হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'হোস্টেজেস' ওয়েব সিরিজটির নবম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "এন্ড গেম"। গত পর্বে দেখেছিলাম যে, শায়লাকে একজন হাইওয়ের পাশের দোকান থেকে একপ্রকার কিডন্যাপ করে নিয়ে গিয়েছিলো। এই ঘটনার পরে কি হয় সেটা দেখবো আজকে।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☀মূল কাহিনী:☀
মূলত ওই লোকটা আসলে পৃথ্বীর লোক ছিল। তবে এইটা বললে ভুল হবে যে লোকটা পৃথ্বীর আন্ডারে কাজ করে। আসলে ওই লোকটাই ছিল মেইন, সবার মাথা। পৃথ্বীর উপরেই এই কাজটা দিয়েছিলো তারা, তবে পৃথ্বীর উপরে যে একেবারে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করেছিল তা কিন্তু না, কারণ সে তো একজন পুলিশ। তবে এই ঘটনার পরে শায়লাকে নিয়ে একটা ফ্যাক্টরি মতো জায়গায় যায় আর পৃথ্বীকে ফোন করে জানায়। এরপরে পৃথ্বী আসতে আসতে মেয়েটার জ্ঞান ফিরে আসে আর পৃথ্বী আসলে মোটামুটি তাদের সব কথোপকথন শুনে ফেললে মেয়েটা ওখান থেকে পালিয়ে ফ্যাক্টরির ভিতরে চলে যায়। এরাও তাকে খোঁজার জন্য আবার তার ভিতরে যায়, কিন্তু এখানে মেয়েটাকে চোট পৌঁছানোর পৃথ্বীর কোনো উদ্দেশ্য না থাকলেও ওই লোকটা মেয়েটাকে গুলি মারতে চেয়েছিলো।মেয়েটি লোকটার সামনে চলে আসলে গুলি মারতেই যাচ্ছিলো সত্যি সত্যি, কিন্তু পৃথ্বী লোকটার মাথায় আঘাত করে অজ্ঞান করে মেয়েটাকে নিয়ে চলে আসে।
কিন্তু এর আগে পৃথ্বী মীরাকে নিয়ে হসপিটালে গিয়েছিলো সেই ফৌজি ছেলেটার চিকিৎসার জন্য। চিকিৎসা মোটামুটি করে দেয়, কিন্তু ওই হসপিটালে যে কোনো উল্টোপাল্টা কাজ চলছে তলায় তলায়, সেটা লক্ষ্য করে বা টের পায়। মীরা এই উদ্দেশ্যে হসপিটালের মেইন সিসি ক্যামেরার রুমে গিয়ে সবগুলো চেক করে যে, কোনো অচেনা লোক এর মধ্যে যাওয়া আশা করেছে কিনা। তবে মৃত ঘরে একটা লোক নতুন ইনচার্জ হিসেবে ভর্তি হয়েছে। আর এই লোকটার উপরে সন্দেহ হয়, আর এই লোক এমনিতেও গোপনে লাশ পৃথ্বীকে দেয়, যেটা আগে একবার দিয়েছিলো। এখন এই লোক ওইদিনই অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে এম্বুলেন্স করে কোথায় যাচ্ছে, সেটা দেখার জন্য পিছু নিলে দেখে একটা মিশিওনারি সিকিউরিটি হলে নিয়ে যায়। এখন ওখানে কি হচ্ছে না হচ্ছে সেটা দেখার জন্য গেলে আসলে দেখে ওখানে একটা মহিলা অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছে, তবে সেটা অজানা এখনো।
আর এদিকে মীরার বাড়িতে তো তুলকালাম বেধে গেছে, কারণ সাইকোটা সেই টাকার ব্যাগ আর পাসপোর্ট নেওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায় একপ্ৰকার, কারণ সে ওইগুলো একা নিয়ে সবাইকে মেরে ভেগে যাবে বাইরের দেশে। এখন এখানে বাড়িতে মীরার হাসব্যান্ড আর তার ছেলেকে সেখান থেকে বের করে দেয় আরেকজন, ও আসলে ওদের মধ্যে ভালো ছিল আর ওকেও গুলি করে পায়ে, ফলে ওদের দুইজনকে ছেড়ে দেয় পালিয়ে যাওয়ার জন্য। তার বাবা ছেলেকে তো পালিয়ে যেতে সাহায্য করে, কিন্তু ছেলেটা যায়নি, কারণ সে জানতো ওই টাকার ব্যাগ কোথায় আছে। পরে যখন টাকার ব্যাগ নিতে যায়, তখন ছেলেটাকে ধরে ফেলে, কিন্তু ছেলেটিও চালাক খুব, সাথে সাথে রুমে ঢুকে দরজা লক করে দেয়। তবে ওই সাইকো একদম পুরাই পাগল হয়ে গিয়েছিলো, সামনে যাকে দেখছে তাকেই মারছে, পরে ছেলেটি দরজা না খুললে তার বাবাকে এনে মেরে ফেলার হুমকি দিলে দরজা খুলে দিতে বাধ্য হয়।
☀ব্যক্তিগত মতামত:☀
আসলে এই যে যা কিছুই হচ্ছে, সব ওই মহিলাকে ঘিরেই অর্থাৎ যে মিশিওনারীতে চিকিৎসাধীন আছে। আর এটা একদম গোপনেই আছে, বাইরের কেউই জানে না। আর এইটাকে ঘিরে একটা বড়ো রহস্য আছে, যেটা শেষ মুহূর্তে না গেলে বোঝা যাবে না। তবে মীরা নিজে থেকে ইনভেস্টিগেট করতে গিয়ে এই বিষয়টা তার সামনে চলে আসে, এখন যে নার্স হিসেবে সেখানে ছিল, তার কাছ থেকে যদি কিছু বের করতে পারে, তাহলে জানা যাবে। এদিকে পৃথ্বীকেও নাকেমুখে মেরে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে সাইকোটা। এই পুরো বিষয়টা এখন অর্ধ সত্যের মাঝে পড়ে আছে, পরের পর্বে দেখা যাক কিছু বের হয় কিনা।
☀ব্যক্তিগত রেটিং:☀
৯/১০
☀ট্রেইলার লিঙ্ক:☀
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই পর্বে তো দেখছি অনেক ঘটনা ই ঘটেছে। পৃথ্বী না বাঁচালে তো সেই লোক শায়লাকে মেরেই ফেলতো। ফৌজি ছেলেটার মোটামুটি চিকিৎসা করা হয়েছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। কিন্তু মিশিওনারীতে চিকিৎসাধীন মহিলাটি কে,সেটাই তো বুঝলাম না। দেখা যাক মীরা ইনভেস্টিগেট করে শেষ পর্যন্ত কি বের করে। হয়তো এই ব্যাপারে পরবর্তী পর্বে আরও অনেক কিছুই জানতে পারবো। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আমার কাছে এই ওয়েব সিরিজটার নবম পর্বটার রিভিউ পড়তে খুব ভালো লেগেছে। আর দেখছি এই পর্বটার নাম ছিল "এন্ড গেম"। এই পর্বে অনেক কিছুই ঘটে গিয়েছে দেখলাম। ভাগ্য ভালো যে পৃথ্বী ওই মেয়েটাকে বাঁচিয়ে নিয়েছে না হলে তো মেয়েটাকে গুলি করে দিতেই যাচ্ছিল সে। ওই মহিলাটার বিষয়টা এখনো পর্যন্ত কিছুই বুঝলাম না দাদা। এটার পেছনে অনেক রহস্য এখনো পর্যন্ত লুকিয়ে আছে যেটা এখনো সামনে আসেনি। ফৌজি ছেলেটার চিকিৎসা চলতেছে শুনে ভালোই লেগেছে। আশা করছি সে ঠিক হয়ে যাবে। ওই সাইকোটার জন্য তো অনেক বেশি ভয় হচ্ছে। একদিকে পৃথ্বীকে মেরে অবস্থা খারাপ করে দিয়েছে। অন্যদিকে আবার ওই মানুষটা অনেক বেশি ভালো ছিল। তাই তো বাবা এবং ছেলে দু'জনকেই সাহায্য করেছিল। কিন্তু ছেলে টাকার সম্পর্কে জানার কারণে দেখছি বেশ সমস্যায় পড়ে গিয়েছে এখন। কারণ সে রুমের দরজা লক করে দেওয়ার পরে, তার বাবাকে এনে ভয় দেখিয়ে দরজাটা খুলে ফেলেছে। এখন দেখা যাক তাদের সাথে কি হবে। আর মূল রহস্যটা জানার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনি আমাদের মাঝে প্রতিনিয়ত অনেক সুন্দর করে ওয়েব সিরিজের রিভিউ শেয়ার করে থাকেন। এই ওয়েব সিরিজটার পর্বগুলোর রিভিউ আমি এখন পড়ার চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে এই ওয়েব সিরিজটা। আজকে আপনি ওয়েব সিরিজটার নয়তম পর্ব টা শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। তবে এই পড়বে দেখছি একটা রহস্যের কথা জানা গিয়েছে আর সেটা ওই মহিলাটাকে নিয়ে। যদিও সেই রহস্যটা সবার সামনে আসেনি কিন্তু উপলব্ধি করা গিয়েছে। ওই লোকটা দেখছি মেরে ফেলতে চেয়েছিল আর পৃথ্বী তাকে বাঁচিয়েছে। পৃথ্বী না বাঁচালে তো তাকে সত্যি সত্যি মেরে ফেলত। আর অন্যদিকে আবার সাইকোটা পৃথ্বীকে রক্তাক্ত করে ফেলেছিল মেরে। আবার রুমের দরজাটাও এখন ছেলেটা খুলে দিয়েছে নিজের বাবাকে মেরে ফেলবে ভেবে। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বে কি হয় এটা জানার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit