ওয়েব সিরিজ রিভিউ: কারাগার ( সিজন ২- পর্ব ৬ )

in hive-129948 •  7 months ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে 'কারাগার' ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় সিজনের ষষ্ঠ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "দ্যা সন"। গত পর্বে যেটা দেখেছিলাম যে, ডেভিডের মা মারা গিয়েছিলো। আজকের এই পর্বে দেখবো কি কি হতে চলেছে।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
কারাগার
প্লাটফর্ম
hoichoi
সিজন
পর্ব
দ্যা সন
পরিচালকের নাম
সৈয়দ আহমদ শওকী
অভিনয়
প্রান্ত বিশ্বাস, চঞ্চল চৌধুরী,ইন্তেখাব দিনার,তাসনিয়া ফারিন,আফজাল হোসেন,মঈন হাসান ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
১৯ আগস্ট ২০২২( ইন্ডিয়া )
সময়
৩৫ মিনিট ( ষষ্ঠ পর্ব )
মূল ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
বাংলাদেশ


❂মূল কাহিনী:❂


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

এই পর্বে মূলত প্রথম খন্ডে ওই সেই ডেভিডের খালা তার মায়ের সম্পর্কে কিছু কথা বলতে থাকে অর্থাৎ তার মায়ের সাথে কিভাবে কি কি ঘটেছিলো। এরপর মূল কাহিনীতে যেটা দেখা যায় যে, মাহা আলফ্রেড এর ওখান থেকে তার বাবার বিষয়ে শোনার পরে মেহেদী হাসান নামে যে লোকটা তার বাবা তার সাথে দেখা করতে যায়। একটি পার্কে একজন লোককে দেখতে পায় এবং সম্ভবত সে আগে থেকেই জানতো তাকে। এরপর সেই বয়স্ক লোকটার সাথে কথা বলে, আর তার প্রকৃত বাবা মেহেদী হাসানকেও চিনতো। এখন আসলে তার বাবার সাথে কি হয়েছে বা তার মায়ের সাথে কিভাবে কি সম্পর্ক ছিল সেইসব তথ্য মোটামুটি তাকে জানায়। আর মাহাও এই ঘটনাটা মূলত বুঝতে পারে যে, তার মা কেন মেহেদী হাসানকে তার সম্পত্তি লিখে দিয়েছে।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

এখন তার বাবার সাথে দেখা করতে বলে, কিন্তু এরপরে সম্ভবত বোঝা যাবে দেখা আদৌ করেছে কিনা। যাইহোক, এরপরে সেখান থেকে ডাইরেক্ট আবার থানায় চলে যায় ডেভিডের সাথে কথা বলতে, মানে আলফ্রেড যা যা বলেছে সেগুলো জানাতে আর কি। তো মোস্তাক আর তার বন্ধু তাকে ডেভিডের কাছে দিয়ে চলে যায়। আর ডেভিডের বেরোনোর জন্য সেখান থেকে টানেলের মুখ খোলার কথা বললে পরেরদিন খুলে দেবে এটা জানায়। তবে তার আগে ডেভিড তার বাবার সাথে কথা বলে নেয় এই বিষয়ে। আর সে তালাও খুলতে পারেনি চেষ্টা করে। ফলে রাজুকে ডেকে দিতে বলে আর তার মাধ্যমে অর্থাৎ তার বাবার সহযোগিতায় বলে যে এই সেলের তালা চুরি করতে হবে অফিস থেকে। আর এই কাজটা অসম্ভব একপ্রকার এতো পাহারার মধ্যে দিয়ে। তারপরেও যেকোনোভাবে চাবি নিতে বলে। এরপর সাধারণত সিদ্ধান্ত নেয় বিকালের দিকে এই কাজটা করবে আর কিছু একটা ঝামেলা করেই করবে এটা রাজুর প্ল্যান ছিল।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

যাইহোক, এদিকে মাহা আবার ডেভিডকে জানিয়েও দেয় যে তার মা মারা গিয়েছে আর তাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে। আর আলফ্রেড আতাউর এর ঠিকানা যেটায় লিখে দিয়েছিলো সেটা মূলত নিয়েই ডেভিডের সাথে কথা বলতে যায়, মানে তাদের এটাই বোঝানোর চেষ্টা করেছিল যে ডেভিডই আতাউর কোথায় আছে তার ঠিকানা বলে দিয়েছে। এরপর সেই হিসেবে তারা আতাউরকে ধরতে যায় আর ধরেও ফেলে। এরপর তার ছেলেকে বের করার জন্য ফাইলে তার ছেলের ছবির জায়গায় আতাউরের ছবি লাগিয়ে দেয়। তবে এখানে একজন অফিসার আবার বেইমানি করেছে মোস্তাকের সাথে, কারণ মোস্তাক যদি রিসাইন করে তবেই তার ছেলেকে সেখান থেকে বের হতে দেবে নাহলে না। তাই মোস্তাকও বাধ্য হয়ে সাইন করে দেয় আর তার ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।


