হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'The Mystery of Moksha Island' ওয়েব সিরিজটির ষষ্ঠ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "No One is Safe Here". গত পর্বে দেখেছিলাম যে, নিখি নামের মেয়েটির বাবাকে আইল্যান্ড এর সমুদ্রের কিনারা থেকে টেনে নিয়ে গিয়েছিলো সেই বন মানুষটা। এরপরে ঘটনা কি ঘটেছে সেটা দেখা যাক এই পর্বে।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
✠মূল কাহিনী:✠
তো বন মানুষটা যখন নিখির বাবাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিলো সেই সিক্রেট জায়গাটাতে, ওখানে ভিকি আবার সেটা পিছু নেওয়ার সময় দেখেছিলো। আসলে নিখি যে মাটির নিচে দিয়ে গুপ্ত জায়গায় তৈরি ল্যাবে গিয়েছিলো, ওটাই আসলে সিক্রেট ওই জায়গা দিয়ে যায়। তো ওখানে নিখি আসলে বেরোনোর জন্য ওদের ল্যাবেরই একজন এর ড্রেস পরে তাদের চোখের আড়ালে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলো। এখন ওখানে যখন তার বাবাকে দেখে তখন বিষয়টা ঘেটে যায়। ওখানে আসলে অনেক্ষন স্টে করার কারণে ধরা পড়ে যায় আর তার বাবারই মতো ওখানে আটকিয়ে রাখে। এদিকে সমুদ্রের পাড়ে যারা যারা ছিল তারা ওখানে ওই রিসোর্টে কাজ করা একজনকে দেখে বোট রেডি করতে অর্থাৎ সে ওইটা দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার একটা প্ল্যান করছিলো।
এরাও সেটা দেখে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য জোরাজোরি করে। এখন ওই বোটে মাত্র দুইজনের ক্যাপাসিটি আছে, তাই গেলে তার সাথে একজনই যেতে পারবে। এই নিয়ে সেই বোটটাকে টানাটানি করতে থাকে সবাই, যেহেতু বোটটা পাম্প এর, তাই টানতে টানতে হাওয়া বেরিয়ে যায় লিক হয়ে। এখন আর কোনো উপায় নেই ওখান থেকে বেরোনোর, না ও একা যেতে পারলো আর না এরা। এদিকে জঙ্গলের ভিতরে এক মহিলাকে মেরে ফেলে রেখেছিলো ওদেরই মধ্যে একজন আর পরে তার হাসব্যান্ড দেখলে সন্দেহ করে আরেকজনকে, কারণ ওখানে যে ছুরি মজুদ ছিল, ওটা তারই ছিল। এখন সেটা আরেকজন চুরি করে এই কাজটা করেছিল। এই নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক ধস্তাধস্তি হয়, এমনকি তার মেরে ফেলার জন্য উন্মাদ হয়ে যায় একপ্রকার। এদিকে রিয়া নামের একটি ছোট মেয়ে তার পোষ্য খরগোশকে খুঁজতে জঙ্গলে একা একা চলে যায় এবং ওখানে তার পিছনে সেই অদ্ভুত দেখতে বন মানুষটা এসে হাজির হয়ে যায়।
আর তার মামা এসে দেখতে পেয়ে তাকে নিয়ে ভাগতে থাকে। এর মধ্যে ভিকির সামনাসামনি এসে পড়ে ওই বন মানুষটা। ওদের মধ্যে অনেক ধস্তাধস্তি হয়, কিন্তু ওই বন মানুষটার শরীরে অসম্ভব শক্তি, পেরে ওঠে না। যা দিয়েই আঘাত করুক না কেন, কোনোটাতেই কাজ হয় না। এরপর বাকি দুইজনকেও ধরে ফেলে এবং ওই ছোট মেয়েটির মামাকে নাকে-মুখে এতো আঘাত করে যে তার বাঁচার কোনো উপায় ছিল না আর। ওই বন মানুষটার আসলে দুর্বল জায়গা ছিল একমাত্র তার মাথা, পরে ভিকি ওখানেই আঘাত করে তাকে ঘায়েল করে ফেলে এবং ওখানে একটা অদ্ভুত লতাপাতা যুক্ত কিছু একটা ছিল অদ্ভুত ধরণের, যেটা মানুষের মাংশ, রক্ত চুষে মেরে ফেলে। ভিকি ওটার ভিতরেই তাকে ফেলে দেয় আর মারা যায় সাথে সাথে।
✠ব্যক্তিগত মতামত:✠
আসলে ওখানে কেউই সেফ না আর, এখন ধীরে ধীরে খুবই খারাপ হচ্ছে সবার সাথে। আসলে ওখানে যে কয়জন আছে, সবাই মোটামুটি এখন ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে একজন আরেকজনের থেকে। মানে অর্ধেকের বেশি মারা গিয়েছে, হাতে গোনা কয়েকজন বেঁচে আছে। কিন্তু সেই তাদের মধ্যেই আবার মারামারি লেগেই আছে সন্দেহের কারণে। এ ভাবে ও এইসব করছে আর ও ভাবে এইসব সে করছে। আসলে ওখানে ইনচার্জ যে আছে, সেই যে করছে সেটা মোটামুটি ভিকি আর ওখানে যে উকিল আছে একজন সে বুঝতে পারছে। কিন্তু প্রমান নেই এইটাই সমস্যা। আর প্রমান পেলেও কিছু করার নেই ওই আইল্যান্ড-এ, কারণ ওখানে না কোনো পুলিশ প্রশাসন আছে আর না আছে কোনো বাইরের থেকে সহযোগিতা নেওয়ার সুযোগ। তবে ওই বন মানুষটাই তাদের সাহায্য করতো অর্থাৎ তাদের ল্যাবে যে মানুষ ধরে ধরে নিয়ে যায়, সেই কাজটা ওরেই ছিল। এখন এই আতঙ্কটা একটু কমবে, কারণ তাকে দমন করতে পেরেছে।
✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৮.৭/১০
✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সেই বন মানুষটা তো দেখছি খুবই ডেঞ্জারাস। ভিকি শেষ পর্যন্ত সেই বন মানুষকে মেরে ফেলতে সক্ষম হয়েছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। এতে করে অনেক বড় ঝামেলা থেকে তারা মুক্তি পেয়েছে। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। যাইহোক এই পর্বের রিভিউ পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit