মুভি রিভিউ: "৪০ দিন & ৪০ রাত"

in hive-129948 •  3 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা মুভি রিভিউ শেয়ার করবো। এই মুভিটির নাম হলো "৪০ দিন & ৪০ রাত"। এই মুভির কাহিনীটা মূলত একটা দুর্যোগের উপর তৈরি করা। ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেই ৪০ দিন এবং রাত কিভাবে জনগণ লড়াই করেছে তার উপরেই এই মুভিটি। এই মুভিটি হয়তো আপনারাও অনেকে দেখেছেন, আমি অনেকবারই দেখেছি এই মুভিটি। বেশ ভালো কাহিনীটা। আশা করি আপনাদের কাছে এই রিভিউটি ভালো লাগবে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে


♛কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:♛

মুভির নাম
"৪০ দিন & ৪০ রাত"
পরিচালকের নাম
পিটার গেইগের ( Peter Geiger)
লেখকের নাম
হ.পেরি হরতন ( H. Perry Horton)
অভিনয়
এলেক্স কার্টার ( Alex Carter), মনিকা কীনা ( Monica Keena ), ভিক্টোরিয়া বারাবাস ( Victoria Barabas), ডেভিড বিত্তিক ( David Bittick) ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
২৭ নভেম্বর ২০১২ ( ইউনাইটেড স্টেট)
মূল ভাষা
ইংলিশ
ভাষা ডাবিং
হিন্দি
সময়
১ ঘন্টা ২৭ মিনিট
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইউনাইটেড স্টেট


✔মূল কাহিনী:


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

মুভির শুরুতে দেখা যায় কিছু লোকজন অর্থাৎ বন্ধুবান্ধব আর কি, তারা সবাই গাড়িতে করে রেগিরস্থান নামক জায়গায় গিয়ে আনন্দ-ফুর্তি করতে লাগে। মূলত সেখানে সবাই ফোটোগ্রাফি করতে গিয়েছিলো। সেই সময় হঠাৎ তারা দেখতে পায় আবহাওয়া কেমন যেন খারাপ হয়ে যায় আর সেই বিষয়ে ভাবতে ভাবতে জল বিশাল উচ্চতাসম্পন্ন ভাবে তীব্র গতিতে তাদের দিকে ঝেপে আসে। তারা জলের হাত থেকে বাঁচতে গিয়েও বাঁচতে পারেনি, সবাই জলের বিশাল গভীরে তলিয়ে যায়। এরপর দেখা যায় এলেক্স নামক ব্যক্তি আর তার স্ত্রী একটা রিসার্স সেন্টারে কাজ করছে এবং সেখানে তারা কাজের ফাঁকে একটু সময় কাটানোর জন্য ছাদে যায়। তারা গল্প করতে করতে সেখানেও দেখে আবহাওয়া কেমন আস্তে আস্তে ভয়ানক রূপ নিচ্ছে। এইটা দেখে তারা দুইজন একটু বিস্মিত হয়ে যায় কারণ আবহাওয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী এখানে দুই সপ্তাহ বাদে বৃষ্টি শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটা এতো দ্রুত চলে আসবে কেউ ভাবতে পারেনি। অন্যান্য দিকে লাগাতার ভারী বৃষ্টি হওয়ার কারণে একপ্রকার তেহেছনেহেচ হয়ে গেছে। এরপর তারা সবাই রিসার্স সেন্টারের মধ্যে আর্মিদের সাথে আলোচনা করে যে কিভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করা যায়। তারা সবাই মিলে এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচার জন্য দ্রুত বিশাল বড়ো সাবমেরিন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয় কারণ তারা ধারণা পেয়েছে জল যে গতিতে বাড়ছে আর উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দেশ ডুবে যাবে। এরপর তাদের রিসার্স সেন্টারে ডাক্তারদের জন্য কিছু সেম্পল ট্রেনে করে পাহাড়ের রাস্তা দিয়ে আসছিলো কিন্তু পাহাড়ের ধস নামার ফলে ট্রেনটি মাঝপথে আটকা পড়ে। এখন সেই ডি এন এ সেম্পল না হলে তাদের কোনো কাজে আসবে না তাই আর্মির কর্নেল তাদের একজন অফিসার আর এক ডাক্তার মানে এলেক্স এর স্ত্রী কে হেলিকাপ্টার করে সেই ট্রেনের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এদিকে রিসার্স সেন্টারে এলেক্স এর এক বন্ধু তার বাড়িতে ফোন করে বলে যে এই তুফান কোনো নরমাল না, তোমরা যত দ্রুত সম্ভব রিসার্স সেন্টারের এখানে চলে এসো।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

ফোন করে তাদের বলার পরে সবাই গাড়িতে করে বেরিয়ে পড়ে সেই তেজ বৃষ্টির মধ্যে। কিন্তু বাইরে বেরিয়ে তারা জ্যাম এর মধ্যে পড়ে যায় কারণ তখন সবাই বাঁচার জন্য দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়েছিল গাড়ি নিয়ে, ফলে তারা আর বেরোতেই পারে না। এরপর তারা বোট এর মাধ্যমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং স্প্রিট বোট এ করে যাওয়ার সময় পিছন দিক থেকে বড়ো একটা তুফান আসে কিন্তু তারা কোনোমতে বেঁচে গেছিলো । এদিকে যে অফিসার আর ডাক্তার ট্রেনে এর কাছে গেছিলো সেম্পেল আনতে তারা মোটামুটি কয়েকটা কামরা ঘুরে ঘুরে কিছু সেম্পেল খুঁজে পেয়েছিলো। আরো কিছু পাওয়া যায় কিনা সেইজন্য চেষ্টা করছিলো কিন্তু তুফান তেজ গতিতে তাদের দিকে ধেয়ে আসছিলো ফলে সেখান থেকে অল্প কিছু ডি এন এ সেম্পেল নিয়েই ফিরতে হয়। তবে এখানে আরো একটা বিপদ ঘটে গেছিলো সেটা হলো হেলিকাপ্টারে লাফ দিয়ে ওঠার সময় সেই সেম্পেলগুলো পড়ে যায়। আর এর জন্য ডাক্তার খুব আপসোস করতে লাগে কারণ এইগুলো ছিল ভবিষ্যতে পৃথিবীতে মানুষের বেঁচে থাকার মূল চাবিকাঠি যেটা তারা রিসার্স এর মাধ্যমে করতে চেয়েছিলো। এদিকে এলেক্স সাবমেরিন চালানোর জন্য ইঞ্জিন তৈরি করছিলো কিন্তু টেস্ট করার সময় কিছু ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বের হয় আর বন্ধ হয়ে যায়। তখন এটি আবার ঠিক করার জন্য অন্য কোনো বোট এর থেকে ইঞ্জিন আনার জন্য হেলিকাপ্টার এ করে চলে যায়। এলেক্স আর তার সহকর্মী খুঁজে খুঁজে একটা বড়ো বোট পেয়ে যায় এবং সেখান থেকে লুকিয়ে তারা প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিয়ে চুপিচুপি আবার বেরিয়ে আসে। এদিকে ডাক্তার রিসার্স সেন্টারে পৌঁছানোর পরে কর্নেল এর কাছে সব বিস্তারিত বলে এবং তাদের মৌমাছির সেম্পেল জরুরি ছিল সবগুলোর মধ্যে যেটা পড়ে গেছিলো। এরপর তারা সেই মৌমাছির সেম্পেল খোঁজার জন্য গুহা এর সন্ধান করে কারণ এই বৃষ্টির সময় মৌমাছি ওখানেই আশ্রয় নিতে পারে। এরপর যারা পথে আসছিলো তাদের মধ্যে মাত্র দুইজন জায়গা অব্দি পৌঁছাতে পেরেছিলো তুফানের হাত থেকে বেঁচে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

ডাক্তার আর সেই অফিসার মৌমাছির সেম্পেল সংগ্রহ করার জন্য গুহার খোঁজে পাহাড়ের সাইটে চলে যায় এবং পেয়েও যায়। এরপর তারা দুইজন সেই গুহার মধ্যে প্রবেশ করে মৌমাছির সন্ধান করতে লাগে কিন্তু পায় না, বেশ খানিক্ষন খোঁজার পরে মৌমাছির সন্ধান পায় এবং সেগুলো যখন তারা সংগ্রহ করতে যায় তখন পাহাড়ের ফাটল ধরে জল নিচে আসতে থাকে আর মৌমাছি উড়ে যেতে লাগে তখন তারা সেখান থেকে দৌড়িয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে এবং প্লেনে প্রবেশ করে কিন্তু পাইলট দুজন তুফানের হাত থেকে রেহাই পায়নি। অবশেষে তারা দুইজনেই প্লেনটিকে উড়িয়ে নিয়ে যায়, এখানে অফিসার বুদ্ধি করে হাতের মধ্যে কয়েকটা মৌমাছি নিয়ে নিয়েছিল। এরপর রিসার্স সেন্টারে যে লোকটা বাড়িতে ফোন করে এখানে আসতে বলেছিলো সেই লোকটার উপরে কর্নেল রেগে যায় কারণ এক হাজার লোককে সাথে করে নিয়ে এসেছিলো কিন্তু একজনও বাঁচেনি। এরপরে কর্নেল তাকে বন্দি করে দেয়। এরপর এলেক্স আর তার সহকর্মীরা যেসব ইঞ্জিন এনে আবার ঠিক করেছিল সেগুলো মোটামুটি রিপিয়ার করে লাগিয়ে টেস্ট করে দেখে সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। আর মোটামুটি প্রায় তারা সাবমেরিন এর কাজ শেষ পর্যায়ে নিয়ে চলে এসেছিলো। এদিকে ডাক্তার আর সেই অফিসারটি প্লেনে করে আসার সময় তারা দেখে ফিউল শেষ হয়ে গেছে তখন তারা ডেনমার্ক নামক জায়গায় নামার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো কিন্তু এসে দেখে সেটাও জলের নিচে তলিয়ে গিয়েছে। এরপর তারা পাহাড়ি মতো জায়গার দিকে এগিয়ে গিয়ে প্যারাসুটের মাধ্যমে নিচে নামে। সেখানে কিছু লোকজন তাদের বলে আমাদের এই কয়েকজন মানুষের যাওয়ার জায়গা নেই তাই তাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে তাদের সেন্টারে নিয়ে যায় আর তাদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করে দেয়।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

ডাক্তার সেম্পেল নিয়ে আসার পরে সেইটা নিয়ে দ্রুত রিসার্স শেষ করে ফেলে এবং সবাই সাবমেরিনে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে যায় কারণ জল পাহাড়ের সমান উচ্চতা নিয়ে তাদের দিকে আসতে থাকে। তবে সময়ের মধ্যে সবাই সাবমেরিনে পৌঁছাতে পারেনি কারণ বাধ্যতামূলক সাবমেরিনের দরজা বন্ধ করতে হয়েছিল তাদের নাহলে জল ভিতরে প্রবেশ করতো। যাইহোক এরপর সাবমেরিন নিয়ে তারা বেরিয়ে পড়ে কিন্তু জলের নিচে শক্ত কিছুর সাথে ধাক্কা খাওয়ায় কিছু একটা ডেমেজ হয়ে যায় ফলে সাবমেরিন জলের গভীরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিলো না। এরপর এলেক্স আর তার সাথে তিনজন সহকর্মী তার সাথে সাবমেরিনের উপরে উঠে খারাপ হয়ে যাওয়া জিনিসগুলো ঠিক করতে চলে যায় যেটা ছিল খুবই বিপদজনক। উপরে উঠে কাজ করার সময় একজন মারা যায় আর একজন আহত হয় গুরুতর ভাবে। এরপর তাকে সেই ডাক্তারটি চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলে। তবে এখানে সাবমেরিন আবারও জলের গভীরে পাহাড়ের মাঝখানে আটকে যায় ফলে সামনে বা পিছনে আর এগিয়ে যেতে পারে না। এরপর সেখানে দুইজন জলের নিচে গিয়ে কিছু দিয়ে মানে বোমা মতো যা হয় একটা কিছু দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে আসে। এরপর তারা আবার সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে এবং একসময় তুফান থেমে যায় আর প্রকৃতির শান্ত চেহারা আবার তারা দেখতে পায়।


✔ব্যক্তিগত মতামত:

এই মুভির কাহিনীটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। এই মুভিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের উপর কেন্দ্র করে কিভাবে করেছে সেটা না দেখলে বোঝা যাবে না। টানা ৪০ দিন আর ৪০ রাত বৃষ্টির কারণে জল এতো পরিমানে ফেঁপেছে যে তার উচ্চতা পাহাড়ের থেকেও বেশি হয়ে গেছিলো। ৪০ দিনে পুরো একটা দেশ জলের নিচে তলিয়ে গেছে বলতে গেলে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ যে কত বড়ো ভয়াবহ হতে পারে সেটা এই মুভিতে স্পষ্ট।


✔ব্যক্তিগত রেটিং:
৬.৫/১০


✔মুভির ট্রেইলার লিঙ্ক:


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা ৪০ দিন ৪০ রাত মুভিটা আমি দেখি নি। তবে মুভির মূল কাহিনী দেখে মনে হল দুর্যোগ থেকে এই মানুষগুলো কিভাবে উদ্ধার হয় এবং দুর্যোগপূর্ণ সময়ে তাদের বিভিন্ন সমস্যার মোকাবেলা কিভাবে করতে হয় সেই বিষয় সম্পর্কে আমরা জানতে পারি ।প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকতে হলে আমাদের অবশ্যই ধৈর্য ও সাহস ,পরিশ্রম। ডাক্তারের ডিএনএর স্যাম্পল গুলো রক্ষা না করতে পারাটা আমার সাথে খারাপ লেগেছে। পৃথিবী কে রক্ষা করার জন্য এগুলোর গুরুত্ব ছিল। যাইহোক ট্রেন ,হেলিকপ্টার ,সাবমেরিন সবকিছু মিলে তাদের যে ৪০ দিন কাটিয়েছে যা সত্যি কষ্টকর এবং অ্যাডভেঞ্চার মুলক। আমিও সাধারণত মুভি রিভিউ দেই আমার পরীক্ষা থাকার জন্য বেশ কিছুদিন হল মুভি রিভিউ দিতে পারতেছিনা দাদা। অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মুভি রিভিউ দেওয়ার জন্য দাদা।

হ্যা মুভিটি এডভেঞ্চার আছে আবার দুর্যোগের বিষয়ের দিক থেকে ভাবলেও থ্রিলার। এইরকম ভয়ানক দুর্যোগের মোকাবেলা কিভাবে করতে হয় বা কতটা ভয়ানক রূপ ধারণ করতে পারে সেটা এই মুভির মাধ্যমে তুলে ধরেছে সাধারণত। ভবিষ্যতে প্রথিবী যে জল দিয়ে ধংস হবে সেইটার নমুনা তুলে ধরেছে। এখানে মুভিটি আপনি প্রথম থেকে দেখলে বুঝতে পারবেন যে এরা ভারত, জাপান আমেরিকার কথা উল্লেখ করেছে যেখানে সব এই ভয়াবহ দুর্যোগে ধংস হয়ে গেছে। আপনি সময় করে দেখবেন, বেশ ভালো কাহিনী।

দাদা আপনি অনেক একটি মুভি রিভিউ দিয়েছেন, আপনার মুভি রিভিউ গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। কারণ আপনি এমন ধরনের মুভিগুলো রিভিউ করেন যে মুভিগুলো দেখতে খুবই সুন্দর। এবং মজা পাওয়া যায়। আমার এই মুভিটা দেখা হয়নি, তবে নামটা জেনে নিলাম দেখে নেব খুব শীঘ্রই। কারন এ ধরনের মুভিগুলো আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।

জানিনা কতটা মজা দিতে পারি রিভিউ এর মাধ্যমে, কিন্তু যথাসম্ভব দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি এইসব মুভিগুলো আগে অনেকবার করে দেখেছি এবং আমার খুব পছন্দের মুভি এইগুলো, এইজন্য আপনাদের সাথেও শেয়ার করি। মুভিটি সময় করে দেখে নেবেন, বেশ ভালো একটা মুভি। এই মুভিটি কিছুটা বাস্তবতার সাথে তাল মিলিয়ে করা।

এই সিনেমাটার নাম শুনেছি অনেক। কিন্তু কখনো দেখা হয়নি। আপনার রিভিউ পড়ে এখন দেখার খুব ইচ্ছে জাগছে ।খুব সুন্দর করে আপনি সিনেমাটির রিভিউ দিয়েছেন । একটি ব্যতিক্রমধর্মী কাহিনী নিয়ে সিনেমাটি বানানো। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি সিনেমাটি দেখতে পারবো। ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যা অনেক ভিন্ন ভাবে তৈরি মুভিটি, আমাদের প্রথিবীর বর্তমান অবস্থার উপর নির্ভর করে করা বলা যায়। ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা সবকিছু ধংস করে দিতে পারে। মুভিটি সময় করে দেখে নেবেন তাহলে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ যে কতোটা ভয়ংকর হয় তা এটা না দেখলে বুঝা যাবেনা।কারণ বাস্তবে তো সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে এসব সামনাসামনি দেখতে হয়নি।দারুণ লিখেছেন ভাইয়া।

আসলেই মারাত্মক ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয়। এই মুভিটা দেখলে সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। জল যেমন আমাদের তৃষ্ণা মেটাতে পারে আবার তেমনি সবকিছু ডুবিয়ে দিতেও পারে, যেটা এই মুভিতে আছে। কয়েকটা দেশ দেখতে দেখতে সমুদ্র হয়ে গেলো।

40 দিন 40 রাত মুভিটা খুবই বিস্তারিত ও সুস্পষ্টভাবে রিভিউ করেছেন।তাছাড়া হলিউডের মুভি মানেই ভয়াবহ কিছু থাকবেই।প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্যিই ভীষন ভয়ঙ্করী।ধন্যবাদ দাদা।

হ্যা প্রাকৃতিক যেকোনো দুর্যোগ খুবই ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে প্রয়োজন পড়লে। প্রকৃতি যেমন সবকিছু সুন্দরভাবে সাজায় আবার প্রয়োজনে নিমিষে ধংসস্তূপ গড়ে তুলতে পারে।

দাদা মুভি রিভিউ পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। দুর্যোগের উপর নির্মিত এ ধরনের সিনেমা গুলো দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। আর পোস্টটি পড়ে মনে হচ্ছে ছবিটা অনেক ভালো লাগার। আমি অবশ্যই চেষ্টা করব কয়েকদিনের মধ্যেই মুভিটি দেখার। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের উপহার দিয়েছেন।