ওয়েব সিরিজ রিভিউ: ডার্ক ওয়েব- দ্যা চেজ ( ষষ্ঠ পর্ব )

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে 'ডার্ক ওয়েব' সিরিজ এর ষষ্ঠ পর্ব রিভিউ দেব। আজকের পর্বের নাম হলো "দ্যা চেজ"। আগের পর্বে শেষ দেখেছিলাম যে সাহেব আর সম্পূর্ণা যে লোকটাকে ধরে নিয়ে গেছিলো তার সাহায্য নিয়ে এখন শেরিং-কে খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে। আজকে দেখবো সেখান থেকে বিষয়টা কতদূর পর্যন্ত যায়।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
ডার্ক ওয়েব
প্লাটফর্ম
hoichoi
সিজন
পর্ব
দ্যা চেজ
পরিচালকের নাম
সায়ন্তন ঘোষাল
অভিনয়
সাহেব ভট্টাচার্য , সম্পূর্ণা লাহিড়ী ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৪ আগস্ট ২০১৮ ( ইন্ডিয়া )
সময়
১৭ মিনিট ( ষষ্ঠ পর্ব )
মূল ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


☬মূল কাহিনী:☬


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

সাহেব লোকটার সাথে কথা বলার পরে তাও সম্পূর্ণ বিষয়টা তাদের সামনে বলতে চাইছিলো না ভয়ে, যদি তার এই কথা বলে দেওয়ার ফলে শেরিং এর কিছু হয়ে যায়। এরপর সাহেব সম্পূর্ণার ফোন দিয়ে বাড়িতে কল করে এবং আঁখির সাথে কথা বলতে চায়। আসলে আঁখিকে দিয়েই ওই লোকটাকে মানানোর চেষ্টা করবে যাতে জায়গাটার নাম সহজে বলে দেয়। এরপর সম্পূর্ণার বাবা আঁখিকে ডেকে নিয়ে ফোনটা দেয় আর মেয়েটা তো তার কাকা সাহেব এর কাছে বাবাকে খুঁজে পেয়েছো কিনা বলে চিৎকার করে ওঠে, পায়না বলে জানিয়ে ওই লোকটার সাথে কথা বলিয়ে দেয় আর যেন বলে তার বাবা কোথায় আছে। লোকটা বাচ্চা মেয়েটার কথা শুনে অনেকটা আবেগী হয়ে পড়ে এবং পরে তাদের জায়গার নামটা বলতে রাজি হয়ে যায়। আসলে সেই জায়গাটা ছিল একটি গ্রামের দিকে যেখানে এই লোকটার বাড়ি ছিল আর সেই জায়গায় তাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজি হয়। আর তারা সবাই সকালে উঠে সেই গ্রামের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখে। তবে এখানে সেই খুনিটা তাদের আশেপাশে ঘুরঘুর করছিলো সবসময় আর জানতো যে এই লোকটাই শেরিং এর খোঁজ জানে। সাহেব আর সম্পূর্ণা সেখান থেকে ফিরে এসে রাতের দিকে গ্রামীণ কিছু মেয়েদের নৃত্য দেখছিলো আর এদিকে লোকটা সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিল। আর সেই ফাঁকে খুনি লোকটা তার কাছ থেকে শেরিং এর ঠিকানা জানতে চায়।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

আর এই লোকটা ঠিক যে ভয়টা পাচ্ছিলো সেই ঘটনাটাই ঘটে গেলো। শেরিং এর খোঁজ না বলায় ওই লোকটাকেও গুলি করে মেরে দেয় শেষপর্যন্ত। আর ওই গ্রামের কোথায় থাকতো সেটা একমাত্র ওই জানতো, কিন্তু এখানে তাকে মেরে ফেলায় বিষয়টা আরো জটিল হয়ে যায়। লোকটাকে যে মেরে ফেলেছে চুপিসারে সেটা এখনো পর্যন্ত তাদের কাছে গুপ্তই রয়েছে। তবে সাহেব, সম্পূর্ণা আর ড্রাইভার যেখানে বসে নৃত্য দেখছিলো সেখানে আরো একটা লোক গোপনে তাদের ফ্লো করতে থাকে। সম্পূর্ণার পত্রিকা অফিসে আরো একটা রহস্য লুকিয়ে আছে আর সেখানকার একজন স্টাফ সম্ভবত কোনো কিছুতে সাহায্য করছে খুনিদের। কারণ সে লুকিয়ে সেই লিটিল হার্ট নামক গেমটার লিঙ্ক কপি করে তার পেনড্রাইভে নিয়ে নিয়েছে। এদিকে সাহেব আবার tor ব্রাউসার ওপেন করে কিছু একটা খুঁজতে লাগে।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

সাহেব আসলে tor ব্রাউসার ওপেন করে ওই গেমের সাইটটা দেখছিলো যে এই মানুষরূপে অমানুষরা কতটা নিচে নামতে পারে। এর কারণ হলো তারা এইসব যে গেমের চক্রে বিভিন্ন মানুষদের ফাঁসিয়ে নিয়ে চলে যেত, আর তাদের নিয়ে বিশেষ করে মেয়েছেলেদের নিয়ে কেনাবেচার ব্যবসা করতো। ছোট ছোট বাচ্চাদেরও তারা ছাড় দিতো না, আর বিভিন্ন ধরণের খারাপ কাজে লিপ্ত করতে বাধ্য করতো তাদের। এইসব দেখতে দেখতে সাহেব এর ফোনে একটা মেসেজ চলে আসে অর্থাৎ তাকে ধুমকি দিচ্ছে যে তাদের এটাই লাস্ট ওয়ার্নিং, তারা যেন এখান থেকে চলে যায়। এরপর সম্পূর্ণা সাহেবকে তার ল্যাপটপ থেকে tor ব্রাউসারটাকে আনইনস্টল করে দিতে বলে। এদিকে ওই লোকটাকে যে মেরে ফেলেছিলো সেই খবরটা ড্রাইভার পেয়ে গিয়েছিলো আর সে অন্য কোনোভাবে সেই গ্রামের ঠিকানা খুঁজে বের করে। এরপর ড্রাইভার সকালে তাদের নিয়ে রওনা হয় আর তখন তাদের লোকটার মার্ডার হয়ে যাওয়ার কথা তাদের জানায়, যেটা তাদের কাছে ছিল বড়ো একটা শক।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় ড্রাইভারের সাথে বেশ কিছু লোকের ফোনে আলাপচারিতা হতে থাকে যে এদের জায়গা মতো পৌঁছিয়ে দিয়ে চলে আসে যেন। সাহেব আর সম্পূর্ণার সন্দেহ হয় যে তাদের ড্রাইভার আলী এইসব চক্রের সাথে জড়িত অর্থাৎ তাদের সাথে হাত আছে। আলীর গাড়ি খুনীগুলো পিছন থেকে ফ্লো করতে লাগে, তবে আলী একটা জঙ্গল মতো রাস্তা দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে তাদের চোখের আড়াল করে একজনের হাতে তাদের তুলে দিয়ে আলী গাড়ি নিয়ে আবার বেরিয়ে যায়। এরপর ফাঁকা গাড়িটিকে ফ্লো করতে করতে তারা চলে যায় অনেকটা দূরে আর আলী সেখান থেকে পালিয়ে চলে যায়। এরপর সাহেব আর সম্পুর্নাকে যার হাতে তুলে দিয়েছিলো সে তাদের একটা সেফ জায়গায় নিয়ে যায় যেখানে তাদের সন্ধান খুনিরা পাবে না।


☬ব্যক্তিগত মতামত:☬

যে লোকটাই শেরিং এর সাথে দেখা করিয়ে তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারতো, তাকেই মেরে দিয়েছে। আর তাকে মারার সাথে সাথে ড্রাইভার আলীও অনেক সতর্ক হয়ে যায়। এই ঘটনাটা তার সাথে সাহেব যখন শেয়ার করেছিল তখন আলীও তার কিছু লোকজনকে ছদ্দবেশে ছড়িয়ে থাকার কথা বলেছিলো আর তার মধ্যেই একজন লোক এসে ওই রাতে আলীকে খবর দিয়েছিলো যে লোকটা মারা গিয়েছে আর সাহেব এবং সম্পূর্নাকেও মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। আর আলী সেই রাতেই তার লোকজনের সাথে প্ল্যান তৈরি করে ফেলে যে তাদের যখন গাড়ি করে নিয়ে যাবো তখন তার গাড়িটিকে ফ্লো করবে এবং কোনোমতে তাদের চোখের আড়াল হয়ে তাদের নামিয়ে দেব যাতে তাদের কোনো ক্ষতি না হয়। আর সেই প্ল্যানটা কাজে লাগাতে সক্ষম হয় আর খুনিদের প্ল্যান নষ্ট হয়ে যায় শেষমেশ।


☬ব্যক্তিগত রেটিং:☬
৯.৬/১০


☬ট্রেইলার লিঙ্ক:☬


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

'ডার্ক ওয়েব' সিরিজ এর ষষ্ঠ পর্বের রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। নতুন কিছু জানতে পারলাম। গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম যে সাহেব আর সম্পূর্ণা যে লোকটাকে ধরে নিয়ে গেছিলো তার সাহায্য নিয়ে তারা শেরিং-কে খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে। শেরিং-কে খুঁজে বের করা তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অন্যদিকে আঁখিকে তারা কাজে লাগাতে চেয়েছিল। ইমোশনালি কাজটা হাসিল করতে চেয়েছিল। যে লোকটি সে শেরিংয়ের সাথে দেখা করিয়ে দিতে পারতো তাকেই মেরে ফেলা হয়েছে। তাই তো তার ড্রাইভার আরো সতর্ক হয়ে গেছে। কারণ মৃত্যুর ভয় তার ছিল। তাকেও হয়তো মেরে ফেলতে পারে। ড্রাইভার আলীও বেশ বুদ্ধির সাথে এগিয়ে যাচ্ছিল। সাহেব এবং সম্পূর্নাকেও মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছিল। তাইতো ড্রাইভার আলী তাদেরকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করে এবং শেষ পর্যন্ত সফল হয়। আর অন্যদিকে খুনিরা ব্যর্থ হয়। এই পর্বের রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে দাদা। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

ডার্ক ওয়েব- দ্যা চেজ এর ষষ্ঠ পর্বের রিভিউটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে দাদা এ ধরনের ওয়েব সিরিজ গুলো দেখলে অনেক বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা যায়। দাদা আপনারে ওয়েব সিরিজ ডিভিতে খুনিদের পরিকল্পনাটা নষ্ট করার কৌশলটি খুবই চমৎকার ছিল। দারুন একটু ওয়েব সিরিজের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।