টিভি সিরিজ রিভিউ: ম্যানিফেস্ট - S.N.A.F.U( সপ্তম পর্ব -সিজন ১)

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে ম্যানিফেস্ট টিভি সিরিজটির সপ্তম পর্ব রিভিউ শেয়ার করবো। আজকের সপ্তম পর্বটির নাম হলো "S.N.A.F.U". গত পর্বে দেখা গিয়েছিলো বুলগেরিয়ান লোকেদের পুলিশ + জোশ, মেলিসা এরা খুঁজছিলো। আজকে এই পর্বে দেখা যাক কাহিনী কি হয়।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


❂কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য:❂

সিরিজটির নাম
ম্যানিফেস্ট
প্লাটফর্ম
নেটফ্লিক্স
সিজন
পর্ব
S.N.A.F.U
পরিচালকের নাম
জেফ রেক
অভিনয়
মেলিসা রক্সবার্গ, জোশ ডালাস, জে.আর. রামিরেজ, লুনা ব্লেইস, পারভীন কৌর ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৩০ জুলাই ২০১৯ ( ইউনাইটেড কিংডম )
সময়
৪২ মিনিট ( সপ্তম পর্ব -সিজন ১ )
ভাষা
ইংরেজি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইউনাইটেড স্টেট


✔মূল কাহিনী:


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

শুরুতে দেখা যায় জ্যাক এর সেই জ্বর এর পরে তারা হসপিটালে কিছুদিন থাকে এবং সে তার বাবা জোশ এর সাথে বলে যে আমি আমার সাথে সাথে অন্য কারো খারাপ ফিল করছি অর্থাৎ আমার মতো অন্য কেউ অসুস্থতা বোধ করছে। এরপরে জ্যাক বাড়ি যেতে চাইলে ডক্টরের সাথে কথা বলে ডিসচার্জ করিয়ে নেয়। এরপর জোশ , পারভীন আর মেলিসা আলোচনা করতে লাগে এই বিষয় নিয়ে আর জোশ একটা কোম্পানিতে চাকরিও নিয়ে নেয়। যদিও তার এই চাকরিটা এতো বছরের একটা গ্যাপ থাকায় না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি ছিল, কিন্তু বিষয়টা ম্যানেজ করে নেয়। জোশ কোম্পানিতে একটা কাউন্টটেন্ট এর চাকরি পায়। আর এই কোম্পানিতে কাজ করার পিছনেও তাদের ৩ জনের মনে কোনোকিছু একটা ঘুরপাক খাচ্ছিলো। আর এই বিষয়টা এথেনার সাথেও সেভাবে বলেনি, সে জানে নরমালি জব করছে একটা। এরপর সে কোম্পানিতে গেলে কাজ করতে বসে এবং তার মাঝে কম্পিউটারে ডায়নামিক বলে কিছু একটা সার্চ দিয়ে খোঁজাখুঁজির চেষ্টা করে কিন্তু এক্সেস পায় না। এরপর সবার চোখ এড়িয়ে নিজের আইডেন্টিটা নষ্ট করে মানে যেটা দিয়ে টাচ করলে সব কিছুতে এক্সেস পাওয়া যায়। এরপর ওর ভিতরে অন্য একজনের আইডি দিয়ে তার ডাটা কম্পিউটার থেকে ঘাঁটাঘাঁটি করতে লাগে।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

জোশ আইডেন্টি ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতে ফিওনা নামের এক মহিলার সন্ধান পেয়ে যায় যে নাকি তাদের ৮২৮ নম্বর প্লেনের যাত্রী ছিল। এরপর তার ইনফরমেশন খোঁজার কাজে লেগে পড়ে কম্পিউটারে । পারভীনকেও সেখানে ডাকে এবং তারা হঠাৎ একটা নিউজ এ দেখতে পায় যে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে একটা শো আছে তার আর সেখানে তারা দুইজন যাওয়ার চিন্তা করে। এদিকে মেলিসা আর রামিরেজ একটা কফি শোপ থেকে কফি কেনে এবং সেখান থেকে দ্রুত একটা রেস্টুরেন্টে যায় কারণ তাদের কাছে খবর আসে হঠাৎ করে যে সেখানে কিছু হাতাপাই হয়। তারা পৌঁছানোর পরে মেলিসা ভিতরে গিয়ে দেখে একজন বয়স্ককে ছুরি মেরে দিয়ে চলে যায় কিন্তু লোকটার তখনও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ছিল কিন্তু অনেক চেষ্টা করার পরেও বাঁচাতে পারেনি। এরপর কয়েকটা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে আনে সন্দেহের বসে এবং সেই রেস্টুরেন্ট এর একটা ছেলেকে দেখতে বলে এর মধ্যে কেউ কিনা কিন্তু সে আইডেন্টিফাই করতে পারিনি। এরপর ফিওনা নামের মহিলার শো তে জোশ আর পারভীন পৌঁছিয়ে যায় আর এক জায়গায় বসে শুনতে লাগে তার কথাবার্তা।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

ফিওনা জোশ আর পারভীনকে দেখে চমকে যায় আর বলে অনেক সময় ধরে তোমাদেরই অপেক্ষায় ছিলাম, আর এই কথা শুনে তারাও একটু চমকে যায় যে আমাদের জন্য কেন আবার অপেক্ষা করছিলো। এরপর তারা আলাদা জায়গায় গিয়ে নিজেদের মধ্যে প্লেনের ভিতরের কোনো ঘটনা নিয়ে আলোচনা করে চলে যায়। এদিকে মেলিসা আর রামিরেজ তাদের বাড়িতে চলে যাওয়ার পরে সেখান থেকে মেলিসা হঠাৎ করে বেরিয়ে যায় এবং রেস্টুরেন্ট এর সেই ছেলেটির বাড়িতে যায় আর ভালো করে মনে করার চেষ্টা করে তাদের চিনতে যারা খুন করেছে কিন্তু সে বলে আমি সিউর না। এরপর সেই ছেলেটি একদিন অফিসে এসে মেলিসা আর রামিরেজ এর সাথে দেখা করে আর একটা প্যাকেট দিয়ে বলে আমি রেডি। এদিকে জোশ অফিসে গিয়ে তার এক কলিগের রুমে যায় এবং সেখানে কফি খেতে খেতে ইচ্ছা করে তার গায়ে ফেলে দেয়, এরপর সে চেঞ্জ করতে গেলে জোশ দ্রুত তার কম্পিউটার থেকে কিছু একটা সার্চ দিয়ে বেশ কিছু কর্পোরেট আইডি বের করে এবং সেগুলো একটা পেনড্রাইভে কপি করে নিয়ে নেয়। এরপর এই বিষয়টা জোশ যখন পারভীনকে মেসেজ করে বলে তখন এই মেসেজটা অন্য কারো কাছে পৌঁছিয়ে যায় কারণ তার ফোন ট্রেস করে রেখেছে। এরপর জোশ যখন অফিস শেষে বাইরে বেরোতে যায় তখন দেখে গেটের সামনে সার্চ করে করে সবাইকে বের করছে।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

জোশ লাইনে দাঁড়ানোর পরে একটা মেসেজ তার ফোনে আসে যে এই মুহূর্তে বাঁ দিক দিয়ে হেঁটে সোজা চলে এসো, সেই মতে জোশ হেঁটে চলে আসে এবং তার কাছ থেকে পেনড্রাইভটা জোর করে চেয়ে নিয়ে চলে যায়। এদিকে দেখা যায় মেলিসা আর রামিরেজ যে খুনিদের ধরে নিয়ে এসেছিলো তার মধ্যে একজন রাস্তায় হাঁটতে থাকে এবং তার নজর যায় একজন বৃদ্ধার দিকে যে এটিএম থেকে টাকা তুলছিলো। এরপর সেই বদমায়েশটা একটা কাঁচের বোতল ভেঙে সেটা লুকিয়ে বৃদ্ধার পিছু নিতে লাগে। এদিকে মেলিসা আর রামিরেজ গাড়িতে করে আসার সময় হঠাৎ মেলিসার হার্টবিট বাড়তে লাগে আর সে বলে কোনো কিছু একটা ঘটতে চলেছে যা আমি ফিল করতে পারছি, রামিরেজ তার কথা মতো গাড়ি দ্রুত চালায় আর সেই বৃদ্ধার কাছে পৌঁছায় এবং দেখে সেই বদমায়েশটা ভাঙা বোতলটা বৃদ্ধার গলায় ধরে টাকা চায় কিন্তু না দিলে মারতে যায় আর তখনি মেলিসা গিয়ে বাঁচায়। এরপর মেলিসা সেই রেস্টুরেন্টে ছেলেটির কাছে যায় আর সেখানে লেভি নামক একটা মেয়েকে দেখে থমকে যায় কারণ সে ছিল তার বেস্ট ফ্রেন্ড কিন্তু ছেলেটির মুখে শোনে যে সে মারা যায়। মারা যায় বলতে তার কিছু হয়নি কিন্তু ওই ছেলেটির হার্ট ফেইল হলে তখন সে হার্ট ডোনার করে তার যার কারণে সে মারা যায়।


✔ব্যক্তিগত মতামত:

বুলগেরিয়ান সেই লোকটা আর ফিওনা এর সাথে জ্যাক এর কিছু যোগসূত্র পায় যা জ্যাক এর জন্য খুবই বিপদজনক। আর এই সব সমস্যা থেকে জোশ তার ছেলেকে বাঁচানোর জন্য এইসব বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছে। সে এই বিষয়ে অনেক তথ্য তার কলিগের কম্পিউটার থেকে সংগ্রহ করেছিল তার পেনড্রাইভে কিন্তু সেটাও হাতছাড়া হয়ে যায়। ড্যারিল জোশ এর ফোন ট্রেস করে রেখেছিলো এখানে,ফলে সে যখন যার কাছে যে মেসেজ দিচ্ছে সেটা সে দেখে নিচ্ছে সাথে সাথে। এই পেনড্রাইভের বিষয়টাও পারভীনকে জানাতে গিয়ে ড্যারিল জেনে ফেলে। এরপর ড্যারিল তার অফিসে চলে আসে আর তাকেই অন্যদিকে নিয়ে এসে তার কাছ থেকে নিয়ে যায় ড্রাইভটা যা তার ছেলের জীবন বাঁচানোর জন্য অনেক উপকারী তথ্য ছিল। এখানে জ্যাক এর সাথেই বেশি সবার সাথে কানেক্টেড হয়ে আছে মাইন্ড এর ক্ষেত্রে। কারণ মেলিসা তার বন্ধু লেভি এর বিষয়টা যখন শুনে বাড়িতে আসে তখন দেখে জ্যাক সেই ছেলেটি আর হার্ট এর ছবি এঁকে রেখেছে। আর জ্যাক এর এইসব বিষয়গুলো তাদের তাৎযপ করে তুলছে মাঝে মাঝে ।


✔ব্যক্তিগত রেটিং:
৮.৬/১০


✔ট্রেইলার লিঙ্ক:


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা আজকেও আপনি খুবই সুন্দরভাবে রিভিউ করেছেন। আসলে ওয়েব সিরিজটির রিভিউ পড়তে আমার খুবই ভাললাগে। গত পর্বে দেখেছি বুলগেরিয়ার সে লোকটির সাথে জ্যাকের অদ্ভুত মিল পাওয়া গেছিল। আর এই মিলের কারণে তারা একি সাথে অসুস্থ হয়ে যায়। আবার সুস্থ হয়ে যায় এটা খুবই অদ্ভুত রহস্য ছিল।ছেলের জীবন বাঁচানোর জন্য অনেক উপকারী তথ্য ছিল পেনড্রাইভে। এখানে জ্যাক এর সাথেই বেশি সবার সাথে কানেক্টেড হয়ে আছে। কারণ মেলিসা তার বন্ধু লেভি এর বিষয়টা যখন শুনে বাড়িতে আসে, তখন দেখে জ্যাক সেই ছেলেটি আর হার্ট এর ছবি এঁকে রেখেছে।আজকের পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো এবং আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

দাদা আপনার শেয়ার করা টিভি সিরিজের এবারের পর্বটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। গত পর্বে আমরা জানতে পেরেছিলাম যে বুলগেরিয়ান লোকটির সাথে জ্যাকের অনেক গভীর মিল রয়েছে। একজন অসুস্থ হলে আরেকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং এর কারনে পেনড্রাইভের বিষয়টি পারভীনকে জানাতে গিয়ে পুরো বিষয়টি অন্য কেউ জেনে ফেলে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জেনে ফেলে। দাদা আপনার লেখা টিভি সিরিজ রিভিউ যতই পড়ি ততই টিভি সিরিজ দেখার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। আশা করছি পরবর্তী পর্বে আরো অনেক কিছু জানতে পারবো। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

ওয়েব সিরিজ গুলো খুব একটা দেখা হয় না। তবে কিছুদিন থেকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েব সিরিজ সম্পর্কে জানতে পেরে ওয়েব সিরিজ দেখার আগ্রহ বেড়েছে। কারণ প্রতিটি ওয়েব সিরিজের যখন ২/১ পর্ব আপনি শেয়ার করেন পরবর্তী পর্বগুলো দেখার জন্য মন ব্যাকুল হয়ে থাকে। আজকের ওয়েব সিরিজ সম্পর্কে যা জানতে পারলাম তা মনে হচ্ছে ঘটনা কিছুটা গভীর প্রবেশ করছে। পেনড্রাইভের বিষয়টা পারভিন কে জানাতে গিয়ে ড্যারিল জেনে গেল অথচ পেনড্রাইভে তার ছেলেকে বাঁচানোর জন্য তথ্য ছিল যাই হোক পরবর্তীতে কি হয় জানতে ইচ্ছে করছে।

খুবই মজার এবং গোজামেল হয়ে আছে পুরো গল্পটা। কেমন কেমন যেন সবকিছু রহস্যের চাদরে ঢাকা। কখনো পর্দা উঠে যাচ্ছে আবার কখনো সব কিছু তলিয়ে দিচ্ছে। মেলিসা আর রামিরেজ ভালো কিছু করার চেষ্টা করছে আবার ওই দিকে জোশ ও নিজের ছেলের জন্য আপ্রাণ খেটে যাচ্ছে। জোশ কে ট্রেস করে রেখে পেনড্রাইভ হাতিয়ে নিচ্ছে কেউ আবার রাস্তায় বদমায়েশ লোকটা ছিনতাই করার ধান্দায় আছে।
সব কিছু মিলিয়ে ব্যাপার টা আমার কাছে খুব একটা বোধগম্য হচ্ছে না। আশা করি দাদা আপনার রিভিউ পড়ে আগামীতে খুব ভালো ধারণা পেতে যাচ্ছি এ সিরিজ থেকে।
ধন্যবাদ দাদা এত কষ্ট করে আমাদের এমন রিভিউ উপহার দেয়ার জন্য।

ওয়েভ সিরিজটির যতটা ভেতরে যাওয়া যাচ্ছে ততই জট খুলছে, তবুও আমার কাছে গোলমেলে লাগে। জোশ তার ছেলেকে বাঁচাতে পেন ড্রাইভে সমস্ত তথ্য নিয়ে নেয় কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাতছাড়া হয়ে গেছে সেটা 😕 তবে জ্যাকের বেশ বুদ্ধি আছে বলতে হয়, সে ফোন ট্রেস করে ঠিক পেনড্রাইভ উদ্ধার করে নিয়েছে। জ্যাকের সাথেই সবার মনোসংযোগ বেশি বললেন।। দেখা যাক সামনে কি ঘটে।।।

দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য দাদা।।।

গত পর্বে দেখেছিলাম,জ্যাক এর সাথে বুলগেরিয়ান লোকটির সাথে অদ্ভুত মিল আছে।একজনের জ্বর হলে আরেকজন ফিল হয়।সব মিলিয়ে বেশ ইন্টারেস্টিং গল্প।পেনড্রাইপের কথা পারভীনকে জানাতে গিয়ে ড্যারিল জেনে ফেললো।জ্যাক সেই ছেলেটি আর হার্ট এর ছবি এঁকে রেখেছে। সব মিলিয়ে সুন্দর। ধন্যবাদ

  ·  2 years ago (edited)

আজকের পর্বের নামটা এমন অদ্ভুত কেন বুঝতে পারলাম না। এর নিশ্চয়ই কোন একটা অর্থ আছে। জোশ বুদ্ধি করে পেনড্রাইভে কিছু সংগ্রহ করেছিল কিন্তু তাও হাতছাড়া হয়ে গেল। এই ডাটা হয়তো জোশের ছেলেকে রক্ষা করতে পারতো। ড্যারিল জোশ এর ফোন ট্রেস করে পেনড্রাইভটি নিয়ে গেল। তাছাড়া মেলিসা কিছু একটা উপলব্ধি করতে পেরেছিল দেখেই বৃদ্ধটিকে রক্ষা করতে পারল। তা নাহলে তো ওই লোকটা বৃদ্ধকে মেরে ফেলত। তাছাড়া লেভি নামের মেয়েটির নতুন আগমন এই সিরিজে। এখন দেখা যাক এই মেয়েটিকে নিয়ে কি হয়। বেশ জটিল সিরিজটি। বুঝতে একটু কষ্ট হয়। তারপর দাদা আপনি খুবই সহজ ভাবে উপস্থাপন করেন দেখে এত চমৎকারভাবে বোঝা যায়।। ধন্যবাদ আপনাকে।

গত পর্ব গুলোর মত এবারের পর্বটিও দারুন ছিল দাদা। সত্যি কথা বলতে আমি টিভি সিরিজ কিংবা ওয়েব সিরিজ খুব একটা দেখতাম না। যেদিন থেকে আপনার শেয়ার করা রিভিউগুলো পড়তে শুরু করেছি সেদিন থেকেই টিভি সিরিজ দেখার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এখন আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি কখন আপনি পরবর্তী পর্ব শেয়ার করবেন। ড্যারিল জোশ এর ফোন ট্রেস করার কারণে সব তথ্য পেয়ে যায়। এমনকি অন্য কাউকে পাঠানো মেসেজগুলোর তথ্য পেয়ে যায়। জোশ পারভীনকে যে মেসেজগুলো পাঠিয়েছিল সেগুলোও প্রকাশ হয়। এই পর্বটি পড়ে আমার কাছে দারুন লেগেছে দাদা। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় আছি দাদা। আশা করছি নতুন কিছু আসতে চলেছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা।
❤️❤️❤️❤️❤️

ম্যানিফেস্ট টিভি সিরিজটির সপ্তম পর্ব রিভিউ টি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। জ্যাকের সাথে মিলের কারনে অসুস্থ হয়ে যাওয়া আবার রহস্যজনকভাবে সুস্থ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমার কাছে খুবই আকর্ষণীয় মনে হয়েছে । দাদা পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

চেকের সাথে যোগ সূত্র টা নিয়ে আমি বেশ দ্বিধায় আছি। তার উপর আবার কানেক্ট মাইন্ড এর ক্ষেত্রে। কি হবে এর শেষ তা দেখার অপেক্ষায় আছি। ছেলেটির হার্ট এঁকে রেখেছে তাই ভাবছি। যাই হোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। সেখানে অন্তত কিছু বুঝতে পারবো আরো। বিষয়টা আরেকটু ক্লিয়ার হবে ।

শুভকামনা রইল ভাইয়া

এরপর মেলিসা সেই রেস্টুরেন্টে ছেলেটির কাছে যায় আর সেখানে লেভি নামক একটা মেয়েকে দেখে থমকে যায় কারণ সে ছিল তার বেস্ট ফ্রেন্ড।

দাদা এখানে ঠিক বুঝলাম না, তাহলে মেলিসা কি মেয়েটিকে ছবিতে দেখেছিল?
কারন সে তো হার্ট ডোনার করে ছেলেটিকে।যাইহোক
আমার মনে হয় ছেলেটির ব্যাপারে জ্যাক ভালোভাবেই জানতো।জোশ তার ছেলেকে বাঁচানোর জন্য অনেক ঝুঁকি নিচ্ছে।অনেক রহস্যময় ও মজার একটি গল্প।সেই শুরু থেকেই ইন্টারেস্টিং।তাছাড়া আপনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা পড়ে খুবই ভালো লাগে দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে,ভালো থাকবেন।