয়ক একটা পোস্ট দেখে এবং পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এখানে তো দেখছি ভারতের কাছে পাকিস্তানের পরাজয় হয়েছিল তাও আবার বেশ শোচনীয়। এটা আমি সবসময়ই বলি যে আমি খেলা দেখি না, তবে খেলা বিষয়ক পোস্টগুলো আমার কাছে অত্যান্ত দারুণ লাগে। আপনি সব সময় খেলা বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করেন দেখে, সেগুলো পড়ে খেলা সম্পর্কে অনেক ধারণা নিতে পারি। এই ম্যাচটা সম্পর্কে অনেক সুন্দর ভাবে আপনি বলেছেন এই পোষ্টের মধ্যে যেটা বেশ দারুন ছিল। আশা করছি আপনি সব সময় আমাদের সাথে এরকম পোস্টগুলো শেয়ার করবেন। দাদা অধীর আগ্রহে থাকলাম আপনার পরবর্তী পোস্ট পড়ার জন্য।

১৫৫-২ ছিলো আর ১৯১ রানেই আল আউট তাও আবার ব্যাটিং পিচে। পুরো কৃতিত্ব আমাদের বোলারদের। বুমরাহ আর কুলদীপ যাদব পুরো জাদু

বিশ্বকাপের ১২ তম ম্যাচের খেলা সত্যি দারুন ছিল। আর ভারত পাকিস্তানের খেলা মানেই দর্শকদের মাঝে আলাদা রকমের উত্তেজনা। টিভির সামনে দর্শকরা বসে পড়ে কিংবা গ্যালারিতে শত শত দর্শক এই খেলা দেখার জন্য বসে পড়ে। আসলে কিছু কিছু জনপ্রিয় দল রয়েছে যেগুলোর খেলা দেখতে সবাই পছন্দ করে। আর ভারত পাকিস্তানের খেলা মানেই অন্যরকমের উত্তেজনা। দর্শকদের মাঝে যেমন উত্তেজনা বিরাজ করে তেমনি প্লেয়ারদের মাঝেও আলাদা রকমের উত্তেজনা তৈরি হয়। খবরের কাগজ কিংবা টিভির শিরোনামে শুধু যেন এই নিউজটি বারবার দেখাচ্ছিল। ভারতের কাছে পাকিস্তানের শোচনীয় এই পরাজয় ভারতবাসীকে আনন্দ দিয়েছে। যদিও এর আগে কখনো তারা ভারতের সাথে খেলে বিজয়ী হতে পারেনি। আর এরই ধারাবাহিকতায় সেই রেকর্ড এখনো রয়ে গেল। এটা ঠিক বলেছেন দাদা কোহলি খুবই উৎশুক থাকে কখন আউট হবে আর একটা হুঙ্কার দিবে। দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে এই খেলার রিভিউ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।