হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা বাংলা মুভি রিভিউ শেয়ার করবো। এই মুভিটির নাম হলো "মাটির মানুষ"। এই মুভিটি কিছুটা পারিবারিক মতো করেছে। কাহিনীটি বেশ চমৎকার। এই মুভিটি আগেও দুইবার দেখেছি এবং আজকে আবার দেখে অনেকটা ভালো লাগলো। এই মুভিটি অনেক পুরানো। আজকের এই মুভি রিভিউটি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
☬কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:☬
✔মূল কাহিনী:
কাহিনীর শুরুতে দেখা যায় তাপস পাল, প্রসেনজিত এবং অভিষেক কে ভাই ফোটা দেয় তাদের ছোট বোন। এখানে তারা তিনজন ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছে। তাদের তিনজনের মধ্যে অভিষেক ছোট এবং তাকে ইঞ্জিনিয়ার করার জন্য অনেক কষ্ট করে। মূলত তাকে পড়ানোর জন্য তাপস পাল আর প্রসেনজিত পড়াশুনো করেনি। এরপর অভিষেক কে ইঞ্জিনিয়ার করার জন্য টাকা পয়সা দিয়ে কলকাতায় পাঠিয়ে দেয়। তাকে স্টেশন এ এগিয়ে দিয়ে এসে তাপস মাঠে চলে যায় গরু নিয়ে হাল চাষ করার জন্য, সাথে প্রসেনজিতও চলে যায় তার দাদার কাজে সাহায্য করার জন্য। এরপর অভিষেক কলকাতায় ইঞ্জিনিয়ার কলেজে চলে যায় আর সেখানে তার বন্ধুর সাথে তার দাদাদের সম্পর্কে কথা বলে যে আমাকে এতো ভালোবাসে যে কখনো আমাকে বুঝতে দেয়নি আমি তাদের সৎ ভাই, সবসময় বুকে আগলে রেখেছে। এর মধ্যে ঋতুপর্ণা প্রসেনজিত এর বাড়িতে এসে খবর দেয় আজকে রাতে গ্রামে কবি গান হবে এবং তার জন্য শহর থেকে লোক আসবে। এরপর শহরের সেই বাবু এসে গ্রামের সংস্কৃতি নিয়ে মহা নিন্দা করতে থাকে আর গ্রামের মানুষগুলোকে গাধা, বলদ বলে বলে বাজে সম্বোধন করতে থাকে। এরপর এই কথার প্রতিবাদ স্বরূপ প্রসেনজিত কবি গানের সাথে সাথে প্রতিবাদ দিতে লাগে। এরপর সেই কবি গানে প্রসেনজিত কলকাতার বাবুকে হারিয়ে সোনার মেডেল জিতে নেয়। আর এই খুশিতে তার বড়দা তাপস পাল অভাবের সংসার হওয়া সত্বেও সারা গ্রামের মানুষকে তার বাড়িতে খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ করে আসে। এখানে তাপস পাল একটা বড়ো মন মানসিকতার পরিচয় তুলে ধরলো।
কলকাতায় কলেজে অভিষেক এর সাথে একটা মেয়ের পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে একটু একটু করে ভাব ভালোবাসা হয়। একদিন সেই মেয়েটি কলেজের ক্যাম্পাস এ অভিষেক কে বলে তাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য কারণ তার বাবা অভিষেক কে দেখতে চেয়েছে। এরপর তাদের বাড়িতে গেলে তাদের মধ্যে কথাবার্তা হয় এবং বলে আমিও বিয়ের পরে তোমার সাথে গ্রামের বাড়িতেই থাকবো। এদিকে তাপস পাল ক্ষেতের কাজ করে অল্প কিছু টাকা পায় এবং সেই টাকাটা অভিষেক এর জন্য পাঠিয়ে দেয় ডাক এর মাধ্যমে। এদিকে তাদের বোনকে দেখতে বাড়িতে লোক আসে এবং তাদের পছন্দ হওয়ার পরে অনেক দাবি করে বসে। তারা বিয়ের সময় মেয়েকে গহনায় সাজিয়ে দিতে বলে আর নগদ ২৫০০০ টাকা দেওয়ার কথা বলে, এক প্রকার কসাইয়ের মতো যারে বলে। অভিষেক তার বন্ধুর কাছ থেকে মাঝেমধ্যে টাকা ধার করে চলতো আর তার দাদার পাঠানো টাকা দিয়ে আবার পরিশোধ করে দিতো। অভিষেক গরিব এই কথাটা সেই রিনা নামক মেয়েটি জানতো না, কারণ সত্যি কথা বললে রিনা অভিষেক কে কখনোই ভালোবাসতো না এই কথা ভেবে। এদিকে তাদের বোন বিয়ে করতে চায় না কারণ এতো টাকা পয়সা কথার থেকে দেবে এই ভেবে। এরপর তার বড়দা তাপস পাল তাদের সম্পত্তির দলিল মহাজনের কাছে জমা রেখে টাকা ধার নিয়ে আসে আর তার বোনের বিয়ে ধুমধাম করে দেয়। তখনকার সময়ে গ্রামের বিয়েতে বধূ কে পালকিতে করে নিয়ে যাওয়া হতো আর এই দৃশ্যগুলো সেই সময়ে খুব ভালো লাগতো দেখতে। তাদের আদরের বোনকে বিদায় দিয়ে তিনজন একটু দুঃখও পায়, আসলে ভালোবাসার কেউ ছেড়ে চলে গেলে মনের দিক থেকে একটু খারাপ লাগে।
অভিষেক রিনা মেয়েটির সাথে মিথ্যা কথা বলে যে তাদের বাড়িগাড়ি আছে। কিন্তু দাদা শখ করে গ্রাম্য পদ্ধতিতে বোনকে পালকি তে করে স্বশুর বাড়ি পাঠিয়েছে। এখন রিনা মেয়েটি বলে তাহলে আমিও পালকি তে করে যাবো তোমাদের বাড়িতে। মেয়েটির মনটা ভালো এক দিক থেকে। যাইহোক এরপর অভিষেক ইঞ্জিনিয়ার পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে এই খবরটা রিনা ইংলিশ এ লিখে গ্রামের বাড়িতে তাদের দাদার কাছে পাঠিয়েছে। এদিকে তারা তো ইংলিশ পড়তে পারে না, ফলে পিওন শেষে সেই চিঠিটা পড়ে খবরটা দিয়ে দেয়। আর এই খবর শুনে তারা দুই ভাই আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায় একপ্রকার। এইদিকে রিনার বাবা মা অভিষেকের সাথে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু এখানে রিনার কাছে অভিষেক সবকিছু লুকালেও তাদের গ্রামের মহাজনের কাছ থেকে তাদের বিষয়ে জেনে ফেলে যে তারা গরিব খুব। এরপর রিনার বাবা তার পরেও তাকে জামাই করতে চায় কিন্তু সেটা ঘরজামাই। এরপর অভিষেক এর সাথে কথা বলে এই বিষয়ে এবং তার দাদা বৌদির সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলে। আর অভিষেক কিছু না চিন্তাভাবনা করেই রিনার বাবার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় আর এই কথা যেন রিনা না জানতে পারে সেইজন্য মিথ্যা কথা বলে যেতে বলে সবসময়। এদিকে গ্রামের মহাজন তাপস পাল কে ডেকে আনে তার বাড়িতে আর তার মেয়ে ঋতুপর্ণা কে অভিষেক এর সাথে বিয়ে দেবে বলে বলে। তাপস পাল এক কোথায় এখানে রাজি হয়ে যায় কিন্তু তার দাদা বা ঋতুপর্ণার বাবা জানে না যে প্রসেনজিত আর ঋতুপর্ণা একে অপরকে পছন্দ করে। এদিকে ঋতুপর্ণা প্রসেনজিতের সাথে দেখা করে এবং মন্দিরে নিয়ে গিয়ে ঠাকুরের সামনে প্রসেনজিতের হাতে সিঁদুর পড়ে নেয়। তাপস পাল চিঠি লিখে অভিষেক কে ডেকে আনে গ্রামের বাড়িতে এবং তাকে বিয়ের কথা বলে। তার বড়দার সামনে সব না বলতে পারলেও তার মেজ দাদা প্রসেনজিতের সাথে বলে দেয় যে সে বিয়ে করে ফেলেছে। এরপর রিনার বাবা তাদের গ্রামে আসে এবং তাপস পালের সাথে দেখা করে বলে তোমার ভাই আমাদের ঠকিয়েছে মিথ্যা কথা বলে, ফলে তার ওখানে থাকতে হলে তোমাদের সবার সাথে সম্পর্ক বাদ দিতে হবে। আর এই কথা শুনে তাপস পাল ভীষণ ভেঙে পড়ে।
প্রসেনজিত আর অভিষেক দুই ভাই গ্রামের দিক থেকে ঘুরে এসে বাড়িতে ঢুকলে তার সামনে সমস্ত জামা কাপড় ছুড়ে ফেলে দেয় যেগুলো অভিষেক তাদের জন্য এনেছিল। এরপর তাকে বাড়ির থেকে বেরিয়ে যেতে বলে এবং সেখান থেকে সে বেরিয়ে যায়। তাপস পাল মহাজনের কাছে এই বিষয়টা জানাতে গেলে অপমান করে কারণ বিয়ের কার্ড ছাপানো হয়ে গেছে এদিকে। রিনার বাবা সব সত্যি কথা বলে দিয়েছিলো এর পরে অভিষেক যা যা মিথ্যা কথা বলেছিলো তাদের পরিবার নিয়ে। এই কথা শুনে রিনা অভিষেক এর উপরে রাগ করে এবং তাপস পালের বাড়িতে চলে যায়। সেখানে গিয়ে তাদের সাথে সে থাকবে বলে অনুরোধ করে কিন্তু তাপস পাল তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলো। এদিকে রিনা বাড়ি ফিরতেই দেখে তার মা স্ট্রোক করেছে এবং অবশেষে মারাও যায়। এরপর বিয়েতে যে টাকা ধার নিয়েছিল মহাজনের কাছ থেকে সেই টাকা শোধ করার জন্য প্রসেনজিত ভাই অভিষেক এর কাছে যায় কিন্তু রিনার বাবা মানে অভিষেক এর স্বশুর প্ল্যান করে প্রসেনজিতকে লাঠি দিয়ে মেরে তাড়িয়ে দেয় এবং অভিষেক কে ভুলভাল কথা বোঝায় তাদের বিরুদ্ধে যাতে তাদের সাথে সম্পর্ক পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। এদিকে মহাজন মানে ঋতুপর্ণার বাবা সেই টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য রাতে তাপস পালের কাছে আসে এবং ১ সপ্তাহের মধ্যে সুধ সহ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে। এরপর ঋতুপর্ণা তাদের সাহায্য করার জন্য তার মায়ের কাছ থেকে টাকাটা নিয়ে রাতের বেলা দিয়ে আসে প্রসেনজিতের হাতে। সকালে যখন এই টাকার ব্যাপারে জানতে চায় তখন বলে অভিষেক পাঠিয়েছে কিন্তু মহাজন আর রিনার বাবা প্ল্যান করে পুলিশ ডেকে আনে বাড়িতে। কারণ টাকাটা কে দিয়েছিলো সেইটা মহাজন জানতো আর সেই সূত্র ধরে প্ল্যান করে ফাঁসিয়ে দেয়।
প্রসেনজিতকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পরে মামলা কোর্টে ওঠে এবং উকিল তাকে বিভিন্ন কথার জালে ফেলে হেনস্থা করতে লাগে। সেই সময় ঋতুপর্ণা আর তার মা কোর্টে হাজির হয়ে সব কথা বলে দেয় অর্থাৎ টাকাটা সে দিয়েছিলো সেই কথাটা বলে দেয়। এরপর সত্যি প্রমাণিত হলে প্রসেনজিত্কে ছেড়ে দেয়। এরপর সেই ঋণের টাকা জোগাড় করার জন্য প্রসেনজিত কলকাতায় চলে যায় এবং সেখানে গিয়ে প্রথমে অভিষেককে কিছু উচিৎ কোথাও শুনিয়ে দিয়ে চলে যায়। এরপর রিনা সবকিছু জানে যে তার বাবা ইচ্ছা করেই এইসব করছে মিথ্যা কথা বলে বলে, তাই রিনা তাদের ব্যবহারে অসন্তুষ্টি হয়ে আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা বলে দেয়। এদিকে এতো কিছু হয়ে যাওয়ার পরেও মহাজন যেন আর পিছুই ছাড়ে না, টাকার বিষয় নিয়ে আবার এসে ধমকি দিয়ে চলে যায় সাত দিনের কথা বলে। প্রসেনজিত কলকাতায় নিকো পার্কের সামনে প্রায় গান গাইতো আর সেই সময় একটা অন্ধ ছেলের সাথে দেখা হয়ে যায়। এই অন্ধ ছেলেটিও গান গেয়ে তার আর তার মায়ের দিন চলতো। এরপর প্রসেনজিত সেই ছেলের সাথে তার বাড়িতে গেলো এবং দেখা করলো। এখানে গল্পের মোড় অন্যরকম হয়ে গেলো, কারণ সেই অন্ধ ছেলেটি আর তার মা বর্তমানে রিনার বাবার