ওয়েব সিরিজ রিভিউ: মার্ডার ইন দ্যা হিলস- মায়েসটেরিয়াস সেলফোন ( সিজন ১-পঞ্চম পর্ব )

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে মার্ডার ইন দ্যা হিলস ওয়েব সিরিজটির পঞ্চম পর্ব রিভিউ দেব। আজকের পঞ্চম পর্বের নাম হলো "মায়েসটেরিয়াস সেলফোন"। গত পর্বে লাস্টে দেখা গিয়েছিলো যে অর্জুনকে কিছু গুন্ডা কিডন্যাপ করে নিয়ে গিয়েছিলো। আর আজকে রহস্যময় সেলফোন এর মাধ্যমে কি ঘটনা ঘটে সেটা দেখা যাক দেখি।


স্ক্রীনশর্ট: ইউটিউব


☀কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:☀

সিরিজটির নাম
মার্ডার ইন দ্যা হিলস
প্লাটফর্ম
hoichoi
সিজন
পর্ব
মায়েসটেরিয়াস সেলফোন
পরিচালকের নাম
অঞ্জন দত্ত
অভিনয়
অর্জুন চক্রবর্তী, অনিন্দিতা বোস, সৌরভ চক্রবর্তী, রাজদীপ গুপ্তা, সন্দীপ্তা সেন, রজত গাঙ্গুলি ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
২৩ জুলাই ২০২১ ( ইন্ডিয়া )
সময়
২৫ মিনিট ( পঞ্চম পর্ব )
ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


❂মূল কাহিনী:❂


স্ক্রীনশর্ট: hoichoi

শুরুতে দেখা যায় যে সেই ওইসময় অর্জুনকে কিছু গুন্ডা কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছিলো কিন্তু সেখানে বব দেখেছিলো ঠিকই কিন্তু তখন কিছু করিনি, ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তার দিকে একটা সন্দেহ ছিল যে হয়তো বব এই কিডন্যাপের কাজটা ঘটিয়েছে কিছু লোকজনকে পয়সা দিয়ে কিনে। যারা তাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছিলো আসলে পরে দেখা গেলো তাদের সাথে ববের কোনো লিঙ্ক নেই, এরা টনির মৃত্যুর ইনভেস্টিগেশন এর জন্য তাকে তুলে নিয়ে গেছিলো এবং তাকে ওয়ার্নিং দিলো যেন সে আর এইসব বিষয়ে বেশি নাড়াচাড়া না করে। এরপর কয়েকজন তাকে রাস্তার উপরে নিয়ে গিয়ে লাঠি, লাথি ইচ্ছা খুশি মারে আর আহত করে ফেলে একপ্রকার অর্জুনকে আর ঠিক সেই সময় বব সেখানে এসে উপস্থিত হয়। বব সবাইকে লাঠি দিয়ে মেরে তাড়িয়ে দেয় আর অর্জুনকে সেখান থেকে তুলে তার নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মাথায় ব্যান্ডেজ করে দেয় যেখানে ফেটে রক্ত বের হচ্ছিলো।


স্ক্রীনশর্ট: hoichoi

বব আসলে ওইদিন অর্জুনের সাথেই কিছু বিষয়ে আলোচনা করার জন্য তার বাড়িতেই যাচ্ছিলো কিন্তু আসার পথেই সে হঠাৎ করে সেই বিষয়ে দেখতে পায় যে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলো আর সেই সাথে সাথে ববও একটা বাইক নিয়ে সেই গাড়ির পিছু নিতে নিতে সেই জায়গায় পৌঁছে গেছিলো। এরপর ওইতো তাকে ঘায়েল অবস্থায় বাড়িতে এনে সুস্থ করলো ওষুধ দিয়ে। এরপর তারা দুইজন একটু হাটতে বের হয় অর্থাৎ হাটতে হাটতে তারা দুইজন একটা জায়গায় যায় যেখানে সবাই প্রার্থনা করে। সেখানে বব শিলার সাথে তাদের অনেকদিনের ভালোবাসার কথাটা অর্জুনকে জানায় এবং এই নিয়ে বব আর অর্জুনের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে বব অর্জুনকে একটু ভয় দেখানোর জন্য সেইদিন রাস্তায় গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছিলো ওই ঘটনাটাই ছিল, এই নিয়ে অর্জুনের মনে সন্দেহ হয়েছিল যে সবকিছুতে বব জড়িত আছে। এরপর দুইজন আলোচনা করে সবকিছু নিজেদের মধ্যে সল্ভ করে নেয় আর দার্জেলিং এ অর্জুনের সব থেকে ভালো বন্ধু হয়ে ওঠে এই বব।


স্ক্রীনশর্ট: hoichoi

অর্জুন টনির মৃত্যুর বিষয়ে ববকে বলেছিলো যে ব্রান্ডিতে বিষ মেশানো ছিল ফলে এর সাথে জায়েসওয়াল জড়িত থাকতে পারে। এরপর অর্জুন সেখান থেকে বেরিয়ে টনির বাড়িতে তার ওয়াইফ এর কাছে যায় টনির বিষয়ে কিছু আর্টিকেল লিখছে তাই তার বিষয়ে কিছু জানতে এসেছিলো অর্থাৎ তার প্রপার্টি এর বিষয়ে। তবে এখানে টনির বাড়িতে আসতে গিয়ে রাস্তায় একটা ঘটনা ঘটে। অর্জুন ফোনে কারো সাথে একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে করতে আসছিলো এবং তখন একটা লোক বিপরীত দিক থেকে এসে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এরপর অর্জুনের ব্যাগে একটা সেলফোন রিং হতে থাকে এবং অর্জুন সেটা রিসিভও করে আর তাকে বলে যে তুই যদি তোর এইসব ইনভেস্টিগেশন বন্ধ না করিস তাহলে তোকে মেরে ফেলবো। যাইহোক এরপর সে টনির ওয়াইফ এর সাথে প্রপার্টি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বসে কিন্তু সেখানে এসে টনির বন্ধু রজত তাকে বাধা দেয়। টনির ওয়াইফ খোলাখুলি কিছুই তাকে বলতে চায় না, শুধু প্রপার্টি আর বাড়ি সে কারো কাছে আর বিক্রি করবে না সেইটা বলে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর টনি যে বোতলের থেকে মদ পান করেছিল সেটা অর্জুন টেস্ট করতে চায় কিন্তু রজত সেটা করতে দেয় না কারণ এইসব করার কোনো অনুমতি তার কাছে ছিল না তাই জোর করে কিছু করতে পারে না বলে চলে যেতে বলে টনিকে।


স্ক্রীনশর্ট: hoichoi

অর্জুন টনির বাড়ির থেকে বেরিয়ে দিবাকর বলে একজনের সাথে দেখা করতে যায়। এই দিবাকর লোকটা ছিল সেই ডাক্তার রিমা ব্যানার্জির সাথে একই হসপিটালে কাজ করার সঙ্গী। আর ৩০ বছর আগের সেই ঘটনায় এই দিবাকরও ছিল। রিমা ব্যানার্জি যে রিপোর্ট তৈরি করেছিল সেটাকে মিথ্যা রিপোর্ট বানিয়েছিলো এই দিবাকর, যদিও সে এটা করেছিল হুমকির বশবর্তী হয়ে। রিমা এই বিষয়টা বুঝতে পেরেছিলো তাই আসল সত্যিটা কিভাবে সামনে আনা যায় সেইজন্য রিমা একটা চিঠি কলকাতার হেলথ সেন্টারে পাঠাতে চেয়েছিলো আর সেখানে তারই একজন শিক্ষক ছিল যে এই বিষয়টার কোনো সমাধান করতে পারবে। তাই রিমা সেই চিঠিটা দিবাকর লোকটির হাতে দিয়ে বলে যেন কলকাতায় চিঠিটা পাঠিয়ে দেয়, আর আমার যদি কিছু হয়েও যায় তাও যেন চিঠিটা পৌঁছিয়ে যায় জায়গামতো। এর মধ্যে টনি সেই সময় রিমার বাড়িতে আসে আর এইসব করতে মানা করে আর অনেক টাকা দেওয়ার কথা বলে কিন্তু রিমা সেগুলো সব রিজেক্ট করে। টনির কথা শোনেনি বলে রিমাকে ঘরে জীবিত অবস্থায় গায়ে পেট্রল ঢেলে তাকে পুড়িয়ে মেরে দেয়। এদিকে দিবাকর এতো বছর ধরেও সেই চিঠি কলকাতায় না পাঠিয়ে তার নিজের কাছে ভয়ে রেখে দেয়।


❂ব্যক্তিগত মতামত:❂

এখানে রহস্যময় সেলফোনটার বিষয়ে এখনো পুরো বিষয় জানা যায়নি, কারণ সেলফোনটা যে অর্জুনের ব্যাগে রেখে দিয়েছিলো তার মুখটাও সে ভালোভাবে দেখতে পারিনি কারণ মুখ ঢাকা ছিল। আর এদিকে সেই রহস্যময় সেলফোনে বারবার কেউ ফোন করে তাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এখানে টনির কেস খুলতে গিয়ে ডাক্তার রিমার কেসটা সামনে চলে আসলো। এখানে টনি নির্মমভাবে যে আগুনে জ্বালিয়ে মারলো সেটা টনির বিরুদ্ধে একটা বড়ো প্রমান দিবাকর কিন্তু সে আদৌ কোনো সাক্ষ প্রমান দেবে কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ তার কথার মধ্যে কারণ তার বক্তব্য তার যদি কিছু না হয় তাহলে সে মুখ খুলবে। এখানে আরো একটা বিষয় এসেছে যে ডাক্তার রিমার একটা ৮ বছরের ছেলে ছিল সেই সময়ে, ফলে ৩০ বছরে এই ছেলে টনির মৃত্যুর সাথে জড়িত কিনা সেটা দেখার বিষয়। সমস্ত বিষয়গুলো একটা রহস্যের জ্বালে জর্জরিত অবস্থায় আছে। এখানে প্রদীপ জায়েসওয়াল নামক গুন্ডাটাও থাকতে পারে কারণ তার সাথে টনির প্রপার্টি নিয়ে একটা ঝামেলা ছিল। টনি তার চা বাগান এই জায়েসওয়াল এর কাছে বন্দক রেখে ৩০ কোটি টাকার মতো ধার নিয়েছিল কিন্তু শেষে আর সেটা শোধ করতে পারেনি আর এইটা নিয়েই জায়েসওয়াল এর সাথে টনির বড়ো ঝামেলা ছিল।


❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৯.৫/১০


❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

মনে হয়না জায়েসওয়াল এই কাজ করবে।কারন তাইলে সন্দেহ তারউপরেই সবার আগে গিয়ে পড়বে।এখানে অন্য কোন অ্যাঙ্গেল আছে।রহস্য অনেকটা বিস্তৃত হয়ে গেছে।আমার মনে হয় এখন আস্তে আস্তে জাল গুটিয়ে আসতে থাকবে।দারুন এক্সপ্লেইন করেছেন দাদা। ধন্যবাদ

দাদা প্রথম দিকের চিরকুটের রহস্যটা এখনো শেষ হয় নি তার মাঝে আবার এসে নতুন ভাবে যোগ হলো রহস্যময় সেলফোনটা। সেই রহস্যময় সেলফোনে বারবার কে বা কারা ফোন করে ভয় দেখায়। আবার ডাক্তার রিমার যে একটা ৮ বছরের ছেলে ছিল,সে টনির মৃত্যুর সাথে জড়িত কিনা সেটাও ভাবার বিষয়। আবার টনির মৃত্যুর জন্য জায়েসওয়ালকে সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায় না। সব মিলিয়ে একটি মাকড়সার জাল হয়ে গেল। দেখা যাক পরের পর্বে কি হয়।ধন্যবাদ দাদা।

টনির কথা শোনেনি বলে রিমাকে ঘরে জীবিত অবস্থায় গায়ে পেট্রল ঢেলে তাকে পুড়িয়ে মেরে দেয়।

রিমার মৃত্যু সত্যি অনেক ভয়ঙ্কর ভাবে হয়েছে। জীবিত অবস্থায় তার গায়ে পেট্রোল দিলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জেনে সত্যিই খারাপ লাগলো। তবে টনি যেহেতু অনেক টাকা ধার করেছিল তাই মনে হচ্ছে সে আরো অনেক সমস্যার মধ্যে ছিল। জায়েসওয়াল টনির খুনি হতেও পারে। তবে টনি আরো অনেক অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। তাই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অন্য কেউ হয়তো আছে। সেলফোনের রহস্য অনেক জটিল মনে হচ্ছে। ধীরে ধীরে রহস্যের জট আরো বেশি গভীরে যাচ্ছে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা। ওয়েব সিরিজের এবারের পরবর্তী পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

গত পর্বেই আমার মনে হয়েছিল যে বব হয়তো এই মৃত্যুর সাথে জড়িত নয়। অর্জুনের ব্যাগে যে সেলফোন রেখেছিলো সে হয়তো টনিকে যে খুন করেছে তার লোকজনই রেখেছে। যাতে অর্জুন ইনভেস্টিগেশন বন্ধ করে দেয় এবং খুনের আসল রহস্য বের না হয়। তাছাড়া এই টনি লোকটা যত খারাপ ছিল সে অনেক লোককে মেরে ফেলেছে। কার আত্মীয় স্বজন এই প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তাকে মেরে ফেলেছে তাই দেখার বিষয়। তাছাড়া অর্জুন যে ডাক্তার রিমাকে খুঁজছিল এখন জানা গেলো টনি তাকেও মেরে ফেলেছে। এখন ডাক্তার দিবাকর সাক্ষী দিলে টনির অনেক কুকর্ম বের হয়ে যাবে মনে হচ্ছে। তাছাড়া ওই চিঠির মধ্যেও কোন রহস্য লুকিয়ে থাকতে পারে। বেশ ইন্টারেস্টিং হয়েছে গল্পটি।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

মায়েসটেরিয়াস সেলফোন

একজন মানুষ লুকিয়ে এসে অর্জুনের ব্যাগে রেখে দিয়ে চলে গেছে আর মোবাইলে হুমকি মৃত্যু হুমকি দিতে থাকে। টনির কেস নিয়ে কাজ করতে গিয়ে রিমার বিষয়টি সামনে এসে গেছে, আমার মনে হয় এটাও একটা টার্নিং পয়েন্ট হতে চলেছে। সন্দেহের তালিকায় জায়েসওয়াল রয়েছে, দেখা যাক ধীরে ধীরে সব পরিষ্কার হবে।

দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