ওয়েব সিরিজ রিভিউ: রুদ্রবীনার অভিশাপ- আরেক নাদ ( সিজন ২ - দ্বিতীয় পর্ব )

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে রুদ্রবিনার অভিশাপ ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় সিজনের দ্বিতীয় পর্ব রিভিউ দেব। আজকের পর্বের নাম হলো "আরেক নাদ"। গত পর্বে দেখেছিলাম শ্রুতি আর বিক্রম স্বরলিপির খোঁজে শ্রুতির দাদুর পুরানো হাভেলিতে গিয়েছিলো। আজকে সেখান থেকে কাহিনীটা কি হয় দেখা যাক।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
রুদ্রবিনার অভিশাপ
প্লাটফর্ম
hoichoi
সিজন
পর্ব
আরেক নাদ
পরিচালকের নাম
জয়দীপ মুখার্জি
অভিনয়
বিক্রম চ্যাটার্জি, রূপসা চ্যাটার্জি, সৌরভ দাস, দিতিপ্রিয়া রায়, উষশী রায় ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
২৪ ডিসেম্বর ২০২১( ইন্ডিয়া )
সময়
১৯ মিনিট ( দ্বিতীয় পর্ব )
ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


✠মূল কাহিনী:✠


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

এই পর্বের শুরুতে দেখা যায় দিতিপ্রিয়াকে এখান থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য মানাতে থাকে কিন্তু সে যেতে চায় না কোথাও আনন্দগড় ছেড়ে। কারণ দিতিপ্রিয়ার মনে হয়েছে যে তার মাকে খুন করা হয়েছে এবং সেই খুনি এই আনন্দগড়ের আশেপাশে এখনো আছে তাই যতক্ষণ না সেই খুনি ধরা পড়ছে আর শাস্তি পাচ্ছে ততক্ষন কোথাও যাবো না। এরমধ্যে সেখানে নাদ লোকটা চলে আসে আর লুকিয়ে তাদের কিছু কথা শুনে ফেলে। এরপর সেখান থেকে গুরু মা অর্থাৎ শ্রুতির মায়ের কাছে গিয়ে দেখা করে যেহেতু সে দিতিপ্রিয়ার মাকে মারার পরে তার মা অসুস্থ এই মিথ্যে কথাটা বলে চলে গিয়েছিলো তাই আবার পুনরায় অন্যান্য ছাত্রদের সাথে তালিম নেওয়ার জন্য যোগ দেয়। সেখানে বাহাদুর লোকটা চলে আসে এবং নাদকে দেখে তার মনে সন্দেহ জাগে তাই সে নাদের পিছু নিতে লাগে তার রুমে যাওয়ার আগে পর্যন্ত। তখন নাদ বিক্রমের রুমে তানসিনের তানপুরার বাক্সটা দেখতে পায় আর ভিতরে ঢুকে খুলে দেখে সেখানে সবগুলো চাকতি সাজানো আছে। এরপর নাদ সেটি তার ব্যাগে ঢুকাতে যায় আর বাহাদুর লোকটা এসে ধরে ফেলে। নাদের কোমরে সেই বিনার মতো চিহ্ন দেখে বুঝে ফেলে যে রুদ্রপুরের কোনো গুপ্তচর হবে। এরপর দুইজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় একটু আর নাদ তাকে ধাক্কা দিয়ে বক্সটা ব্যাগে করে পালাতে যায়।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

নাদ পালাতে লাগলে বাহাদুর লোকটাও তাকে ধরার জন্য তার পিছু পিছু দৌড়াতে লাগে কিন্তু ধরতে পারে না। এরপর মেইন দরোজার সামনে গেলেই সেখানে বিক্রম আর শ্রুতি এসে হাজির হয় আর তাদের কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় আর সে মেইন রোডের দিকে দৌড় দেয়। বিক্রম, শ্রুতি, বাহাদুর সবাই তাকে ধরার জন্য সেই সাথে সাথে দৌড় দেয় কিন্তু নাদ এতো তেজ দৌড়াতে লাগে যে তাদের বহু পিছনে ফেলে চোখের নিমিষে কোথায় হারিয়ে যায়। মেইন রোডের কোথাও এক জায়গায় সে লুকিয়েছে কিন্তু সেটা কেউ বুঝতে পারছে না। বাহাদুর তার উপর খেপেছে একটা কারণে যে তার ছেলে আর মেয়েকে এই নাদই মেরেছে আর সেটা বুঝতে পেরেছে। এরপর বিক্রম এই নাদের বিষয়ে জানতে চাইলে বলে এই রুদ্রপুরেরই লোক। আর বাহাদুরের একটা বোনও ছিল এবং তাকেও মারা হয়েছে আর সেটা বিক্রম সেই পুরানো হাভেলি থেকে জানতে পেরেছে। সবকিছুর সাথে একটাই চিহ্ন জড়িত আছে সেটা রুদ্রবিনার চিহ্ন।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

বিক্রম বাহাদুরের বোন মানে শ্রুতির দিদিমার মৃত্যুর বিষয়ে যখন জানতে চায় তখন আর কিছু বলতে চায় না, কারণ সে আর এইসব বিষয়ে নিয়ে টানাহেঁচড়া করতে চায় না বেশি। আর বাহাদুর কেদারনাথ অর্থাৎ শ্রুতির দাদুর বিষয়ে আগেই জানতে পেরেছিলো যে লোকটা একদমই ভালো না, সে রুদ্রপুরের লোক এবং অসৎ কাজের সঙ্গে যুক্ত। শ্রুতির দিদিমাও কেদারের কোমরে একই চিহ্ন দেখতে পেয়েছিলো আর তখনি তার দাদা এই বাহাদুরের কাছে এই চিহ্নের ব্যাপারে জানতে গিয়েছিলো যে এই চিহ্নের অর্থ কি। এখন বিক্রম এরা সবাই জানতো কেদার লোকটা ছিল মদন্তীর বংশধর। কিন্তু আসলে সে সবাইকে লুকিয়ে লুকিয়ে চলতো। আর এই বিষয়ে তার বোনকেও অবগত করে যে কেদার লোকটা তাকে মারতে চায় আর সেই উদ্দেশ্যেই তার সাথে মিশেছে।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

কেদারনাথ যখন লুকিয়ে লুকিয়ে তার গুরুর সাথে দেখা করতো আর মদন্তীর সমস্ত বংশধরদের খুঁজে বের করে খুন করার কথা বলতো তখন বাহাদুর লোকটাও লুকিয়ে লুকিয়ে তাদের সমস্ত কথা শুনতো। আসলে কেদারনাথের সময়ে তখন আরো একজন রুদ্রভৈরব ছিল সে রুদ্রপুরে বসে বসে মদন্তীর বংশধরদের খুঁজে বের করার জন্য এইরকম গুপ্তচর ছড়িয়ে রাখতো। আর যে মদন্তীর ছেলে আব্দুল্লাহ নামক লোকটাকে খুঁজে হত্যা করেছিল সে এই কেদারই ছিল। এরপর একদিন কেদারনাথ কাউকে মেরে রুদ্রভৈরবকে জানায় যে আব্দুল্লাহর ছেলেকে অনেক খোঁজার পরে তাকে মেরে আপনার সামনে উপস্থিত করেছি আর এর সাথে সাথে মদন্তীর সব বংশধরদের শেষ করা হয়ে গেছে। এইসব বাহাদুর দেখার পরে কেদারকে একা পেয়ে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আর তাকে মারতে যায় কিন্তু কেদার তারপরেও তাকে না মেরে মুখ বন্ধ রাখতে বলে এতেই তার বোনের ভালো হবে সেটা জানায়।


✠ব্যক্তিগত মতামত:✠

এই পর্বে দেখা গেলো যে আসলে আরেক নাদ এই কথাটার মানে হলো বর্তমানে যে নাদ আছে এখন সে ছাড়াও আরো একজন নাদ অন্য সময়ে ছিল আর সেই নাদটাই ছিল কেদার। যেটা সময়ের সাথে সাথে এক এক সময়ে একজন করে রুদ্রভৈরব আর নাদের জন্ম হয়ে আসছে। আসলে প্রকৃতপক্ষে তাদের কারোরই এইগুলো আসল নাম না, কিন্তু তাদের গুপ্তচরের বেশে এক এক সময় এক এক জায়গায় নাম চেঞ্জ করে চলতে হয়। এদিকে বর্তমান নাদ লোকটা যে চাকতিগুলো নিয়ে পালিয়ে গেলো এটার কি উদ্দেশ্য সেটা দেখার বিষয়। হতে পারে যে এই নাদ রাগ সঞ্জীবনী সম্পর্কে রুদ্রভৈরবকে জানতে দেবে না, এখন সেটা পরে বোঝা যাবে কি করতে চাচ্ছে।


✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৯.৫/১০


✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ওয়েব সিরিজের এবারের পরবর্তী পড়ে ভালো লাগলো দাদা। গত পর্বে আমরা জেনেছিলাম শ্রুতি আর বিক্রম স্বরলিপির খোঁজে শ্রুতির দাদুর পুরানো হাভেলিতে গিয়েছিলো। এবার নতুন পর্ব পড়ে আমি আর নতুন কিছু জানতে পারলাম। আসলে সেই গুপ্তচরই মনে হয় দিতিপ্রিয়ার মায়ের খুনি। আর বাহাদুরের হাত থেকে এবং বিক্রমের হাত থেকে সে খুব দ্রুত পালিয়ে গেল। মদন্তীর বংশধরদের খুঁজে বের করার জন্যই হয়তো গুপ্তচর লাগানো হয়েছে এবং তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে যেহেতু সেই লোকটা চাকতিগুলো নিয়ে পালিয়ে গেছে তাই শেষ পর্যন্ত সেগুলো আবার ফেরত পাওয়া যায় কিনা সেটা দেখার প্রতীক্ষায় রইলাম। হয়তো সেই গুপ্তচর চায়না চাকতিগুলো দিয়ে রাগ সঞ্জীবনী সম্পর্কে কিছু জানতে পারা যাক। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

নাদ তাহলে চাকতি নিয়ে পালাতে সক্ষম হয়েছে। তবে আমার কেন যেন মনে হচ্ছে এই নাদ লোকটা রাগ সঞ্জীবনী রুদ্রভৈরবকে পেতে দেবে না। দেখা যাক কি হয়। সময়ে সময়ে এক একজন গুপ্তচর নাদে পরিনত হয় জেনে অবাক হয়ে গেলাম। এখন সামনের পর্বটা বেশ আকর্ষণীয় হতে যাচ্ছে বলে মনে হয় আমার কাছে।

দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀

আগের পর্বে দেখেছিলাম বিক্রম সবগুলো চাকতি পেলেও ব্যর্থ হচ্ছে।যাইহোক নাদ নামক লোকটি বক্স নিয়ে পালিয়ে গেল কেন?বাহাদুর তার বোন মানে শ্রুতির দিদিমার মৃত্যুর বিষয়ে যেহেতু কিছুই বলতে চায় না সুতরাং সেখানে কিছু রহস্য রয়েছে।তাছাড়া একেক সময় একেক রুদ্রভৈরবের জন্ম হচ্ছে এটা বেশ রহস্যের।তাহলে আসল রুদ্রভৈরব কে দাদা?সুন্দর ছিল এই পর্বের রিভিউটি।ধন্যবাদ আপনাকে।

দাদা এই পর্বে নাদ আর রুদ্রভৈরব নামের অর্থ আর উদ্দেশ্য গুলো জানা গেল। তবে বর্তমান নাদ চাকতি গুলো নিয়ে পালিয়ে গেল কেন সেটাই বুঝলাম না। কাহিনী আবার কোন দিকে মোড় নিচ্ছে এখন সঠিক ভাবে বুঝা যাচ্ছে না। রুদ্রভৈরব ও নাদের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটাও দেখার বিষয়। ধন্যবাদ দাদা।