ওয়েব সিরিজ রিভিউ : সুন্দরবনের বিদ্যাসাগর- চাকরি আছে এবং সুন্দরী বাহিনী ( পর্ব ১& ২)

in hive-129948 •  3 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আমি ওয়েব সিরিজ এর দুটি পর্ব রিভিউ দেব। এই সিরিজটির নাম হলো "সুন্দরবনের বিদ্যাসাগর"। এই সিরিজের ১ টি সিজন এবং এটি ৬ টি পর্ব নিয়ে তৈরি করা। এই সুন্দরবনের বিদ্যাসাগর সিরিজটি রিসেন্ট রিলিজ পেয়েছে অর্থাৎ মাত্র ২ মাস হলো। এই সিরিজের পর্বগুলোর সময় যেহেতু একটু কম তাই আমি ২টি করে পর্ব একসাথে রিভিউ দেব। এই সিরিজের কাহিনীগুলো অনেক ভালো, আশা করি আপনারাও আমার মতো কাহিনীগুলো উপভোগ করবেন।


স্ক্রীনশর্ট: ইউটিউব



☬কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:☬

সিরিজের নাম
সুন্দরবনের বিদ্যাসাগর
প্লাটফর্মের নাম
hoichoi
সিজন
পর্ব
চাকরি আছে এবং সুন্দরী বাহিনী ( পর্ব ১ & ২ )
পরিচালকের নাম
কোরোক মুর্মু
অভিনয়
ঋদ্ধি সেন, উষশী রায়, রূপাঞ্জনা মিত্র, শঙ্কর দেবনাথ ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
১১ মার্চ ২০২২ ( ভারত )
সময়
৫৩ মিনিট ( অন্তর্ভুক্ত ১ & ২ পর্ব )
ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ভারত


✔মূল কাহিনী:


স্ক্রীনশর্ট: hoichoi

কাহিনীর শুরুতে দেখা যায় পার্বতী নামক একটা মেয়ে পুষ্প নামক আরেকটি মেয়েকে সাজিয়ে বাড়ির থেকে একটি লোকের সাথে রাতের বেলা গাড়িতে করে পাঠিয়ে দিচ্ছে। তারা সবাই একটা ইঞ্জিন ভ্যান গাড়িতে করে যাচ্ছিলো এবং তারা রাস্তার মাঝখানে একটা স্থানে দাঁড়ালে একজন পুলিশ চলে আসে আর তাদের বিনা কারণেই মারধর করে পুষ্প নামক মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যেতে চায়। আর এই পুলিশ আর একজন বয়স্ক লোক ছিল পাচারকারীর সাথে যুক্ত। এরপর দেখা যায় জীবনপুরে বিদ্যাসাগর বাড়িতে ঋদ্ধি নামক একটা ছেলে সর্বক্ষণ পড়াশুনা করতে থাকে ইউনিভার্সিটিতে এক্সাম বলে। রেজাল্ট এর দিন মিডিয়ার লোকজন তাদের বাড়িতে আসে আর তাদের বাড়িতে সবকিছুর এতো আয়োজন দেখে সবাই একটু অবাক হয়ে যায়। এর কারণ জানতে চাইলে বলে আজকে তার ছেলে ঋদ্ধির রেজাল্ট এর দিন তাই সে টপ রেজাল্ট করবেই করবেই আর এই জন্য এতো আয়োজন। মিডিয়ার লোকজন তো একটু ভাবনায় পড়লো যে আপনি শিউর কিভাবে হচ্ছেন যে সে টপ রেজাল্টই করবে, তখন বলে আমার ছেলে সবসময় টপেই থাকে। এরপর ঋদ্ধির বাবা এবং তার বাবা বিদ্যাসাগরের ভক্ত ছিলেন বলে তাই নিয়ে তাদের সাথে গল্প শুরু করে দেয়। এরপর সবাই তো তার ছেলের বিভিন্ন ধরণের প্রশংসা করতে লাগে রবং মিডিয়ার লোকজন তখন বলে এর আগে তো মাধ্যমিক আর উচ্চমাধ্যমিকে টেনেটুনে পাস করেছিল। আর এই কথা বলতেই সবাই তেড়ে ওঠে আর বলে মাধ্যমিকের সময় শরীর খারাপ ছিল আর উচ্চমাধ্যমিকে ওর মায়ের চিকেন পক্স হয়েছিল এইজন্য খারাপ হয়েছিল। এরপর ঋদ্ধিকে সবাই তার রোল নম্বর নিয়ে নিচে আসতে বলে আর ইন্টারনেটে সার্চ দেয় রেজাল্ট এর সময়। সার্চ দিলে তো ঘুরতেই ঘুরতেই থাকে আর গ্রামের সবাই অপেক্ষা করতে লাগে। পরে সবাই দেখে এবারও কোনোমতে পাস, সবার সামনে একপ্রকার অপমানই হতে হলো।


স্ক্রীনশর্ট: hoichoi

ঋদ্ধির বাবা রেগে গিয়ে তাকে গালাগালি দেয় খুব এবং তাকে বলে এখন থেকে দোকানে কর্মচারীর মতো কাজ করবি না হলে ভাত জুটবে না বাড়িতে। এরপর ঋদ্ধি বাড়ির থেকে বেরিয়ে এক জায়গায় গিয়ে বসে এবং তখন ভুবন নামক একজন লোক এসে বলে যে তুমি এখান থেকে বেরিয়ে নিজের থেকে কোনো একটা কাজ করার চেষ্টা করো। তখন ঋদ্ধি তার ভুবন দার কাছে জিজ্ঞাসা করে যে এই রেজাল্ট এ কি কেউ চাকরি দেবে!? তখন ভুবন বাবু বলে অবশ্যই দেবে, তুমি একটা কাজ করো সুন্দরবনে চলে যাও, ওখানে বনদপ্তরের কাজ আছে। আমি কলকাতার একজনের ঠিকানা দিচ্ছি ওনার সাথে গিয়ে দেখা করো, উনি সব বুঝিয়ে দেবে। এরপর ঋদ্ধি ঠিকানা নিয়ে কলকাতায় একজনের কাছে চলে যায় দেখা করতে আর তাকে বলে তোমাকে সুন্দরবনের কুমিরখালীতে পাঠানো হবে আর ওখানে তুমি বনদপ্তরের ভলেন্টিয়ারের কাজ করবে। ওখানে সুন্দরবনে অনেক বিধবা পল্লী নামক গ্রাম আছে আর ওইসব গ্রামে আছে বহু বিধবা তাই তুমি এই গরিব অসহায় বিধবা বাহিনীদের নিয়ে তৈরি করবে একটা সুন্দরী বাহিনী। এরপর ঋদ্ধি বাড়ির থেকে অনুমতি নিয়ে সুন্দরবনে যাওয়ার কথা ভাবে কিন্তু তার বাবা রাজি হয়নি। কিন্তু ঋদ্ধি বেরিয়ে পড়ে আর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে করে সোজা চলে যায় আর ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে কুমিরখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর দীর্ঘক্ষণ নৌকায় জার্নির পরে ঋদ্ধি কুমিরখালীতে নামে আর তখন রাতও হয়ে যায়।


স্ক্রীনশর্ট: hoichoi

এইবার দ্বিতীয় পর্ব সুন্দরী বাহিনী শুরু হচ্ছে- ঋদ্ধি কুমিরখালীতে রাতে নামার পরে সেখানে বাঘের গর্জন শুনে একটু ভয়ভীতি হয়ে যায় এবং একসঙ্গে অনেকজন বিধবাদের প্রদীপ হাতে নিয়ে সেখান দিয়ে যেতে দেখে। এরপর তাকে রিসিভ করতে হাফিজ নামক একজন লোক বাইকে করে আসে আর তাকে একটি গেস্ট হাউসে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। পরের দিন সকালে বিধবা গ্রামে একটা মাইকিং করে দিয়ে যায় যে পঞ্চায়েত থেকে চাল, ডাল দেওয়া হবে তাই সবাই যেন সময় মতো সেখানে পৌঁছিয়ে যায়। এদিকে ঋদ্ধি ঘুমের থেকে উঠে হাফিজ এর সাথে পঞ্চায়েতে যায় আর সেখানে গিয়ে তাদের সুন্দরী বাহিনীর প্রকল্পের কথা বলে এবং সেখানে এক দিদিমনি বলে এটা অনেক ভালো উদ্যোগ, এতে করে এখানে বিধবারাও বাঁচবে আর সুন্দরবনও রক্ষা হবে। তবে তারা বলে যে অলরেডি তারা একটি কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছে তাই সেইটা শেষ হলে আপনাদের কাজটা শুরু করবো। এরপর ঋদ্ধি তাদের কাছে বিধবাদের একটা লিস্ট দিতে বলে কিন্তু কম্পিউটার খারাপ বলে দিতে পারে না তাই ঠিক হলে পাঠিয়ে দেবে বলে দেয়।