❂ব্যক্তিগত মতামত:❂

এই পর্বে মূলত মাহার বাবার বিষয়ে অর্থাৎ প্রকৃত যে বাবা তার সম্পর্কে জানতে পারে আর তার মা তো একপ্রকার মৃত্যু সয্যায়ী অবস্থায় আছে। এখন যাইহোক, এদিকে ডেভিড আসলে এখন কিভাবে বেরোবে পরের দিন সেটা বোরো বিষয়। আর একপ্রকার তার মায়ের মৃত্যুর কথা শুনে তো ভেঙেই পড়ে। এখন এই রাজু একটা প্ল্যান করে আসলে সেলের অনেক কয়েদি ডেভিডকে বাবা মনে করতো আর তার গায়ে হাত দেওয়া বা অপমান করার জন্য আসলাম নামের এক অফিসারকে মারধরও করেছে। এখন রাজু গিয়ে তার কানে একটু বিষ ঢেলে দেওয়ার মতো বলে যে, তারা ডেভিডকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে, এখন আমাদের সবারই উচিত আসলামকে মেরে ফেলা। আর এই নিয়ে সেলের কয়েদীগুলো সেই খেপা খেপে যায়। কিন্তু রাজু বলে দেখো না, বিকালের দিকে এইগুলো করতে হবে। মানে এই একটা প্ল্যান আর কি। এদিকে ঝামেলা লাগিয়ে দিতে পারলে ওইদিকে নজর থাকবে না কারো, আর এই ফাঁকে জেলের থেকে পালানোর মুখ্যম একটা সুযোগ পাবে। এখন শেষ পর্বে দেখা যাক দেখি কি হয়।


❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৮.৯/১০


❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ডেভিডের মায়ের মৃত্যুর কথা জানতে পেরে ডেভিড আসলেই অনেক কষ্ট পেয়েছে। কারণ কতো কষ্ট করে প্ল্যান করে রেখেছিল,তার বাবাকে জেল থেকে বের করে তার মায়ের সাথে দেখা করাবে। কিন্তু সবকিছুই এলোমেলো হয়ে গেলো। যাইহোক রাজুর প্ল্যানটা আমার কাছে দারুণ লেগেছে এবং এই প্ল্যানটি অবশ্যই কাজ করবে। পরবর্তী পর্বে মনে হয় দেখতে পাবো, ডেভিড তার বাবাকে নিয়ে জেল থেকে বের হয়ে গিয়েছে। মোস্তাক তার ছেলেকে জেল থেকে বের করার জন্য অবশেষে তাহলে চাকরিটা ছেড়ে দিলো। মনে হচ্ছে আগামী পর্বে এই ওয়েব সিরিজটি শেষ হয়ে যাবে। যাইহোক বরাবরের মতো আজকেও চমৎকারভাবে এই পর্বের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দাদা। সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময়।

Posted using SteemPro Mobile

যাইহোক রাজুর প্ল্যানটা আমার কাছে দারুণ লেগেছে এবং এই প্ল্যানটি অবশ্যই কাজ করবে।

হ্যা, এই পর্বে প্রকৃত বিষয়টা সামনে আসবে সবারই। কিভাবে তার বাবাকে টানেল দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আর প্ল্যানটা কতটা কার্যকর করছে সেটাই দেখার বিষয়। দ্রুত শেষ পর্বটা দিয়ে দেবো দেখি।

একটা বিষয় এখানে তারা দারুণভাবে রিলেট করেছে এই পর্বে মাহা এবং ডেভিড দুজনই তাদের আসল বাবার সম্পর্কে জানতে পারে। যদিও ডেভিড এর টা অনেক আগের একটা যোগ করা হয়েছিল এই পর্বে। অন‍্যদিকে জেলার মোস্তককে একটা বিপদে ফেলে দেয় সহকারি জেলার আবুল খায়ের। কারণ সে প্রধান জেলার হতে চাই।

Posted using SteemPro Mobile

হ্যা, এখানে জেলারকে ভালোই একটা বিপদে ফেলে দিয়েছে। নিজের ছেলের দিকে তাকিয়ে এইটা করা ছাড়াও তার পথ ছিল না। তবে এখানে মোস্তকও কিন্তু জড়িত ছিল সব ধরণের খারাপ কাজে। আর এই সহকারী অফিসার নিজে জেলার হওয়ার লোভে তাকেই বিপদে ফেলে দিলো।

'কারাগার' ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় সিজনের ষষ্ঠ পর্বের রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম ডেভিড এর মা মারা গিয়েছে। আর ডেভিডের মায়ের মৃত্যুতে সে অনেক ভেঙে পড়েছে। মায়ের মৃত্যুর কথা শুনে সে ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছে আর কষ্ট পেয়েছে বুঝতে পারছি দাদা। তার বাবার সাথে তার মাকে দেখা করানোর স্বপ্ন তার অপূর্ণই থেকে গেল। তার এই ইচ্ছাটা শেষ পর্যন্ত পূর্ণ হল না। কারণ মা তার আগেই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। অন্যদিকে রাজু সবার দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর জন্যই বিভিন্ন প্ল্যান করে যাচ্ছে। যাতে করে তারা খুব সহজেই প্লান মোতাবেক সাকসেস হতে পারে। দেখা যাক সামনে কি হয়। ডেভিড তার বাবাকে জেল থেকে ছাড়াতে পারে কিনা এটাই দেখার বিষয়। আশা করছি পরবর্তী পর্বে আরো নতুন কিছু জানতে পারবো। দারুন ভাবে এই ওয়েব সিরিজের রিভিউটি তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

তার এই ইচ্ছাটা শেষ পর্যন্ত পূর্ণ হল না। কারণ মা তার আগেই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে

জীবিত অবস্থায় হয়তো দেখাতে পারলো না, তবে এখন মৃত দেহটি দেখতে পাবে শুধু। এই শেষ পর্বে দেখা যাক কি করে।