চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-বাংলাদেশের উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ!

in hive-129948 •  3 days ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

DALL·E 2025-02-21 02.15.59 - A dramatic cricket match scene between India and Bangladesh in a packed stadium under floodlights. An Indian batsman celebrates a century with his bat.webp

Image Created by OpenAI

আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল আমাদের দুটি পাশাপাশি দেশের মধ্যে খেলাটা হয়েছে। আর সবাই নিশ্চই এই খেলাটা উপভোগ করেছেন। খেলায় আসলে হার-জিত সবকিছু থাকবে, কিন্তু খেলাটা উপভোগ করাটাই হলো মেইন। গতকাল দুবাইয়ের পিচে খেলা শুরু হওয়ার আগে অনেক রকম কথাবার্তা হয়েছে পিচ নিয়ে। সে যাইহোক, টসে বাংলাদেশ জিতে যায় আর তারা আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে এই পিচটা হিসেবে ব্যাটিং পিচ যদিও, কিন্তু আসলে পুরোপুরি তা না, কারণ এই পিচে পেচ বোলারদের থেকে স্পিনারদের কবলে ছিল। এই পিচে রানটাও হিসেবে ভালোই করা যায় সমীক্ষা হিসেবে। আর বাংলাদেশ আসলে টসে জিতে একেবারে খারাপ সিদ্ধান্ত নেয়নি, কারণ এই পিচে লাস্ট পর্যায়ের দিকে বল যখন আস্তে আস্তে পুরানো হতে থাকে, ততই স্লোয়ার মুডে চলে যায়।

আপনারা খেলার শুরু থেকে দেখলে একটা বিষয় আঁচ করতে পারবেন যে, এই খেলায় বাংলাদেশ ব্যাটিং করতে নামলেও আসলে নতুন বল হিসেবে পারফরম্যান্সটা প্রথম পাওয়ার প্লে তে যা করার কথা ছিল, তা একদমই করতে পারেনি। কারণ বলি, বলটা প্রথম দিকে হার্ড ছিল আর এই মুহূর্তে এই পিচে রান তোলাটা অনেক ভালো কন্ডিশনে ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ প্রথমেই ভেঙে পড়ে। যদিও এখানে ভারতের শক্তিশালী হার্ড পেচ এবং স্পিনারের সামনে রান করাটা একটু ডিফিকাল্ট, কারণ আগের মতো তাদের বোলিং পর্যায় নেই, অনেক উন্নত। শামি একজন মোস্ট পপুলার পেচ বলার, যে কোনো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হোক বা কোনো ওয়ার্ল্ড কাপ হোক, সবখানেই নিজেকে বারবার প্রমান করে এসেছে।

এই ম্যাচেও বিষয়টা দেখলে সেটাই আবারো প্রমাণিত হয়। তবে বাংলাদেশ আসলে ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরে আশা একদমই ছিল না কামব্যাক করার। কারণ ওই অবস্থায় ওখান থেকে উঠে আসা অনেকটা কষ্টকর বিষয়। সম্ভবত রানের গড় হিসেবে ১৫০ রানেই গুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে মাঝপথে দারুন কামব্যাক করে তারা। যদিও এটি শুধু সম্ভব হয়েছিল রশিদ আর জাকির এর কারণে। এই দুইজন ওই খারাপ মুহূর্তে একটা দারুন পার্টনারশিপ গেইন করে, যেটা তাদের টিমকে আবার অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসে। তবে এখানে সেটাও সম্ভব হতো না, যদি ভারত ক্যাচ মিস না করতো। ৩ টা ক্যাচ মিস করেছে, না হলে জাকির রশিদ এর সাথে এই পার্টনারশিপ করতে পারতো না।

তবে সে যাইহোক, ক্যাচ মিসের মাশুল তো পেতেই হতো। ভারত এখানে শামির কারণে আবারো কামব্যাক করে, জাকিরকে আউট করে আবারো ব্যালান্স করে দেয়। এখানে লাস্ট মুহূর্তে একটা বিষয় খেয়াল করবেন, লাস্টে যতগুলো আউট হয়েছে সবগুলোই স্লোয়ার বলে। উইকেট খুবই স্লো ছিল। বল যতই পুরানো হয়ে যায় খেলতে খেলতে, ততই অসুবিধা হয়ে যায় উভয়ের ক্ষেত্রে। তবে মোটামুটি বাংলাদেশ এই দুইজনের দলীয় রানের ক্ষেত্রে মোটামুটি পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছিলো। তবে রানটা চেজ করা মোটেও সুবিধার হচ্ছিলো না, সেটা ভারতের ব্যাটিং দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো। রোহিত যদিও ভালো একটা ইনিংস শুরু করে দিয়েছিলো ৯ ওভার পর্যন্ত। বেশ ভালো রানের গড় ছিল।

গিলও ভালো কামব্যাক করেছে তার ফরম্যাটে। রোহিতের সাথে ভালোই জুড়ি হয়েছে, বেশ কয়েকটি ম্যাচ দেখলাম, তাতে সেটাই আভাস হলো। কিন্তু রোহিত পড়ে যাওয়ায় রানের গড় অনেকটাই নেমে গিয়েছিলো। কারণ টার্গেট চেজ করার জন্য সাড়ে ৪ করে দরকার ছিল। সেখানে প্রথম পাওয়ার প্লে ওভারে সাড়ে ৬ এর কাছে রানের গড় ছিল। দ্বিতীয় পাওয়ার প্লে ওভারে রানের গড় অনেকটা আপ-ডাউন এর মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলো। এই রান মোটামুটি ৩০-৩৫ ওভারের মধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই যে একটা প্রেসার ক্রিয়েট শুরু হয়েছিল, বিশেষ করে স্পিনারদের সামনে মোটেও সহজ বিষয় ছিল না। এই পিচে স্পিনে বেশি ধরা খেয়ে যাচ্ছিলো ব্যাটসম্যানরা।

তবে এখানে কোহলি থেকে শুরু করে কয়েকজন এসে ধরে না রাখতে পারলেও গিল একজন ওপেনার বলুন বা সহ অধিনায়ক বলুন, বেশ বড়ো মাপের একটা অভিজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে। কারণ একাই ম্যাচটাকে সমতায় ধরে রেখেছিলো শেষ পর্যন্ত। যতই কঠিন পরিস্থিতি সামনে আসছিলো, ততই কট্টর হিসেবে সামনা করেছে বোলারদের। এই দুবাইয়ের যে পিচে খেলা হয়েছে, তাতে ব্যাটসম্যানদের কাবু করার জন্য একমাত্র স্পিনার দেরই দরকার।

তবে যাইহোক, ভারত এর যেসব ব্যাটসম্যান আছে, তারা আসলে কোন পরিস্থিতিতে কোন রানে কিভাবে খেলতে হবে, এটা বেশ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে যায় প্রতিবারই। এই ম্যাচটার ক্ষেত্রেও তাই। কারণ এই ম্যাচে উইকেট এতটাই স্লো ছিল, যে বল উঠিয়ে মারতে গেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্যাচ উঠছে। যেমনটা রাহুল একটা বল মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলো, যদিও জাকির এটা মিস করেছিল। যাইহোক, ইন্ডিয়া প্রথম ম্যাচ জিতে গিয়েছে এবং ৩ ওভার বাকি থাকতে।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

কালকের উত্তেজনা পূর্ণ সম্পূর্ণ ম্যাচটির দারুন সুন্দর ভাবে কভার করলেন। ভারত বাংলাদেশ দুই পক্ষই কালকে খুব ভালো ক্রিকেট উপহার দিল। আসলে কয়েকটি ক্যাচ মিস অনেক ফলের কারণ হয়ে দাঁড়ালো। তবে বাংলাদেশ হারলেও কালকে ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আপনি প্রত্যেকটি বিষয় খুব সুন্দর বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দিলেন।

কালকের ক্রিকেট ম্যাচ টি একটি অন্যরকম ম্যাচ ছিল। আমাদের বাংলাদেশ আগের তুলনায় গতকাল বেশ ভালোই খেলছিল। বিশেষ করে বাংলাদেশের ব্যাটিং পারফরম্যান্স টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এছাড়া ও আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত বলিং এবং ব্যাটিং দুটোর পারফরম্যান্স ছিল অনেক বেশি। প্রতিবেশী দেশের জন্য শুভকামনা রইল।

বাংলাদেশের ৫ উইকেট চলে যাওয়ার পর আমি তো ভেবেছিলাম ১৫০ রানও করতে পারবে না। কিন্তু তাওহীদ হৃদয় দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেছে। তার সেঞ্চুরির উপর ভর করেই মোটামুটি সম্মানজনক একটি স্কোর গড়তে পেরেছে বাংলাদেশ দল। তবে জাকির এবং রিশাদও মোটামুটি ভালো ব্যাট করেছে। তাছাড়া ভারতের গিল দারুণ ব্যাট করেছে। সত্যি বলতে বেশ উপভোগ করেছি গিলের ব্যাটিং। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

সত্যি বলতে ম‍্যাচটা আমি উওেজনাপূর্ণ বলব না। বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে সেরকম প্রতিরোধ গড়েই তুলতে পারেনি। ব‍্যাটিং বোলিং কোন ভাবেই না। মোহাম্মদ শামীর বোলিং স্পেল টা দারুণ ছিল। ভারত ভালো খেলেছে। আর যথারীতি বাংলাদেশ খুবই বাজে খেলেছে।।