হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'হোস্টেজেস' ওয়েব সিরিজটির সপ্তম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "Betrayal"। গত পর্বে দেখেছিলাম যে, মিরা পৃথ্বীর বাড়িতে গিয়ে অনেক বছর আগে সিটি হসপিটালে ভর্তি হওয়া একজন পেসেন্ট এর ফাইল নিতে যায়। আজকের পর্বে এর পরে কি হয় সেটা দেখা যাক।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
✠মূল কাহিনী:✠
তো মীরা যখন পৃথ্বীর বাড়িতে গিয়ে ফাইলপত্রগুলো নিয়ে নেয় এবং বেরিয়ে আসার মুহূর্তে পৃথ্বী সেখানে চলে আসে। আর যে রুমে মীরা ছিল, সেখানে পৃথ্বী চেকিং এর জন্য যায় এবং তার সন্দেহ হয় হুট্ করে যে, এখানে কিছু এলোমেলো তো লাগছে এবং তখন আবারো ভালো করে দেখতে থাকে। ওই মুহূর্তে তার মেয়ে ডাক দেয়, তবে এখানে না ডাক দিলে হয়তো ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতো, কারণ ঠিক যেখানে লুকিয়ে ছিল, ওখানেই চেক করতে যাচ্ছিলো। যাইহোক, তার যে ফাইলটা দরকার ছিল, সেটা নিয়ে নেয়। এরপর পৃথ্বী অন্য রুমে তার মেয়ের কাছে চলে গেলে, মীরা লুকিয়ে সেখান থেকে পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসে। আর এরপর আবারো সেখানে অর্থাৎ যেখানে তার গাড়ি রাখা ছিল, সেখানে সময়মতো পৌঁছিয়ে যায়। এরপর সেখানে আবারো পৃথ্বী পৌঁছিয়ে যায় এবং সেখান থেকে মীরাকে নিয়ে হসপিটালে চলে যায়।
মিরা গিয়ে মেডিসিনের স্টোর থেকে মোটামুটি যেসব ঔষধ এবং ইনজেকশন বা এন্টিবায়োটিক দরকার ছিল, সবকিছুই মোটামুটি নিয়ে নেয়। আর যে নার্স এর সাথে মোটামুটি পৃথ্বীর বিষয়ে কথা বলেছিলো তার কাছে গিয়ে সেই মেডিকেল এর যে ফাইল নিয়ে এসেছিলো তার নাম্বার দিয়ে রিপোর্ট চেক করতে গিয়ে দেখে যে, সেটা ৩০ বছর আগের পুরানো একটি ফাইল এবং সেটা কেউ ডিলিট করে দিয়েছে বা সেটার অনেক কিছুই মুছে ফেলেছে। শুধু পেসেন্ট আর নামটুকু আসছে, আর এটা ভিতরের কেউ বা যার যার ওই কম্পিউটারে এক্সেস দেওয়া আছে, তারাই এই কাজটা করেছে বলে ধারণা। আর মুখ্যমন্ত্রীর যে অ্যাসিস্ট্যান্ট তার ধারণা যে, তাহাকে কেউ মারার চেষ্টা করছে এবং সেটা ভিতরের কেউ হবে আর এটা নিয়েই মীরার সাথে আলোচনা করতে থাকে। এরপর পৃথ্বীর সাথে আবারো বাড়িতে গিয়ে তার হাসব্যান্ডকে মেডিসিন দিতে যাওয়ার সময় যখন ডাস্টবিনে কিছু ফেলতে যায়, তখন দেখে ব্যাঙ্ক এর থেকে সেই নোটিশ, যেটাতে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার এবং লিগ্যাল অ্যাকশন এর বিষয়ে লেখা ছিল অফিসিয়ালি।
আর এটা দেখে সে শক হয়, কারণ সে এই বিষয়ে কিছুই জানতো না এবং তার একাউন্ট চেক করে দেখে, ২ কোটির বেশি টাকা ক্রেডিটেড। এখন এতগুলো টাকা কিভাবে আসলো তার একাউন্ট-এ সেটা জানতে চাওয়ায় সে বলে দেয় বিষয়টা। আসলে একসময় জুয়া খেলতো আর সব টাকা তাতে বিট লাগিয়ে শেষ করে ফেলে আর তার ছেলেমেয়েকে বাঁচাতে সে কিছু দুষ্কৃতীর সাথে হাত মিলায় আর তারাই এই টাকাগুলো পাঠায়। এখন এই নিয়ে তো আরো দ্বন্দ্ব খাড়া হয়, কারণ অনেক বড়ো বিপদের মুখে, আর এই নিয়ে সে তো যা যা মেডিসিন এনেছিল সব প্রায় ভেঙেই ফেলে। এরপর মীরা তার ছেলে এবং মেয়েকে বের করার জন্য আরেকটা প্ল্যান তৈরি করে আদির সাথে কথা বলে আর পিছনের দরোজার চাবিও তাকে দিয়ে দেয় । ওদের মধ্যে যে সাইকোটা ছিল সেটাকে উপরে নিয়ে গেলে সেই সুযোগে আদি তাদের বের করে নিয়ে যেতে সফল হয়।
✠ব্যক্তিগত মতামত:✠
আসলে মীরা সঠিক কোথাই পৃথ্বীকে বলে বেরিয়েছিল, কিন্তু যাওয়ার পথেই এই প্লানটা সাজায় আরকি, যেটা দেখে বোঝা গেলো। মাঝ পথেই গাড়ির চাকা লিক করার এই একটাই কারণ ছিল। তবে হসপিটালে এই বিষয়টা নিয়ে একটা গড়বড় হচ্ছে, সেটা অনেকের মনে সন্দেহ হিসেবে ঘুরপাক খাচ্ছে। আর মীরা হাসপাতাল থেকে যে বেরিয়ে অন্য কারো সাথে গাড়িতে করে গিয়েছে সেটাও অ্যাসিস্ট্যান্ট এর চোখে পড়ে। তবে সন্দেহটা কার দিকে সেটা ক্লিয়ার বলেনি এবং সেই বিষয় নিয়ে মিরাকে ফোন করে জানাতে বলে, যদিও ইনডাইরেক্ট কিছু না বললেও একটা সন্দেহভাজন কথা অবশ্যই বলে যে, আপনাকেও অর্থাৎ মীরাকেও কেউ ব্যবহার করতে পারে তার জন্য। তবে যাইহোক, এখন প্লানিং করে তো মীরা তার ছেলে এবং মেয়েকে বাড়ির বাইরে আদির সাথে বের করে দিতে সফল হয়, কিন্তু তার রিএকশন এখন কি হবে সেটাই দেখার বিষয়।
✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৮.৯/১০
✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মীরা তো তাহলে অল্পের জন্য পৃথ্বীর হাতে ধরা পরেনি। ধরা পরলে তো মীরার বারোটা বেজে যেতো। যাইহোক মীরা এক্ষেত্রে বেশ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। এমনিতেই মীরার পরিবার সবদিক দিয়ে বিপদের মধ্যে আছে, আর এখন যদি ব্যাংক নোটিশের কারণে তাদেরকে বাড়ি ছাড়তে হয়,তাহলে তো ব্যাপারটা একেবারে খারাপ হবে। যাইহোক আদির সাথে মীরা তার ছেলে এবং মেয়েকে বাড়ির বাইরে বের করে দিয়েছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো দাদা। যাইহোক এতো সুন্দর ভাবে এই পর্বের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে হোস্টেজেস ওয়েব সিরিজটার সপ্তম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে তো অনেক বেশি ভালো লেগেছে আজকের পর্বটার সম্পূর্ণ রিভিউ পড়তে। এই নাটকটার কয়েকটা পর্বের রিভিউ পড়েছি। আজকে এই পর্বের রিভিউ পড়ে ভালো লেগেছে। মিরা যখন অন্য কারো সাথে হসপিটাল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল তখন দেখছি এটা অ্যাসিস্ট্যান্ট এর চোখে পড়েছিল। মিরা নিজের ছেলেমেয়ে দুজনকেই এখন আদির সাথে বের করে দিয়েছে। আর এই কাজটা করতে তারা সফল হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। এখন তার রিঅ্যাকশন টা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা। পর্বটা সত্যি অনেক সুন্দর ছিল। এবার থেকে চেষ্টা করবো প্রতিনিয়ত সবগুলো পর্বের রিভিউ পড়ার জন্য। আশা করছি আপনি তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে পরবর্তী পর্বগুলোর রিভিউ নিয়ে হাজির হবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনার শেয়ার করা ওয়েব সিরিজ গুলোর রিভিউ পড়তে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে এই ওয়েব সিরিজটার পর্বগুলো রিভিউ আমার পড়া হয়নি। কিন্তু আমি সময় পেলে এর আগের পর্বগুলোর রিভিউ পড়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো। মীরা যে ফাইলটা খুঁজছিল সে ওই ফাইলটা পেয়ে গিয়েছে দেখছি। আর এই পর্বের একেবারে শেষে মীরা নিজের সন্তানদেরকে দেখছি প্ল্যান করে বাহিরে পাঠিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু এগুলোর সম্পূর্ণ বিষয় ভালোভাবে বুঝতে পারিনি। তাই আমি আগেই পর্বগুলো অবশ্যই পড়বো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। আর আপনি আশা করছি অন্য পর্বগুলোর রিভিউ তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit