ওয়েব সিরিজ রিভিউ: তাকদীর ( পর্ব ২ )

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে "তাকদীর" ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "রদবদল"। গত পর্বের শেষটা ছিল চঞ্চল এর গাড়িতে যে অচেনা একটা লাশ ছিল সেটা নিয়ে অন্য আরেকটি বাড়িতে লাশ আনতে যায় এবং সেখানে তাকে আরো ১ টি রাত থাকতে বলে। আজকে সেখান থেকে দেখবো পরে কি হয়।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
তাকদীর
প্লাটফর্ম
hoichoi
সিজন
পর্ব
রদবদল
পরিচালকের নাম
সৈয়দ আহমদ শওকী
অভিনয়
চঞ্চল চৌধুরী, মনোজ কুমার প্রামাণিক, সানজিদা প্রীতি, সোহেল মন্ডল ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
১৮ ডিসেম্বর ২০২০ ( ইন্ডিয়া )
সময়
২৩ মিনিট ( দ্বিতীয় পর্ব )
মূল ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
বাংলাদেশ


☀মূল কাহিনী:☀


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

এই পর্বে এসে প্রথমে দেখা যায় যে, আফসানা নামক একজন সাংবাদিক নিখোঁজ হয়ে যায় এমনটা জিডি করার জন্য তার এক্স হাসব্যান্ড থানায় যায়। এরপর পুলিশের কাছে গিয়ে জিডি করার জন্য যেসব ফর্মালিটি তার করা দরকার সেগুলো করতে বলে। তবে থানায় যিনি অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলেন তিনি বিষয়টা প্রথমে হেয়ালিভাবে নেন, তবে সাংবাদিক আফসানা নাম শোনার পরে সাথে সাথে গিয়ে তিনি সেটা ওসি সাহেবকে জানান। যাইহোক এরপরে চঞ্চল এর ঘটনার ক্ষেত্রে এখন ওই রাতে তার তো এক প্রকার টেনশন-এ খারাপ অবস্থা, আর তারপরে সেখানে আবার কিছু পুলিশের লোকজন আসে। তারা আবার গাড়িটা একটু চেক করলো, কিন্তু পুলিশ দেখে তার তো হাঁটু কাঁপা শুরু করে দিয়েছিলো, কারণ পুলিশ যদি একবার ভিতরে চেক করে তাহলে ওই লাশটা পেয়ে যাবে। আর লাশ পাওয়া মানে তার হাতে হাতকড়া পড়বে। আর চঞ্চল সেই অচেনা লোকটিকে তো বারবার ফোন দিচ্ছে কিন্তু সে আর তোলে না।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

এরপর এইভাবে সারা রাত তার টেনশন-এ সময় কেটে যায় এবং সকালে সেই বাড়ির বাকি আত্মীয়-স্বজন সবাই চলে আসে আর লাশটাকে আবার নতুন করে নামিয়ে সবাই দেখার পরে আবার ভিতরে দিয়ে দেয়। এর মধ্যে সেই লোকটা তাকে ফোন করে বলে সে যেন লাশটা নিয়ে মুন্সীগঞ্জে আসে। কিন্তু তার তো আবার এই লাশ নিয়ে বরিশাল যেতে হবে কবর দেওয়ার জন্য। তো তাকে ওই লাশটা পৌঁছিয়ে তার কাজ মিটে গেলে তারপর নিয়ে যেতে বলে। এইবার চঞ্চল যখন ওই লাশ নিয়ে রওনা দেবে, তখন ওই বাড়ির একজন সদস্য আবার তার গাড়িতে উঠে পড়ে সেই কবর স্থানে যাওয়ার জন্য। এতে আরেক ঝামেলায় পড়ে চঞ্চল। ওই লোকটার আবার এসি লাগবে না হলে আরাম পাচ্ছেন না আবার ভিতরে বসে। ওটা চঞ্চল ইচ্ছা করে বন্ধ করে রাখে কারণ পিছনে লাশের কামরায় সারা রাত ফ্রিজার অন করা ছিল।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

যাইহোক, লোকটা কিছু পথ যেতে যেতে ঘুমিয়ে যায় এবং চঞ্চল তখন বাইরে এসে তার এক পরিচিত ভাইকে ফোন করে আর এসে এই লাশের কি করা যায় সেইটা দেখতে বলে। এইবার ওই লোকটার ঘুম ভাঙার পরে ঝামেলা শুরু করেছে যে কি সমস্যা, চঞ্চল তারে একপ্রকার ফ্রিজার খারাপ হয়ে গেছে বলে থামায়, কারণ ফ্রিজার ছাড়া অত পথ যেতে যেতে লাশ এর অবস্থা খারাপ হয়ে যেতে পারে তাই মেকানিক আসা পর্যন্ত দেরি করতে বলে। এরপর তার সেই ভাই আসার পরে তারা দুইজন ফ্রিজারের রুমে ঢুকে পড়ে এবং লাশটা এক্সচেঞ্জ করে দিতে বলে। এইভাবে কিছুক্ষন আলোচনার পরে তারা লাশটা পাল্টে দিয়ে দেয় এবং বরিশালে পৌঁছানোর পরে বেয়ারিশ লাশ-টাকে কবর দিয়ে দেয়। আর এরপরে ওই লোকটা তাকে ঘন ঘন ফোন দিতে থাকে কিন্তু চঞ্চল আর ফোন তোলে না, কারণ তুললে আরেক প্যাঁচাল লাগবে।


☀ব্যক্তিগত মতামত:☀

এই পর্বে আসলে তেমন একটা বিশেষ ঘটনা ঘটেনি, রদবদল এর অর্থ শুধু এইটুকুই ছিল, যে কিভাবে লাশটা পাল্টানো যায় আর তাকে কবর দিয়ে দেওয়া যায়। কারণ একটা লাশ ২৪ ঘন্টা যদি গাড়িতে ফ্রিজার অন করে রেখে দেওয়া হয় তাহলে যখন তখন তার মালিকও টের পেয়ে যেতে পারে, যে যদি লাশ গাড়িতেই নাই থাকে তাহলে ফ্রিজার অন কেন। তাই এটাকে কিভাবে সরানো যায় সেটাই প্ল্যান ছিল। তবে চঞ্চল এই বিষয়টা নিয়ে আরেকটা ঝামেলার সম্মুখীন হতে পারে, কারণ যে লোকটা তাকে ফোন করছে সে তার বিষয়ে সবকিছু জানে, ফলে এই লাশ না পেলে কি প্যাঁচাল লাগতে পারে তার ঠিক নেই। তবে এখন পরে আবার এই ঝামেলার মধ্যে অন্য আরেকটা কেস ঢুকতে চলেছে আর সেটা হলো রেফ কেস। এখানে আসলে এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি লাশটা কার, বেয়ারিশ হিসেবেই থেকে গেলো। তবে এই কেস যদি থানা পর্যন্ত হয় তাহলে আবার এইটার পিছনে পড়তে পারে। আর প্রথমে যে সাংবাদিক আফসানার ব্যাপারে মিসিং ডায়েরি করেছিল থানায় সেটা আসলে তারা ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চ এর কাছে হ্যান্ডওভার করে দেয়, কারণ তার মিসিং এরিয়া এই থানার বাইরে। আর কেসটা যেহেতু জার্নালিস্ট এর বিষয়ে তাই সেনসেটিভও বটে।


☀ব্যক্তিগত রেটিং:☀
৭.৪/১০


☀ট্রেইলার লিঙ্ক:☀



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে আজকে তাকদির ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছেন। আমার কাছে এই ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব পড়ে ভালো লেগেছে। এই পর্বের নাম দেখছি রদবদল ছিল। প্রথমে যদিও রদবদল কথাটির মানেটা কি বুঝিনি, পরে আপনি বুঝিয়ে বলেছেন দেখে বুঝতে পারলাম। এখানে তো দেখছি আরো অনেক কাহিনী হবে। আর কাহিনীটার মধ্যে চঞ্চল ও পেশে যেতে পারে। চঞ্চল কিন্তু ঝামেলার সম্মুখীন হতে পারে অনেক রকমের। তবে এই কেসের মধ্যে রেপ কেস কিভাবে ঢুকতে চলেছে এটাই বুঝলাম না দাদা। আশা করছি পরবর্তী পর্বে এই সব কিছু খোলাসা হবে। এই ওয়েব সিরিজটা আমার দেখা হয়নি, তবে আমি সময় পেলে অবশ্যই ওয়েব সিরিজটা দেখার চেষ্টা করব। তো তাহলে সে পর্যন্ত আপনার এই ওয়েব সিরিজটির পরবর্তী পর্বের জন্য আমি অপেক্ষায় থাকলাম। দাদা আশা করছি তৃতীয় নম্বর পর্ব নিয়ে আপনি আমাদের মাঝে খুব শীঘ্রই উপস্থিত হবেন। এবং কি সবকিছু খোলাসা ভাবে বুঝিয়ে বলবেন। ধন্যবাদ দাদা আজকের পোস্টে এই ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করার জন্য।

দাদা এই মুভিটা খুবই রহস্য জনক। চঞ্চল চৌধুরী লাশ নিয়ে কি যে এক মহা বিপদে আছে বলে বুঝানো যাবে না। একবার বরিশাল,একবার মুন্সিগঞ্জ। কপাল খারাপ হলে একটার পর একটা বিপদ আসতেই থাকে। এই একটা বিপদ নিয়ে কত দিকে চিন্তা করা লাগতেছে। তবে একটি জিনিষ শিক্ষার আছে। চঞ্চল কিন্তুু বিপদ থেকে মুক্তি পেতে হাল ছাড়েনি। একটার পর একটা চেষ্টা করে যাচ্ছে। হয়তো এক সময় মক্তির দুয়ার খুলে যাবে। ধন্যবাদ।।

"তাকদীর" ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় পর্ব রিভিউ পড়ে আরো অনেক কিছু জানতে পারলাম দাদা। চঞ্চল চৌধুরী আমার খুবই পছন্দের একজন অভিনয় শিল্পী। উনি সত্যিই দারুন অভিনয় করেন। আর এই ওয়েব সিরিজটি একেবারেই ভিন্ন ধরনের একটি ওয়েবসাইট ছিল। গত পর্বে আমরা জেনেছিলাম চঞ্চল চৌধুরীর গাড়ির ভেতরে একটি লাশ ছিল। তাই চঞ্চল চৌধুরী বেশ বিপদের মধ্যে পড়েছিলেন এটা বুঝতেই পারছি। একদিকে পুলিশের ভয় অন্যদিকে লাশ হস্তান্তর সবকিছু মিলিয়ে সে অনেক চাপের মধ্যে সময় পার করছিল। অন্য দিকে সাংবাদিক আফসানার নিখোঁজ হওয়াতে পুলিশ বেশ তৎপর হয়েছিল। তবে যেহেতু মিসিং এরিয়া সেই থানার এরিয়ার বাহিরে পড়েছে তাই তো ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চ এই কেসটি হ্যান্ডেল করার দায়িত্ব নিয়েছে। যেহেতু একজন সাংবাদিক নিখোঁজ হয়েছে তাই তারা খুব ভালোভাবেই কেসটি হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করবে। যাই হোক দাদা এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। আশা করছি খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্বের রিভিউ আমাদের মাঝে তুলে ধরবেন।

ওয়েব সিরিজ দেখতে কিন্তু আমার বেশ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে সময় পেলে দেখার চেষ্টা করি। আর চঞ্চল তো আমার একজন প্রিয় অভিনেতা। আপনার রিভিউটি পড়ে বুঝাই যাচ্ছে যে এই সিরিজ টিতে চঞ্চল চৌধুরী বেশ ভালোই অভিনয় করেছে। এভাবে লাশের বোঝা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো তো বেশ কষ্টের কাজ। আর এই কষ্টের অভিনয় করতে যেয়ে নিজের সত্যিকারের ক্রেয়েটিভিটি কে তুলে ধরতে পেরেছে চঞ্চল চৌধুরী। বেশ ভালো হয়েছে আজকের রিভিউটি।

দাদা আজকে ওয়েব সিরিজটার দ্বিতীয় পর্ব অনেক সুন্দর করে ভাগ করে নিয়েছেন দেখছি। আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে সব সময় ওয়েব সিরিজের রিভিউ শেয়ার করেন যেগুলো দেখলে আমার খুব ভালো লাগে। এরকম ওয়েব সিরিজ গুলোর থেকেও কিন্তু অনেক ধরনের শিক্ষা অর্জন করা যায়। এখানে এই ওয়েব সিরিজে দেখছি চঞ্চল লাশগুলোর কারণে অনেক বিপদে পড়ছে। পরবর্তীতেও কিন্তু ওর অনেক বিপদ রয়েছে। আর এই ওয়েব সিরিজটা আস্তে আস্তে আরো অনেক বেশি রহস্যজনক হচ্ছে। পুলিশের ভয় তো চঞ্চল চৌধুরীর মধ্যে রয়েছে আবার সেই সাথে লাশ হস্তান্তর করার বিষয়টা নিয়ে সেই অনেক চাপের মধ্যে রয়েছে। এরকম অবস্থায় চাপের মধ্যে তো থাকারই কথা। এখানে একজন সাংবাদিক নিখোঁজ হয়েছে, আর সেজন্য পুলিশ অবশ্যই কঠোরভাবে কেসটা হ্যান্ডেল করবে। এখন দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হবে। আশা করছি আপনি আমাদের মাঝে অনেক তাড়াতাড়ি এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী নিয়ে উপস্থিত হবেন দাদা। সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকলাম।

এই ওয়েব সিরিজটি পড়ে মনে হচ্ছে খুবই রহস্যজনক।আর নিচের ট্রেইলার লিঙ্কটা দেখে তাই মনে হচ্ছে।চঞ্চলের গাড়িতে এই লাশ কিভাবে এলো সেটাও সে জানে না,এখন ধরা পড়ার ভয়ে সব পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।পর্বের নামের সাথে ঘটনার মিল রয়েছে, রদবদল আর কিভাবে এই লাশটা বদল করা যাবে সেটা মিলে গেল।লাশ নিয়ে সে মুন্সিগঞ্জ যাবে আবার বরিশাল যাবে।সবকিছু নিয়ে সে যে এক মহাবিপদে আছে দেখছি। যাইহোক সর্বোপরি এই পর্বে দেখা গেল লাশ নিয়ে চঞ্চলের হয়রানি আর বদল করে কিভাবে কবর দিবে সেই চিন্তা।আজকের পর্বটা পড়ে ভালো লাগলো দাদা,এরপরের পর্বটা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।