ওয়েব সিরিজ রিভিউ: রুদ্রবীনার অভিশাপ- উদারা ( সিজন ২- চতুর্থ পর্ব )

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে রুদ্রবিনার অভিশাপ ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় সিজনের চতুর্থ পর্ব রিভিউ দেব। আজকের এই পর্বের নাম হলো "উদারা"। আগের পর্বে লাস্ট দেখেছিলাম যে শ্রুতি আর বিক্রম গ্রামে একটি বৃদ্ধর বাড়িতে গিয়েছিলো যাকে নাদ লোকটা শুরুতেই মেরে ফেলেছিলো। আজকের পর্বে দেখা যাক ঘটনা কতদূর কি হয়।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
রুদ্রবিনার অভিশাপ
প্লাটফর্ম
hoichoi
সিজন
পর্ব
উদারা
পরিচালকের নাম
জয়দীপ মুখার্জি
অভিনয়
বিক্রম চ্যাটার্জি, রূপসা চ্যাটার্জি, সৌরভ দাস, দিতিপ্রিয়া রায়, উষশী রায় ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
২৪ ডিসেম্বর ২০২১( ইন্ডিয়া )
সময়
২০ মিনিট ( চতুর্থ পর্ব )
ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


❆মূল কাহিনী:❆


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব

নাদ যখন বৃদ্ধ লোকটির কাছে সবকিছু শুনছিলো তখন এই বৃদ্ধের নাতিটাও সেই সব কথা ভালো করে শুনছিলো আর এই কথাগুলো নাদ গোপন রাখতে বলে গিয়েছিলো নাহলে তাদের বাড়ির সবাইকে মেরে ফেলবে এইরকম একটা হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। তবে বৃদ্ধ লোকটির কাছে যেসব বিষয় শুনেছিলো তখন অনেক কথা অসম্পূর্ণ রেখে দিয়েছিলো অর্থাৎ সেই ভাগটা দেখায়নি। বৃদ্ধের নাতি যদিও বিক্রমদের বাড়িতে কাউকে জানিয়েছিল এবং তাদের জানাতে বলেছিলো কিন্তু তারপরেও তাদের কেউ কিছু বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত করেনি। তবে এখন বৃদ্ধের নাতিটি তার দাদুর ছবির সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে তাদের সেইসব বিষয়গুলো বলতে থাকে। এখানে মদন্তীর বংশধর কে কে ছিল এই বিষয়টা এই বৃদ্ধ নাদকে সব বলে দিয়েছিলো অর্থাৎ এই সালামত খাঁ আর নূর জাহান যে বাহাদুরের ছেলে-মেয়ে ছিল সেইটা এই নাদকে বলার পরেই মারার টার্গেট নিয়েছিল আর সাথে বিক্রম এরা সবাই যে মদন্তীর বংশধর ছিল সেটাও বলে দিয়েছিলো। তবে এই বর্তমান নাদের আগের যে নাদ অর্থাৎ কেদার নামের লোকটা ছিল সে রুদ্রপুর থেকে ৫ জন শিশুকে নিয়ে লুকিয়ে এই বৃদ্ধের সহযোগিতায় আনন্দগড় চলে এসেছিলো যাতে তাদের ভবিষ্যত নষ্ট না হয়।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব

যে ৫ জনকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলো ওই ৫ জনকেই আমানত খাঁ তাদের শিক্ষা দানের সময় চাকতিগুলো দিয়েছিলো। এইটুকুই বৃদ্ধের নাতিটি তাদের দুইজনকে জানায়। আর এই যে বৃদ্ধের নাতি যাকে বলেছিলো তাদের জানাতে সে রামনিধি বলে একজন লোক যে বিক্রমের মামা সম্পর্ক হয়। এই রামনিধি লোকটাও সেই ৫ জনের একজন ছিল আর এ মোটামুটি অনেক কিছুই জানতো। বিক্রমের মাকে যে কিডন্যাপ করে রুদ্রপুরে আটকে রেখেছে সেটার ব্যাপারেও সবকিছু জানতো সে। যাইহোক বিক্রম আর শ্রুতি সেখান থেকে বেরিয়ে একটা ভ্যান নিয়ে রামনিধি লোকটার বাড়ির দিকে যায় আর এই লোকটা গ্রামে একজন সন্যাসী বেশে বসবাস করছে। বিক্রম আর শ্রুতি যখন রামনিধি লোকটার আশ্রমের কাছে নামে তখন গৌরাঙ্গ নামক লোকটা রামনিধির বাড়ির থেকে বের হতে দেখে আর তাকে দেখেই চিনে ফেলে যে বাঁশি হাতে একদিন তাদের পিছু নিচ্ছিলো। যাইহোক লোকটা সেখান থেকে তাদের দেখে দ্রুত চলে যায়। এরপর বিক্রম আর শ্রুতি রামনিধি লোকটার কাছে গিয়ে দেখে যেন ভয়ে সে রীতিমতো কাঁপতে থাকে। তার ওখানে একজন শিষ্য জানায় যে এই গৌরাঙ্গ লোকটা যতবারই এসে গুরুজীর সাথে কথা বলে চলে যায় ততবারই এইরকম ভয় পেয়ে থাকে।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব

রামনিধি লোকটার কাছে গিয়ে এই গৌরাঙ্গ লোকটার ব্যাপারে জানতে চায় যে এই লোকটা আসলে কে, আর আমাদের কোন বিপদের থেকে একভাবে ইশারার মাধ্যমে সতর্ক করার চেষ্টা করছে। রামনিধি লোকটা ভয়ে টোটালি মুখ খুলতে চায় না, কিন্তু বিক্রম যখন বলে যে আমার মায়ের যদি কোনো ক্ষতি হয় তাহলে তার জন্য আপনিও দায়ী থাকবেন, এই কথা বলার পরে রামনিধি লোকটা সব বলতে রাজি হয়। গৌরাঙ্গ লোকটা ছিল রামনিধি লোকটার বন্ধু, তারা একসাথে বাল্যকালে শিক্ষা গ্রহণ করেছিল আর এখন গৌরাঙ্গ রুদ্রপুরের রাজপরিবারের লোক হয়ে কাজ করে আর তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে যেন সে আনন্দগড় এ গিয়ে সবার তথ্য সংগ্রহ করে অর্থাৎ কে কোন বংশধরের। এইসব গোপন রহস্যগুলো রামনিধি লোকটাকে এসে খবর দিতো এবং তাকে সাবধান করেছিল যে ঘরের বাইরে না বেরোতে, কারণ যখন তখন বিপদ হয়ে যেতে পারে। রুদ্রপুরের লোকজন ভালো না সেটাও সে তাকে বলে গিয়েছিলো। এরপর বিক্রম রামনিধি লোকটাকে তাদের আনন্দগড়ের হাভেলিতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আর সেখানে সুরক্ষিত থাকবে বললে সে রাজি হয়ে যায়। এরপর সবাই বাড়িতে আসার পর বৃদ্ধের মৃত্যুর খবরটা জানায় আর সবাই একটু শোকাতুর হয়ে পড়ে। এইসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন বাড়ির সবাই ভয় পাচ্ছে যে বিক্রমের মায়ের কোনো বিপদ না হয়ে যায়।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব

বাহাদুর লোকটা বারবার নলীতকে তার মেয়ে দিতিপ্রিয়াকে নিয়ে চলে যেতে বলছে কারণ তার মনে ভয় ঢুকে গেছে যে তার মাকে মেরেছে মানে এইবার তাকে মারার টার্গেট করে বসে আছে। কিন্তু দিতিপ্রিয়া এখান থেকে যেতে রাজি না, তার মায়ের স্মৃতি আঁকড়ে ধরে থাকতে চায় আর খুনিদের খুঁজে বের করতে চায়। বিক্রম পরে তাকে বোঝানোর দ্বায়িত্ব নেয় এবং খুনিদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করবে সেটাও বলে। কিন্তু এইসব কিছুর জন্য একটাই উপায় রাগ সঞ্জীবনী, কারণ ওইটাই এখন সবকিছু । স্বরলিপির কোডগুলো ক্র্যাক করতে পারলে সবকিছু সম্ভব হবে। তবে বিক্রম এই ক্ষেত্রে কিছু সিনিয়র সংগীত শিল্পীদের কন্টাক্ট নম্বর চায় যাতে তাদের থেকে এই বিষয়ে কিছু হিন্টস পাওয়া যায়। বিক্রম কয়েকজনের সাথে দেখাও করে কিন্তু সবাই হাত ছেড়ে দেয়। এরপর তারা একটা পুরানো হাভেলিতে যায় আর সেখানে কিছু সুরকারের বই খুঁজতে লাগে আর একটা বহু পুরানো রেকর্ডের ডিস্ক খুঁজে পায় আর রেকর্ডটা ছিল শশীকান্ত ভরদ্বাজ নামে। এরপর বিক্রম আর শ্রুতি শশীকান্ত ভরদ্বাজ মিউজিক ইনস্টিটিউট এ যায় যেটা গান্ধারগড়ে অবস্থিত।


❆ব্যক্তিগত মতামত:❆

এই পর্বে উদারা এই শব্দটা হলো একটা স্বরলিপির কোড, আর এই কোড তাদের চাকতিতে দেওয়া চিহ্নগুলোতে মেলাতে হবে যার কোনো হিন্টস কোথাও দেওয়া নেই। এখন এই বিষয়ে তাদের সাহায্য করার জন্য কিছু সিনিয়র সেরা সংগীতকারের সাহায্য নিতে চায় যাতে তারা কোনোকিছুর হিন্টস দিতে পারে। অনেক জায়গায় গিয়েছে কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে গৌরাঙ্গ নামক লোকটা রুদ্রপুরের হয়ে কাজ করলেও গোপনে বিক্রমদের সাথে সাথে সবসময় রয়েছে যাতে তাদের ক্ষতি করতে না পারে। নাদ লুকিয়ে রাতেরবেলা রুদ্রপুরে যায় এবং রুদ্রভৈরব এর কিছু কথাবার্তা শুনে ফেলে, রুদ্রভৈরব তাদের রুদ্রপুরের একজনকে দায়িত্ব দেয় যে নাদের দিয়ে আর হবে না, তাই বাকি কাজটা তোমাকেই করতে হবে অর্থাৎ আনন্দগড়ের হাভেলির সমস্ত লোকজনকে মেরে ফেলতে বলে। বিক্রম আর শ্রুতি সেই রেকর্ড এর ডিস্ক নিয়ে মিউজিক্যাল ইনস্টিটিউট এ গিয়েছে এখন এখান থেকে আসা করা যায় তারা কিছু বিষয় জানতে পারবে বা হিন্টস পেতে পারে।


❆ব্যক্তিগত রেটিং:❆
৯.৬/১০


❆ট্রেইলার লিঙ্ক:❆


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এই রহস্যময় ওয়েব সিরিজের এই পর্বটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আর এই পরবর্তী ছিল আরো বেশি রহস্যময় কারণ উদারা এই শব্দটা ছিলো মূলত একটি কোড। এই কোড তারা তাদের চাকতিতে দেওয়া চিহ্নগুলোতে মেলাতে হয়।আর কোন হিন্টস কোথাও দেওয়া নেই।আর এই বিষয়টাতে তাদের সাহায্য করার জন্য কিছু সিনিয়র সেরা সংগীতকারের সাহায্য নিতে চায়ছিলো।যাতে করে কোনোকিছুর হিন্টস দিতে পারে। আর এই বিষয়টা নিয়ে অনেক জায়গায় গিয়েছে তারপরেও তারা সফল হতে পারেনি।অণ্য দিকে গৌরাঙ্গ নামক লোকটা আসলে গোপনে বিক্রমদের সাথে থাকতো যাতে তাদের ক্ষতি করতে না পারে।রহস্যময় হলো নাদ লুকিয়ে রাতেরবেলা রুদ্রপুরে যেতো আর রুদ্রভৈরব কথাবার্তা শুনে ছিলো।এই রহস্যময় ঘেরাও ওয়েব সিরিজটি যত পড়ছি তুই ভালো লাগে। আজকের পর্বটি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে এবং অনেক কিছু জানতে পেরেছি। আশা করছি আগামী পর্বে আরো ভালো কিছু জানতে পারবো। রহস্য আরো কিছু ঘটনা আমাদের সামনে আসবে। সে পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

ওয়েব সিরিজের এবারের পর্বটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম দাদা। আসলে রহস্য ধীরে ধীরে আরো বেশি জটিল হচ্ছে। গৌরাঙ্গ নামক লোকটি একদিকে রুদ্রপুরের হয়ে কাজ করছে অন্যদিকে বিক্রম ও শ্রুতিকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করছে। এর মাঝেও আলাদা রকমের রহস্য আছে। রাগ সঞ্জীবনীর আরো কিছু তথ্য সামনে চলে এলো। স্বরলিপির কোডগুলো ক্র্যাক করতে পারলে হয়ত আরো অনেক তথ্য সামনে চলে আসবে। এবার যেহেতু বিক্রম আর শ্রুতি সেই রেকর্ড এর ডিস্ক নিয়ে মিউজিক্যাল ইনস্টিটিউট এ গিয়েছে আশা করা যায় আরো নতুন তথ্য সামনে চলে আসবে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

রুদ্রবীনার অভিশাপ ওয়েব সিরিজটির প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম দাদা। আজকে দ্বিতীয় পর্ব পড়তে পেরে ভালো লাগলো। কেদারা ভালই করেছিল পাঁচজন শিশুকে লুকিয়ে নিয়ে এসে। আমি আসলে উদারা ব্যাপারটা বুঝতে পারছিলাম না আপনার মতামত পড়ে বুঝলাম। তবে হিন্টস মিলানো কঠিন কাজ। যদি স্বরলিপির কোড গুলো মেলাতে পারে তাহলে মনে হয় কিছুটা রহস্য বের হবে। গৌরাঙ্গ লোকটি রুদ্রপুরের সাথে থাকলেও বিক্রমদের সাথে আছে এতে কি ক্ষতি না ভালো বুঝতে পারলাম না। বিক্রম আর শ্রুতি তো গেল মিউজিকাল ইনস্টিটিউটে দেখা যাক এবার কি হয়। মনে হচ্ছে এবার রহস্যের কিছুটা উদঘাটন হবে। পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

রুদ্রবীনার অভিশাপ ওয়েব সিরিজের ট্রেইলার দেখেছিলাম কিন্তু ওয়েব সিরিজটি দেখা হয়নি। প্রথম পর্ব পড়েছিলাম আমি। এ পর্বে দেখছি স্বরলিপির কোড গুলো মিলাতে পারলে অনেকটাই সহজ হয়ে যেত। গৌরাঙ্গ লোকটির উদ্দেশ্য কি সেটা বুঝতে পারলাম না। গৌরাঙ্গ দেখছি এদিক এবং ওই দিক দুই দিকেই রয়েছে। তাছাড়া বিক্রম এবং শ্রুতি তো গেল মিউজিকাল ইনস্টিটিউটে এবার নিশ্চয়ই রহস্যের সমাধান কিছুটা বের করতে পারবে। আসলেই কি হবে এটা জানার জন্য পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

রহস্য দিন দিন জটিল হয়ে যাচ্ছে। আগের পর্ব পড়ে ভেবেছিলাম রহস্য কিছুটা খুলবে সামনের পর্বে কিন্তু এই পর্বে ব্যাপারটা আরো জটিল হয়ে গেল।হিন্টস মিলানো কঠিন কাজ এখন দেখা যাক কি হয়!গৌরাঙ্গ নামক লোকটি একদিকে রুদ্রপুরের হয়ে কাজ করছে আবার বিক্রম ও শ্রুতিকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে এর কারণটা এখনও আমি ঠিকঠাক বুঝতে পারলাম না। রহস্যময় এই ওয়েব সিরিজের পরের পর্বে কি হয় দেখা যাক, সে অপেক্ষায় রইলাম।

দাদা, আমি বাংলাদেশের ব্যবহারকারী। আমি এই একাউন্ট থেকে আমার লোকাল ব্যাংকে কিভাবে টাকা উইথড্র করতে পারবো? যদি একটু বুঝিয়ে দিতেন!
ধন্যবাদ!

এই সিরিজটি বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল।মদন্তীর বংশধরদের কথা বৃদ্ধ নাদকে সব বলে বিক্রমদেরকে বিপদের মুখে ফেলে দিল।দাদা বৃদ্ধের কাছ থেকে অসম্পূর্ণ কথাগুলো কি জানা গিয়েছিল?আর রামনিধি লোকটার সঙ্গে গৌরাঙ্গ লোকটির কি কোনো যোগসূত্র রয়েছে?গৌরাঙ্গ লোকটি যে তলে তলে বিক্রমের দলে কাজ করে রক্ষক হয়ে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো।স্বরলিপির কোডগুলি মেলাতে আশা করি পরের পর্বে কোনো না কোনো হিন্টস নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে।সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন, এই ধরনের সিরিজগুলো খুবই ভালো লাগে পড়তে।ধন্যবাদ দাদা।

দাদা বৃদ্ধের কাছ থেকে অসম্পূর্ণ কথাগুলো কি জানা গিয়েছিল?আর রামনিধি লোকটার সঙ্গে গৌরাঙ্গ লোকটির কি কোনো যোগসূত্র রয়েছে?

না, বৃদ্ধের নাতি যতদূর জানতে পেরেছিলো ততটা বলেছিলো। আর রামনিধির সাথে গৌরাঙ্গ লোকটার বন্ধুত্ত্ব রয়েছে, কারণ তারা একই জায়গার থেকে শিক্ষা নিয়ে বড়ো হয়েছে।

এইবার বুঝলুম, দাদা।

ছুটি নেয়ার কারণে অনেকগুলো পর্ব মিস হয়ে গিয়েছে দাদা। সময় পেলে আগের পর্বগুলো পড়ে নিব। এই ফাঁকে মনে হচ্ছে দিতিপ্রিয়ার মাকে মেরে ফেলেছে । তাছাড়া বাড়ির লোকজনের সব জেনে গিয়েছে যে বিক্রমের মা কে কিডন্যাপ করেছে। রুদ্র ভৈরবের আবার নাদের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে গিয়েছে নাকি? সে নাদ দিয়ে কাজ হবে না বলছে। অন্য কাউকে দিয়ে ওই কাজ করাতে চাচ্ছে। তাছাড়া ওদের পরিবারের সবাইকে মেরে ফেললে রাগ সঞ্জীবনী কিভাবে খুজে পাবে। কারণ বিক্রম রাগ সঞ্জীবনী খুঁজে পাওয়ার জন্য যত রকম দরকার সব চেষ্টা করছে। বড় বড় সংগীত শিল্পীরাও সব সাহায্য করতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন দেখা যাক যে ওই ডিস্ক থেকে কোন ক্লু পাওয়া যায় কিনা। অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে কাহিনী। খুব ভালো লাগলো দাদা। ধন্যবাদ।

রুদ্র ভৈরবের আবার নাদের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে গিয়েছে নাকি?

তা উঠেছে, কারণ তার কথামতো সে কাজ করছে না অর্থাৎ যাদের মারতে বলছে তাদের সে আর মারতে ইচ্ছুক না।

দাদা ধীরে ধীরে কাহিনীর মজা বুঝা যাচ্ছে। এখন উদারা শব্দের কোড গুলো চাকতিতে দেওয়া চিহ্নগুলোতে মেলাতে হবে। এগুলো সবাই পারবে না। তাই সিনিয়র সংগীতকারের দরকার। দেখা যাক কে মিলাতে পারে। আর একটি বিষয় হলো বিক্রম আর শ্রুতি সেই রেকর্ড দিয়ে কি জানা যায় সেটাই দেখার বিষয়। ধন্যবাদ দাদা।