হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'কারাগার' ওয়েব সিরিজটির চতুর্থ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "হিস্টোরি & মিস্টারী"। গত পর্বে শেষ দেখা গিয়েছিলো যে মাহিয়া নামের মেয়েটি সেলের সেই লোকটার কাছে গিয়ে তার ভাষায় কথা বলতে লাগে। আজকে দেখবো এই ঘটনার সূত্রপাত কতদূর কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
ওইদিন মাহিয়া তার কাছ থেকে যতটুকু শুনেছিলো সেটার পরে আর শুনতে পারেনি, কারণ সে সেখান থেকে হসপিটালে চলে যায় তার একজন রিলেটিভ অসুস্থ থাকায়। সেখানে গিয়ে তার নিজেরও চেকাপ করাতে হয় এবং সেই সাথে সেই অসুস্থ মানুষটির দেখাশুনাও করতে হয়। এখন যাইহোক, এই যে সাইনগুলো নিয়ে কথোপকথন হয়েছিল তাদের সাথে সেগুলো আবার যাচাই করার জন্য পরীক্ষানিরীক্ষা করে। কারণ মাহিয়া যেহেতু বলেছিলো যে, সে এক্সপার্ট না এই ব্যাপারে। তাই এইটা নিয়ে আবার মোস্তাক এর বন্ধু অন্য কোথাও এক জায়গার থেকে মিলিয়ে দেখে যে সব ঠিকঠাক বলেছে কিনা। কিন্তু সেই সব বিষয় পুরোপুরি মিলে যায় এবং তাকে আবার পুনরায় সেই সেলের মধ্যে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতে বলে যে, এই ২৫০ বছর ধরে ছিল কোথায়।
আর এই বিষয়টা এখনো পর্যন্ত কয়েকজনের মধ্যে গোপন আছে, বাইরে গেলে মিডিয়ার হাঙ্গামা শুরু হবে, তাই এই কেসটা তারা যত দ্রুত সম্ভব খোলসা করতে চায়। কিন্তু বিষয় হচ্ছে, তাদের মাথায় এই ২৫০ বছর একটা রহস্যের জালের মতো ঘুরপাক খাচ্ছে। মানে কিভাবে সম্ভব যে, একজন মানুষ এই পৃথিবীতে এতো বছর ধরে জীবিত থাকতে পারে। এইটা নিয়ে কয়েদি সহ হাবিলদার সবার মধ্যেই একটা কানাখুশি শুরু হয়ে গেছে। সবাই একে আবার মাজারের বাবা বলেও ধারণা করছে। মানে লোকটা একটা রহস্যময় জগতের মতো, যেই দেখে তাকেই রহস্যময় মনে হয়। এখন পরে মাহিয়াকে আবার শেষ বারের মতো তার কাছে জোর করে নিয়ে যায়। আর ও যে এই ২৫০ বছর বেঁচে ছিল, সেটা কোথায় এবং কিভাবে ছিল সেই বিষয়গুলো জানতে বলে।
এমনিতেই মোস্তাক আর তার বন্ধু এই বিষয় নিয়ে খুবই রাগান্বিত হয়ে আছে, কারণ এক তো এই কেস সল্ভ হচ্ছে না, তারপর বাড়তি আরেক কেসের প্রেসার দিয়ে রেখেছে অর্থাৎ সেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, যেখানে এই জেলে একটা মহিলার প্রবেশ দেখা গিয়েছিলো। এখন মাহিয়া তার কাছে জিজ্ঞাসা করলে বলে, সে নাকি আন্দামানের জেলে ছিল। সেখানে একটা দ্বীপ আছে আর সেখানে আদিবাসীরাও ছিল। এখন সেই হিসেবে একে আবার আদিবাসী বলেও ধরছে দুই বন্ধু, কিন্তু এ আবার ফ্রান্সও ছিল। মানে এই ২৫০ বছরে সে নানান জেলে থেকে এসেছে। কিন্তু তারা সাজা শেষ হচ্ছে না, তাই আবার তাদেরও বলে যে আমার সাজা কবে শেষ হবে। এইসব শুনে ওদের আরো মাথা গরম হয়ে যেতে লাগে। আর সে এদের দুইজনকে বলে যে, এই জেলের অনেক কয়েদি আছে, যারা কেউ অপরাধ না করে আছে আবার অন্যের অপরাধ মাথায় নিয়ে আছে। মানে সবকিছুতে একটা রহস্যময় ভাব তার, কথাবার্তাও একটা রহস্যের মতো পেঁচানো, কেউ কিছু বুঝতেও পারছে না আবার ধরতেও পারছে না কাহিনীটা কি।
এই পর্বে এখনো বিষয়টা আরো রহস্যের আর ইতিহাস সম্বন্ধিত হয়ে রয়েছে। এই লোকটাকে অনেকে বাবা হিসেবে ভেবে নিয়েছেন, তাই তার সেলের সামনে গিয়ে সবাই মানদ করছেন যাতে সবার মঙ্গল হয়। তারা সবাই মনে করেছে যে, ২৫০ বছর ধরে বেঁচে আছে, তার মানে সে মানুষ না, অলৌকিক কিছু একটা হবে। আসলে এই লোক আন্দামানের যেইসব জেলের কথা বলছে, তার নাম এরা নিজেও শুনিনি। তবে সে যখন ফ্রান্সের জেলে ছিল, তখন নাকি সেখানে একবার হামলা হয়েছিল কয়েদি বা জেলের ভিতরে আর তখন সেখান থেকে বেশ কিছু কয়েদিকে সরিয়ে অন্যত্র রাখা হয়েছিল। আর সেই সূত্র অনুসারে তাকে এই আন্দামানের একটি দ্বীপের উপর অবস্থিত জেলে রাখা হয়েছিল। তবে শেষে তার একটাই বক্তব্য ছিল তাদের সামনে যে, কে কতদিন বেঁচে থাকবে সেটা কেউ বলতে পারে না, আর ও নিজেই যে বেঁচে আছে সেটাই বিশ্বাস করতে পারছে না। মানে এইসব কথার মধ্যে একটা কঠিন রহস্যভাব লুকিয়ে আছে। দেখা যাক পরের পর্বে কি ঘটনা বের হয়।
৮.৯/১০
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনি এত সুন্দর করে আজকে এই ওয়েব সিরিজের চতুর্থ পর্বের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আর দেখছি এই পর্বের নাম ছিল "হিস্টোরি & মিস্টারী"। এই ওয়েব সিরিজটার প্রতিটা পর্ব পড়া হয়েছে, তাই চতুর্থ পর্ব পড়তে ভালো লেগেছে। এই ঘটনাটার মধ্যে দেখছি আরো অনেক বড় রহস্য লুকিয়ে রয়েছে দাদা। আর এই রহস্য সবাই জানতে পারবে কিনা এখন এটাই দেখতে হবে। যে মেয়েটাকে তার ভাষা বোঝার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল সে দেখছি কিছু বিষয় বুঝে ছিল। আর লোকটা এত বছর ধরে বেঁচে আছে এটা শুনেই তো অন্যরা আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল, আর তাকে অন্য কিছু মনে করেছিল। পর্বগুলো আমি যত করতেছি ততই রহস্য বুঝতে পারতেছি। এখন এই ওয়েব সিরিজটার পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি আপনি খুব তাড়াতাড়ি এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্ব টা আমাদের সবার মাঝে শেয়ার করবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা এই ওয়েব সিরিজের একেক পর্ব শেষ হচ্ছে আর রহস্য যেমন বাড়ছে। রহস্য উদঘাটন হচ্ছে না কোনো ভাবেই। আসলেই তো ২৫০ বছর একজন মানুষ কি বেঁচে থাকতে পারে নাকি। এটা একেবারেই অবিশ্বাস্য। জেলের মধ্যে তো পুরো মজার কাহিনী ঘটছে দেখা যাচ্ছে। সবাই চঞ্চল চৌধুরীর সেলের সামনে তাহলে মানত করছে বাবা মনে করে😂। আমার তো শুনেই হাসি পাচ্ছে। এতদিন ধরে একটি কেইস সল্ভ হচ্ছে না, আবার কোনো রহস্যের উদঘাটনও করতে পারছে না, এতে মোস্তাক এবং তার বন্ধুর তো মাথা গরম হবেই। তবে তাসনিয়া ফারিন মনে হয় এই রহস্যের উদঘাটন করতে সক্ষম হবে। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি ওয়েব সিরিজের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
hoichoi এর এই গল্পগুলো আসলেই খুবই ভালো লাগার ও বাস্তবের রহস্যময়তায় ঘেরা থাকে।যেগুলো দেখার প্রতি আলাদা একটা আগ্রহ সৃষ্টি হয় মনে।তাছাড়া চঞ্চল চৌধুরী খুবই ভালো একজন অভিনেতা।এত বছর ধরে কেউ কিভাবে বেঁচে থাকতে পারে সেটাই রহস্যের ,পরের পর্ব দেখলে বোঝা যাবে আশা করি।সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন, ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অপেক্ষায় ছিলাম কবে কারাগার মুভির পরের পর্ব প্রকাশ করবেন। অবশেষে চার নাম্বার পর্বও পড়ে ফেললাম। এই পর্বেও ২৫০ বছর রহস্যের উদঘাটন হচ্ছে না। এমনকি নতুন করে আরো রহস্য যোগ হচ্ছে। একজন লোক এতবছর কিভাবে ফ্রান্সের জেলে আবার আন্দামানের দ্বীপের জেলে থাকতে পারে। শেষে এখন এই জেলে ভিতরে কিভাবে আসলো সেটাও কেউ জানে না। এখন মাহিয়া যা বলেছে সেটাও সঠিক হচ্ছে। তাকে দ্বিতীয় বার আবার আনা হচ্ছে, অদ্ভুত একজন লোক, কথা বলতে পারে না,শুনেও না,আবার ফার্সি ভাষায় লিখে,হা হা হা। আবার জেলেও অন্য কয়েদিরা তাকে নিয়ে আরেক তামশা শুরু করেছে। কেউ তাকে মাজারের বাবা দাবি করে,কেউ বা মান্নত করে,কেউ আবার আশা পুরন করার আকুতি করে। তাকে নিয়ে কি এক অবস্থা শুরু হয়েছে। আমি নিজেও বুঝতেছি না,আসলে এই মুভির পরিচালক কিভাবে মুভিটা সাজিয়েছে। এত রহস্য কিভাবে উদঘাটন হবে। দেখা যাক পরের পর্বে কিছু পাওয়া যায় কি না। ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আমার কাছে কারাগার ওয়েব সিরিজটার রিভিউ পোস্ট পড়তে শুরু থেকে খুব ভালো লাগতেছে। এরকম রহস্যে ঘেরা ওয়েব সিরিজ গুলোর রিভিউ পোস্ট পড়তে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। এই ওয়েব সিরিজের পর্বগুলো যত পড়তেছি ততই দেখছি এটার রহস্যের ভেদ ঘটছে না, এমনকি এটা শুধু রহস্যের মধ্যেই যাচ্ছে। আর ওই লোকটা ২৫০ বছর বেঁচে আছে শুনেই তো সবাই ভাবতেছে এটা মানুষ না অলৌকিক কিছু। কিন্তু তারা তো লোকটার কথাই বুঝতে পারতেছে না, কারণ লোকটা বুঝাইতে চাচ্ছিল একটা, তারা বুঝতে চাচ্ছিল আরেকটা। ওই মেয়েটা যদিও তার সাথে কথা বলেছিল। লোকটা তো নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিল না সে কিভাবে বেঁচে রয়েছে। আসলে দাদা এটা কিন্তু ঠিক, এই কথার মধ্যে অনেক বড় রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। আশা করছি আস্তে আস্তে এই রহস্য গুলো সবার মাঝে আসবে। দাদা আশা করছি আপনি এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্বটা খুব তাড়াতাড়ি সবার মাঝে ভাগ করে নিবেন। ধন্যবাদ এই ওয়েব সিরিজের রিভিউ টা ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit