মুভি রিভিউ: জিপার্স ক্রিপার্স ( Jeepers Creepers )

in hive-129948 •  3 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ, স্বাভাবিক আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটা মুভি রিভিউ শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি "জিপার্স ক্রিপার্স" নামক একটি মুভি দেখেছি, এটি আমি আগেও কয়েকবার দেখেছি এবং এর কাহিনীগুলো বেশ ভালো লেগেছিলো আমার কাছে। এই মুভিটির আরো দুটি পার্ট আছে কিন্তু এখনো আমি দেখিনি সেগুলো, যদি দেখি তাহলে বাকি দুটো পার্টও রিভিউ দেওয়ার চেষ্টা করবো । এই মুভির কাহিনীটি একটা পৈশাচিক প্রাণীকে নিয়ে অর্থাৎ একটা ভয়ঙ্কর দৈত্যের মতো দেখতে প্রাণীটি। কিছুটা মানুষের মতো গঠন এবং উড়বার জন্য আবার ডানাও আছে। এই পৈশাচিক প্রাণীটির কাহিনী একটা সিরিয়াল কিলার হিসেবে রচিত। আশা করি কাহিনী পড়া ব্যক্তিদের কাছে পড়ে ভালো লাগবে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে


☬কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য:☬

মুভির নাম
জিপার্স ক্রিপার্স
পরিচালকের নাম
ভিক্টর সালভা
লেখকের নাম
ভিক্টর সালভা
অভিনয়
জিনা ফিলিপস, জাস্টিন লং, জোনাথন ব্রেক, আইলিন ব্রেনান ইত্যাদি
সিনেমাটোগ্রাফি
ডন ই.ফন্টলেরয়
মুক্তির তারিখ
৩১ আগস্ট ২০০১ ( ইউনাইটেড স্টেট )
সময়
১ ঘন্টা ১৯ মিনিট
মূল ভাষা
ইংলিশ
ভাষা ডাবিং
হিন্দি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইউনাইটেড স্টেট, জার্মানি
বাজেট
$১০,০০০,০০০
বক্স অফিস
$৫৯,৩৭১,৩০৩


✔মূল কাহিনী:


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

মুভির শুরুতে দেখা যায় শুনশান রাস্তা দিয়ে একটা গাড়ি আসতে আর সেই গাড়িতে ছিল জিনা ফিলিপস আর তার ভাই জাস্টিন লং। তারা দুইজন ওই রাস্তা ধরে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলো ঠাট্টা, মজা করতে করতে কিন্তু তারা পিছন দিকে দেখতে পায় একটা অনেক পুরানো মডেলের গাড়ি তাদের দিকে তীব্র গতিতে আসতে থাকে এবং তাদের আগে ওঠার জন্য একভাবে হর্ন মারতে থাকে আর এ সাইড ওসাইড করতে লাগে। জাস্টিন লং সেইরকম তাকে উঠতে দেয় না, বরং তার সাথে পাল্লা দিতে চায়। পরে সাইড দিলে গাড়িটি দ্রুত চালিয়ে তাদের নাগালের বাইরে চলে যায়। আর এরা দুইজন যেতে যেতে একটা জঙ্গল মতো স্থানে পুরানো খান্ডার মতো দেখতে পায় যেখানে সেই গাড়িটি দাঁড়িয়ে ছিল আর একটা লোক গাড়ির থেকে কাপড় মোড়ানো কিছু ফেলছিলো একটা গর্তের মধ্যে। আর এরা দুইজন সেইটা দেখে ভয় পেয়ে যায় আর ওই লোকটা তাদের দেখতে পেয়ে তাদের পিছন পিছন তীব্র গতিতে যায় আর তাদের গাড়ির পিছনে ধাক্কা মারতে লাগে একভাবে। এরপর ধাক্কা মেরে মেরে একপ্রকার গাড়ির পিছনটা ভেঙে ফেলে আর ধাক্কা মেরে রাস্তার অন্য সাইডে দিয়ে দেয় আর লোকটা চলে যায়। এরপর তারা পিছনে ব্যাক করে সেই স্থানে চলে যায় যেখানে লোকটি কিছু জিনিস ফেলছিলো। সেখানে গিয়ে তারা গর্তের মুখে যায় আর ভিতরে ঘন অন্ধকার দেখে টর্স লাইট নিয়ে দেখতে যায় যে ভিতরে কি ফেলছিলো। দেখতে গিয়ে জাস্টিন লং ভিতরে পড়ে যায় আর সেখানে বহু লাশ দেখতে পায়। জাস্টিন একপ্রকার ভয় পেয়ে যায় আর সেখানে একটা লোক জীবিত ছিল আর জাস্টিন তার শরীর থেকে কাপড় সরিয়ে দেখে তার বুক কেটে সেলাই করা। আর এইটা দেখে আরো বেশি ভয় পেয়ে যায়।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

