ওয়েব সিরিজ রিভিউ: তাকদীর ( পর্ব ৪ )

in hive-129948 •  last year 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে 'তাকদীর' ওয়েব সিরিজটির চতুর্থ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "Gandham" . গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম যে চঞ্চল, মন্টু এরা সবাই মোটামুটি গা ঢাকা দিয়ে থাকে একটি জায়গায় আর পুলিশ তাদের পিছনেও লেগে যায় খুঁজতে। এরপরের থেকে আজকে দেখবো কাহিনী কি হয়। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের কাহিনীটা।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
তাকদীর
প্লাটফর্ম
hoichoi
সিজন
পর্ব
Gandham
পরিচালকের নাম
সৈয়দ আহমদ শওকী
অভিনয়
চঞ্চল চৌধুরী, মনোজ কুমার প্রামাণিক, সানজিদা প্রীতি, সোহেল মন্ডল ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
১৮ ডিসেম্বর ২০২০ ( ইন্ডিয়া )
সময়
২২ মিনিট ( চতুর্থ পর্ব )
মূল ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
বাংলাদেশ


☫মূল কাহিনী:☫


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

তারা সবাই মাওয়া ঘাটের যে স্থানটিতে অবস্থান করছিলো সেখানে তারা এই মন্টুর কাছে সমস্ত ঘটনাটা জানতে চায় যে আফসানার সাথে এই দুর্ঘটনা কিভাবে হয়েছিল। মন্টু আর আফসানা সাধারণত যেদিন বাড়ির থেকে নিখোঁজ হয়েছিল, সেদিন তারা একটি লঞ্চে করে অন্যত্র কোথাও একটা জায়গায় যাচ্ছিলো। তবে তাদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন ছিল চেয়ারম্যান আর তার দলবল এর বিরুদ্ধে। এরা একটি গ্রামের মেয়েকে রেফ করেছিল আর সেই ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ সেই মেয়েটা বললে আফসানা সেটি রেকর্ড করে নেয়। আর এটি নিয়ে সে মন্টুর সাহায্য নিয়ে খবর ছাপাতে চায়, কিন্তু চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে ঠোস প্রমান না পেলে সেটি আবার তারা ছাপাতে পারছে না, কারণ এর একজনের চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে কন্ফার্ম প্রমান না থাকলে সেটির ফল উল্টোও হতে পারে। এখন তারা লঞ্চের একটি কামরায় তাদের ব্যাগপত্র রেখে ফ্রেশ হতে গেলে তখন চেয়ারম্যান এর একটা চেলা এসে আফসানার দিকে বন্দুক তাক করে আর তার কাছে সেই প্রমানটা চায় যেটা সে রেকর্ড করেছিল।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

এরপর সে ক্যামেরার থেকে সেই মেমোরিটা খুলে নেয় যাতে সে দেখতে না পায়, কিন্তু দেখে ফেলে পরে। আফসানা এই মেমোরি তাকে দেবে না বিধায় সে মেমোরি গিলে ফেলে আর তখনি তাকে গুলি করে দেয়। এরপর মন্টু ওই লোকটাকে লঞ্চের উপর থেকে নিচে জলে ফেলে দেয়। কিন্তু আফসানা ওখানে সাথে সাথে মারা যায়। আফসানা মূলত ওই মেয়ের রেপিস্টদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার জন্য পুলিশ এবং অন্যান্য জায়গায় নিজেও প্রমান জোগাড় করতে থাকে, কিন্তু চেয়ারম্যান এর কানে এই খবরটা চলে যায়, আসলে এই ঘটনার সাথে চেয়ারম্যানও জড়িত, তবে সেটা সবাই জানলেও তার নামে কোনো প্রমান নেই। এই ঘটনাগুলো শোনার পরে এখন যেটা তাদের সামনে দাঁড়ায় যে ওই মেমোরি না পেলে সবাই ফেঁসে যাবে।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

কারণ সেটাতেই সব প্রমান আছে ,যেটা পুলিশের কাছে দিলেই আমরা নিরপরাধ বলে গণ্য হবো । তবে মূল সমস্যা যেটা তাদের দাঁড়ায় সেটা হলো ওই আফসানার লাশ-তো কবর দিয়ে ফেলে। আবার সেটাকে তুলে ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে, কারণ ঢাকার পুলিশই এর আসল ঘটনাগুলো জানে , ফলে তারা ছাড়া বিশ্বাস করবে না অন্য কোনো থানায়। এরপর চঞ্চল কয়েকজনকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় আর নজর রাখতে বলে, আর তারা রওনা দেয় সেই লাশটা আবার নিয়ে আসতে।