স্ক্রীনশর্ট: hoichoi

ঋদ্ধি আর হাফিজ তখন পঞ্চায়েত অফিস থেকে বাইরে এসে দেখে অনেকজন বিধবা সেখানে জড়ো হয়েছে আর তাদের ছবি তোলা হচ্ছে। তখন ঋদ্ধি ভাবলো এই সময় তাদের সাথে এই প্রকল্পের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে আর সে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করলে পঞ্চায়েত এর দিদিমনি এসে আটকে দেয় আর সেখান থেকে চলে যেতে বলে। সেখানে মাখন নামক এক গুন্ডা আসে যে আগে বেশ কিছুদিন খুনের দায়ে জেল খেটে এসেছে। এরপর সবাইকে ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে বের করে দেয়। দিদিমনি তখন ঋদ্ধির উপরে নজর রাখতে বলে আর এমন কোনো মারধরের কাজ করতে মানা করে এই মুহূর্তে যেহেতু সরকারি লোক। এরপর ঋদ্ধি বিডিও অফিসে গিয়ে অফিসারের সাথে মানে তার বস এর সাথে দেখা করে আর সবকিছু বললে বলে ওসব দিদিমনির কোথায় কিছু হবে না আমি যা বলবো তাই হবে। তুমি গ্রামের বিধবাদের মধ্যে ফ্রিতে অনেক কিছু বিলি করো তাহলে তারা অনেকে এই কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়ে নাম লেখাবে। এদিকে দিদিমণিরাও বলে যে আমরাই ওদের সব তাই আমরা যা বলবো ওরা তাই করবে। ওদের হাতে রাখতে হবে যেকোনভাবে তাই একদিন সবাইকে বলে এই সুন্দরবনে পার্ক তৈরি করা হবে যেখানে অনেক পর্যটকরাও আসবে। এদিকে ঋদ্ধি সবাইকে ফ্রিতে জিনিস দিতে যায় কিন্তু অনেকে নিতে চাচ্ছে না, কেউ নিচ্ছে আবার নিচ্ছে না। এরপর ঋদ্ধি উষশীর বাড়িতে গিয়ে জিনিস দিতে যায় আর তাকে দেখে ঋদ্ধির ভালো লাগে একপ্রকার।


✔ব্যক্তিগত মতামত:

ঋদ্ধি বিদ্যাসাগর রেজাল্ট খারাপ করার কারণে সে অপমানিত হয়ে একপ্রকার চলে যায় সবার কাছ থেকে। আর তার বাবার কথা শুনে অনেক কিছু করেছিল না পারা সত্বেও তাই সে এইবার নিজের মতো করে সবকিছু করতে আর নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য তার ভুবন দার ভালো পরামর্শে একটা কাজ নিয়ে সুন্দরবনের গ্রামে চলে যায়। সেখানে কাজ করার প্রথমে পঞ্চায়েত থেকে একটা নির্দেশ লাগে কিন্তু সেখানে তারা তাদের ইচ্ছা করে কোনো সহযোগিতা করতে চায় না, কম্পিউটার ঠিক থাকা সত্বেও বলে দেয় খারাপ ছিল। মূলত সুন্দরবনের সাইট দিয়ে চারা লাগানোর দায়িত্ব তাদের ছিল কিন্তু তারা তা না করে বেচে টাকা কামিয়েছে। তাই এই পরিকল্পনাকে নতুনভাবে সাজিয়ে একটা সুন্দরী বাহিনী প্রকল্প দিয়ে সরকারের থেকে ঋদ্ধিকে পাঠানো হয়। এই দুটি পর্ব থেকে এই ধারণাটা পাওয়া যায়। এর পরের কাহিনীতে কি হয় সেটা পরবর্তী পর্বের থেকে বোঝা যাবে।