ওর ভিতরে পড়ে থাকা আধমরা লোকটি জাস্টিন কে কিছু বলে সংকেত দেওয়ার চেষ্টা করছিলো কিন্তু না বলেই মারা যায়। এরপর জাস্টিন জিনাকে রাস্তায় কাউকে দেখলে তাদের সাহায্যের জন্য ডাকতে বলে কিন্তু জিনা মনে মনে ভয় পেতে লাগে একা একা। জাস্টিন ওর ভিতরে লাইট জ্বেলে চারিদিকে দেখতে লাগে এবং দেখে একপ্রকার সে হতভম্ব হয়ে যায়। যেন সে কথা হারিয়ে ফেলেছে একপ্রকার কারণ সবদিকে শুধু লাশ আর লাশ এ ভরা। এরপর জাস্টিন কোনোমতে সেখান থেকে পথ খুঁজে বাইরে বেরিয়ে আসে আর জিনার সাথে গাড়িতে করে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর যেতে যেতে একটা রেস্তোরা মতো দেখতে পায় রোডের সাইডে আর তারা সেখানে গিয়ে তাদের কাছে সাহায্য চায়। সেখানে একজন মহিলাকে জানায় সে যেন দ্রুত পুলিশ কে ফোন করে আর আমাদের সাহায্য করে। এরপর তারা পুলিশ কে ফোন করে এবং পুলিশ আসতে আসতে অন্য একজন ফোন করে জাস্টিন এর নাম বলে এমনকি তার সম্পর্কে যাবতীয় সবকিছু জানে। তার সাথে কি কি ঘটেছে তা সবকিছু বলে দেয় আর এটাও বলে যে ওর থেকে তোমার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ অর্থাৎ সেই পৈশাচিক প্রাণীটি তাদের দেখে নিয়েছে আর চিনেও নিয়েছে তাই তোমাদের সে ছাড়বে না। এরপর পুলিশ আসলে তাদের কাছে সবকিছু শোনে কিন্তু পুরোপুরি বিশ্বাস করতে চায় না। একজন লোক এসে জাস্টিন কে বলে যে তোমাদের গাড়িতে কে যেন তোমাদের পোশাক শুঁকছিলো আর তারা বেরিয়ে দেখে সব জিনিসপত্র বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। এরপর পুলিশ দুইজনকে সাথে নিয়ে রাস্তা দিয়ে যেতে লাগে এবং সেই ভয়ঙ্কর লোকটি পুলিশের গাড়িতে হামলা করে পুলিশ দুটিকে মেরেই ফেলে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