আগের স্ত্রী ও সন্তান ছিল। সে গান গাইতো বলে তাকে ঘরে তুলেনি এবং ত্যাগ করে দিয়েছিলো। যাইহোক এরপর প্রসেনজিত প্রায় ৬ মাস পরে গিয়ে তার বড়দার সাথে গিয়ে দেখা করে কিন্তু তাপস অভিমান করে তাকেও চলে যেতে বলে সেখান থেকে। সেই অন্ধ ছেলেটির মা প্রসেনজিত কে একটা গানের পরিচালকের কাছে নিয়ে যায় এবং তার গানের গলা শুনে তার গান রেকর্ডও করে নেয়। এইভাবে একের পর এক গানের রেকর্ড বের হয় এবং এক সময় কলকাতার একজন বড়ো গায়ক হয়ে গেলো প্রসেনজিত।
প্রসেনজিত টাকা নিয়ে এসে মহাজনকে দিয়ে দেয় এবং জমির দলিলগুলো তার দাদা কে দিয়ে দিতে বলে। এদিকে প্রসেনজিত বাড়িতেও যেতে পারছে না কারণ তার দাদা তাকে দিব্যি দিয়ে রেখেছে যেন সে আর বাড়িতে না আসে তাই সে টাকা দিয়েই আবার কলকাতায় চলে গেলো। মহাজন আবার প্ল্যান করে অভিষেক আর প্রসেনজিত এর নামে ভুলভাল একটা চিঠি দিয়ে বাড়ির ভাগ চেয়ে কোর্টে মামলা করে এবং তাপস পাল কে কোর্টে উপস্থিত হতে বলে। এদিকে সেই অন্ধ ছেলেটির মাকে যে পান খাইয়ে গানের গলাটাকে চিরতরে নষ্ট করতে চেয়েছিলো সেই রিনার বাবাই আবারও একই প্ল্যান করে সেই পান খাইয়ে গলা নষ্ট করতে চেয়েছিলো কিন্তু নিজের ফাঁদেই নিজেই ধরা খেয়ে যায়। আর সাতদিনের সময় দিয়ে তার ছেলে আর স্ত্রীকে স্বীকৃতি দিতে বলে। এদিকে মহাজন তাদের ভিটেবাড়ি নিলামে তোলার ব্যবস্থা করে ফেলে। পরেরদিন সকালে নিলাম শুরু হয় এবং সবাই যার যার সাধ্য মতো দামাদামি করে। প্রসেনজিত এবং অভিষেক দুই ভাই দামাদামির লড়াইয়ে শেষমেশ তার বড়দা এসে থামতে বলে এবং পরে সবকিছু ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে সবাইকে আপন করে নিলো।
✔শিক্ষা:
এখানে সবকিছুই ভুল বোঝাবুঝির মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। নিজের বাড়ির কারো নামে যদি কেউ কান ভাঙাতে থাকে একভাবে তাহলে শেষমেশ জল অনেকদূর গোড়ায়, এখানে বিষয়টাও তাই হয়েছিল তিন ভাইয়ের মধ্যে। আর মহাজন টাকাগুলো আত্মসাত করে মনে করেছিল বাড়িটাও দখল করবে কিন্তু নিজের মেয়ের কাছেই শিক্ষা পেয়ে গেলো শেষপর্যন্ত। আসলে মানুষ ভুল করে আর সেই ভুল থেকেই শিক্ষা লাভ করে।
✔ব্যক্তিগত মতামত:
আমার কাছে একটা শ্রেষ্ঠ মুভি মনে হলো দেখে। যেমন নাম তেমন অভিনয়ের মাধ্যমে বিষয়টা ফুটিয়ে তুলেছে। এই মুভিটি যতই দেখা হোক না কেন একভাবেই দেখতে ইচ্ছা করবে। পুরস্কার পাওয়ার মতো একটা মুভি। এক কোথায় অসাধারণ একটা মুভি। এই মুভি দেখতে বসে ছেড়ে আর উঠতে ইচ্ছা করবে না। আমি বলবো আপনারাও দেখবেন মুভিটি।
✔ব্যক্তিগত রেটিং:
9.8/১০
মুভির লিংক:
মাটির মানুষ এই ছবিটা আমি দেখেছি দাদা। খুবই সুন্দর এবং পারিবারিক একটি ছবি।এসব মুভি থেকে শিক্ষা নেওয়ার আছে। অন্যের কথায় সায় দিয়ে নিজের পরিবারের কারোর প্রতি অবিশ্বাস করা কখনই ঠিক নয়। এতে করে ভালো একটি সংসার নষ্ট হতে বেশি সময় লাগে না। মুভির রিভিউ টা বেশ দারুণ হয়েছে।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্য, খুবই সুন্দর পরিমার্জিত একটা মুভি। দেখলেই মনটা ভরে যায়। কাহিনিটা আসলে আজকাল লোকজন বেশি অন্যের পিছনে লেগে বেশি শান্তি পায়। অন্যের সুখ অনেকের সহ্য হয় না। আপনার কাঙ্ক্ষিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এক জায়গার কথা অন্য জায়গায় লাগানো সত্যিই বড় অপরাধ । যার মাধ্যমে সমাজের সব সময় বিভিন্ন ধরনের গন্ডগোল এবং নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হয়।।
যেমনটি মুভি রিভিউ ঘটেছে। এটি সত্যিই খারাপ একটি অভ্যাস যার কারণে মানুষ সমাজের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়।
মুভি থেকে একটি শিক্ষামন্ত্রী গ্রহণ করতে হবে কখনই কাউকে নিয়ে সমালোচনা করা ঠিক নয় কিংবা কারো বিষয় নিয়ে নাক গলানোর ঠিক না
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আজকাল কিন্তু এইসব বেশি চলে। এখানকার কথা যেখানে সেখানে বলে বেড়ায়। কারো মধ্যে ভাল সম্পর্ক থাকলে সেটাকে নষ্ট করার জন্য খারাপ কথা বা বিভিন্ন সমালোচনা করে ঝামেলার সৃষ্টি করে। এসব মানুষ সমাজের ক্ষতিকর। ধন্যবাদ আপনাকে রিভিউটি পড়ে কাঙ্ক্ষিতো মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে এই পৃথিবীতে কেউ আর কারো ভালো দেখতে পারে না এটাই বাস্তব কথা। দুজনের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠলে তৃতীয়পক্ষের ব্যক্তির শরীরে আগুন জলে এটাই স্বাভাবিক।
তবে এটা একটি খারাপ বিষয়। না অন্য কারো সুখ দেখে হিংসা করাটা মহা অন্যায়।
সহমত
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ ভাইয়া অনেক সুন্দর একটা মুভি রিভিউ করেছেন আপনি। মুভিটা আমি দেখিনি তবে আপনার রিভিউ দেখে অনেক ভাল মনে হল। পারিবারিক কিছু দৃশ্য পাট আছে এই মুভির মধ্যে। তবে দেখার ইচ্ছা জাগল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা মুভি রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মুভিটি এক কোথায় অসাধারন ছিল। না দেখলে বোঝা যাবে না কতটা ভালো। একবার দেখবেন। দেখলে সেষ না করে আর উঠতে ইচ্ছা হবে না। আপনাকেও ধন্যবাদ রিভিউটি পড়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার এই পুরনো মুভি রিভিউ গুলো দেখতে খুব ভালো লাগে। কি সুন্দর ভাবে সব তুলে ধরেন।সবচেয়ে বড় কথা বেশিরভাগ ই পুরনো মুভি হয়, অনেকটা বেশি পুরনো।আর এই পুরনো মুভি গুলোর গল্প গুলো পড়তে ভালো লাগে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পুরনো মুভির কাহিনিগুলো বেশ সুন্দর, সাথে এইসব নায়ক নায়িকারা অভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে পারে। আমার এইসব মুভিগুলো দেখতে খুব ভাল লাগে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অও,ঋতুপর্ণা ও প্রসেনজিৎ এর মুভি মানে ফাটাফাটি হবেই।আপনি খুবই সুন্দর ও বিস্তারিতভাবে রিভিউ দেন,যা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।খুবই ভালো মুভিটা।ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা তখনকার সময়ে এদের জুটির মুভিগুলো ছিল অসাধারন। অভিনয়ের মাধ্যমে সব কাহিনি ভাল জমিয়ে তুলতে পারে। ধন্যবাদ রিভিউটি পড়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মাটির মানুষ এই মুভিটি আমি দেখি নাই কিন্তু আপনার মুভি রিভিউ দেখে এই মুভিটি দেখার আগ্রহ অনেকটাই বেড়ে গেল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ভাবে মুভিটি নিয়ে আমাদের সামনে রিভিউ করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মুভিটা দেখবেন সময় করে। অনেক ভাল একটা বাংলা মুভি। ধন্যবাদ রিভিউটি পড়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই ধরনের মুভি আমি একটা সময় খুব দেখতাম এবং আগে যখন গ্রামে সিডি চলত তখন এই প্রসেনজিৎ রঞ্জিত মল্লিজক তাপস পালদের মুভিগুলো ব্যাপক চলত এখনো চলে। পারিবারিক জীবন নিয়ে সংসার নিয়ে তাদের মুভি গুলো আজীবন চলতে থাকবে। এই ছবি রিভিউ পড়ে আমি জানলাম তাতে আসলে আমাদের সমাজে এই রকম চিত্র বহুকাল ধরেই চলে আসতেছে দেখা যায় বড় ভাই কত কষ্ট করে ছোট ভাইকে পড়াশোনা করাই কিন্তু একটা সময় ছোট ভাই তার উচ্চশিক্ষার কারণে মান সম্মান রক্ষার কারণে পরিবার সম্পর্কে অনেক তথ্য গোপন রাখে ।যার ফলে একটা সময় আসে যখন প্রকাশ পায় পরিবার লোকজন খুব কষ্ট পায়। তাছাড়া গ্রামের মহজন বিষয়টা হচ্ছে কি একটা সময় গ্রাম অঞ্চলের মহাজনীব্যবসা চলত তারা বিভিন্ন জিনিস বন্ধ রেখে টাকা ধার দিত এবং সেই তাদের বাড়িঘর জমিজমা লিখে নেওয়ার আর একটা সুযোগ খুঁজত। আরো কিছু বিষয় লক্ষ্য করা যেত যদি কোন উচ্চশিক্ষিত ছেলেপেলে থাকে তাদের সাথে তাদের মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগতে এবং বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করত।তবে এই মুভিতে বড়লোকের মেয়ে হলেও সে অত্যন্ত ভালো বলেই সব কিছুকে মেনে নিতে পারছে কিন্তু তার বাবা অভিষেককে বিভিন্ন শর্ত দিয়ে নিজের বাড়িতে থাকতে চেয়েছিল কেননা তিনি বড়লোক তার মেয়ে একটা গরীব ফ্যামিলিতে যাবে সেটা হয়তো তুমি মানতে পারছিলেন না। এই সবই ছিল আমাদের তৎকালীন মুভি প্রধান কাহিনী । পড়ে আমি অনেক কিছু জানতে পারলাম এই ধরনের মুভি আমার অনেক ভালো লাগে ।আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই বিষয়গুলো আজকাল বর্তমানেও অনেক জায়গায় হয়। বাইরে গিয়ে পড়াশুনো করে নিজের পছন্দমত একটা মেয়েকে বিয়ে করে সেটেল হয়ে যায়। কিন্তু বাড়ির কথা তার আর মনেই থাকে না, অবহেলার চোখে দেখে। এইসব মুভির কাহিনি অনেক চমৎকার। ধন্যবাদ মুভির রিভিউ পড়ে বিস্তারিত মতামতের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা এই মুভি আমি দেখিনি তবে , মুভি রিভিউ পরে বুঝতে পারলাম অনেক সুন্দর আর পারিবারিক চরিত্রের মুভি এটা , আর প্রসেনজিৎ এর প্রতিটা মুভি এই রকম হয়ে থাকে , আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে , আর মুভিটি থেকে অনেক জ্ঞান নেয়ার আছে সবার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রসেঞ্জিত এর মুভি মাণে অন্যরকম আকর্ষণীয়। প্রতিটা চরিত্রে বেশ ভালো ফুটিয়ে তুলতে পারে অভিনয এর মাধ্যমে। আর পারিবারিক মুভিগুলো অসাধারন করে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit