মুভি রিভিউ: প্যারাডাইস

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে আমি একটা মুভি রিভিউ শেয়ার করে নেবো। এই মুভিটির নাম হলো "প্যারাডাইস"। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কাহিনীটা।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

মুভির নাম
প্যারাডাইস
প্লাটফর্ম
নেটফ্লিক্স
পরিচালকের নাম
বরিস কুঞ্জ
লেখক
সাইমন অ্যাম্বারগার, পিটার কোসিলা, বরিস কুঞ্জ
অভিনয়
লিসা-মেরি কোরল, নুমান অ্যাকার, কোস্টজা উলম্যান, আইরিস বারবেন, মারলিন ট্যানজিক, আলিনা লেভশিন ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
২৭ জুলাই ২০২৩( ইউনাইটেড স্টেট )
সময়
১ ঘন্টা ৫৮ মিনিট
ভাষা
ইংলিশ
কান্ট্রি অফ অরিজিন
জার্মান


☬মূল কাহিনী:☬


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

কাহিনীটা শুরু হয় সাধারণত একটি রিসার্চ সেন্টার থেকে। এখানে কোস্টজা উলম্যান আর এলেনা নামে দুইজন প্রধান এমপ্লয়ী হিসেবে কাজ করতো আর এই রিসার্চ সেন্টারের মূল মালিক যে ছিল সে হচ্ছে সোফি থিসেন নামের একজন মহিলা। তবে তার এই রিসার্চ সেন্টারের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল ব্যবসা করা, কিভাবে পয়সা উপার্জন করা যায়। এই রিসার্চ সেন্টারে যেটা করা হতো সেটা হলো সময়টাকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া অর্থাৎ এর মানে হলো কারো বয়স ইচ্ছা করলেই ৪০-৫০ বছর কমিয়ে বৃদ্ধ করে দিতে পারে আবার ইচ্ছা করলেই ৮০ বছরের বৃদ্ধকে ১৮ বছরের ইয়ং বানাতে পারে। আর এর জন্য তারা ব্যবহার করতো অত্যাধুনিক টেকনোলজি। এখন এই সোফি থিসেন নামক মহিলা ছিল অনেকটা বৃদ্ধ বয়েসের আর তার ভিতরে লালসা জাগে যে সে আবার ইয়ং হবে আর তার নজর যায় এলেনা নামক সেই এমপ্লয়ি এর দিকে কারণ তার সাথে তার ডিএনএ এর মিল আছে। কিন্তু কোস্টজা উলম্যান আর এলেনার মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় আর তারা দুইজন বিয়ে করে নেয়, আর এদিকে সোফি থিসেন এর সমস্ত প্ল্যান ভেস্তে যায়। এদিকে তারা দুইজন অনেক বড়ো এমাউন্ট এর একটা লোন নিয়ে ঘর তৈরি করেছিল আর একদিন হঠাৎ করে এই সোফি থিসেন তার গার্ড দিয়ে সেই ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় আর তাদের ঘাড়ে বিশাল একটা মোটা অঙ্কের লোনের চাপ পড়ে।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

আর এই লোন শোধ যাতে না করতে পারে তার জন্য আবার একজনকে এক্সিডেন্ট করিয়ে এলেনার নামে কেস দিয়ে দেয় আর পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। উলম্যান আর উপায় না দেখে সোফি থিসেন এর কাছে টাকা ধার চায় আর সে দিতেও রাজি হয় কিন্তু তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না। পরে ডিল করে যে এলেনার জীবন থেকে ৪০ বছর কেড়ে নেবে তাহলে সে টাকা দেবে। এইগুলো মানে তার একটা প্ল্যান করা ছিল কিভাবে তার জীবন থেকে ৪০ বছর কেড়ে নিয়ে নিজের শরীরে ট্রান্সফার করবে। যাইহোক, এরপর তার প্ল্যানে সফলতা পেয়ে যায় আর এলেনা এক রাতের মধ্যে বৃদ্ধ হয়ে যায়। সোফি থিসেন একপ্রকার এই কাজের জন্য উলম্যানকে ব্যবহার করেছে আর তারই হাত দিয়েই এইসব করিয়েছে কিন্তু সে বুঝতে পারেনি। আর এরপর উলম্যান তাকে পুনরায় আবার কিভাবে ঠিক করা যায় তার জন্য ব্যবস্থা করতে থাকে, বিভিন্ন ডক্টরের সাথে কথা বলতে থাকে। একজন নাওমি নামক ডাক্তার তাকে বলে এটা সম্ভব তবে অনেক কঠিন বিষয়, তারই সেম ডিএনএ সম্পন্ন একজন লাগবে তাহলে তার শরীর থেকে ট্রান্সফার করে আনা যাবে। এরপর উলম্যান চিন্তা করে যে সোফি থিসেনকেই কিডন্যাপ করে নেবে আর তার শরীর থেকে পুনরায় ট্রান্সফার করবে, কিন্তু ভুল করে তার মেয়েকে কিডন্যাপ করে নেয় আর তার সাথেও ডিএনএ মিলে যায়। আর এই কাজের জন্য লুকাস নামক একজন ডক্টরের কাছে নিয়ে যেতে বলে আর সে ঠিক করে দেবে বলে জানায়।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

তবে লুকাস আবার জার্মান এর পাশের দেশে বার্লিন এর একটি শহরে থাকে আর তাকে নিয়ে সেখানে যেতে বলে। তবে একটা মেয়েকে নিয়ে বোর্ডের ক্রস করা তাদের জন্য মুশকিল ছিল, কারণ এদিকে সোফি থিসেন এর গার্ড জেনে গেছে যে তার মেয়েকে কিডন্যাপ করে নিয়েছে, তবে তারা দ্রুত ফাইন্ড আউট করে ফেলে যে তারা বর্ডার ক্রস করতে যাচ্ছে। আর তারা লঞ্চ এর মাধ্যমেই গিয়েছিলো, কারণ তাদের পাসপোর্ট নকল ছিল, তাই এই পথ অবলম্বন করেছিল। তবে সেখানকার পুলিশদের তারা ইনফর্ম করে দিয়েছিলো যে এইরকম একটা কিডন্যাপ এর কেস আছে। এরপর তারা পৌঁছিয়ে গেলে পুলিশ চেক করতে থাকে সব গাড়ি, কিন্তু তারা সেখানকার একজন সাধারণ নাগরিকের সাহায্য নিয়ে বেরিয়ে এসেছিলো। তারা মেয়েটাকে নিয়ে একটা ফাঁকা বাড়িতে আটকিয়ে রাখে কিছুদিন। মেয়েটা আবার পালানোর চেষ্টা করে, কারণ সে বুঝতে পেরেছিলো যে তার অবস্থাও এইরকম হবে না পালালে।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

কিন্তু পালিয়ে লাভ হয়নি, পরে ধরে ফেলে। এরপর সোফি থিসেন আর তার সব গার্ড নিয়ে বার্লিনে যায় তার মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে। তবে তার আগে সেখানে কিছু সন্ত্রাসী হানা দেয় আর তাদের আটক করে, তবে তাদের সাথে মূলত সোফি থিসেন এর ঝামেলা ছিল। তাই তাদের তেমন একটা কিছু করেনি, তবে উলম্যান এর সাহায্য নিয়ে সোফি থিসেনকে একা নিয়ে যেতে বলে যাতে তাকে মারতে পারে। না গেলে এদিক থেকে তারা গুলি চালায় আর তাতে সবাই মোটামুটি যে যার মতো মৃত্যুবরণ করে আর ঘায়েল হয়। পরে উলম্যান আর এলেনা মেয়েটাকে নিয়ে লোকেশন অনুযায়ী সেই ডক্টরের কাছে যায় , তবে মাঝখানে উলম্যান বাধা দেয়, কারণ মেয়েটা তো নির্দোষ তাই তার সাথে এই খারাপ কাজটা করতে তার মন সায় দিচ্ছে না। কিন্তু এলেনা কোনো কথা না শুনে উলম্যানকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে এলেনা মেয়েটাকে নিয়ে একাই চলে যায় আর তার শরীরে ট্রান্সফার করে চলে আসে। এর ফলে ফলাফল ওটাই হলো, এলেনা তার পূর্বের অবস্থা ফিরে পেলো আর মেয়েটা ১৮ বছরে বৃদ্ধ হয়ে গেলো।


☬ব্যক্তিগত মতামত:☬

প্যারাডাইস কথাটার আসলে মূল অর্থ কি? এটাকে আসলে একটা স্বর্গ হাতে পাওয়ার মতো বোঝাচ্ছে। কারণ আপনি যদি বৃদ্ধ বয়েসে পুনরায় ইয়ং হয়ে যান বা হওয়ার চাঞ্জ থাকে তাহলে আপনি কি ভাববেন? নিশ্চই ভাববেন যে যেন স্বর্গ হাতে পেলাম। এখানেও আসলে বিষয়টা সেটাই যে একজনের শরীর থেকে টেকনোলজির মাধ্যমে অন্যের শরীরে পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। বাইরের এইসব উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বর্তমানে এতো অত্যাধুনিক টেকনোলজি বেরিয়েছে যে যেকোনো কিছু যেন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে, যা ইচ্ছা তাই করা যাচ্ছে। তবে এখানে কাহিনীতে সোফি থিসেন এটাকে ভুল পথে ব্যবহার করতো, ওইযে প্রথমে বললাম ব্যবসার জন্য এইসব করতো। এইগুলো আসলে বাইরের বিভিন্ন দেশে পাঠাতো আর মোটা অঙ্কের ইউরো নিতো। সারা দুনিয়ায় এটা একটা আনকমন ব্যবসা ছিল তার জন্য, ফলে ইচ্ছা অনুযায়ী মূল্যে বিক্রি করতো। এটা নিজেদের অনেকের উপরে পরীক্ষাও করে। তবে এটা শুধুমাত্র সেম ডিএনএ সম্পন্ন ব্যক্তির জন্য কার্যকর। কাহিনীতে আসলে সোফি থিসেন যে খারাপ কাজটা করেছিল এলেনার সাথে শেষ পর্যন্ত আসলে তার সেই কাজের মাশুল গুনতে হলো তার মেয়েকে। এইজন্য কোথায় আছে যে বাবা, মা অন্যায় করলে পরবর্তীতে ফলটা ফলটা ভোগ করতে হয় তার সন্তানদের।


☬ব্যক্তিগত রেটিং:☬
৮.৯/১০


☬ট্রেইলার লিঙ্ক:☬



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা খুব সুন্দর একটা মুভির কাহিনী আজ আপনার পোস্টে পড়লাম।আমার কাছে গল্পটি খুব ভালো ই লাগলো।আপনি এটা ঠিকই বলেছেন মা-বাবা অন্যায় করলে তা ছেলে - মেয়ে তার ফলটা ভোগ করে।এই মুভির রেটিং আপনি ১০ এ ৮.৯ দিলেন।অনেক ভালো লাগলো দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মুভির রিভিউ পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

"প্যারাডাইস" মুভিটি দেখবো দেখবো করে আর দেখা হয়নি দাদা। তবে আপনি আজকে এত সুন্দর করে এই মুভি রিভিউ শেয়ার করেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো। প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে বিভিন্ন দেশে আজকাল বিভিন্ন টেকনোলজি এসেছে। নিজের শরীর পরিবর্তন করা থেকে শুরু করে অনেক কিছুই আজকাল করা সম্ভব হচ্ছে। তবে সোফি থিসেন এটাকে ভুল পথে ব্যবহার করেছে। সে আসলে লোভে পড়ে সবটা করছে। এর ভয়ংকর দিকগুলো ভেবে দেখেনি। সে এক প্রকারের ব্যবসা করার চেষ্টা করেছে। কারণ এটা খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। সে অন্যান্য দেশের সাথে যোগাযোগ রেখেছে। সোফি থিসেন নিজের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করেছে। আর এলেনার সাথেও বেশ খারাপ করেছে। তবে কথায় আছে পাপের শাস্তি একবার না একবার পেতেই হয়। তাই তো এখন তার সন্তান সেই শাস্তি ভোগ করছে। এটা ঠিক বলেছেন দাদা বাবা-মা কোন অন্যায় করলে সেই ফল সন্তানকে ভোগ করতে হয়। দাদা আপনার শেয়ার করা এই মুভি রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ভাবে মুভি রিভিউটি উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আমি কিন্তু দাদা আপনার সাথে একমত যে বাবা মার পাপের ফল সন্তান কেই বহন করতে হয়। তবে আজ আপনি কিন্তু বেশ সুন্দর একটি মুভির রিভিউ করেছেন আমাদের জন্য। আসলে এ ধরনের মুভির গুলো কিন্তু আমার কাছেও বেশ ভালোই লাগে। আবার মুভিটির রিভিউ ও করতে গিয়ে আপনি মুভিটিকে একটি রেটিং ও দিয়েছেন। সব মিলিয়ে বেশ সুন্দর ছিল দাদা।

মুভির কাহিনীটি পড়ে এতটাই ভালো লেগেছে যে কি বলবো দাদা মনে হচ্ছে আমি চোখের সামনে দেখছি ঘটনাগুলি।মেয়েটির মা যদি এই কাজ না করতো তাহলে কখনোই তাকে বৃদ্ধ হতে হতো না।তার মায়ের কুকর্মের ফল নিষ্পাপ মেয়ে পেল।একদিক থেকে এটা উপর্যুক্ত জবাব হয়েছে।আপনি খুব সহজ সরল ভাষায় তুলে ধরেছেন কাহিনীটি।তবে দাদা সোফি থিসেন চাইলে তার মেয়েকে আবার তার আগের অবস্থা ফিরিয়ে দিতে পারে!ধন্যবাদ আপনাকে।

দাদা আজকেও আপনি অনেক সুন্দর একটা মুভির রিভিউ পোস্ট নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন। আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে আপনার করা এই মুভির রিভিউ। আজকের এই মুভিটার নাম ছিল প্যারাডাইস। বর্তমান যুগে অনেক আধুনিক জিনিসপত্র বের হয়েছে। এখন বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন টেকনোলজি রয়েছে। এখানে কিন্তু সোফি ফেশেন এটাকে ভুল পথে ব্যবহার করা হয়েছে। আসলে বৃদ্ধরা ভুল করলেও তাদের সন্তানরা হলেও সেই শাস্তিটা অবশ্যই পায়। আর তেমনি এই মুভিটাতেও হয়েছে। একদিন না একদিন তো সেই শাস্তিটা অবশ্যই পেতে হবে আর সেই শাস্তিটা পেয়েছে। এখানে কিন্তু এলেনার সাথেও অনেক বেশি খারাপ হয়েছে। যাইহোক দাদা আপনি সম্পূর্ণ মুভিটার রিভিউ অনেক সুন্দর করে লেখার কারণে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। যদিও মুভি দেখা হয় না তবে আপনার রিভিউর মাধ্যমে পড়ে সেগুলো খুব ভালো লাগে। যাইহোক দাদা এরকম মুভি গুলোর রিভিউ কিন্তু পরবর্তীতেও দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।

দাদা আমি সব সময় অনেক বেশি পছন্দ করি আপনার মুভিগুলোর রিভিউ পোস্ট পড়তে। আজকেও অন্যদিনের মতো অনেক সুন্দর একটা মুভির রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন আমাদের সকলের মাঝে। প্যারাডাইস মুভিটার রিভিউ করে আমার কাছে ভালো লেগেছে। এই মুভিটার কয়েকটা এড আমি দেখেছিলাম। যার কারনে ভেবেছিলাম এই মুভিটা আমি দেখব। তবে সময় এবং ব্যস্ততার জন্য মুভি দেখা হয় না। কিন্তু আমি এমনিতে মাঝে মাঝে দেখার চেষ্টা করি। এই মুভিটার রিভিউ পোস্ট পড়ে খুব ভালো লেগেছে। কারণ মুভিটার সম্পূর্ণ কাহিনী রিভিউর মাধ্যমে লিখেছেন অনেক সুন্দর করে। আসলে এখন বিভিন্ন রকমের এমন টেকনোলজি বের হয়েছে, যার মাধ্যমে নিজের শরীর এবং বিভিন্ন কিছু পরিবর্তন করা হয়। এখানে দেখছি কাহিনীতে সোফি থিছেন খারাপ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। আসলে বেশিরভাগ সময় এটা এমনিতেই দেখা যায়, বাবা-মা ভুল কাজ করলে তার শাস্তি সন্তানদেরকে পেতে হয়। আর তেমনই এই মুভিটাতেও দেখানো হয়েছে এই বিষয়টা। দাদা আমি তো ভাবছি সময় পেলে এই মুভিটা দেখার চেষ্টা করব।

দাদা আজকে আপনার কাছ থেকে অনেক দারুন একটি মুভি রিভিউ পেলাম। তবে দাদা বর্তমানে প্রযুক্তির কারণে প্রায় অনেক কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে। বিশেষ করে শরীরের অংশ পর্যন্ত চেঞ্জ করা সম্ভব হচ্ছে এখন। কিন্তু সেটা আসলে মানুষের প্রয়োজনে ব্যবহার করাটাই কাম্য। কিন্তু এখানে তো দেখছি সোফি থিসেন এই জিনিসটাকে ভুল পথে চালনা করছে। আসলে এইসব ব্যাপারে ভুল কাজ করা একদমই উচিত নয়। কিন্তু এখানে দেখছি এটা নিয়ে ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। বিষয়টা শুনতে কিরকম একটা লাগতেছে। তবে শেষ পর্যন্ত এই ভুলের মাশুল হিসেবে তার মেয়েদেরকে ফল ভোগ করতে হয়েছে এটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। আসলেই ঠিক বলেছেন বাবা-মায়ের অন্যায়ের জন্য সন্তানদের শাস্তি ভোগ করতে হয়। কিন্তু আমি মনে করি একজনের শাস্তি স্বরূপ অন্যজনকে দেওয়াটা ঠিক নয়। যাইহোক এই মুভিটা রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো।

দাদা আপনি আজকে "প্যারাডাইস"মুভি রিভিউ করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে এই মুভিটা আমার দেখার খুব ইচ্ছে ছিল। কিন্তু আসলে সময় হয়ে ওঠেনি দেখার জন্য। তবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে এই মুভির কাহিনী সম্পর্কে জানতে পেরে ভালো লাগলো ‌। তবে আজকাল প্রযুক্তির কারণে প্রায় অনেক কিছুই আবিষ্কার করা হয়েছে। আবিষ্কারের জিনিসগুলো এত বেশি হয়ে গিয়েছে যেটা বলার বাহিরে। আর তাই জন্যই তো মূলত শরীরের অংশ পর্যন্ত চেঞ্জ করা হচ্ছে। কিন্তু এই মুভিতে দেখছি এই বিষয়টাকেই অপব্যবহার করা হচ্ছে। আর সোফি থিসেন দেখছি এই বিষয়টার ভুল ব্যবহার করত। তবে শেষ পর্যন্ত দেখছি এই ভুল ব্যবহারের কারণে মূল্য দিতে হয়েছে তার মেয়েদেরকে। তবে মুভিটার রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো।

দাদা ঠিক বলেছেন বর্হিবিশ্বে অত্যাধুনিক টেকনোলজির মাধ্যমে অনেক অসম্ভব কাজকে সবম্ভব করে ফেলছে। প্যারাডাইস মুভির মূল উদ্যেশ্য ছিল সেবা দান করা। কিন্তুু সোফি থিসেন সেটা নিজের স্বার্থ উদ্বারের জন্য কাজে লাগিয়ে দিয়েছে। শুধু যে ব্যবসা তা নয় বরং অন্যের ক্ষতি করে ব্যবসা। যার ফলে তার মেয়ের উপর গিয়ে পরে। শেষে দারুন একটি কথা বলেছেন। বাবা মায়ের পাপের ফসল তাদের ছেলে মেয়েদের পরিশোধ করতে হয়। যায়হোক আজকের মুভিতে দুইটি দারুন তথ্য পেলাম। ধন্যবাদ দাদা।