টিভি সিরিজ রিভিউ: দ্যা ইমপারফেক্টস-অন অফ আস ( পর্ব ৪ )

in hive-129948 •  last year 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে দ্যা ইমপারফেক্টস টিভি সিরিজটির চতুর্থ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নামটি হলো "অন অফ আস"। আগের পর্বে লাস্ট দেখেছিলাম রুইজ নেকড়ের রূপ ধারণ করে ওয়্যারহাউস থেকে বেরিয়ে চলে গিয়েছিলো এবং আবি আর টিল্ডা সেখান থেকে বায়ো হ্যাকার এর ডাটা নিয়ে চলে এসেছিলো। আজকে দেখবো কি হয়।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


ꕥকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:ꕥ

সিরিজটির নাম
দ্যা ইমপারফেক্টস
প্লাটফর্ম
নেটফ্লিক্স
সিজন
পর্ব
অন অফ আস
পরিচালকের নাম
শেলি এরিকসেন এবং ডেনিস হিটন
অভিনয়
ইতালিয়া রিকি, মরগান টেলর ক্যাম্পবেল, ইনাকি গোডয়, রিয়ানা জগপাল, কাইরা জাগোরস্কি, রিস নিকলসন ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
সময়
৪৫ মিনিট ( চতুর্থ পর্ব )
মূল ভাষা
ইংলিশ
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইউনাইটেড স্টেট


✠মূল কাহিনী:✠


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

তো রুইজ ওয়্যারহাউস থেকে নেকড়ের রূপ ধারণ করে যখন বেরিয়ে জঙ্গলের ভিতরের দিকে চলে গিয়েছিলো তখন আবি আর টিল্ডা তাকে অনেকবার ডাকাডাকি করেও কোনো খোঁজ না পেয়ে চলে যায়। রুইজ ওখান থেকে নেকড়ের রূপে সোজা চলে গিয়েছিলো তার বড়ো ভাইয়ের বাড়িতে আর সেখানে তার ভাইয়ের মেয়ে তাকে দেখে ফেলে আর ভয় পেয়ে যায়। এরপর তার বাবাকে ডেকে নিয়ে আসলে তার বাবাও রক্ত দেখে রড নিয়ে বাইরে বের হয় আর রক্তের ফোটা দেখে গাড়ি রাখার গ্যারেজের ভিতর চলে যায় আর সেখানে যাওয়ার পরে আবার মানুষের রূপে ফিরে আসে এবং এরপর তার ভাই তাকে চিনতে পারে। এরপর টিল্ডার কাছে ফোন করে আর তাকে নিয়ে যেতে বলে সেখান থেকে। এদিকে আবি আর টিল্ডা সেখান থেকে সোজা ডাক্তার ইতালিয়া রিকির কাছে পৌঁছিয়ে যায়। সেখানে ওয়েন শুল্টজ নামক একটি লোক আসে আর তার উপর তাদের কারো কোনো সাইড ইফেক্ট এর প্রভাব পড়ে না, এমনকি তাকে যদি কোনো বড়ো হাতিয়ার দিয়ে কোপ মারাও হয় তাও তার শরীরে কোনো কিছুর প্রভাব পড়ে না। এরপর দেখা যায় সেই ওয়্যারহাউস এ যেখানে মূল যে ম্যাক্সওয়েল এর মৃতদেহ পড়ে ছিল সেখানে একজন এজেন্ট জিম স্পনসন আসে আর সবার লাশ দেখে,সাথে আসল ম্যাক্সওয়েল এরও। এরপর তার লোকেদের এই তিনজনের উপর নজর রাখতে বলে সবসময় । এই জিম স্পনসন এর আন্ডারের আরেকজন এজেন্ট জেনিফার রুইজ এর খোঁজে লেগে পড়ে, এমনকি বাড়িতেও তার উপর নজর রেখেছে।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

রিকি ব্রায়ান এর কাছে যে সাইড ইফেক্ট এর বিষয়ে জানার জন্য ফোন করেছিল সেটি সে খুঁজে বের করেছিল এবং রিকিকে ভয়েস মেসেজ এর মাধ্যমে সেটি বলে দিয়েছিলো কিন্তু রিকি জানে না যে সে মারা গেছে। এই ওয়েন শুল্টজ নামক লোকটিরও শরীরে একধরণের সাইড ইফেক্ট আছে যা তাকে অলৌকিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে ফেলে। আর ডাক্তার এই রিকির কাছ থেকেই মেডিসিন বা ডোজ নিয়ে থাকে প্রায়, কারণ তার শরীরে এই শক্তি ক্ষীণ হয়ে গেলে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এদিকে রুইজ আসতেও পারছে না, কারণ তার বড়ো ভাই তার কাছে তার মেয়েকে রেখে হসপিটালে চলে যায়। এখন ওয়্যারহাউস এর এই বিষয়ে এরা পুলিশের কাছে একপ্রকার ফেঁসে গেছে, কারণ ওখানে সিসি টিভি ক্যামেরায় মোটামুটি এদের তিনজনকে দেখা গেছে বলে ডিটেক্টিভদের ধারণা। রুইজ এর ঘরে তো একজন ডিটেক্টিভ গিয়েছিলো তাকে খোঁজার জন্য, এরপর আরেকজন ডিটেক্টিভ রিকির হোম ক্লিনিকে চলে আসে তার সাথে কথা বলার জন্য, কিন্তু টিল্ডা আর আবি ভাবে যে ওই ঘটনার বিষয়ে আসলে তারা ফেঁসে যাবে তাই তারা ডাক্তার রিকিকে ডাকতে পাঠিয়ে দেয়। আর জেনিফার আবার টিল্ডার মূল বাড়িতে পৌঁছিয়ে যায় যেখানে তার একজন বন্ধুও থাকে আর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডাকে।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

তবে যে ডিটেক্টিভ রিকির সাথে দেখা করতে এসেছিলো সে মূলত ব্রায়ানের মৃত্যুর খবরটা জানাতে এসেছিলো কারণ তার ভালো বন্ধু ছিল সে। টিল্ডার বাড়িতে যে জেনিফার গিয়েছিলো খোঁজ করতে কিন্তু তার বন্ধু দরজা খুলিনি আর কথা বলতে চায়নি, কারণ সে নিজেও তাকে খুঁজছে। তবে রুইজ এর গার্লফ্রেন্ড জেনিফারকে ফোন করে বলে দেয় যে রুইজ পোর্টল্যান্ড তার ভাইয়ের বাড়িতে আছে। এখানে তার গার্লফ্রেন্ড এর সন্দেহ হয় কারণ রুইজ বলেছিলো তার ভাইয়ের সাথে বহু বছর ধরে কোনো কথা বলতো না, তাহলে এখন হঠাৎ কি জন্য তার ওখানে গিয়েছে। আর জেনিফার এজেন্ট জিম স্পনসনকে ফোন করে ঠিকানা বলে দেয়। এরপর জিম স্পনসন পোর্টল্যান্ড চলে যায় সেখানে গিয়ে রুইজকে দেখতে পায় আর ওয়্যারহাউস এর ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে লাগে কিন্তু তাকে এরেস্ট করে নিয়ে যাবে, তাই তার ভাতিজার সামনে তাকে গ্রেফতার করতে চায় না বলে তাকে থানায় তার সাথে যেতে বলে । এদিকে ওয়েন শুল্টজ হান্নাকে ধরে নিয়ে আসে কারণ ব্রায়ানকে ওইই মেরেছে বলে সে জানে। কিন্তু হান্না আগে থেকেই আবির দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী রিকির ওখানে চলে যায়। তবে হান্নাকে দেখে ওয়েন শুল্টজ পাগলের মতো হয়ে যায় আর তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে কিন্তু রিকি তাকে বাঁচিয়ে নেয়।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

রিকি তাদের বাঁচিয়ে নিলেও তার শরীরে কোপার লেভেল এতো হাই হয়ে গিয়েছিলো যে তাকে আটকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছিলো, কিন্তু রিকি এমোনিয়া এর গ্যাস ছাড়ে রুমের মধ্যে যাতে তার কোপার লেভেলটা কম হয়। অন্যান্য সবার ক্ষেত্রে এই এমোনিয়া গ্যাস বিপদজনক কিন্তু তার শরীরে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না। এদিকে রুইজকে জিম স্পনসন অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঘরের বাইরে আনতেই তাকে মারতে থাকে আর সেইদিন ওয়্যারহাউস এর ল্যাবে কি হয়েছিল সেটি জানতে চায়। কিন্তু রুইজ যা বলে সেগুলো বিশ্বাস করতে চায় না, এরপর বন্দুক বের করে গুলি করতে চাইলে তার ভাতিজা পালোমা চলে আসে আর তাকেও মেরে ফেলতে চায় তাই তখন রুইজ নেকড়ের রূপে পরিবর্তিত হয়ে যায় আর জিম স্পনসন এর মুখে কামড় বসিয়ে দেয়। এরপর আবার মোটামুটি কিছুক্ষন পরে ঠিক হয়ে যায় রুইজ আর তার ভাই তাকে মেনে নেয় আর সেখানে থাকতে বলে। এরপর টিল্ডা ওদের সাথে দেখা করতে আসে আর এইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে লাগে।


✠ব্যক্তিগত মতামত:✠

এই পর্বে আসলে মূল কাহিনী যেটা দেখা গেলো সেটা হলো এই ওয়্যারহাউস এর ল্যাবে ঘটে যাওয়া কাহিনী নিয়ে এই তিনজনের পিছনে কিছু এজেন্ট লেগে বসে। তবে এই এজেন্ট বা যারা পুলিশের পরিচয় দিয়ে তাদের পিছনে লেগেছে তারা আসলেই কোনো ডিটেক্টিভ না, শুধু তাদের আইডেন্টিটি নকল বানিয়েছে। ফলে টিল্ডা যখন এদের নাম নিয়েছিল একজন অরিজিনাল ডিটেক্টিভ এর কাছে তখন সে তাদের চিনতেই পারিনি, কারণ তাদের ডিপার্টমেন্টে এইরকম কোনো ডিটেক্টিভই নেই। তবে রুইজ তার হারকাত দেখে বুঝে ফেলিয়েছিলো যে এ কোনো এজেন্ট হতে পারে না, কোনো অন্য কাজের সাথে যুক্ত। তবে রুইজ এর শক্তি সম্পর্কে এদের কোনো ধারণা ছিল না। এরা মূলত এই বায়ো ডাটা হ্যাকার এর লোকজনদের সাথে যুক্ত যেটা বোঝা গেলো, আর এখন তাদের মৃত্যুর পিছনে কি কাহিনী ছিল সেটা খোঁজার চেষ্টা করছে এদের তিনজনের কাছ থেকে। আর ওয়েন শুল্টজ লোকটার শরীরে কোপার লেভেল হাই করে দিয়ে সারকোভ এমন এক্সপেরিমেন্ট করেছিল যে সে সুপার হিরোর মতো থাকবে অর্থাৎ তাকে কেউ বা কিছু দিয়ে মারা যাবে না। কিন্তু এই কোপার লেভেল তার শরীরে এখন যদি না কম করা হয় তাহলে তার মৃত্যু হতে পারে।


✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৭.৮/১০


✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দ্যা ইমপারফেক্টস এর "অন অফ আস" নামক টিভি সিরিজটির এবারের পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। এই টিভি সিরিজটি সত্যি একেবারে ভিন্ন রকমের। গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম রুইজ নেকড়ের রূপ ধারণ করে ওয়্যারহাউস থেকে বেরিয়ে চলে গিয়েছিলো। অন্যদিকে আবি ও টিল্ডা সেখান থেকে বায়ো হ্যাকার এর ডাটা নিয়ে চলে এসেছিলো। এবার নতুন পর্বে অনেক কিছু জানতে পারলাম। সারকোভ ওয়েন শুল্টজ নামক ব্যক্তির উপর এমন এক্সপেরিমেন্ট করল যে সে প্রায় পাগল হয়ে যাচ্ছিল। আসলে ডোজ অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল মনে হচ্ছে। তাইতো সে সবার উপর আক্রমণ করছিল। রিকি হান্নাকে বাঁচিয়ে নিয়েছিল বলেই ওয়েন শুল্টজ এর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল। না হলে তার ভীষণ বিপদ হতে পারত। অন্যদিকে রুইস আবারো নেকড়ের রূপ থেকে সাধারণ রূপে ফিরে আসে। সবকিছুই একেবারে রহস্যময়। তবে তাদের পেছনে যেই ডিটেক্টিভ লেগেছিল সে সত্যিকারে ডিটেক্টিভ নয় এটা সবাই বুঝতে পেরেছে। আসলে ডিটেক্টিভ এর আইডেন্টিটিতে অনেক সমস্যা রয়েছে। রুইজ তার হারকাত দেখে বুঝেছিল সে সত্যিকারের ডিটেক্টিভ নয়। হয়তো অন্য কোন কাজের জন্য এখানে এসেছে। কিন্তু তারা রুইস এর শক্তি সম্পর্কে খুব একটা জানেনা। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

এই সিরিজের "অন অফ আস" পর্বটি দেখছি বেশ দারুন ছিল। এই পর্বটা পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। সেটা না দেখলেও হবে আপনার পোষ্টের মাধ্যমেই অনুধাবন করে নিতে পারছি। গত পর্বে রুইজ কোথায় গিয়েছিল এটা জানার আগ্রহ ছিল। আজকের পর্বে জানতে পারলাম রুইজ আসলে সরাসরি নিজের ভাইয়ের বাসায় চলে গিয়েছে। ওর ভাতিজি দেখছি প্রথমে ওকে দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিল। অবশ্য নেকড়েকে দেখে ভয় পাওয়ারই কথা। কিন্তু যারা আসলে এজেন্ট বলে ওদের পেছনে লেগেছে তারা দেখছি আসল এজেন্ট নয়। আর এই বিষয়টা ওরা বুঝতে পেরে গিয়ে ভালোই হয়েছে। কিন্তু ওরা তো রয়েছে এর নেকড়ের রূপ সম্পর্কে কিছুই জানে না। কিন্তু শুল্টজ লোকটার শরীরে কোপার লেভেল হাই করে দিয়েছে বলে লোকটাকে আর কোন কিছু দিয়ে মারতে পারবে না। কিন্তু আবার যদি কোপার লেভেল লো করে দেওয়া হলে তাহলে তাকে মারা যাবে। এই পর্ব থেকে অনেক কিছুই বুঝতে পারলাম। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

আজকের পর্ব টা পড়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয় লেগেছে। এই পর্বে অনেক কিছুই দেখছি রহস্যজনক। এ পর্বে দেখছি রুইজ নেকড়ে রূপ নিয়ে নিজের ভাইয়ের বাসায় চলে এসেছে। অবশ্য ওর ভাইয়ের মেয়ে দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে আবার আবি আর টিল্ডা সোজা ডাক্তার ইতালিয়া রিকির কাছে চলে আসে। ওদের তিনজনের পিছনে দেখছি ডিটেক্টিভ লাগানো হয়েছে। কিন্তু তারা আসলে ডিটেক্টিভ ছিলই না। অবশ্য ওদের সকল আইডেন্টিটি ডিটেকটিভ এর ছিল না। সবকিছুই দেখছি রহস্যজনক লাগছে এই পর্বে। অন্যদিকে দেখছি রুইজ নেকড়ের রূপে জিম স্পনসন এর মুখে কামড় বসিয়ে দেয় । আবার শুল্টজ লোকটাকে কোনো কিছুদিয়ে মারা যাবে না। সত্যি এই রিভিউটা পরে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বে নিশ্চয়ই আরো আকর্ষণীয় কিছু দেখতে পারবো।

