ওয়েব সিরিজ রিভিউ: হোস্টেজেস ( সিজন ২: পর্ব ৩ )

in hive-129948 •  4 months ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে 'হোস্টেজেস' সিরিজটির সিজন ২ এর তৃতীয় পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "দ্যা ট্রেড অফ"। গত পর্বে দেখেছিলাম যে, পিটারকে হোস্টেজ বানিয়ে তারা টেলিফোন এর মাধ্যমে পুলিশের সাথে বাইরে একটা যোগাযোগের মাধ্যম তৈরি করে দেয়।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
হোস্টেজেস
প্লাটফর্ম
hotstar
সিজন
পর্ব
দ্যা ট্রেড অফ
পরিচালকের নাম
শচীন কৃষণ
অভিনয়
রনিত রায়, মালহার রাঠোড়, সূর্য শর্মা, টিসকা চোপড়া, অনাংশ বিশ্বাস, দালিপ তাহিল, শচীন খুরানা ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৩১ মে ২০১৯( ইন্ডিয়া )
সময়
৩৩ মিনিট ( তৃতীয় পর্ব )
ভাষা
হিন্দি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


☫মূল কাহিনী:☫


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

তো এরপরে দেখা যায় মোটামুটি আসলে পুলিশ বন্ধুক তাক করে দাঁড়িয়ে আছে, যেন তাদের শুট করার পারমিশন দেওয়া হয়েছে, এইরকমটা আসলে দেখে মনে হওয়ার মতো। ভিতরে মোটামুটি তাদের যে প্লানই আপাতত হোক না কেন, তাদের আসলে সেখান থেকে বাইরে বেরোনোর কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছে না। কারণ চারিদিক থেকেই তো ঘিরে রেখেছে। তবে বাইরের থেকে পুলিশের হোস্টেজ হয়ে যে আয়শা নামের সাংবাদিক কথা বলার চেষ্টা করতে থাকে,সে মোটামুটি তাদের সেখান থেকে বা তাদের সম্পর্কে ইনফরমেশন বের করার চেষ্টা করতে লাগে। কিন্তু পৃথ্বী তো পিটারের পাশে দাঁড়িয়ে সবকিছু শিখিয়ে দিচ্ছে বা কোনো কিছু ভুলে বলতে গেলেও থামিয়ে দিচ্ছে। এটা মোটামুটি তারা বুঝতে পারছে যে, পিটার যেসব কথা বলছে সেগুলো তার নিজের কথা না বরং পিছনে যে আছে তার শিখানো কথা।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

এখন আসলে তারা কোনোরকম কোনো কিছুর উপায় না দেখে তার ওয়াইফ এর অপারেশন ওই ভাঙা খাণ্ডারের মধ্যেই করতে চাচ্ছে। কারণ এমনিতেও মাঝে মাঝে মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছে, অক্সিজেন এর অভাব হচ্ছে। এখন আর বেশি দেরি করলে আরো অসুস্থ হয়ে যেতে পারে, কারণ তাড়াতাড়ি তারা সেখান থেকে বেরোতে পারবে না বলে ধারণা করে। এদিকে এই অপারেশনটা আসলে ট্রান্সপ্ল্যানের হবে আর সেটা মুখ্যমন্ত্রীর শরীর থেকে অর্থাৎ আগের একটা পোস্টে বলেছিলাম। তবে এখানে আরো একটা কাহিনী হতে পারে, কারণ এই অপারেশনটা মুখ্যমন্ত্রীর নাও হতে পারে। তবে এখানে এই অপারেশন এর জন্য এখন অনেক প্রকারের মেডিসিন এবং মেশিনপত্র লাগবে। আর তার জন্য তারা ফোন করে বাইরে অফিসারদের জানায় যে এই লিস্ট সহ সমস্ত মেডিসিন তারা যেন তাদের দরোজার সামনে এনে রেখে দেয়।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

প্রথমে তারা তো রাজিই হয়নি, কারণ এতগুলো মেডিসিন এবং সরঞ্জাম এর কথা শুনে ভয় পেয়ে যায় যে, ভিতরে না কারো কিছু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারাও এই বিষয়টা হাইড করে মেডিসিন আনতে বলে কেটে দেয়। এখন এখানে এইগুলো দেওয়ার পরে আরো একটা দাবি করে যে, আজগর নবী নামের একজন খুনিকে বিহারের জেল থেকে যেন রেহাই করে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এটা মানতে অস্বীকার করে, কারণ একজন মার্ডার করা সন্ত্রাসীকে তার হাতে তুলে দিলে বিপদ আরো বাড়তে পারে। কিন্তু তাদের চাই তো চাই, এইরকম একটা দাবি চাপিয়ে দেয়, এরাও নিরুপায় হয়ে রাজি হতে থাকে, কারণ ভয়ে আছে, যদি ভিতরে কিছু হয় তার দায় তাদেরকেই নিতে হবে।