✔ব্যক্তিগত রেটিং:
০৭/১০ ( অন্তর্ভুক্ত ১ & ২ পর্ব )


✔ট্রেইলার লিঙ্ক:


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
হৈচৈ এর ওয়েব সিরিজগুলো আমার অনেক ভালো লাগে। করোনা কালীন সময়ে অনেক গুলো ওয়েব সিরিজ দেখা হইছে আমার। আসলে এখন মানুষ হলে যাওয়ার চেয়ে ছোট পর্দার ওয়েব সিরিজ বেশী পছন্দ করে।
আপনি হৈচৈ প্লাটফর্মের সুন্দরবনের বিদ্যাসাগর ওয়েব সিরিজটি আমাদের জন্য রিভিউ করেছেন। আপনার রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো। কাহিনী কেবল শুরু হচ্ছে। কাহিনীতে দেখানো হয় ঋদ্ধির বাবা ঋদ্ধিকে বকা দেয় তার রেজাল্ট খারাপ হওয়াতে কারণ খারাপ রেজাল্ট এ ভালো চাকরি পাওয়া যায় না। তাই ঋদ্ধিও ভেঙে পড়ে। তবে এখানে ভুবন নামক লোকটার অনুপ্রেরণায় ঋদ্ধি তার আসল কর্মস্থান খুঁজে পায়। বিধুবাদের নিয়ে সুন্দরী বাহিনী গঠনের কাজ।
আমার কাছে দুইটা পার্টই খুব ভালো লেগেছে। আমার মনে হচ্ছে হাফিজ নামে লোকটা ঋদ্ধির ভালো বন্ধু হবে। কেবল মুল কাহিনিতে ঢুকতেছি। তবে আজকের দুই পার্ট অনেক ভালো ছিলো। ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পার্টগুলোর অপেক্ষায় রইলাম দাদা। শুভকামনা আপনার জন্য। 💕💞

খুব সুন্দর একটি ওয়েব সিরিজ তুলে ধরেছেন। আসলে কাজের কারণে ওভাবে আমার ওয়েব সিরিজ দেখা হয়না। তবে ভাইয়া আপনার এই ওয়েব সিরিজটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো বিশেষ করে দুইটা জিনিস বুঝতে পারলাম কোন কিছু জানার আগে বেশি খুশি হওয়া ভালো না যেমন ঋদ্ধির রেজাল্ট বের হওয়ার আগে ওর বাবা ঢাকঢোল পিটিয়েছে। পরবর্তীতে দেখা গেছে ঋদ্ধির রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। দ্বিতীয়তঃ মানুষ খারাপ রেজাল্ট করলে সবাই বকাবকি করে ঋদ্ধির বাবা ও ঋদ্ধিকে বকাবকি করেছে। আসলে সবাই বকাবকি না করে পাশে দাঁড়ানো উচিত। যেমনটা ভুবনদা ঋদ্ধির পাশে দাঁড়িয়েছ। তেমনি কেউ কখনো কিছু খারাপ করলে তাকে না বকে তার পাশে দাঁড়ানো উচিত তাহলে হয়তো পরবর্তীতে রেজাল্ট ভালো হয়। আশা করি সামনের পর্ব গুলো পড়ে আরো অনেক শিক্ষণীয় বিষয় পাব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি ওয়েব সিরিজ রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

এরপর ঋদ্ধি উষশীর বাড়িতে গিয়ে জিনিস দিতে যায় আর তাকে দেখে ঋদ্ধির ভালো লাগে একপ্রকার।

ঋদ্ধি সেন ও উষশী রায় অনেক জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী। আর এই ওয়েব সিরিজে যেহেতু এই জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পীরা অভিনয় করেছেন তাহলে অবশ্যই এই ওয়েব সিরিজ অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করবে। আসলে ওয়েব সিরিজগুলো দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। ওয়েব সিরিজগুলো যখন দেখি তখন মনের মাঝে আলাদা রকমের অনুভূতি তৈরি হয়। কারণ পর্ব আকারে শেয়ার করা এই ওয়েব সিরিজগুলো দেখার প্রতি আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। "সুন্দরবনের বিদ্যাসাগর" এই ওয়েব সিরিজটি দেখার প্রতি আগ্রহ তৈরি হলো দাদা। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে দুটি পর্বের গল্প কাহিনীগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আশাকরছি সুন্দরী বাহিনী সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষা করতে পারবে। এই ওয়েব সিরিজের মাঝে মিশে অনেক অজানা গল্প ও একটি মিষ্টি প্রেমের গল্প। আশা করছি পরবর্তী পর্বে মিষ্টি প্রেমের গল্প মিশে থাকবে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা। অনেক সুন্দর ভাবে এই ওয়েব সিরিজ রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা।♥️♥️

দাদা সত্যি বলতে ওয়েব সিরিজ খুবি ভাল লাগে তবে কখনও কোন প্যাকেজ কিনে দেখা হয়নি। প্যাকেজ কিনবো কিনবো করে আর কেনা হয় না। বিশেষ করে হৈ চৈ খুবি নাম করেছে। তবে আমাদের এখানে হৈ চৈ বিডি নামে একটি প্যাকেজ রয়েছে। কিন্তু ওটাতে অনেক গুলো সিরিজ মনে হল নেই। যেগুলো অন্যান্য দেশ থেকে দেখা যায়। ওদের সাথে যোগ যোগ করেছিলাম কিন্তু ওরা বললো এটা বিডি সব গুলো পাবেন না। তারপর বিষয় টি নিয়ে আর ভেবে দেখিনি। আজকের যে ওয়েব সিরিজ সুন্দরবনের বিদ্যাসাগর- চাকরি আছে এবং সুন্দরী বাহিনী এর রিভিউ দিয়েছেন পড়তে পড়তে দেখার ইচ্ছাটা আবারো জাগ্রত হলো । কাহিনী টা একটু রহস্যেভরা মনে হচ্ছে। তবে মজা পেয়েছি পরীক্ষার রেজাল্ট এর বিষয় গুলো যখন পড়ছিলাম। হা হা। আগে থেকেই আয়োজন শেষ মেষ টেনে টুনে পাস। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। দাদা ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

তখন ঋদ্ধি তার ভুবন দার কাছে জিজ্ঞাসা করে যে এই রেজাল্ট এ কি কেউ চাকরি দেবে!?

সুন্দরবনের বিদ্যাসাগর এই ওয়েব সিরিজ রিভিউ পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো দাদা। আপনি এত সুন্দর ভাবে রিভিউ করেছেন যা আমার খুবই ভালো লেগেছে। সিরিজটি পড়ার পরেই আমার দেখতে খুব ইচ্ছা করলো। তাই আমি সিরিজ দেখব। সত্যিই আপনি খুবই সুন্দরভাবে কাহিনী তুলে ধরেছেন। আসলে তার রেজাল্ট খারাপ হওয়ার কারণে সে বাড়ি থেকে চলে যায় এবং সে একটি চাকরি জন্যই চেষ্টা করে। কিন্তুু সে সহজে পায় না এবং কম্পিউটার ভালো থাকা সত্ত্বেও তাকে তার কাছে মিথ্যা কথা বলা হয়। নিজের পায়ে একসময় দাঁড়িয়ে যায়। আসলেই এটাই বাস্তবতা নিজের চেষ্টা ও সফলতা নিজেই নিজেকে তৈরি করতে হবে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে সিরিজটি রিভিউ করেছেন।

ঋদ্ধি সেন মানে সেই ওয়েব সিরিজ দারুণ জমবে কেননা এরাই বাংলা সিনেমা জগতের সত্যিকারের অভিনেতা।আসলে ওয়েব সিরিজগুলি ইউটিউবে ঠিকভাবে দেয় না আর হোয়াটস্টারে যদিওবা দেখা যায় তবে কিনে।এইবার আপনার কাহিনী পড়ে জানতে পারবো ওয়েব সিরিজগুলি।প্রথম দিকে কাহিনী বেশ মজার টেনেটুনে পাশ তার জন্য কত আয়োজন।তবে বিধবা পল্লীতে গিয়ে কাহিনীর মোড় ঘুরে গেছে, তবুও একটি চাকরি জুটেছে এটাই বড়ো বিষয়।গল্পের নায়িকা বের হয়েছে পরের কাহিনীটি আরো মজার হবে বলে আশা করা যায়।ধন্যবাদ দাদা,পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম তাড়াতাড়ি।

দাদা আমি এখন পর্যন্ত একটিও ওয়েব সিরিজ দেখিনি। তবে ইদানিং ওয়েব সিরিজগুলো প্রচুর দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। সুন্দরবন আমার কাছে খুবই আকর্ষণীয় একটি জায়গা। নানা রকম রহস্য আর অসংখ্য রোমহর্ষক ঘটনা মিশে আছে এই বনকে কেন্দ্র করে। অসংখ্য গল্প-উপন্যাস পড়েছি এই সুন্দরবন কেন্দ্রিক।

পরীক্ষায় ঋদ্ধির খারাপ রেজাল্ট করা সেইসঙ্গে সুন্দরবনে গিয়ে বিধবাদের নিয়ে বাহিনী গঠন করা পর্যন্ত কাহিনী বেশ ভালই লাগলো। পঞ্চায়েতের ইচ্ছাকৃত অসহযোগিতা থেকে মনে হচ্ছে সামনের পর্বগুলোতে সংঘাতের সূত্রপাত হতে যাচ্ছে। অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী ঘটনাগুলো জানার জন্য।

দাদা,খুবই সুন্দর একটি মুভির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।এই মুভি রিভিউ থেকে আমি যা বুঝতে পেরেছি আগে ঢাক ঢোল করা বৃথা।এই জিনিস টা মুভির নায়ক ঋদ্ধি পরিবার করেছিল।যখন ঋদ্ধি ভালো রেজাল করবে নিশ্চিত কিন্তু রেজাল্ট বের হওয়া পর রেজাল্ট দেখে তার বাবা খুবই ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। রেজাল্ট খারাপ হওয়ার কারণে সুন্দরবনে বিদ্যাসাগর চাকরির এবং সুন্দরী বাহিনী করার দায়িত্ব পেয়েছে।প্রথম মুভির রিভিউ আমি দেখিনি ইউটিউবে সার্চ দিয়ে দেব খুবই সুন্দর একটি মুভি দাদ,আপনার পুরো পোষ্ট পড়ে বুঝতে পেরেছি।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মুভির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ওয়েব সিরিজ গুলো আমার সাধারণত দেখা হয় না তেমন। আর তাছাড়া ঋদ্ধি সেন এর তেমন কোন সিরিজ বা মুভি আমি দেখিনি। তবে তাকে আমি একবার দাদাগিরির মধ্যে দেখেছিলাম। উষশীর বাড়িতে জিনিস দিতে গিয়ে ঋষির প্রেম কাহিনি শুরু হবে মনে হয়😄। যাইহোক ভিন্নধর্মী একটি সিরিজ কাহিনিটি পড়ে বুজতে পারলাম। যাইহোক কাহিনীটি উপভোগ করলাম ভাইয়া।

ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর একটি রিভিউ শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা জানাই আপনার জন্যভাইয়া

দাদা প্রথমেই একটা হাস্যকর ঘটনা দিয়ে শুরু করি আপনার ওয়েব সিরিজ রিভিউঃসুন্দরবেনর বিদ্যাসাগর সম্পর্কে পড়ে আমাদের গ্রামে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল।৩/৪ বছর আগে আমাদের এলাকার চেয়ারম্যান এর দুই মেয়ে একসাথে এসএসসি পরীক্ষা দেয়।যেদিন ফলাফল প্রকাশ করবে ওইদিন সকাল বেলা পুরো এলাকায় অগ্রীম মিষ্টি বিতরণ করে। কিন্তু দুর্ভাগ্য বসত বিকেলে ফলাফল এ শুনতে পাই একবোন ফেইল করেছে আরেক বোন কোনরকম টেনেটুনে পাশ😊।খুবই হাস্যকর ছিলো পুরো এলাকায় ব্যাপারটা।এখন ঋদ্ধি বিদ্যাসাগরের ব্যপারটা ও তেমন।পুরো ঘটনা শুনে মনে হচ্ছে ঋদ্ধি একসময় ভালো কিছু করতে পারবে।পরবর্তী পর্বের মাধ্যমে নিশ্চয়ই জানতে পারবো।