☫ব্যক্তিগত মতামত:☫

এই পর্বে এসে আরো কিছু ঘটনা সামনে আসলো অর্থাৎ প্রথম থেকে মূলত কেসটা কি হয়েছিল সেটার কিছুটা জানা গিয়েছে। আর আফসানাও কে ছিল সেটাও জানা গিয়েছে, সে ওই বিখ্যাত সাংবাদিকই ছিল। এখন তার বাড়ির লোকজনও জানে না যে সে মারা গিয়েছে, সবাই জানে নিখোঁজ অবস্থায় আছে। যাইহোক, এখন এই লাশটা উঠিয়ে ঢাকায় না নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত বিষয়টা খোলসা হবে না, এখনো বেশ রহস্য লুকিয়ে আছে। লাশটার পেটে যে আসলে সেই মেমোরি আছে কিনা সেটাও অনেকটা সন্দেহজনক। তারপরেও মন্টুর কথা মতো তারা গাড়ি নিয়ে আবার সেই স্থানে যায় যেখানে কবর দিয়েছিলো। বেশ রাত হলে তারপর যায়, কারণ কবরের পাশেই বাড়ি আছে। সবাই ঘুমিয়ে পড়লে তারপর তারা কবরটা খুঁড়তে থাকে এবং লাশটা বের করে। মন্টুকে গাড়িটা ঘুরিয়ে আনতে বলে কাছাকাছি, কিন্তু ও গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার আগে সাইরেন বন্ধ করতে ভুলে যায়, ফলে যেই স্টার্ট দেয় সেই বেজে ওঠে। এরপর লাশটা তো তোলে কিন্তু পাশের বাড়ির লোকজন লাইট জ্বালিয়ে বেরিয়ে পড়ে। এখানে একটা ঘটনা ঘটতে চলেছে, যেটা পরের পর্বে বোঝা যাবে এরপর কি হবে এই লাশ নিয়ে ।


☫ব্যক্তিগত রেটিং:☫
৮.৯/১০


☫ট্রেইলার লিঙ্ক:☫



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা আজকের পর্বটা এমন একটি জাগায় থামিয়ে দিলেন ভিতরে একটি জল্পনা রয়ে গেল। না জানি লাশটা নিয়ে কি হয়। যারা কবর থেকে লাশ তুলতে গেছে তাদের মনে তো ভয়। কবরস্থানের আশে পাশের মানুষ আবার তাদেরকে লাশ চোর বলে মাইর দেয় কি না। সেই ভয়ে গাড়ির সাইরেন বন্ধ করতে ভুলে গেছে। প্রবাদ আছে,চোরের মন পুলিশ পুলিশ। এদিকে আফসানার পরিবার লাশ দেখলে কেমন রিএকশন দেখায় সেটাও ভাবার বিষয়। দাদা খুব তারাতারি পরের পর্বটা প্রকাশ করবেন। খুব জানতে ইচ্ছা করছে তারা লাশটা নিয়ে যেতে পারলো কি না...। ধন্যবাদ।

আমি এখন অবদি তকদির সিরিজ টা দেখিনি আসলে সাবস্ক্রাইবশন কেনার ভয়ে হাহা।ফ্রিতে দাদা আপনার রিভিউ পরে পরে ৫০% বোঝা হয়ে যাবে।হ্যা সিরিজটা টুইস্ট এ ঘেরা অনেক দারুন উপস্থাপন করেছেন দাদা ।

Posted using SteemPro Mobile

দাদা তাকদীর ওয়েব সিরিজের চতুর্থ পর্ব পড়ে অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। আর এই পর্বটির নাম দেখছি Gandham ছিল। এই ওয়েব সিরিজের আগের পর্বগুলো আমার পড়া হয়েছিল। এই পর্বটা তো এমন একটা জায়গায় এসে শেষ হয়েছে যা অজানা থেকে গিয়েছে। এখন মিন্টুর কথা যদি ঠিক হয় তাহলে অবশ্যই আফসানার পেটের মধ্যে সেই মেমোরি কার্ড থাকবে। আফসানা লাশটাকে তো দেখছি এখন ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে। পরবর্তীতে আবার দেখলাম গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার সময় আওয়াজ হয়ে গিয়েছিল। যার কারণে আশেপাশের বাড়ির লোকজন লাইট জ্বালিয়ে বের হয়। এখন সবাই কোন ঝামেলার সম্মুখীন হবে এটাই আমি ভাবছি। আফসানা তো চেয়েছিল ওই চেয়ারম্যানের সব খারাপ কাজ সামনে নিয়ে আসতে। কিন্তু এত সব কিছু করতে গিয়ে তো নিজেই মারা গেল। অন্যদিকে আফসানার ফ্যামিলি ও জানে না সে মারা গিয়েছে। আফসানার লাশটা যখন তারা দেখবে তখন তাদের কি রকম অবস্থা হবে? আর আফসানার লাশের পেট থেকে সেই মেমোরি কার্ড কি পাওয়া যাবে? এখনো কিন্তু অনেক রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। আশা করছি পরবর্তী পর্বগুলোতে এই বিষয়গুলো আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসবে। দাদা এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্ব টা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি এর পরবর্তী পর্ব আপনি খুব শীঘ্রই আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।

'তাকদীর' ওয়েব সিরিজটির চতুর্থ পর্ব রিভিউ পড়ে আরো অনেক কিছু জানতে পারলাম দাদা। সাংবাদিক আফসানার লাশ লুকানোর জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। তবে মন্টুর সন্দেহ যদি ঠিক হয় তাহলে আফসানার পেটের ভেতর সেই মেমোরি কার্ড লুকানো আছে। এখন এটা রক্ষা করা খুবই মুশকিল। লাশ কবর থেকে তোলা আর মেমোরি খুঁজা সত্যি ভীষণ ঝামেলার ব্যাপার। অন্যদিকে মন্টু কবর খুঁড়ার প্রস্তুতি ঠিকই নিয়েছিল। কিন্তু গাড়ির সাইলেন্সার বন্ধ করতে ভুলে গিয়েছিল। তাইতো গাড়ির শব্দে আশেপাশের লোকজন চলে আসে। সাংবাদিক আফসানা চেয়ারম্যানের মুখোশ খুলে দিতে চেয়েছিল। তাই তো সব ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছিল। অন্যদিকে তাকে জীবন দিতে হলো। অথচ তার পরিবার এখনও জানতে পারল না আফসানা মারা গেছে। তারা তো এখনো তাকে নিখোঁজ ভাবছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। পরবর্তী পর্বের রিভিউ পড়ার অপেক্ষায় রইলাম দাদা। আশা করছি খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্বের রিভিউ দেখতে পাব। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা দারুন একটি ওয়েব সিরিজ রিভিউ শেয়ার করার জন্য।

দাদা তকদীর ওয়েব সিরিজের 4 নাম্বার পর্ব টা দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো। আসলে গত পর্ব দেখেছিলাম চঞ্চল চৌধুরী অনেক সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল। তবে তার গাড়িতে থাকা মহিলাটি কে ছিল সেটা জানা গেছে। আসলে সে ছিল অনেক বড় একজন সাংবাদিক আফসানা। আজকের পর্ব দেখছি আরো কিছুটা রহস্য বেরিয়ে এসেছে। এখানে তো দেখছি আফসানা মূলত মেয়েটির রেফিস্টদের খোঁজার জন্য তথ্য প্রমাণ বের করছিল। কিন্তু বিষয়টা আসলে চেয়ারম্যান জানতে পারে। তবে এখন তো মনে হচ্ছে আফসানার মৃত্যুর পেছনে চেয়ারম্যানের হাত রয়েছে। যদিও সেটা এখনো প্রমাণ হয়নি। কিন্তু অন্যদিকে আফসানা কে তো খবর দেওয়া হয়ে গেছে। আবার প্রমাণের জন্য লাশটা ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু নষ্ট কে আবার ওঠানো পরেও দেখছি সবাই জানতে পেরে গেছে। সবকিছু এরকম এলোমেলো হয়ে গেছে। এবার কি হবে সেটাই বুঝতে পারছি না। নিশ্চয়ই পরবর্তী পর্বে জানতে পারবো।

দাদা এই কয়েকদিন কিন্তু তাকদির মুভিটার চতুর্থ পর্বের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। আর আজকে চতুর্থ পর্ব টা পড়তে পারলাম সম্পূর্ণ। চতুর্থ পর্ব টা পড়ে আরো অনেক কিছু জানতে পেরেছি এবং কি অনেক ভালো লেগেছে। কিন্তু এখন তো দেখলাম আরো বেশি বিপদে পড়তে যাচ্ছে তারা। কারণ মন্টুর কথা মতো তারা আফসানার লাশটা তুলে নিতে এসেছে। কারণ সে জানিয়েছে আফসানার পেটের মধ্যে ওই মেমোরি কার্ড রয়েছে। এখন তো আবার দেখলাম তারা লাশটা উঠাচ্ছে ঠিকই কিন্তু গাড়িটার জন্য ধরা খেয়ে যাবে। গাড়িটা সাইলেন্ট না করার কারণেই তো বেঁচে উঠেছিল, আর আশেপাশের লোকজন লাইট জ্বালিয়ে বাইরে বের হতে শুরু করেছে। আফসানা কিন্তু অনেক ভালো একটা সাংবাদিক তা এই পর্বটা পড়ে বুঝতে পেরেছি। আসলে কিছু কিছু সাংবাদিক রয়েছে অন্যদের খারাপ মুখোশ সবার সামনে নিয়ে আসার জন্য নিজেরাই মৃত্যুবরণ করে। তেমনি আফসানা চেয়েছিল চেয়ারম্যানের মুখোশ সবার সামনে নিয়ে আসার। যার জন্য সে অনেক কষ্ট করে অনেক প্রমাণ জোগাড় করেছিল। বিশেষ করে ওই মেমোরি কার্ড টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখন তাহলে দেখতে হবে তারা কি বিপদে পড়ে, নাকি ভালোভাবে লাশটা নিয়ে যেতে পারে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।