দ্যা ইমপারফেক্টস টিভি সিরিজের পর্ব গুলো যত করছি ততই অবাক হয়ে যাচ্ছি। গত পর্বে রুইজ কোথায় গেল এইটা জানার জন্য আসলে অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু এখন তো দেখছি নেকড়ে রূপ নিয়েই ভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছে। অন্যদিকে আবি আর ঢিল্ডা দেখছি ডাক্তার ইতালিয়া রিকির কাছে চলে এসেছে। অন্যদিকে আবার তিনজন ডিটেক্টিভ হিসেবে ওদের সম্পর্কে জানতে চাইছে। কিন্তু আসলে দেখছি তারা তো ডিটেক্টিভ নয়। তোরা শুধুমাত্র নিজেদের আইডেন্টিটি নকল করেছে। অবশ্য এই বিষয়টি সবাই বুঝতে পেরে গেছে। সবকিছু যেন অবাক করা কাণ্ড। তবে সব থেকে বেশি অবাক হয়েছি।শুল্টজ লোকটাকে নাকি কোন কিছু দিয়ে মারলেও সে মারা যাবে না। এই বিষয়গুলো খুবই অদ্ভুত লেগেছে। পরের পর্ব নিশ্চয়ই আরো বেশি আকর্ষণীয়তা কিছু থাকবে। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে পুরোটা পড়ে। পরের পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

আজকের পর্বতে দেখা যাচ্ছে যে রুইজ নেকড়ে রূপ ধারণ করে তার ভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছে যার সঙ্গে তার অনেকদিনের সম্পর্ক নেই। এদিকে তার ভাতিজি তাকে এইরূপে দেখে ভয় পেয়েছে কিন্তু সে পরবর্তী মুহূর্তেই আবার নিজের আসল রূপে ফিরে এসেছে জন্যই সবকিছু স্বাভাবিক হয়েছে। তাছাড়া পুলিশ তাকে খুঁজছে এবং তার গার্লফ্রেন্ডের কাছ থেকে তার ঠিকানা পেয়ে ঠিকই তার ভাইয়ের বাড়িতে পৌঁছে যায়। ওয়ার হাউজ ল্যাবের ঘটনার জন্য পুলিশ তাদের তিনজনকে সন্দেহ করে নজর রাখা শুরু করেছে। তাছাড়া নতুন আজকে একজনকে পাওয়া গেল।শুল্টজ নামক লোকটিকে নিয়ে পরবর্তীতে কোন রহস্য তৈরি হতে পারে। আজকের পর্বটি বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল। তাছাড়া বরাবরের মতোই দাদা আপনার উপস্থাপনার জন্য এই পর্বগুলো মনে হয় যে নিজেই দেখছি। খুব ভালো লাগছে এই সিরিজটিও। ধন্যবাদ আপনাকে।

দাদা টিভি সিরিজ রিভিউ দ্যা ইমপারফেক্টস-অন অফ আস এই সিরিজের যত পর্ব পড়ছি ততই অবাক হচ্ছি। কি মুভি তারা বানিয়েছে। এখন তাদের পিছনে পুলিশ পরিচয় দিয়ে যে এজন্টে লেগেছে তাদের উদ্দেশ্য কি সেটাই ঠিক ভাবে জানতে হবে। রুইজ আর টিল্ডা কিছুটা ধারনা পেয়েছে। সামনে হয়তো তাদের থেকে সাবধানে থাকার চেষ্টা করবে। দেখা যাক পরের পর্বে কি দেখা যায়। ধন্যবাদ দাদা।