স্ক্রিনশর্ট: hotstar

তাদের কথা মতো আজগর নবী কে নিয়ে আসে এবং তাদের কাছে পাঠানোর আগে এইবার অফিসারদের তরফ থেকে আয়শা সাংবাদিক শর্ত রাখে যে, একে পাঠানোর বদলে অন্য একজনকে তাদের কাছে পাঠাতে হবে। প্রথমে রাজি না হলেও পরে তাদেরই একজন সেই লেডি পুলিশ অফিসারকে পাঠিয়ে দেয় আর আজগর নবীকে ভিতরে পাঠিয়ে দেয়, কিন্তু চালাকির সাথে। পৃথ্বীও একজন অফিসার তাই তার চোখ ফাঁকি দেওয়াও অসম্ভব, কারণ সে তো জানে তাদের প্ল্যান কি হতে পারে। এমনি এমনি তো আর পুলিশ অফিসার হয়নি সে, তাই সে ভিতরে যাওয়ার সাথে সাথে টের পেয়ে যায় যে তার সাথে একটা ট্র্যাকারও লাগিয়ে দিয়েছে, যাতে ভিতরের কথোপকথন শুনতে পায়। শুধু এইটুকু শুনতে পেয়েছিলো যে তুমি! আর এতেই তাদের একটু সন্দেহ হয় যে একজন আরেকজনকে চেনে।


☫ব্যক্তিগত মতামত:☫

আসলে এখানে এই আজগর নবীকে নিয়ে আসার একটা মোটিভ হতে পারে যে, অপারেশনটা মুখ্যমন্ত্রীর না করে এই আজগর নবীর করতে পারে। এটা তো আসলে একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ট্রান্সপ্লান্ট হবে। এখন কি করবে সেটা পরের বিষয়। কিন্তু এখানে না একটা ব্যাঘাত ঘটে এই অপারেশন এর মাঝে। কারণ পিটার খুবই অধৌর্য হয়ে গিয়েছে, কারণ ওই নার্সের সাথে তার কোনো না কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। আর তাকে নিয়েই চিন্তা, কারণ তার ধারণা হচ্ছে এর মধ্যে থেকে তো বেরোতে পারবো না, উল্টে সবাইকেই মরতে হবে গুলি খেয়ে। কিন্তু নার্সের কিছু করার নেই, সে তাদের সাথ ছাড়বে না। পৃথ্বী একবার কাশ্মীরের কোনো ঝামেলা থেকে অর্থাৎ সন্ত্রাসীদের হাত থেকে তাকে বাঁচিয়েছিলো আর এইটুকু কৃতজ্ঞতাবোধ সে তাদের উপর রাখবে। তাই সে যদিও সুযোগ পায় সেখান থেকে পালানোর, তাও যাবে না বলে জানায়। এখন এই ঘটনাটা আসলে কি হবে সেটা বোঝা যাবে যে, এই আজগর নবীকে নিয়ে কি করবে। কারণ এই আজগর নবীকেই কিন্তু আবার পৃথ্বী ধরে জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছিলো।


☫ব্যক্তিগত রেটিং:☫
৭.৮/১০


☫ট্রেইলার লিঙ্ক:☫



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা আপনার শেয়ার করা হোস্টেজেস ওয়েব সিরিজটার সিজন 2 এর তৃতীয় নাম্বার পর্ব পড়তে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এই সিজনের দ্বিতীয় পর্বটা আমার পড়া হয়নি। এখনো পর্যন্ত তো সবকিছু ক্লিয়ার হয়নি। আজগর নবীকে নিয়ে আসার মূল কারণ কি হতে পারে এটাই তো বুঝতে পারতেছি না দাদা। আমারও তো আপনার মত এটাই মনে হচ্ছে এখন। হয়তো মুখ্যমন্ত্রীর না করে তার করবে অপারেশন। সবকিছু আশা করছি পরবর্তী পর্বগুলোতে আরো বেশি ক্লিয়ার হবে। অপেক্ষায় থাকলাম দাদা পরবর্তী পর্বটা পড়ার জন্য। আশা করছি আপনি খুব শীঘ্রই আমাদের মাঝে পরবর্তী পর্বটা নিয়ে হাজির হবেন।

পুলিশরা তো দেখছি বেশ ঝামেলার মধ্যে আছে। কারণ একের পর এক দাবি পৃথ্বী করেই যাচ্ছে এবং তাদেরকে সেগুলো মানতে হচ্ছে। দেখা যাক আজগর নবীকে দিয়ে পৃথ্বী আসলে শেষ পর্যন্ত কি করে। কিন্তু পৃথ্বী আসলেই খুব চালাক সবদিক দিয়ে। এবারের সিজনটা তো বেশ জমে উঠেছে দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। যাইহোক এতো চমৎকার ভাবে এই পর্বের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।