পুলিশ দুইজনকে মেরে ফেলার পরে জাস্টিন আর জিনা গাড়ির থেকে নেমে দেখতে আসে যে কি হলো। জিনা পুলিশের গাড়ির কাছাকাছি যাওয়ার পরে দেখে একজন পুলিশের মাথাটা কাটা অবস্থায় নিচে পড়ে আছে আর দেখে তার অবস্থা তো খুবই খারাপ হয়ে যায়। আর গাড়ির মধ্যে সেই অদ্ভুত দেখতে লোকটিকে দেখতে পায় আর তারা দুইজন দ্রুত গাড়িতে গিয়ে বসে আর দেখে লোকটি তাদের দেহগুলো তার সেই পুরানো গাড়ির পিছনে তুলছে। এরপর জাস্টিন আর জিনা সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে ভয়ে ভয়ে প্রচন্ড বেগে চালিয়ে চলে যাচ্ছে আর সামনে একটা বাড়ি দেখতে পায় যেখানে একজন বৃদ্ধা থাকতো। তারা দুইজন গিয়ে ফোন করার জন্য সাহায্য চায় কিন্তু এর মধ্যে সেই লোকটি চলে আসে সেখানে। এরপর বৃদ্ধাটিকে মেরে ফেলে এবং তাদের দুইজনের পিছনে লাগে মারার জন্য। তারা দুইজন সেখান থেকে গাড়িতে করে বেরিয়ে রোডে ওঠে কিন্তু সেখানে সে পৌঁছিয়ে যায়। এরপর জাস্টিন আর জিনা গাড়ির নিচে ফেলে মেরে ফেলার অনেক চেষ্টা করে কিন্তু মারতে পারে না, এরপর আস্তে আস্তে ভয়ঙ্কর দেখতে লোকটির ডানা বেরিয়ে আসতে লাগে পিঠের দিক থেকে। এরপর তারা সেখান থেকে বেরিয়ে একটা পুলিশ স্টেশন এর আশ্রয় নেয়। সেখানে আরো একজন মহিলার দেখা পায় অর্থাৎ যে মহিলা তাদের ফোন করে সব বলছিলো। তো সে এসে বলে যে এ এমন এক প্রাণী যে একবার খাওয়া শুরু করলে টানা ২৩ দিন পর্যন্ত মানুষের শরীরের কিছু অংশ খেয়ে থাকে অর্থাৎ চোখ ইত্যাদি আরো কিছু কিছু আছে যেগুলো খেয়ে নিজের শরীরকে মজবুত রাখতে পারে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

ওই মহিলাটি এইসব কথা তাদের বলতে বলতে সেই পৈশাচিক প্রাণীটি তার সেই পুরানো গাড়ি করে নিয়ে চলে আসে এবং থানায় প্রবেশ করে বেশ কয়েকজন অপরাধী দের মেরে তাদের শরীরের অংশগুলো খেয়ে আবার ঠিক হয়ে যায় আর একজন পুলিশ সেখানে দেখতে পেয়ে গুলি চালালে তাকেও মেরে ফেলে। এরপর সব পুলিশের উপর এক এক করে হামলা করে। এদিকে সেই মহিলাটি তাদের দুইজনকে সেখান থেকে বাইরে বাঁচিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পথ খুঁজতে লাগে কিন্তু পায় না। এরপর সেই শয়তান ভয়ঙ্কর প্রাণীটি সেখানে চলে আসে আর জাস্টিনকে ধরে ফেলে। এরপর জাস্টিনকে নিয়ে সেখান থেকে উড়ে চলে যায় তার আস্তানায়। জাস্টিনকে মেরেও ফেলে।


✔ব্যক্তিগত মতামত:

এই মুভিটির মূল চরিত্র জাস্টিন, জিনা আর এই শয়তান পৈশাচিক প্রাণীটিকে ঘিরেই তুলে ধরেছে লেখক। এখানে শেষের দিকে লেখককে সামান্য একটি অংশে অভিনয় করতে দেখা যায়। এই কাহিনীতে এই ভয়ঙ্কর দেখতে প্রাণীটি দিনের বেলা তার চেহারা ঢেকে রাখতো আর সবসময় একটা সাধারণ মানুষের মতো পোশাক পরে থাকতো ফলে কেউ বিষয়টা বুঝতে পারতো না। রাতের বেলা তার বাস্তবিক চেহারায় ফিরে আসতো। আর সবাইকে ধরে ধরে খেত না, আগে শুঁকে নিতো আর পছন্দ হলে তাকেই নিয়ে চলে যেত বা মেরে ফেলে তার শরীরের কিছু অংশ খেয়ে ফেলতো। এইসব ইংলিশ মুভির বিষয়গুলো অন্যরকম, এদের ম্যাকআপ এমনভাবে করে থাকে যা বাস্তবের মতো ফুটিয়ে তোলে, কোথাও কমতি রাখে না। যাইহোক এই হলো কাহিনী, আর এই মুভিটির দ্বিতীয় পার্ট আছে এবং পরবর্তীতে কোনো একসময় দেওয়ার চেষ্টা করবো।


✔ব্যক্তিগত রেটিং:
০৭/১০


✔মুভির ট্রেইলার লিঙ্ক:


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা আপনার মুভি রিভিউ: জিপার্স ক্রিপার্স (Jeepers Creepers )
দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।বরাবরের মতোই খুবই চমৎকার করে আপনি মুভি রিভিউ করেছেন।আসলে ছোটবেলা থেকে আমার মুভি দেখার অভ্যাসটা অনেক কম ছিল।তাই তেমন একটা মুভি দেখা হতো না তবে ইদানিং আপনার মুভি রিভিউ গুলো দেখে অনেকটা মুভি দেখা হয়ে যাচ্ছে বলে আমি মনে করছি।

এই মুভির মূল চরিত্র জাস্টিন, জিনা আর এই শয়তান পৈশাচিক প্রাণীটিকে ঘিরেই তুলে ধরেছে লেখক।এই মুভির দ্বিতীয় পার্ট দেখার অপেক্ষায় রইলাম।এত চমৎকার মুভি রিভিউ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি প্রিয় দাদা আপনাকে।ভালোবাসা অবিরাম♥♥

ইংলিশ মুভির কাহিনীগুলো অনেক ইউনিক হয়। এখানে কাহিনীর প্রয়োজনে নায়ক অথাবা নাইকাকেও মরতে হয়। কিছু কিছু বাংলা মুভি অর্ধেক দেখলেই বাকিটা কি হবে বলে দেওয়া যায়। তবে ইংলিশ মুভি পুরোটা না দেখলে কাহিনী অনুমানের কোনো সুযোগ নেই।
জিপার্স ক্রিপার্স মুভিটির রিভিউ পড়ে কাহিনীটা ভালো লাগলো অনেক। আপনি ঠিকই বলেছেন দাদা, ইংলিশ মুভির ম্যাকআপ এতো পিউর হয় যে বাস্তব আর কৃত্রিম এর পার্থক্য বুঝা যায় না। তবে জাস্টিনের মরে যাওয়া অনেক দর্শক মেনে নিতে পারিনি। তবে ইংলিশ মুভির কাহিনী এমনই৷ কোনো কিছু বুঝার উপায় নাই। দাদা, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই অসাধারণ মুভিটির রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। এর মুভির অন্য পার্টের অপেক্ষায় রইলাম। 💕

জিপার্স ক্রিপার্স মুভিটির রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো। কারণ এই মুভিটি রিভিউ পড়ে আমি প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম। যে এই মুভিটি আসলেই অনেক ভয়ে। পরে মুভিটি দেখে ভালো লাগছে।মুভিটির কাহিনী প্রথমে তারা গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিল এবং তাদের পুরনো একটা গাড়ী এসে তাদের এই গাড়িকে পিছনে ফেলে যায়। যার কারণে তারা সেই গাড়িকে ফলো করে। দেখে একজন লোক সাদা কাপড় মোড়ানো একটি কিছু ফেলে দিয়ে যায়। এইটা তারা দেখে ফেলে এবং তারা পরবর্তীতে সেখানে আসে আসার পরে সেখানে গিয়ে দেখতে পায়, সেখানে অনেক লাশ এবং একজনের বুক-কাটা ব্যক্তি।তাকে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করে কিন্তু বোঝার আগেই সে মারা যায়। এই কাহিনী গুলো পড়ে আমি এখুনি মুভি দেখার ইচ্ছা হচ্ছে।আশা করছি পরবর্তী দুটি পর্বেরও আপনি রিভিউ করবেন।রিভিউ পড়ে মুভি দেখতে অনেক মজা লাগে। এটা আমি ভালো করে বুঝলাম।শুভকামনা রইল দাদা।

ভাইয়া সত্যি খুব একটি ভয়ানক মুভি রিভিউ করেছেন আজকে। আমার মনে হয় ওরা যখন লোকটিকে দেখছিল কাপড়ে মোড়ানো কিছু গর্তে ফেলছে তখনই গল্পের মূল আকর্ষণ শুরু হয়েছে। গর্তের ভিতরে দেখতে গিয়ে গর্তের ভেতর পড়ে যায় তখন অনেকগুলো লাশ দেখে ভয় পেয়ে যায়।সেই লাশের ভেতর একটা লোক জীবিত ছিল তখন ওই লোকটার গায়ে মোড়ানো কাপড় সরিয়ে দেখল বুক কেটে সেলাই করা তখন আরো ভয় পেয়ে যায়। এই লেখাগুলো পড়ার সময় আমার শরীরের লোম কাটা দিয়ে ওঠে। আপনার এই মুভি রিভিউটা পড়ে বুঝতে পারলাম যে এই ভিডিওটা খুবই ভয়ানক একটি মুভি। এরকম মুভি গুলো দেখলে আমার রাতে ঘুম আসে না। কিন্তু তারপরও এই মুভিগুলো দেখতে খুব ভালো লাগে। আর আপনার রিভিউটা পড়ে তো মুভিটা খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। আমি অবশ্যই এই মুভিটা দেখবো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর সুন্দর মুভি রিভিউ গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

  ·  3 years ago (edited)

এমন এক প্রাণী যে একবার খাওয়া শুরু করলে টানা ২৩ দিন পর্যন্ত মানুষের শরীরের কিছু অংশ খেয়ে থাকে অর্থাৎ চোখ ইত্যাদি আরো কিছু কিছু আছে যেগুলো খেয়ে নিজের শরীরকে মজবুত রাখতে পারে।

23 দিন ভারী অদ্ভুত প্রাণী দাদা।প্রথমে আমি ভেবেছিলাম এটি একটি হরর মুভি কিন্তু পরে দেখছি ভয়ঙ্কর দৈত্যের মুভি।হলিউডের মুভিগুলো বেশ বড়ো হয় ও খুবই ইন্টারেস্টিং হয়।আসলে এইসব মুভিগুলি আমি ছোটবেলায় খুব সাহসের সঙ্গে দেখতাম। এইসব মুভিগুলো অনেক উত্তেজনাময় হয়।তবে এইসব মুভি দেখার জন্য মনে সাহস ও দম দরকার, নাহলে মুভি দেখে ও অনেকে ভয় পায়।তবে এই ধরনের মুভি দেখার পর ঘুমালে ,ঘুমের মধ্যে শুধু ভয়ানক পর্বগুলিই চোখের সামনে ঘুরে ফিরে আসে।তারপর মনে হয় আর দেখবো না,কিন্তু এর নেশা কাটানোই মুশকিল।অনেক সুন্দর মুভি রিভিউ করেছেন দাদা,পড়ে সব চোখের সামনে ভাসছিল।পরের পর্বগুলির অপেক্ষায় রইলাম।খুব ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে, ধন্যবাদ দাদা।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

দাদা আপনার এই ইংলিশ মুভি জিপার্স ক্রিপার্স রিভিউ পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে ওই পৈশাচিক লোকটি তার শিকার ধরে ধরে খেত এবং মেরে ফেলত এটা জেনে খুবই দুঃখ পেলাম। আসলে প্রথমে যখন আপনার লেখাগুলো পড়া শুরু করেছিলাম তখন গায়ের লোমগুলো কাটা দিয়ে উঠছিল। খুবই ভয়ঙ্কর এই মুভি। জাস্টিনকে অবশেষে আর বাঁচানো গেল না। সেই পিশাচ জাস্টিনকে মেরে ফেলল। আসলে নিরপরাধ জাস্টিনকে এই ভয়ঙ্কর পিশাচ মেরে ফেলল জেনে অনেক কষ্ট পেলাম দাদা। এই মুভি এর আগে আমি কখনও দেখিনি। আসলে ইংলিশ মুভি গুলো খুব একটা দেখা হয় না। তবে এই মুভির কাহিনী গল্প একটু ভিন্ন ধরনের। দাদা আপনি এতো সুন্দর করে এই মুভি রিভিউ সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আশা করছি এই মুভির আরো যে পার্ট আছে সেই পার্টও আমাদের মাঝে উপস্থাপন করবেন। দাদা আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। 💖💖💖💖💖💖

এই মুভিটি আমার এখনো দেখা হয়নি। তবে আপনার লেখাটি পড়ে বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে। এটি দেখার আগ্রহ বেড়ে গেছে। বেশ অন্যরকম এর একটি কাহিনী এই মুভিতে রয়েছে ।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর একটি রিভিউ শেয়ার করার জন্য ও আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

সেখানে গিয়ে তারা গর্তের মুখে যায় আর ভিতরে ঘন অন্ধকার দেখে টর্স লাইট নিয়ে দেখতে যায় যে ভিতরে কি ফেলছিলো। দেখতে গিয়ে জাস্টিন লং ভিতরে পড়ে যায় আর সেখানে বহু লাশ দেখতে পায়।

দাদা আমি যখন এই মুভিটির লোমহর্ষক বর্ণনা পড়ছিলাম তখন গায়ের লোমগুলো সব কাঁটা দিয়ে উঠছিল। সত্যি দাদা আপনার এই মুভি রিভিউ পড়েই বোঝা যাচ্ছে এই মুভিটি সম্পর্কে। আসলে এই মুভিটি খুবই ভয়ঙ্কর একটি মুভি। এই মুভির বিষয়বস্তু একটু ভিন্ন ধরনের। তাই এই মুভিটি কিছুটা ভয়ঙ্কর। যেহেতু এই মুভিতে একটি পিশাচ আছে তাই মুভিটি ভয়ঙ্কর হবে এটাই স্বাভাবিক। আর ভয়ঙ্কর মুভিগুলো আমার দেখতে খুবই ভয় লাগে দাদা। আসলে এই ধরনের মুভি দেখলে মনের মাঝে অজানা ভয় কাজ করে। তাই আমি ভয়ঙ্কর মুভি গুলো খুব একটা দেখি না। তবে আজকে আপনি যেই মুভি রিভিউ শেয়ার করেছেন সেই মুভি সম্পর্কে জেনে মুভিটি দেখার প্রতি আগ্রহ বেড়ে গেল। অনেক সুন্দর ভাবে এই মুভি রিভিউ সকলের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

মনে হচ্ছে বেশ ভয়ংকর মুভি।যদিও আমি মুভি কম দেখি।মুভির মূল চরিত্র জাস্টিন, জিনা আর এই শয়তান পৈশাচিক প্রাণীটিকে ঘিরেই। কেমন জানি রক্ত,লাশ। ধন্যবাদ

ওরে বাবা বিশাল বাজেটের মুভি দেখছি আর বক্সঅফিসেও সেরকম একটি ধামাল মাচিয়েছে। দারুন ছিল দাদা মুভির প্লট টি। এরকম মুভি যতই রিভিউ পড়িনা কেন না দেখা পর্যন্ত আর ভালো লাগেনা। সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা এত সুন্দর সুন্দর মুভি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

দাদা আপনার মুভি রিভিউ আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। মুভি না দেখেও রিভিউ পড়ে অনেক মজা পাই। অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ দাদা।

মুভিটি দেখা হয়নি দাদা। তবে রিভিউ পড়ে দেখার জন্য আগ্রহ হচ্ছে এখন। সময় পেলে দেখবো। অনেক গুছিয়ে লিখেছেন কাহিনীটি। ভাবছি দেখে কি মজা পাবো এখন? সব তো পড়েই ফেললাম।

দাদা 2001 সালে মুক্তি পাওয়া এই মুভিটি অনেক বছর আগেই আমি দেখেছি। তবে আপনার রিভিউটি পড়ে প্রথমবার দেখার অনুভূতির মতই ভাল লাগল। মনে হল যেন মুভিটি আবারো চোখের সামনে দেখতে পেলাম। আপনি ঠিকই বলেছেন, হলিউড মুভি গুলোর সবচাইতে বড় যে বিষয়টি আমার কাছে ভালো লাগে তা হচ্ছে তাদের অসাধারণ মেকআপ। মেকআপ দেয়ার পরে আসল না নকল এটা বোঝাই মুশকিল হয়ে যায়। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মুভি রিভিউ আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।❤️👍

দাদাভাই অসাধারণ একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করেছেন। খুবই ভালো লেগেছে পুরো মুভি রিভিউ পড়ে। ওরা যখন লোকটিকে কাপড় মোড়ানো লাশ ফেলতে দেখেছিল গর্তে, মূলত তখন থেকেই মুভির কাহিনীটা আকর্ষণীয় হওয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু শেষের অংশ টা পড়ে খুব খারাপ লাগলো। কারণ মূল চরিত্রের মধ্যে একজনকে অর্থাৎ জাস্টিনকে পিশাচটা ধরে নিয়ে যায় এবং মেরে ফেলে। কিন্তু জাস্টিন এবং জিনা দুজনে চেষ্টা করে পিশাচ কে ধ্বংস করে ফেলার। খুবই ভালো লাগলো পুরো কাহিনী টা পড়ে। সবচেয়ে বড় কথা দাদা আপনি মুভিটা দেখতে অনেক সুন্দর করে লিখে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পেরেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমার পক্ষ থেকে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। সবসময় ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এই কামনাই করি ❤️।

দাদা আমার এই ধরনের গল্পগুলো মুভিররিভিউ গুলো অনেক ভালো লাগে আপনি খুব সুন্দর ভাবে মুভি রিভিউ গুলো বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। এই মুভিতে যখন জাস্টিন একটা লোককে দেখল কি জন্য তিনি ফেলে দিচ্ছেন এবং সেখানে তিনি গিয়ে গর্ত দেখেন সেই গর্তটি ছিল ভীষণ অন্ধকার যখন সে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দেখতে যাবে তখনই সে ভেতরে পড়ে যায়। ভেতরে পড়ে গিয়ে দেখে সেখানে অনেক লাশের স্তুপ পড়ে আছে তার মধ্যে একজন লোক বেঁচে আছে যার বুকে সেলাই করা সেটা দেখে জাস্টিন খুব ভয় পেয়ে যায় সেই সাথে আমিও ভীষণ ভয় পেয়ে যাই। জাস্টিন যিনা ও শয়তানের কাহিনী থেকে আপনি এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য এত সুন্দর রিভিউ সবাই করতে পারেনা। আপনার নিখুঁতভাবে রিভিউয়ের ধরণ আমি অনুসরণ করার চেষ্টা করি । এত সুন্দর একটি মুভির রিভিউ দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আপনি অসাধারণ একটি মুভির রিভিউ শেয়ার করেছেন। পড়েই এতো ইন্টারেস্টিং লাগছে।না জানি দেখে কেমন লাগবে। রিভিউ পড়ে ছবিটি দেখার আগ্রহ আমার আরো বেড়ে গেছে। আমি অবশ্যই মুভিটি দেখব। অনেক সুন্দর একটা কাহিনী তুলে ধরেছেন দাদা। কিন্তু শেষের দিকে মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল জাস্টিনকে ওই পিশাচ টা মেরে ফেলে😔😔। যাই হোক দাদা আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই সুন্দর মুভি রিভিউ যে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।