হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'তাকদীর' ওয়েব সিরিজটির তৃতীয় পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "রণক্ষেত্র"। গত পর্বের লাস্ট দেখেছিলাম যে, চঞ্চল সেই বেয়ারিশ লাশটাকে রদবদল বা চেঞ্জ করে কবর দিয়ে দেয়। আজকে দেখবো এর পরে কি ঘটনা ঘটতে চলেছে।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
❂মূল কাহিনী:❂
লাশটা যখন কবর দিয়ে দেয় , তার পরে চঞ্চল আর মন্টু নামে একজন অর্থাৎ এই মন্টু তার একপ্রকার ভাই এর মতো। তো তারা সেখানে রাতের দিকে একটা রেস্টুরেন্ট এ যায় খাওয়াদাওয়ার জন্য। কিন্তু সেই লোকটা তাকে ফোনের পর ফোন করে যাচ্ছে আর নানা রকম হুমকি দিচ্ছে একপ্রকার। এই টেনশন এ চঞ্চল এর আর খাওয়া হলো না, তারপর আবার তার মালিকের ফোন এর চাপ, কারণ সে গাড়ি নিয়ে আর ফেরেনি। ওর ওই গাড়িতে নাকি আবার কার ডেথ সার্টিফিকেট ছিল সেটার জন্য তারা আবার তাকে খোঁজ করতে করতে মালিকের কাছে চলে যায়। তার নাম আর গাড়ির নম্বরও নোট করে নিয়ে আসে। এখন এইসবের মধ্যে চঞ্চল গাড়ি নিয়েও কোথাও যেতে পারছে না। ওখানে রেস্টুরেন্ট এ আবার সেই সাংবাদিক আফসানা এবং রানা নামের একজনকে খুঁজছে, সমস্ত টিভি চ্যানেলও বিষয়টা পাবলিশ করে দিয়েছে, কারণ তারা দুইজনেই একই সাথে একই জায়গা থেকে নিখোঁজ হয়েছিল আর তার পরের থেকে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এদিকে আবার এক চেয়ারম্যান এর লোকজনও এই রানাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে, একপ্রকার পুলিশ আর গুন্ডা সব দিক থেকে ফেঁসে গেছে।
চেয়ারম্যান এর লোক আবার সেই ফেরিতে গিয়ে সেখানকার সিসি ফুটেজ চেক করে আর সেখানে এই রানাকে দেখতে পায় যে একটি লাশবাহী গাড়িতে উঠতে। এরপর সেখান থেকে কোথায় যায় সেটা কারো ধারণা নেই। যদিও এই রানা লোকটা এখন বর্তমানে একটা পত্রিকার অফিসে কাজ করে। এরপর পুলিশ সেই ফেরি ঘাট থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গায় তদন্ত শুরু করে দেয় কিন্তু রানার খোঁজ কারো কাছ থেকে পায় না, শুধু মাত্র ওই ফেরিতে একজন আপেল বিক্রেতা তাকে দেখেছিলো সেই সূত্রে জানতে পারে যে সে একটা লাশবাহী ট্রাকে করে চলে যায়। কারণ এদিকে চেয়ারম্যান এর লোক আগে থেকে এসে সেই ফুটেজ দেখে সব ডিলিট করে চলে যায়, ফলে ডিটেইলস কোনো ফুটেজ এর তথ্য পুলিশের কাছে থাকে না । তবে আপেল বিক্রেতার কাছ থেকে গাড়ির নম্বরটা নোট করে নেয় তারা। এখন একপ্রকার লোকজনের খবর না জানলেও এই গাড়ির পিছনে এখন সবার নজর পড়ে গেছে।
চঞ্চল আর মন্টু নামের ওই লোকটা তারা তো গাড়ি নিয়ে মাওয়া ঘাটের এক সাইটে কিছুটা জঙ্গল মতো জায়গায় গিয়ে থাকতে লাগে, আর যে লোকটা লাশ দিয়ে যাওয়ার জন্য বারবার ফোন করছিলো তাকে ওই ঠিকানায় এসে নিয়ে যেতে বলে, অর্থাৎ কিছু লোকজন নিয়ে তারা রেডি ছিল যে আসলেই তাকে ধরে মারবে। কিন্তু ওখানে আসে আরেকজন সে হলো এই রানা। যেহেতু এই রানার সাথেও এই লাশের কানেকশন আছে তাই সেও এর সাথে জড়িত। এখন সে যে পত্রিকার অফিসে কাজ করতো সেখানকার এডিটর তাকে পাঠায় এই লাশটা আনতে আর এই খবর যেন বাইরে কোথাও না ছড়ায় তার জন্য। কিন্তু সে এসে উল্টে ফেঁসে যায়, না দেখেই মন্টু বেধর মারধর শুরু করে দেয়। এরপর চঞ্চল গিয়ে ব্যাপারটা দেখে আর তার কাছ থেকে বিষয়টা জানতে পারে যে আসলে সে কাউকে খুন করেনি, বরং চেয়ারম্যান এর লোকজন এর এইসব কাজ। এখন এইসবের মধ্যে এই রানার তার গাড়িতে ওঠা কেন্দ্র করে চঞ্চল বড়ো জটলায় ফেঁসে যায়। এখন পুলিশও চঞ্চলকে খুঁজছে। এরপর সে ফোনের থেকে সিমটা ছুড়ে ফেলে দেয়, কারণ যেকোনো মুহূর্তে পুলিশ তার জিপিএস ট্র্যাক করে ধরে ফেলতে পারে।
❂ব্যক্তিগত মতামত:❂
এই পর্বে একটা বিষয়ে পুরোপুরি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গেলো যে, চঞ্চলের গাড়িতে এতদিন পর্যন্ত যে লাশ ছিল সেটা আর কারো না, তার পরিচয় হলো এই সাংবাদিক আফসানা। আর তার গাড়িতে ওই রাতে ফেরিতে এই রানাই লাশটা তুলে দিয়েছিলো। তবে রানার বক্তব্য যে সে আফসানাকে খুন করেনি, চেয়ারম্যান এর লোকজন তাকে মেরে রানাকে বাধ্য করেছিল তার লাশটা যেন কোথাও লুকিয়ে দেয়। আর এখন বলতে গেলে এই লাশের পিছনে অনেকজন পড়েছে, একদিকে পুলিশ খুঁজছে, একদিকে চেয়ারম্যান এর লোকজন খুঁজছে আর একদিকে চঞ্চল তার লাশটাকে কবর দিয়ে ফেলেছে। এই বিষয়টা রানা তার অফিসের এডিটর-কে জানিয়েছিল আর এইটা যাতে কোনো নিউজ চ্যানেলে পাবলিশ না হয় সেইজন্য তাকে এই লাশটা আনতে পাঠিয়েছিল। একপ্রকার রণক্ষেত্র এর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাদের সামনে।
❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৯/১০
❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা সিনেমার গল্পটা কোথায় থেকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। একটা অজ্ঞাত লাশ নিয়ে চঞ্চল সারা বাংলাদেশে ঘুরেছে। লাশের কোন পরিচয় পায়নি। যখন কবর দিয়ে দিলো তখন কত মানুষ লাশের খুঁজ করতে লাগলো। চেয়ারম্যানের লোক,পুলিশ,রানা সবাই এখন লাশের তালাশ করতে লাগলো। এখন কি কবর থেকে লাশ আবার তুলবে কি না, কে জানে। লাষ্ট চঞ্চলের ভাগ্যে কি আছে হয়তো পরের পর্বে কিছুনা জানা যাবে। একেই বলে তাকদীর। কখন কার কি হয় কেউ বলতে পারে না। দারুন রহস্যময় একটি সিনেমা। ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
'তাকদীর' ওয়েব সিরিজটির তৃতীয় পর্ব রিভিউ পড়ে অনেক নতুন নতুন তথ্য জানতে পারলাম দাদা। গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম চঞ্চল চৌধুরী তার গাড়িতে থাকা একটি লাশ গোপন করার চেষ্টা করছিল। আর অন্যদিকে একজন সাংবাদিক নিখোঁজ হয়েছিল। পুলিশ উনাকে খোঁজার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু চঞ্চল চৌধুরী হয়তো বুঝতে পারেনি সেই লাশটি সাংবাদিক আফসানার। সবকিছু মিলিয়ে সে অনেক ঝামেলার মধ্যে পড়ে গেছে। একদিকে চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে খুঁজছে অন্যদিকে তো পুলিশ আছেই। আর সবকিছু মিলিয়ে কি হবে এখনো বোঝা যাচ্ছে না। বেশ গোলমাল পাকিয়ে যাচ্ছে। সে কি এই বিপদ থেকে রক্ষা পাবে নাকি আরো বেশি বিপদের মধ্যে পড়বে এটা জানতে ইচ্ছে করছে দাদা। আশা করছি খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব আমাদের মাঝে উপস্থাপন করবেন দাদা। এই পর্বের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। আশা করছি পরবর্তী পর্বের মাধ্যমে আরো নতুন নতুন তথ্য সামনে চলে আসবে। এই পর্বের রিভিউ সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তাকদীর মুভিটার তৃতীয় পর্ব আজকে পড়েছি বেশ ভালোভাবে। এই মুভিটার প্রথম দুই পর্ব ও আমার পড়া হয়েছিল। মুভি টার প্রথম পর্ব দুটি যখন পড়েছিলাম তখন যদিও সবকিছু স্পষ্ট হয় নি, তবে আজকের এই পর্বটির মধ্যে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ওই লাশটা তাহলে সাংবাদিক আফসানার। যদিও রানা লাশটা চঞ্চল চৌধুরীর গাড়ির পেছনে লুকিয়ে রেখেছিল, কিন্তু রানা তো দেখছি খুন করে নিই সাংবাদিক আফসানাকে। চেয়ারম্যান বলেছিল তাকে এই লাশটার লুকিয়ে রাখার জন্য। আর সে তো চেয়ারম্যানের কথা মতোই লাশটা লুকিয়ে রেখেছিল। অন্যদিকে আবার দেখলাম চঞ্চল চৌধুরী এই লাশটা লুকিয়ে ফেলেছে অর্থাৎ কবর দিয়ে দিয়েছে। আর অন্যদিকে চেয়ারম্যান এবং পুলিশ খুঁজছে। চঞ্চল চৌধুরী কিন্তু অনেক বড় বিপদে পড়তে চলেছে বলে আমার মনে হচ্ছে। এই বিষয়টা কিন্তু আসলেই অনেক বিপদের । এখানে সবকিছু একেবারে গোলমাল হয়ে যাচ্ছে। আমি তো ভাবছি এই মুভিটার পরবর্তী পর্বে কি হবে। এখন এই মুভিটার পরবর্তী পর্ব টা দেখার জন্যই অধীর আগ্রহে থাকলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দিনে দিনে কেমন যেন সিরিজটি ধোয়াশা হয়ে যাচেছ। আসলে কে খুন করেছে আফসানাকে। তবে এই পর্বে জানা গেল চঞ্চলের গাড়ীতে কার লাশ ছিল। সেটা ছিল সাংবাদিক আফসানার লাশ। দিনে দিনে সিরিজটি আরও রহস্যময় হয়ে যাচ্ছে। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনার লেখা মুভি গুলো রিভিউ আমার কাছে সব সময় অনেক ভালো লাগে। আর আজকে খুব সুন্দর করে মুভিটার তৃতীয় পর্ব নিয়ে সবার মাঝে হাজির হয়েছেন। আমি তো শুরু থেকে ভাবছিলাম ওই লাশটা কার এবং কে খুন করেছে। এখন এই পর্বের মাধ্যমে জানতে পেরেছি ওই লাশটা আসলে সাংবাদিক আফসানার ছিল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তো জানতে পারলাম না সাংবাদিক আফসানাকে কে খুন করেছে। আসলে এই মুভিটা যত পর বই হচ্ছে ততই রহস্যের মধ্যে জড়িত হচ্ছে। আর এখন আরো অনেক রহস্য থেকে গিয়েছে। অন্যদিকে কিন্তু চঞ্চল চৌধুরীও বেশ সমস্যার মধ্যে পড়েছে এবং গুরুতর ভাবে ফেঁসে গিয়েছে। চঞ্চল চৌধুরীর সাথে পরবর্তীতে কি হবে এটাই ভাবছে শুধু। আসলে কখন কে কোন সমস্যার মধ্যে পড়ে যায় এটা বোঝা একেবারেই মুশকিলের। আপনি পরবর্তী পর্বটা সবার মাঝে খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন আশা করছি। অপেক্ষায় থাকলাম ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আজকে আবারো তাকদীর ওয়েব সিরিজের তিন নাম্বার পর্ব দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো। আমি আসলে এই রিভিউটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এ পর্বে অন্তত ক্লিয়ার হল যে আসলে চঞ্চলের গাড়িতে পাওয়া লাশটা অন্যজন রেখেছে। বিশেষ করে লাশটা মূলত একজন সাংবাদিক আফসানার। তবে এই নষ্ট দেখছি চঞ্চলের গাড়িতে রানা তুলে দিয়েছিল। কিন্তু রানা কি আসলে আফনাকে হত্যা করেছে বিষয়টা বুঝতে পারছি না। সে তো অবশ্য বিষয়টা অস্বীকার করেছে। যদিও এটা নিয়ে বেশ তোলপাড় হচ্ছে। তবে দেখছি চঞ্চল মূলত লাশটাকে কবর দিয়ে ফেলেছে। বিষয়টা কোন দিকে যাবে সেটাই বুঝতে পারছি না। তবে এটা বুঝতে পারছি চঞ্চল অনেক ঝামেলার মধ্যে পড়েছে। নিশ্চয়ই পরবর্তী পর্বে এই ওয়েব সিরিজের মূল বিষয়টা জানতে পারবো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা তাকদীর ওয়েব সিরিজের তৃতীয় পর্ব টা পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। আসলে গত পর্বে দেখেছিলাম চঞ্চল চৌধুরী অনেক ঝামেলার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে একজন সাংবাদিক নিখোঁজ হয়ে গেছিল। তবে আজকের পারবে এটা ক্লিয়ার হলাম সেই সাংবাদিকের লাশটা চঞ্চল চৌধুরীর গাড়িতে পাওয়া গিয়েছে। যদিও এ সম্পর্কে চঞ্চল চৌধুরী কিছুই জানতো না। কিন্তু লাশটা দেখছি রানা চঞ্চলের গাড়িতে তুলে দিয়েছিল। তবে কি রানা আসলে সাংবাদিক আফসানাকে খুন করেছে। যদিও রানা এই বিষয়টা একদমই অস্বীকার করছে। কিন্তু এই লাশটা নিয়ে দেখছি অনেক বেশি হযবরল ব্যাপার হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত কি হবে সেটাই বুঝতে পারছি না। নিশ্চয়ই পরবর্তী পর্বে বিষয়টা ক্লিয়ার হতে পারব। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit