মুভি রিভিউ: অ্যাকোয়াম্যান

in hive-129948 •  last year 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করে নেবো। এই মুভিটির নাম হলো "অ্যাকোয়াম্যান"। মুভিটি এডভেঞ্চার টাইপের, কয়েকদিন আগে দেখেছিলাম মুভিটি আর বেশ ভালো লেগেছিলো। তবে এর দ্বিতীয় খণ্ডও এই বছর রিলিজ পেয়েছে, হলে গিয়ে দেখার ইচ্ছা ছিল কিন্তু আর যাওয়া হয়নি সময়ের অভাবে । যাইহোক, তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কাহিনীটা কিভাবে শুরু হয়।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

মুভির নাম
অ্যাকোয়াম্যান
প্লাটফর্ম
নেটফ্লিক্স
পরিচালকের নাম
জেমস ওয়ান
অভিনয়
জেসন মোমোয়া, অ্যাম্বার হার্ড, প্যাট্রিক উইলসন, নিকোল কিডম্যান, উইলেম ড্যাফো, ডলফ লুন্ডগ্রেন, টেমুয়েরা মরিসন ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ( ইউনাইটেড স্টেট্ )
সময়
২ ঘন্টা ২৩ মিনিট
মূল ভাষা
ইংলিশ
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইউনাইটেড স্টেট, অস্ট্রেলিয়া


☀মূল কাহিনী:☀


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

টম কারি নামক একজন লোক একদিন সমুদ্রের কিনারায় একটি মহিলাকে ভাসমান অবস্থায় পায় এবং সে বেশ ঘায়েলও ছিল শারীরিকভাবে। মহিলাটির নাম ছিল atlanna আর সে একজন সমুদ্র নিবাসী ছিল। তো তাকে ঘায়েল অবস্থায় বাড়িতে নিয়ে আসলে তাকে সেবা শুশ্রুষা করে এবং মহিলাটি হুশে আসার পরে সে সবকিছু দেখে অবাক হয়, কারণ সে ভূমি নিবাসী না আর এখানে সবকিছু ভিন্ন ধরণের, ফলে একটু ভয় পেতে থাকে, তবে কথা বলতে পারে তাদের ভাষায়। সেখানে থাকতে থাকতে সেই লোকটার সাথে একটা সম্পর্ক হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তাদের বিয়ে হয়। তবে তাদের এটলান্টিসের নিয়ম অনুযায়ী এটা অপরাধ ছিল আর তাছাড়া তার সেখানকার বাদশার সাথে বিয়েও ঠিক করা ছিল। আর এর জন্য সেখানকার সিপাহীরা তাদের উপর হামলা করে। তবে এই মহিলা তাদের সাথে লড়াই করার কলাকৌশল জানতো, ফলে টম আর তার ছেলেকে বাঁচিয়ে নেয়।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

তবে তাদের উপর যাতে পরবর্তীতে আর কোনো হামলা না হয়, তার জন্য সে আবার অ্যাটলান্টিস সমুদ্রের তলদেশে তাদের রাজ্যে ফিরে যায়, তবে তাকে এই অপরাধের জন্য পরবর্তীতে মৃত্যুর সাজা পরোয়ানা করে। তবে সে কোনোমতে সেখান থেকে বেঁচে যায় এবং অন্য একটা স্থানে আশ্রয় নেয়। এইভাবে দীর্ঘদিন বছর কেটে যাওয়ার পরে তাদের ছেলে অ্যাকোয়াম্যান বড়ো হয়ে যায় এবং তার মধ্যে তার মায়ের সেইসব শক্তি সবকিছুই মজুদ ছিল আর তাছাড়া তাদের উজিরে আজম লুকিয়ে লুকিয়ে ভূমিতে এসে অ্যাকোয়াম্যানকে সেখানকার অস্ত্রবিদ্যা এবং লড়াই করার কলাকৌশল শেখাতো। সে আসলে হাফ মানব আর হাফ আটলান্টানা ছিল, ফলে সে জলেও তলদেশেও চলাচল করতে পারতো তাদের মতো। তার কাছে একপ্রকার বলা যায় ডাবল শক্তি ছিল। তবে তার ভাই অর্থাৎ সৎ ভাই ওসিয়ান নামের একজন সেই এটলান্টিসের বাদশা হতে চায়, কিন্তু তার আসল অধিকারী এই অ্যাকোয়াম্যান, কারণ সে বড়ো ছেলে আর তার থেকে কাবিলও সবকিছুতে একটু বেশি। আর ওসিয়ান ভূমিবাসীর উপরে হামলা করে সবকিছু ধংস করার জন্যও উতালা হয়ে পড়ে।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

এই ধংসের হাত থেকে উভয় স্থানের লোকজন এবং তাদের দুই রাজ্য যাতে এক হয় তার জন্য মিরা নামের এক মেয়ে সমুদ্রের অ্যাটলান্টিস থেকে অ্যাকোয়াম্যান এর সাথে দেখা করতে আসে, কারণ সে জানে অ্যাকোয়াম্যান একজনই আছে যে ওসিয়ান এর সাথে লড়তে পারে আর এই সমস্যা থেকে সবাইকে বাঁচাতে পারে। এরপর সেই হিসেবে অ্যাকোয়াম্যান রাজি হয়ে অ্যাটলান্টিস মহাসমুদ্রের তলদেশে তাদের রাজ্যে যায় এবং প্রথমে লড়াই করে কিন্তু হেরে যায় আর মিরা নামের মেয়েটি তাকে বাঁচানোর জন্য তাদের বিমানে করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে। তবে তাদের পূর্বজের একটা অস্ত্র ছিল যেটা হাসিল করতে পারলে এই লড়াইয়ে ওসিয়ানকে হারাতে পারবে। আর অ্যাকোয়াম্যান সেই অস্ত্র হাসিলও করে শেষ পর্যন্ত এবং তাদের মধ্যে মহাযুদ্ধ হয় বিভিন্ন রাজ্য সহিত এবং এই অস্ত্রের মালিকানা অ্যাকোয়াম্যান হওয়ায় বাকিরাও তার পক্ষে যুদ্ধ করে। ফলে অ্যাকোয়াম্যান এই যুদ্ধ জিতে যায় এবং ওসিয়ানকে হত্যা করার বদলে তাকে কারাবাসে পাঠিয়ে দেয়।


☀ব্যক্তিগত মতামত:☀

এই কাহিনীতে আসলে প্রধান যে ঘটনা তা ছিল এই অ্যাটলান্টিস সমুদ্রের তলদেশে বসবাসরত একটি বড়ো রাজ্য আর এই ভূভাগ অর্থাৎ স্থলভাগে যারা বসবাস করতো তাদের চরম শত্রু মনে করতো এবং তাদের ধংস করার জন্য নানা পরিকল্পনা বছরের পর বছর করে যেত। অনেক সময় জলের তুফানে অনেকাংশ ধংসও করে ফেলতো আর এতে অনেক মানুষের প্রাণহানিও ঘটতো। আসলে তাদের এই শত্রুতার পিছনে একটা কারণ দেখাতো যে, ভূমিতে বসবাসরত লোকেরা সমুদ্রে নোংরা-আবর্জনা ফেলতো, ফলে তাদের রাজ্য দূষিত হতো। এখন এটা একটা ভুল ধারণা ছিল যেটা সময়ের সাথে সাথে তাদের মধ্যে এই ভ্রান্ত ধারণাগুলো চলে আসছিলো। আর এটা চাইতেও কেউ আটকাতে পারতো না। আর এর জন্য একটা যুদ্ধও প্রয়োজন ছিল যেটা এই অ্যাকোয়াম্যান এর মাধ্যমে দুই স্থানের বসবাসকারী লোকজনেরা শান্তিতে বসবাস করতে পারে এবং উভয়ের প্রতি ভুল ধারণাগুলি চিরতরে মিটে যায়।


☀ব্যক্তিগত রেটিং:☀
৮/১০


☀ট্রেইলার লিঙ্ক:☀



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা আপনি আজকেও অনেক সুন্দর একটা মুভির রিভিউ পোস্ট করেছেন। যেটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে পড়তে। এরকম মুভিগুলোর রিভিউ আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। অ্যাকোয়াম্যান মুভিটার রিভিউ আপনি খুব সুন্দর করে লিখেছেন। যার কারণে পুরোটা আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। এরকম ভাবে মুভিগুলো রিভিউ পড়লে আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে। উভয়ের প্রতি ভুল ধারণা গুলো চিরতরে মিটে গিয়েছিল এটা দেখে আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। এখানে তো দেখছি তাদের মধ্যে অনেক বেশি ভুল ধারণা জন্মেছিল। আর ভূমিতে বসবাস করা লোকেরা সমুদ্রে ময়লা আবর্জনা ফেলতো বলেই তাদের রাজ্যটা এরকম ভাবে দূষিত হচ্ছিল। অ্যাকোয়াম্যান হাওয়ায় বাকিরাও তার পক্ষে যুদ্ধ করেছিল এটা খুবই ভালো লেগেছে। দাদা এরকম মুভি গুলো আমার দেখা না হলেও, মুভিগুলোর রিভিউ পোস্ট পড়তে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে দাদা, পুরো মুভিটার রিভিউ সুন্দর করে লিখে সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।

দাদা আপনি সবসময় নতুন নতুন মুভি গুলোর রিভিউ সুন্দর করে সবার মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। এরকম মুভি গুলোর রিভিউ পড়তে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আর আমি তো সময় পেলে সাথে সাথে চেষ্টা করি সুন্দর সুন্দর মুভি গুলো দেখার। তবে এরকম ইংলিশ মুভি গুলো আমার দেখা হয় না। আগে বেশি দেখতাম ইংলিশ মুভি গুলো। আপনি অ্যাকোয়াম্যান এই ইংলিশ মুভি টার রিভিউ লিখেছেন খুব সুন্দর ভাবে। এই মুভিটার কাহিনী একটু ভিন্ন রকমের ছিল। অ্যাকোয়াম্যান এর মাধ্যমে দুই স্থানের বসবাসকারী লোকজনরা বসবাস করতে পারে এটা দেখলাম। আর সেই সাথে উভয়ের প্রতি ভুল ধারণাটাও চিরদিনের জন্য মিটে যায় এটা দেখে তো বেশি ভালো লেগেছে। দাদা আমি তো ভাবতেছি সময় পেলে এই মুভিটা দেখে নেব। কারণ এই মুভিটা যদি দেখা হয় তাহলে আরো বেশি ভালো লাগবে। পুরো রিভিউটা সুন্দর করে ভাগ করে নিয়েছেন দেখেই সম্পূর্ণটা পড়ার সুযোগ হলো। আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

দাদা এডভেঞ্চার টাইপের মুভিগুলো দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। এই ধরনের মুভিগুলো সিনেমা হলে গিয়ে দেখতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আলাদা একটা অনুভূতি কাজ করে মনের মধ্যে। আমি বেশ কয়েকটি ইংলিশ এডভেঞ্চার টাইপের মুভি সিনেমা হলে গিয়ে দেখেছিলাম। যাইহোক অ্যাকোয়াম্যান অবশেষে ওসিয়ানকে পরাজিত করে যুদ্ধে জয়লাভ করতে সক্ষম হয়। যেহেতু অ্যাকোয়াম্যান বড় হওয়ার পর তার মায়ের সব শক্তি মজুদ ছিলো অ্যাকোয়াম্যানের মধ্যে এবং উজিরে আজম অ্যাকোয়াম্যানকে লড়াই করার বিভিন্ন কলাকৌশল শিখিয়েছিল,সেহেতু সবমিলিয়ে অ্যাকোয়াম্যান ওসিয়ানের সাথে যুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু প্রথমে যুদ্ধে হেরে যাওয়ার পর, মিরা নামের মেয়েটি বেশ সাহায্য করেছে অ্যাকোয়াম্যানকে। শেষমেশ অ্যাকোয়াম্যান সেই অস্ত্র হাসিল করার পর মহাযুদ্ধে জয়লাভ করে। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে অ্যাকোয়াম্যান ওসিয়ানকে যুদ্ধে হারানোর পরেও হত্যা না করে, ওসিয়ানকে কারাবাসে পাঠায়। এখানে অ্যাকোয়াম্যান মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছে। সবমিলিয়ে এই মুভির রিভিউ বেশ উপভোগ করলাম দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি মুভির রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

কি ভয়ঙ্কর ঘটনারে বাবা। সমুদ্রের তল থেকে মানুষকে শাস্তি। সত্যি বলতে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা গুলো আমার পড়তে বেশ ভালো লাগে। আর আপনি কিন্তু দাদা এমন সব ঘটনার যে কোন সিরিজ বা মুভির খুব সুন্দর করে রিভিউ করতে পারেন। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি রিভিউ করার জন্য।

দাদা আপনার শেয়ার করা মুভিগুলোর রিভিউ পোস্ট পড়তে আমি খুবই ভালোবাসি। আমি যেহেতু সময়ের কারণে মুভি দেখতে পারিনা, তাই আপনার রিভিউ পোস্ট পড়লে মুভিগুলোর কাহিনী সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা নিয়ে নিতে পারি। তেমনি আপনার এই মুভিটার পুরো কাহিনী ও জানতে পারলাম। আপনি খুবই সুন্দর করে রিভিউগুলো লিখে থাকেন। অ্যাকোয়াম্যান এই মুভিটার রিভিউ আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। স্থলভাগে যারা বসবাস করত তাদেরকে তো দেখছি এরা চরম শত্রু মনে করত। আর তাদেরকে ধ্বংস করার জন্য সব সময় পরিকল্পনা করতে থাকতো। কিন্তু এটা তো তাদের অনেক বড় ভুল ধারণা ছিল। নোংরা আবর্জনা ফেলার ফলে তাদের রাজ্য দূষিত হতো ঠিকই, তবে এটা তো আটকানোর মত ছিল না। কিন্তু সবশেষে উভয়ের প্রতি ভুল ধারণাটা ভেঙ্গে গিয়েছিল। আর তাদের ভুল ধারণাটা ভেঙে যাওয়ার বিষয়টা দেখে বেশি ভালো লেগেছে দাদা। এই মুভিটা তো দেখছি অনেক আগের মুক্তি পেয়েছিল। আর এই মুভিটার দ্বিতীয় খন্ডও রিলিজ পেয়েছে শুনে ভালো লাগলো। সব মিলিয়ে সুন্দর করে সম্পূর্ণটা ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি অনেক বেশি।

দাদা এই ধরনের মুভি গুলোর প্রতি যদিও আমার তেমন একটা আগ্রহ নেই, তবে আপনার রিভিউগুলো পড়তে বেশ ভালোই লাগে। কারণ আপনি সাজিয়ে গুছিয়ে এত সুন্দর করে রিভিউগুলো লেখেন, যার কারণে পুরোটা পড়তে খুব ভালো লাগে। এই মুভিটা ২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল। সমুদ্রের তলদেশে বসবাস করা রাজ্যটা স্থলভাগের সব মানুষকে শত্রু মনে করত। ভূমিতে যারা বসবাস করত তারা সমুদ্রে নোংরা আবর্জনা ফেলতো, যার কারণে তাদের রাজ্য টা দূষিত হচ্ছিল। আর এসব কারণে তাদেরকে অনেক বেশি বড় শত্রু মনে করত। তবে এখানে তো দেখছি এটা তাদের ছিল সবথেকে বড় ভুল ধারণা। আর এই বিষয়টাকে আটকানোও সম্ভব না। তারা বুঝারই চেষ্টা করে না। সবার মধ্যে একটা বড় ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল আর ভুল বুঝাবুঝিটা মিটে গিয়েছিল পরবর্তীতে। এরকম ভুল বোঝাবুঝি হলে সেটা যদি মিটে যায় তাহলে তা খুব ভালোই লাগে। দাদা আপনার মুভির রিভিউ পোস্টগুলো পড়ার প্রতি আরো বেশি আগ্রহ জেগে গিয়েছে আমার। তাই আমি সব সময় অপেক্ষায় থাকবো আপনার এরকম সুন্দর মুভি গুলোর রিভিউ পোস্ট পড়ার জন্য।

দাদা আজকে “অ্যাকোয়াম্যান” নামের আপনি যে মুভিটা রিভিউ শেয়ার করেছেন। সেটা আমার এখানো দেখা হয়নি। তবে মুভিটার কাহিনী আমার কাছে দারুন লেগেছে। এখানে জেমস ওয়ান কিসের উপরে ভিত্তি করে মুভিটা তৈরী করেছে সেটা জানার জরুরী। যদি আমার সেই উদ্যেশ্যটা জেনে নিতে পারি তাহলে মুভিটা বুঝতে আমাদের অনেক সহজ হবে। এখানে বাস্তব সত্য কথা হলো যে সত্যিই কিন্তুু মানুব জাতি পানিতে ময়লা আবর্জনা ফেলে পানি দূষিত করছে। এই অপরাধকে আমরা কেউ অস্বিকার করতে পারি না। তবে এখানে আমাদের তেমন কিছু করার নেই। মানুষ পৃথিবীতে বসবাস করলে পানি কিছুটা দূষিত হবেই। তবে তা বলে ওসিয়ানের মত মনভাব নিয়ে মানব জাতিকে ধ্বংস করে দিলে হবে না। পানির তলের রাজ্যের মানুষ যেমন বিষয়টা বুঝতে পেরেছে তেমনি ভূপিষ্টের মানুষও বিষয়টা বুঝতে পেরেছে। এখানে আটলানা বিষয়টা বুঝতে পেরে সে সমুদ্র তলদেশে ফিরে গেছে। তবে আবার এখানে আবার তাদের উজিরে আজম পূর্ব থেকেই বিষয়টা বুঝতে পেরে অ্যাকোয়াম্যান কে সব কিছু শিখিয়েছে। পরে সেখান থেকে সংবাদের মাধ্যমে অ্যাকোয়াম্যান সেখানে গিয়ে ওসিয়ানকে বন্দি করে দুই রাজ্যের মধ্যেই সমতা ফিরিয়ে এনেছে। সবাইকেই বেঁচে থাকতে হবে। যথা সম্ভব অন্য জিনিষের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ধন্যবাদ দাদা।

"অ্যাকোয়াম্যান" মুভিটি যদিও দেখা হয়নি। তবে মনে হচ্ছে এই মুভিটি একেবারে অ্যাডভেঞ্চারে পরিপূর্ণ। ভিন্ন ধরনের একটি মুভি পড়লাম দাদা। যেহেতু দ্বিতীয় খন্ড চলে এসেছে আশা করছি খুব শীঘ্রই আমাদের হবু বৌদিকে নিয়ে হলে গিয়ে দেখবেন🤭🤭। আর আমাদের মাঝে রিভিউ শেয়ার করবেন। তবে দাদা এই মুভির কাহিনীটা কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে। আসলে অনেক সময় আমরা জলে ময়লা আবর্জনা ফেলি আর অন্য কোন প্রাণীর বসবাসের অযোগ্য করে ফেলি। এই মুভিটির মাধ্যমে অনেক কিছুই বুঝতে পারলাম দাদা। অ্যাকোয়াম্যান বড় হওয়ার পর যেহেতু অনেক শক্তি পেয়েছে তাইতো সব সমস্যা মোকাবেলা করার চেষ্টা করেছে। অ্যাকোয়াম্যান সবটা হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করেছে। আর সকলের বসবাস করার সুবিধা তৈরি করেছে।অ্যাকোয়াম্যান অবশেষে ওসিয়ানকে পরাজিত করেছে এবং যুদ্ধে জয়লাভ করেছে জেনে ভালো লাগলো দাদা। দারুন একটি অ্যাডভেঞ্চার মুভি রিভিউ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।