হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'কারাগার' ওয়েব সিরিজটির সপ্তম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বটা সিজন ১ এর অন্তিম পর্ব। এই পর্বের নাম হলো "লস্ট শিপ"। গত পর্বে শেষ দেখেছিলাম যে, মোস্তাক সাহেবের এর আন্ডারের এক অফিসার ওই লোকটাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। আজকে এই পর্বে দেখা যাক ঘটনাটা কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☀মূল কাহিনী:☀
এই পর্বে দেখা যায়, মোস্তাকের ওই অফিসার একজন কয়েদির সাথে কথা বলে আর এই বিষয়ে হেল্প করলে তাকে জেল থেকে রেহাই করে দেবে এইরকম কথাবার্তা তাদের মধ্যে চলতে থাকে। এখন পাগলাগারদ থেকে ওই লোকটার কথা অনুযায়ী সেই লোকটাকে এই জেলে নিয়ে আসে এবং সেইসব নিয়ম অনুযায়ী ছবি তোলা এইসব করতে লাগে। এখন এই মাহাকে যে জেলের ভিতরে ওই লোকটার সাথে অন্য বিষয়ে কথা বলার জন্য নিয়ে এসেছিলো অর্থাৎ তার বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য সে জানতে চেয়েছিলো। এখন এই মাহা সেখানে বুদ্ধি করে একাই যায় আর তার সাথে কথা বলে। তবে মাহা এখানে নিজের বিষয়েই কথাবার্তাগুলো জিজ্ঞাসা করে অর্থাৎ তাকে একসময়ে এই জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তার প্রেগনেন্সির বিষয়ে কথা বলেছিলো আর সেখান থেকেই তার প্রতি সন্দেহ হয় যে, আমার এই ব্যক্তিগত বিষয়ে জানলো কি করে।
আর সেই সূত্র ধরে সে তার বাবার কথা জিজ্ঞাসা করে. কারণ তার বাবা নিঁখোজ আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এই লোকটা সবার চোখ দেখে সত্যিটা বলে দিতে পারে বলে, তার কাছে শুনতে চায় যে তার বাবা কোথায় আছে। তার বাবা বেঁচে আছে আর কোথায় আছে তার সন্ধান নাকি সে জানে। তাই একটা পেপার আর পেন চায় লিখে দেবে বলে। তাতে ফাদার আলফ্রেড নামের একজনের নাম লিখে দেয় যে, এনার কাছে গেলে তাকে তার বাবার সন্ধান দিতে পারবে। এদিকে মোস্তাক এর উপর আরেক বিপদ এসে পড়েছে, কারণ একজন জেলার হিসেবে জেলের মধ্যে খারাপ কিছু হলে তার দায়ভার তাকেই নিতে হয়। এখন হঠাৎ করে আইজি সাহেব চলে এসেছে আর আগের সেই সিসি ফুটেজ নিয়ে রিপোর্ট দিতে বলে।
এখন মোস্তাক জানিয়ে দেয় যে, তার ওখানে অর্থাৎ জেলের ভিতরের কোনো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ না, বাইরের থেকে ফুটেজগুলো তুলেছে। কিন্তু তাও এই বিষয়টা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি, তবে জেল শিফট হওয়ার আগে আর কোনো ঝামেলা হলে শাস্তির ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়ে দেয়। এদিকে মোস্তাকের সেই অফিসার যে কয়েদিকে ঠিক করেছিল তাকে রাতের বেলা ডেকে তুলে নিয়ে আসে আর সেই সেলের চাবি দিয়ে মেরে আসতে বলে। এই বিষয়টা আবার একজ কয়েদি দেখে ফেলে। তবে মোস্তাকের কাছে ওইসময় বাড়িতে একটা চিঠি যায় যে, বাবা যতক্ষণ আছে, ছেলেও ততক্ষন আছে। তখনই তার মনে হয় যে, নিশ্চই ওই লোকটাকে কিছু একটা করতে যাচ্ছে ওই অফিসার। ওই মুহূর্তেই যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায় জেলে চলে যায় আর গিয়ে এই ঝামেলা বাধার আগেই আটকায়। তবে আরেকটু দেরি করলে মেরেই ফেলতো।
☀ব্যক্তিগত মতামত:☀
এই পর্বে দারুন একটা মজার বিষয় ঘটেছে অর্থাৎ বোবার মুখে কথা ফুটেছে। আসলে এই প্লানগুলো সব সাজানো ছিল ওই লোকটার। এখন মাহাকে যে ফাদার আলফ্রেড এর কথা বলেছিলো সেই চার্জে গিয়ে দেখা করে। কিন্তু সেই ফাদার মাহাকে আগে থেকেই জানে, আবার তার মা যে অসুস্থ সেটাও সে জানে। পরে অফিসে গিয়ে কথা বলার কথা বলে। কিন্তু সেখানে আরেকটা মজার ঘটনা ঘটেছে। আলফ্রেড এর অফিসে বেশ কিছু বই দেখতে পায়, কোনোটা ১৯৭১ সালের আবার কোনোটা তারও আগের। এখানে বইগুলোর উপরে লেখক এর ছবি আর তার নাম লেখাও আছে। কথা হলো এই ছবি আর জেলের ভিতরে ওই লোকটার ছবি হুবহু মিল আছে। আর জেলে নতুন একজন যে কয়েদিকে নিয়ে গিয়েছিলো তাকে ওই লোকটা চেনে, মানে তারই লোক। লোকটা তার সাথে কোথাও বলছে। এ এক আজব ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এখন পার্ট-২ তে দেখা যাক পরে কি হতে চলেছে।
☀ব্যক্তিগত রেটিং:☀
৮.৯/১০
☀ট্রেইলার লিঙ্ক:☀
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই ওয়েব সিরিজের সিজন ১ এর শেষ পর্ব পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। লোকটা তো আসলেই জিনিয়াস। মানুষের চোখ দেখেই সবকিছু সত্যি সত্যিই বলে দিতে পারে। মাহাকে দেখেই বলে দিলো তার বাবার খোঁজ কিভাবে পেতে পারে। মাহা চার্চে গিয়ে ফাদার আলফ্রেড এর সাথে দেখা করেছে তার বাবার খোঁজ নেওয়ার জন্য। চার্চে রাখা বইগুলোর উপরে যে লেখকের ছবি রয়েছে এবং জেলের সেই লোক অর্থাৎ চঞ্চল চৌধুরীর সাথে হুবহু মিল রয়েছে যেহেতু, তাহলে কি চঞ্চল চৌধুরী আগে লেখক ছিলেন নাকি। আশা করি মাহা সব রহস্যের উদঘাটন করতে সক্ষম হবে। তবে মোস্তাক তো পুরোপুরি ঝামেলায় পড়ে গিয়েছে দেখা যাচ্ছে। জেলের ভিতরে যদি সেই লোকটাকে মেরে ফেলে,তাহলে তো মোস্তাকের ছেলেকেও কয়েদীরা মেরে ফেলবে জেলের ভিতরে। দেখা যাক পরবর্তী সিজনে কি হয়। এই ধরনের ওয়েব সিরিজ দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। দেখার সময় সাসপেন্স কাজ করে মনের মধ্যে। যাইহোক এতো চমৎকার ভাবে এই ওয়েব সিরিজের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা কারাগার ওয়েব সিরিজটার সিজন ১ এর অন্তিম পর্ব পড়তে আমার কাছে সত্যি অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আর দেখছি এই অন্তিম পর্বের নাম ছিল "লস্ট শিপ"। পার্ট ১ সম্পূর্ণ দেখে ভালো লেগেছে দাদা। দাদা এই পর্বের মধ্যে দেখছি বেশ ভালোই মজার মজার ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনা গুলো দেখে তো আমার কাছে সত্যি খুব ভালো লেগেছে। ওই লোকটা তো দেখছি নিজের সাজানো ফ্ল্যান মত চলছিল। আর বোবার মুখে কথাও ফুটেছিল দেখলাম । এবং কি সে নিজেই সবকিছু আগে থেকেই জানতো। আর অন্যদিকে মোস্তাক একেবারে ঝামেলার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল কিন্তু। কি পুরোপুরিভাবেই ঝামেলায় জড়িয়ে গিয়েছিল। আর বইগুলোর উপরে লেখক গুলোর ছবি এবং নাম ছিল, তার মধ্যে এই লোকটারও ছবি মিলে গিয়েছিল দেখলাম। তাহলে তো আমার মনে হচ্ছে ওই লোকটা ছিল একজন লেখক। যার কারণে ওই লোকটার সাথে লেখকের ছবিটার সম্পূর্ণ মিলে গিয়েছিল। এখন এটাই দেখতে হবে যে কারাগার ওয়েব সিরিজটার দ্বিতীয় পার্ট অর্থাৎ দ্বিতীয় সিজনে কি হয়। আশা করছি দাদা দ্বিতীয় সিজন আমাদের মাঝে খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এত সুন্দর করে পুরোটা রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনার ওয়েব সিরিজের রিভিউ গুলো আমার কাছে সব সময় অনেক বেশি ভালো লাগে। এত সুন্দর করে আপনি কারাগার ওয়েব সিরিজটার রিভিউ গুলো সবার মাঝে শেয়ার করতেছেন দেখে ভালো লেগেছে। দাদা আজকের এই পোস্টে আপনি এই ওয়েব সিরিজটার সিজন ১ এর অন্তিম পর্বের রিভিউ শেয়ার করেছেন। চঞ্চল চৌধুরী বোবা ছিল আর শেষে এই পর্বে দেখছি বোবার মুখে কথা ফুটেছে। আর প্ল্যানগুলো ছিল সবকিছুই তার সাজানো। আর আমার তো এটা মনে হচ্ছে যে চঞ্চল চৌধুরী একজন লেখক ছিলেন। কারণ যে বইগুলো ছিল তার মধ্যে লেখকদের ছবি ছিল। আর সেখানে চঞ্চল চৌধুরীর ছবিও ছিল। এর ধারা এটাই বোঝা যাচ্ছে যে চঞ্চল চৌধুরী একজন লেখক। এখন এটা শিওর নাকি অন্য কিছু এটাই তো বুঝতে পারতেছি না এখনো। পার্ট ২ এর রিভিউ পোস্ট করেই বোঝা যাবে চঞ্চল চৌধুরীর সব কিছু। আর ওই কয়েদি তো দেখছি তারই লোক ছিল। এটা কিন্তু একেবারে সত্য কথা দাদা, একেবারে আজব ঘটনা ঘটেছে এখানে। অনেক সুন্দর এবং কি অনেক বেশি ভালো লেগেছে এটা। আশা করছি দ্বিতীয় পাঠ খুব তাড়াতাড়ি দেখব দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা যদিও এই ওয়েব সিরিজটার প্রত্যেকটা পর্বের রিভিউ আমার পড়া হয়নি। তবে কয়েকটা পর্বের রিভিউ পড়েছি আমি। দেখতে দেখতে এই ওয়েব সিরিজটার একটা সিজন শেষ হয়ে গিয়েছে দাদা। আর এটা দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এবং কি সিজন ১ এর শেষ পর্বটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে এটা জেনে বেশি ভালো লেগেছে যে এই পর্বে অনেক মজার মজার ঘটনা ঘটেছে। বেশি মজা লেগেছে বোবার মুখে কথা ফুটেছে এই বিষয়টা। চঞ্চল চৌধুরী বোবা কিন্তু ছিল না আর আমি এরকমটাই মনে করি। সে তো মনে হয় তার প্ল্যান মতোই ছিল। এবং কি সে একজন লেখক ছিল মনে হচ্ছে। তার কারণ হচ্ছে ওই বই এর মধ্যে চঞ্চল চৌধুরীর ছবি ছিল। যেখানে লেখকদের ছবি রয়েছে, সেখানে তার ছবি কিভাবে আসবে। তাই মনে হচ্ছে তিনি একজন লেখক। যাইহোক দাদা এই অন্তিম পর্ব টা সম্পূর্ণ ভালোভাবেই পড়ার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ এই অন্তিম পর্ব টা সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা ব্যস্ততার কারণে যদিও মুভি অথবা ওয়েব সিরিজ গুলো দেখা হয় না। তবে আপনার রিভিউ পোস্টের মাধ্যমে পড়ার চেষ্টা করি। কারণ রিভিউর মাধ্যমে পড়লে আর সেগুলো দেখেই লাগেনা। আপনি অনেক সুন্দর করে রিভিউ গুলো লিখে থাকেন। আর রিভিউর মাধ্যমে সুন্দর করে পুরো কাহিনী তুলে ধরেন দেখে, সেগুলো পড়তে অনেক বেশি ভালো লাগে। ওয়েব সিরিজটার অন্তিম পর্ব আজকে শেয়ার করেছেন। যেটার কাহিনী অনেক সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। এবং কি মজার বিষয়গুলো আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে দাদা। বোবার মুখে কথা ফুটেছে এই কথাটা শুনে যদিও কিছুটা অবাক হয়েছি, তবে এটা বুঝলাম যে তার অভিনয় ছিল হয়তো এগুলো। কারণ এতদিন কথা বলিনি, আজকে বলেছে। বিষয়টা যেমন অবাক হওয়ার মতো, তেমনি এটা বোঝা যাচ্ছে যে অভিনয় করেছিল সে। এখন দ্বিতীয় সিজন টা আশা করছি তাড়াতাড়ি দেখব। এটাই এখন দেখতে হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit