ওয়েব সিরিজ রিভিউ: হোস্টেজেস ( সিজন ২: অন্তিম পর্ব )

in hive-129948 •  2 months ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে 'হোস্টেজেস' ওয়েব সিরিজটির সিজন ২ এর অন্তিম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "Against the Clock". গত পর্বে শেষ দেখেছিলাম যে হোস্টেজেসদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে এবং পৃথ্বী তার মেয়েকে বাঁচানোর জন্য সেই গ্যাংদের কাছে যাচ্ছে। এই শেষ পর্বে কি হয় সেটা দেখা যাক।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
হোস্টেজেস
প্লাটফর্ম
hotstar
সিজন
পর্ব
Against the Clock
পরিচালকের নাম
শচীন কৃষণ
অভিনয়
রনিত রায়, মালহার রাঠোড়, সূর্য শর্মা, টিসকা চোপড়া, অনাংশ বিশ্বাস, দালিপ তাহিল, শচীন খুরানা ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৩১ মে ২০১৯( ইন্ডিয়া )
সময়
৩৬ মিনিট ( অন্তিম পর্ব )
ভাষা
হিন্দি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


✠মূল কাহিনী:✠


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

প্রথমত একটা বিষয় দেখা যায় যে, ওখানে মূলত কিছু সাংবাদিকের বেসে সন্ত্রাসী ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং তার সাথে আবার যে মেয়েটার রিলেশন ছিল, তাকেই মেরে দেয়। মূলত এখানে তাদের কাছে রিলেশন বড়ো কোনো ফ্যাক্ট না, তাদের উদ্দেশ্যইটা মেইন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন ওখানে হোস্টেজেসদের তো অলরেডি বের করে দিয়েছে এবং সেখানে কোনো প্রমানের জন্য ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট থেকে রিসার্চ এর লোকজন এসে সবকিছু ভালো করে দেখতে লাগে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে থাকে। তবে ওখানে আয়েশা নামের যে মেয়েটি ছিল, ওর সন্দেহ তো কোনোমতেই কাটছে না, কারণ ওখানে যদি সুপ্রিম্যানিন লিডার হয় তাহলে তাদের সাথে আরেকজন যে কথা বলেছিলো সে কোথায়?ওটাই ভেবে তার এখনও মনে হয় যে, ওখানে কোনো মিসিং আছে।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

এদিকে পৃথ্বীর বন্ধু তো মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে একটি ফাঁকা জায়গায় কিছুটা জঙ্গল মতো ওখানে নিয়ে গিয়ে দাঁড়ায়। এদিকে পৃথ্বী তার মেয়েকে বাঁচানোর জন্য তাদেরই বসের যে মেয়েকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গিয়েছিলো তাকেই নিয়ে যায় অর্থাৎ মেয়ের বদলে মেয়ে। কিন্তু যার কাছে নিয়ে গিয়েছিলো সে আবার তাকে ভালোবাসতো, কিন্তু সেটার কোনো মূল্য তার কাছে ছিল না, সাথে সাথে গুলি করে মেরে দেয় পৃথ্বীর সামনে, আর এটা দেখে তো পৃথ্বী আশ্চর্য হয়ে যায়। ওদের মূল টার্গেট ছিল মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া এবং মেরে ফেলা। তাতে সামনে আর যেই আসুক না কেন তা নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যাথা ছিল না। এদিকে আবার এই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ করতে আসার ছিল আর তারা এসেছিলোও এবং তাদের আবার মেরে ফেলার সুপারিশও দিয়েছিলো।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

কিন্তু শিখা নামের মেয়েটি তাদের প্ল্যানে একপ্রকার জল ঢেলে দেয়। শিখার ধারণা ছিল যে, ওখানে এমন একটা ঘটনা ঘটতে পারে। এরপর কোনোমতে শিখা ওই লোকটাকে মেরে ফেলতে সফল হয়, নাহলে বাংলদেশের প্রধানমন্ত্রীকেই মেরে দিতো, ট্রিগার চাপতেই গিয়েছিলো জাস্ট। যাইহোক, এদিকে পৃথ্বী তার শালাকে ফোন করে বলে দেয় যেন, যেকোনোভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে তাদের ওই ফ্যাক্টরিতে চলে আসে। কারণ এদিকে সে আর তার বোন ওই টানেল দিয়ে অলরেডি বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এদিকে আয়েশা তো ধরে ফেলে যে এই বিষয়গুলোর মধ্যে পৃথ্বী আর তার বন্ধু ইনভল্ভ আছে। কারণ আয়েশা যখন একটি ফ্যাক্টরির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো, তখন কিসের একটা সাইরেন শুনতে পাচ্ছিল অর্থাৎ সে যখন ফোনে কথা বলেছিলো কোয়ার্টার থেকে, তখনও ওই সাইরেন শুনেছিলো। তাই ওখানেই দেখতে চলে যায়।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

আর সব থেকে বড়ো কথা ওখানে ফ্যাক্টরিতে একটা পেইন্টিং এর কাজ চলছিল আর যে কালারের হচ্ছিলো পৃথ্বীর জুতোর তলায়ও ওই একই পেইন্টিং এর ছাপ পেয়েছিলো। এরপরে সন্দেহ দৃঢ় হয় আর সিউর হয়ে যায় যে এতেই ইনভল্ভ আছে। এরপর তাদের ফোন ট্রেস করে এবং পৃথ্বীর বন্ধুর কাছে পৌঁছিয়ে গেলে সে মোটামুটি সবকিছু ক্লিয়ার করে বলে এবং তারা পরে ফোর্স নিয়ে সেই ফ্যাক্টরিতে যায় আর তারপর ফায়ারিং হয় দুই পক্ষের থেকে। এর মধ্যে পৃথ্বী তার মেয়েকে নিয়ে যদিও চলে এসেছিলো, কিন্তু এন্টিডোট দেওয়ায় কাজ হচ্ছিলো না, দীর্ঘক্ষণ ওইভাবে থাকার ফলে। তবে খানিক্ষন বাদে জ্ঞান ফিরে আসে। সবাই মারা গেলেও ওই গ্যাং এর লিডার বেঁচে ছিল, মুখ্যমন্ত্রীকেই মারার চেষ্টা করছিলো, কিন্তু ওখানেই পৃথ্বীর গুলি লেগে যায়। এরপর সে মারা যায় ওখানেই।


✠ব্যক্তিগত মতামত:✠

হোস্টেজেস সিরিজটির এই ছিল সর্বোপরি বিষয়। এই শেষ পর্বটা আসলেই সব থেকে ভালো হয়েছে, শেষ মুহূর্তটা বেশ ভালো ফুটিয়ে তুলেছে। তবে এখানে পৃথ্বীকে অনেকেই সাহায্য করেছে সব বিষয়ে, নাহলে এতো বড়ো গ্যাং এর কাছ থেকে তার মেয়েকে বাঁচাতে পারতো না, যেখানে তাদের কাছে নিজের কাছের মানুষের কোনো মূল্য থাকে না, সেখানে বাইরের একজনের মেয়ের প্রতিও সেটা থাকবে না। পৃথ্বীর সাথে আর যাই রাগ থাকুক না কেন ওই দুইজনের অর্থাৎ ওই সাইকো লোকটা আর তার বন্ধু, তারা মোটামুটি ভালো সাহায্য করে গিয়েছে। পৃথ্বীও তাদের দাবি অনুযায়ী টাকা আর পাসপোর্ট দিয়ে দেয় দেশ ছাড়ার জন্য। তবে একদিক থেকে পৃথ্বীর বন্ধু ভালোই করেছিল আয়েশাকে সবকিছু খুলে বলে, নাহলে এন্টিডোট দেওয়ার সাথে সাথে তাকেও গুলি করে দিতো। তবে শেষের ওই গুলিটা ইচ্ছা করেই খেয়েছে, গুলিটা মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে মেরেছিলো। হোস্টেজেস সিরিজটি পুরোটা বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে।


✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৯.৩/১০


✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দেখতে দেখতে হোস্টেজেস ওয়েব সিরিজটার শেষ পর্ব শেয়ার করে নিলেন। আমার কাছে তো অসম্ভব ভালো লেগেছে এই ওয়েব সিরিজের শেষ পর্বের রিভিউ টা সম্পূর্ণ পড়তে পেরে। দাদা আপনার শেয়ার করা এই ওয়েব সিরিজের বেশির ভাগ পর্বের রিভিউ আমার পড়া হয়েছে। শেষ পর্বটা সত্যি অনেক সুন্দর ছিল। অনেকে দেখছি পৃথ্বী কে সাহায্য করেছে। আর এর মাধ্যমে সে ভালোভাবে নিজের মেয়েকে বাঁচাতে পেরেছে। শেষের দিকটাও খুব সুন্দর ছিল। তবে মুখ্যমন্ত্রী কে গুলি মারার সময় পৃথ্বীর গুলিটা লেগে গিয়েছিল এটা শুনে অনেক খারাপ লাগলো। দাদা এখন অপেক্ষায় থাকলাম আরেকটা ওয়েব সিরিজের রিভিউ পড়ার জন্য। আশা করছি অনেক তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন আরেকটা ওয়েব সিরিজের রিভিউ।

দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে এই ওয়েব সিরিজের পর্ব গুলোর রিভিউ আমাদের মাঝে প্রতিনিয়ত শেয়ার করেছেন। আজকে এই ওয়েব সিরিজের অন্তিম পর্ব ছিল দেখে অনেক ভালো লাগলো। শেষ পর্বটা অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এই পর্বের রিভিউটা পড়তে। এত বড় একটা গ্যাং এর কাছ থেকে পৃথ্বী নিজের মেয়েকে অনেকের সাহায্যে উদ্ধার করতে পেরেছে দেখে খুব ভালো লাগলো। অবশেষে তাহলে তার মিশন টা সাকসেস হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর করে পুরো ওয়েব সিরিজের
রিভিউ একে একে শেয়ার করার জন্য।

দাদা আপনার মতো আমারও হোস্টেজেস সিরিজটি বেশ ভালো লেগেছে। শেষ পর্বটা আসলেই দারুণ হয়েছে। পৃথ্বীর মেয়েকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। তাছাড়া পৃথ্বী সবকিছুই ঠিকঠাক মতো করতে পেরেছে। এই ধরনের ওয়েব সিরিজ দেখতে খুব ভালো লাগে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি ওয়েব সিরিজের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।