হরর মুভি রিভিউ: দ্যা নান

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ, স্বাভাবিক আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে আমি একটি হরর মুভি রিভিউ শেয়ার করবো। এই মুভিটি আমি আজ প্রথম দেখলাম এবং খুবই ভালো লেগেছে। এই হরর মুভিটি ভালো হিট করেছে। এটিতে একটু ভয়ানক সিন্ আছে তবে যারা এইসব দেখে তাদের কাছে কিছুই না। আর হরর মুভিতে যদি একটু ভয় ভয় না লাগে তাহলে বিষয়টা ভালো মজে না। এই হরর মুভিটি আমেরিকান মুভি এবং এটি হরর+মায়েস্ট্রি+থ্রিলার মিক্সার আছে ফলে মুভিটা বেশ জমজমাট। যাইহোক আপনারা যারা হরর মুভি ভালোবাসেন তারা দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে


❦গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য:❦

মুভির নাম
দ্যা নান ( The Nun )
পরিচালকের নাম
কোরিন হার্ডি ( Corin Hardy )
লেখক
গ্যারি দাউবেরম্যান ( Gary Dauberman )
অভিনয়
ডেমিয়ান বিছির ( Demian Bichir ), তাইস্সা ফারমিগা ( Taissa Farmiga ), জোনাস ব্লোকুয়েট (Jonas Bloquet ) ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ( ইউনাইটেড স্টেটস )
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইউনাইটেড স্টেটস, রোমানিয়া
মূল ভাষা
ইংলিশ
ভাষা ডাবিং
হিন্দি
সময়
১ ঘন্টা ৩৫ মিনিট ০২ সেকেন্ড
ফিল্মিং লোকেশন
করভিন ক্যাস্টেল, হুনেডোয়ারা, রোমানিয়া ( Corvin Castel, Hunedoara, Romania )
বাজেট
$২২,০০০,০০০


✔মূল কাহিনী:


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

মুভির শুরুতে মাদ্রাসায় অর্থাৎ স্কুলে পড়াশুনা করা কিছু বাচ্চার দৃশ্য দেখা যায় এবং সেখানে পড়ানোর যে শিক্ষিকা আছে তাকে সব ছাত্রীরা অপছন্দ করতো। মূলত এই স্কুলে বা মাদ্রাসায় শুধু মেয়েরাই পড়তো। যাইহোক তারা সেই শিক্ষিকাকে খুবই অপছন্দ করতো এবং তাকে নিয়ে বাজে বাজে কথা বলতো। এরপর তাদের আলোচনা করতে করতে শিক্ষিকা তাদের পোড়ানোর জন্য চলে আসে এবং বোর্ডে কিছু লিখতে চাইলে বুঝতে পারে একজন গার্ল কপি করছে। তখন সেই গার্লকে শিক্ষিকা বোকাঝোকা এবং মারধর করে। আর এইসব বিষয়গুলো সেই গার্লটি মূলত একটা স্বপ্নের মধ্যে দেখে থাকে। যাইহোক এরপর বারে গিয়ে সবাই মস্তি করতে লাগে। এরপর একটি মহিলা তার রুমের মধ্যে থাকাকালীন হঠাৎ কিছু একটার শব্দ শুনতে পায় এবং সে একটু ভয় ভয় মনোভাব নিয়ে ওয়াশরুম- বাইরে গিয়ে দেখতে লাগে যে কি সমস্যা। এর মধ্যে তার বিছানায় জল মতো গড়িয়ে যাচ্ছে সেই দৃশ্য দেখা যায়। এরপর সে ওয়াশরুমের জলের ট্যাবের মুখটা বন্ধ করে বাইরে গেছিলো কিন্তু সে যখন ভিতরে এসে দেখে তখন ট্যাবে জল ভরে গেছিলো আর এইটা দেখে সে আরো ভয় পেয়ে যায়। এরপর জল সে বন্ধ করতেই পারে না, অনবরত জল পড়েই যাচ্ছে। তখন হঠাৎ কে একজন ফিস ফিস করে বলতে লাগলো অর্থাৎ আত্মা বলতে লাগলো আমি এসে গেছি ,আমার কাছ থেকে কেউ বাঁচতে পারবে না। এরপর ট্যাবে ভর্তি জলে চোঙের মতো অবস্থা সৃষ্টি হতে লাগে এবং তার মধ্যে থেকে আত্মা বেরিয়ে এসে ছুরি দিয়ে গলা কেটে দেয়। এরপর গাড়িতে করে তার মেয়ে এসে পৌঁছায় এবং তার মায়ের চিৎকার শুনে দ্রুত যেয়ে দেখে তার মায়ের গলা কেটে আত্মা চলে গেলো সেখান থেকে। এরপর পুলিশের লোকজন এসে সবকিছু দেখতে লাগে কিভাবে কি হলো এবং মেয়েটির কাছ থেকে বয়ান নিতে লাগে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

এরপর মেয়েটির বান্ধবী পুলিশের লোকটির কাছে জিজ্ঞাসা করে যে এটা কি মার্ডার?তখন বলে এখন কিছুই বলা যাচ্ছে না কারণ খুনির কোনো উপস্থিতি দেখতে পাচ্ছি না আর মেয়েটি যা বললো সেটা তার মনের ভুল হতেও পারে। এরপর মাদ্রাসার সবাই মিলে তাদের ধর্মানুযায়ী শেষ কার্য সম্পন্ন করে। এরপর সেখানে একজন মহিলা এসে মেয়েটিকে বলে যে তুমি একদম তোমার মায়ের মতো দেখতে। তখন মেয়েটি সেই মহিলাকে জিজ্ঞাসা করে আপনি আমার মা কে চিনতেন!? তখন বললো আমাদের অনেকদিন দেখা হয়নি। এরপর মেয়েটি বললো আমার কথা পুলিশ বিশ্বাস করতে চাচ্ছে না কারণ সেখানে কোনো ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া যায়নি কিন্তু আমি সেখানে কারো উপস্থিতি অনুভব করেছি। এই বলে মেয়েটি চলে গেলো সেখান থেকে। এরপর রুমে এসে কান্নাকাটি করতে লাগে এবং তার মায়ের ডায়েরি তে একটি চিঠি পায় আর সেটি পড়তে লাগে। এরপর সেই মহিলা মেয়েটিকে ফোন করে এবং দেখা করতে চায়। কিন্তু তারপর আগের মতো একইরকম ভাবে এই মহিলাটির বিছানার উপরে জল গড়াতে দেখা যায় এবং বার্থরুমে বিকট বিকট শব্দ হতে লাগে এবং সেও এটিতে ভয় পেয়ে যায় একপ্রকার। এখানে একটা বিষয় বলি এই আত্মাটা কিন্তু সেই মাদ্রাসার শিক্ষিকার যাকে তার সেই স্টুডেন্টগুলো অপমান অপদস্ত করতো। আর এইটুকু দেখে যেটা বুঝলাম যে এরাই শিক্ষিকার সাথে কিছু একটা করেছিল। যার ফলস্বরূপ এখন তাদের মেরে ফেলছে আত্মা হয়ে এসে অর্থাৎ এক কোথায় প্রতিশোধ নিচ্ছে। যাইহোক সেই মহিলাটি ভয় পেয়ে যায় এবং আত্মা কে দেখতে পায় আর সে লিফটে করে নিচের দিকে যেতে লাগে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

সেই মেয়েটি মহিলাটির সাথে দেখা করার জন্য সেখানে চলে যায় যেখানে আসতে বলেছিলো কিন্তু সেখানে তাকে দেখতে পায় না আর তাকে খুঁজতে লাগে। এরপর মহিলাটি যে লিফটে উঠেছিল সেখানে সেই আত্মাটি ইতোমধ্যে তাকে মারার প্ল্যান করে ফেলেছে এবং লিফ্ট চলতে চলতে মাঝখানে অফ হয়ে যায় আর উপরের থেকে ভারী একটা জিনিস তার হাতের উপরে পড়লে হাত পুরো কেটে পড়ে যায়। এরপর লিফ্ট নির্দিষ্ট স্থানে অর্থাৎ মেয়েটির সামনে এসে খুলে যায় আর মেয়েটি দেখতে পায় মহিলার সাথে ঘটে যাওয়া সেই ভয়ানক কাহিনী। এরপর ভয়ে সে আর সেখানে উপস্থিত সবাই চলে যায়। এরপর মেয়েটি ও তার বান্ধবী প্লেনে করে বার্সেলোনার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় আর সে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে যায়। এরপর সেই মাদ্রসার স্কুলে মেয়েটি যেতে চায় যেটা অনেকদিন ধরে বন্ধ আছে এবং মেয়েটি সেই শিক্ষিকার ঠিকানা চেয়ে নেয়। এরপর এয়ারপোর্টে দেখা হওয়া ছেলেটি আর মেয়েটি একটা স্থানে দেখা করে এবং সেই বিষয়ে কিছু ইনফরমেশন এর জন্য। এরপর সেই মেয়েটি সেখান থেকে তার মায়ের আরো এক বন্ধুর বাড়ির দিকে রওনা হয় এবং তার বন্ধু তাকে খুঁজতে তার পিছন পিছন বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু এর মধ্যে আরেকজনকে মেরে ফেলার জন্য ভয়ানক কিছু কান্ড ঘটাতে লাগে। বিষয়গুলো সব জলের মাধ্যমেই ঘটছে। যাইহোক সেই মেয়েটি তার বাড়িতে পৌঁছে দেখে তাকেও মেরে ফেলেছে। এরপর সেখানে একটা ছেলে বলে পুলিশ কে জানানো দরকার কিন্তু বাকি লোকজনেরা জানাতে চাচ্ছিলো না বিষয়টা। তারপর তারা একটি গাড়ি করে রওনা হয় এবং যেতে যেতে রাস্তার মাঝখানে হঠাৎ একটা গাড়ি থাকে আর তারা দাঁড়িয়ে পড়ে কিন্তু পরবর্তীতে আর গাড়ি স্টার্ট নিতে চায় না। এরপর তারা হেঁটে বা দৌড়িয়ে সেই মাদ্রাসার স্কুলে চলে যায় এবং গিয়ে দেখে কে যেন তালা ভেঙে দিয়েছে। এরপর তারা ভিতরে ঢুকে যায়।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

এরপর তারা লাইট জ্বালিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উপরের দিকে উঠে তার মায়ের ক্লাস রুমে যায়। এরপর মেয়েটি তার মায়ের আরো দুই বন্ধুর দেখা পায় সেখানে এবং তাদের বলতে লাগে সেই শিক্ষিকা সিস্টার নান কে আমি দেখেছি আমার মা কে মারতে। এরপর সেখানে একজন বলতে লাগে যে সে মারা গেছে ফলে এটা কখনও সম্ভব না। এরপর সেই কাহিনীটি তাকে বলতে লাগে। আর এই কাহিনীতে এখানে বিষয়টা বোঝা গেলো যে এই সিস্টার নান একজনকে তখন বাজে ভাবে মারছিলো আর তার চিৎকার শুনে বাকি বন্ধুরা গিয়ে বাঁচায় আর কিভাবে কি করে সিস্টার নান স্নান করার ট্যাবের জলে পড়ে যায় আর এই স্টুডেন্টরা পা দিয়ে চেপে জলে ডুবিয়ে মারে। ফলে এইজন্য সবাইকে জলের মাধ্যমে আক্রমণ করে মারছে এই সিস্টার নান। এরপর তাকে মারার পরে একটা পুকুর মতো জায়গায় ফেলে দেয় আর এখান থেকেই তাদের বরবাদির কাহিনী শুরু হয়। যাইহোক এই কাহিনী শোনার পরে মেয়েটি বলে মা কখনো কাউকে আঘাত বা মারতে পারে না। তারপর বলে তাকে মারার দুই সপ্তাহ বাদে পুকুরের জল শুকিয়ে যায় আর তার আত্মা মুক্ত হয়ে যায় আর এখন সে বদলা না নেওয়া পর্যন্ত ঠান্ডা হবে না। এরপর তারা সবাই ভয় পেতে লাগে এবং বলতে লাগে যে ও এখানেই আছে এবং আমাদের ছাড়বে না।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

এরপর এক ছেলে সেখানে বলতে লাগে এইসব কথা সব ফালতু যার কোনো মানে নেই কিন্তু সেখানে একটা মেয়ে বলে যাইহোক তাদের সাহায্য করতে হবে। এরপর মেয়েটি আর সেই ছেলেটি একটা রুমের মধ্যে যায় এবং সিস্টার নান এর একটা ডায়েরি পায় এবং সেটি দেখতে লাগে। এরপর সেখানে আরেকটি ছেলে আর মেয়ে ইলেক্ট্রিক লাইন ঠিক করে লাইট আনতে লাগে। এরপর সেই মেয়েটিকে একা রেখে ছেলেটি বাইরে কিছু একটা খুঁজতে যায়। এরপর সেই সিস্টার নান একটা ভয়ানক পরিস্থিতির রূপ নিয়ে তার সামনে আসে এবং তার শরীরের ভিতর দিয়ে চলে যায়। এরপর সেই ছেলে মেয়ে তাদের মায়ের দুই বান্ধবীর কাছে যায় এবং কিছু একটা পায় সেইটা বলে তাদের ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে বিভিন্ন অজানা কথা কিছু জানতে পারে আর তার মধ্যে একটা মহিলা রেগে গিয়ে সিস্টার নান কে চুড়েল বলে গালি দিতে লাগে। এরপর একটা মহিলা নিজেকে একটা ঘরের মধ্যে বন্ধ করে নেয় এবং ভয়ে চিল্লাতে লাগে। এরপর জলের সাহায্য নিয়ে সেই মহিলাকে সিস্টার নান গলা ধর থেকে আলাদা করে মেরে ফেলে। সেই মেয়েটি বলতে লাগে ভয়ানক দেখতে সিস্টার নান, সে আমার চোখের সামনে তাকে মেরে ফেলেছে। এরপর বাকি একটা মহিলা এসে বলতে লাগে একমাত্র তুমিই তাকে দেখতে পারছো কিন্তু বাকিরা সেটা পারছে না। এরপর সেখানে একটি ছেলে বলে যে এই সিস্টার নান একমাত্র জলের মাধ্যমেই আসছে আর মনুষ্য রূপে আসতে গেলে তার জলের প্রয়োজন। ফলে তাকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে যেখানে জলের মাধ্যমে মনুষ্য রূপ নিতে পারে কারণ সে যদি জলের মাধ্যমে আসতে পারে তাহলে জলের মাধ্যমে মারাও যেতে পারে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

এরপর তারা সেখান থেকে একজনের সেইরকম জানা জায়গায় যাওয়ার জন্য তৈরি হয় এবং সেই মহিলাটি চুড়েল চুড়েল বলে গালি দিতে লাগে। এরপর একটা মেয়েকে সেখানে একা রেখে উপরে মেইন নলের মুখ খোলার জন্য চলে যায় আর খুলেও দেয়। এরপর সিস্টার নান এর ছায়া সেই মহিলাটি দেখতে পায় আর বন্দুক নিয়ে সামনে এগোতে থাকে। এরপর একটা জলের ধাক্কা এসে তাকে নিচে ফেলে দেয়। এরপর একটা ছেলে হঠাৎ করে ঘায়েল হয়ে মারা যায়। এরপর সেই মহিলার সামনে সিস্টার নান জলের সাহায্যে মনুষ্য রূপ নেয় আর তার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এদিকে জল অতিরিক্ত হওয়ায় চারিদিকে ভরে যায় এবং তাদের গলা সমান হয়ে যায়। এরপর তারা বাইরে বেরোনোর কথা বলে কিন্তু মেয়েটি বলে বাইরে গেলে সেখানে যদি হামলা করে তখন কিছুই করতে পারবো না, ফলে এটাই একমাত্র মাধ্যম যেটা জলের মধ্যেই করা সম্ভব। এরপর সেই মেয়েটি আরেকটি মেয়েকে সব লাইট অফ করে আসতে বলে এবং পরে তাকে চলে যেতে বলে সেখান থেকে। এরপর মেয়েটি জলে অপেক্ষা করতে থাকে। বাকি বেঁচে থাকা ছেলেটা মেয়েটির ব্যাপারে যা জানতে পেরেছিলো তা সেটা তার বান্ধবীর সাথে বলতে লাগে। আর এদিকে সিস্টার নান জলের মধ্যে এসে মেয়েটিকে টেনে জলের নিচে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে লাগে। এবং কিছুক্ষন তাদের মধ্যে লড়াই মতো হয় আর শেষে সিস্টার নান কে বন্দুকের মাধ্যমে তীর ছুড়ে দেয় আর সে মারা যায়। মূলত অন্য যে ছেলেটি বেঁচে ছিল তার বক্তব্য অনুসারে এই মেয়েটি আর নান একই ব্যক্তি ছিল।


✔শিক্ষা:

যদিও এটা কোনো শিক্ষামূলক মুভি না তবে এখানে শিক্ষার একটা বিষয় দেখা গেছে যে যেমন কর্ম তেমন ফল অর্থাৎ সবাই যে পাপ করেছিল শেষ পর্যন্ত তার মাশুল সবাইকে দিতে হলো। অপকর্মের কোনো ক্ষমা হয় না, সেটাই প্রমাণিত হলো।


✔ব্যক্তিগত মতামত:

এই মুভিটা আমার কাছে শেষপর্যন্ত অনেক ভালো লেগেছে। মুভিটা একটু হরর এর সাথে থ্রিলার হওয়ায় বেশ কাহিনীটা ফুটে উঠেছে। আশা করি আপনারাও দেখে বেশ মজা পাবেন। হরর মুভি একপ্রকার দারুন ইন্টারটেনমেন্ট হয়ে থাকে। প্রথমবার দেখলাম আর দেখেই মজা লাগলো বেশ।


✔ব্যক্তিগত রেটিং:
৮/১০


✔মুভির লিংক:


শুভেচ্ছান্তে, @winkles

______

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

হরর মুভি আমি দেখতে খুব পছন্দ করি এবং যদি সেটা হয় নিঝুম রাতে। হরর মুভির যে মিউজিক গুলো সেগুলো এই বয় বৃতির হাতছানি দেয়। আপনার মুভি রিভিউ থেকে শুরুতে বুঝতে পেরেছিলাম যে শিক্ষকের সাথে কিছু একটা হয়েছে। আপনি একটা কথা বলেছিলেন যেমন কর্ম তেমন ফল হ্যাঁ এটা চিরসত্য। পাপ করলে পাপ বাপকেও ছাড়ে না। যদিও এই মুভিতে শিক্ষামূলক কিছু ছিল না। চিন্তা করে দেখলে বোঝা যায় এই মুভিতে পুরোটাই শিক্ষণীয় বিষয় ছিল। আমাদের সমাজের মানুষেরা যে কোন মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে ব্যবহার করে মানুষ হিসেবে গণ্য করে না। সবারই একটা আত্মসম্মান আত্মমর্যাদাবোধ কম বেশি থাকে। তাই বলে মানুষকে ছুড়ে ছিরে কথা বলা অপব্যবহার করা মোটেই ঠিক না। একসময় এই ব্যবহারের জন্য তাকে খেসারত দিতে হয়। আপনার এই হরর মুভি রিভিউ টি খুবই অসাধারণ লাগছিল একটু ভয়ও লাগছিল তবে ছবিটি সত্যিই অনেক সুন্দর ছিল। আমাদের সাথে এত সুন্দর একটা হরর মুভির রিভিউ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

হরর মুভি সব থেকে রাত ১২ টার পরের থেকে দেখলে সেই মজা পাওয়া যায়, আমিও রাত ১২ টা কি ১ টার দিকে দেখতে বসি। আমি এখন প্রায় রাতের দিকে সময় পেলে দেখি, মিউজিক আর সেই সাথে আত্মার প্রকট হওয়ার সিনগুলো বেশি ভয়ানক লাগে। হেডফোন এ শুনলে বিষয়গুলো আরো ইন্টারেষ্টিং লাগে। আসলে এখানে অপকর্ম করলে তার ফল জীবনের কোনো না কোনো সময়ে পেতে হবে এবং সেটা ভয়ানক হতেও পারে, এখানেও তাই ঘটেছে মুভিতে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

রিভিউটা পরেই বোঝা যাচ্ছে মুভি টা অনেক বেশি ভয়ভিতিকির।তবে দাদা ঠিকি বলেছেন যারা হরর মুভি দেখে তাদের কাছে এইসব কিছুই না। আপনার মাধ্যমে নতুন একটি হরর মুভির সাথে পরিচিত হলাম। আজকেই দেখার জন্য চেষ্টা করবো অনেক ভালো রিভিউ করেছেন দাদা।

হ্যা একটু ভয় লাগার মতো কিছু জায়গায় সিন্ আছে। আপনি দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে, রাতের দিকে দেখলে বেশ মজা লাগে । ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।

দ্যা নান মুভিটি আমি এর আগে দেখেছি। কিন্তু সম্পূর্ণ মুভিটি দেখা হয়নি। আপনার দেওয়া দ্যা নান মুভি রিভিউ টি দেখে সম্পূর্ণ মুভির কাহিনী জানতে পারলাম। হরর মুভি আমার খুবই পছন্দের। মুভি রিভিউ দেয়ার জন্য আপনি খুবই সুন্দর একটি হরর মুভি ডিসাইড করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।

হরর মুভি হাফ পথে দেখে রেখে দিলে মজাটা আর থাকেনা।যতই ভয়ানক দেখতে হরর ড্রামা আছে আমি দেখেই উঠি। আমি এখন বেশি বেশি দেখি এইসব মুভি, বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। সময় পেলে সিনগুলো একবার দেখে নিতে পারেন। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

হরর মুভিটা আমার দেখা হয় নি।হয়তো মুভিটা দেখলে অনেক উপভোগ করতে পারবো। আপনার মাধ্যমে হরর মুভির সাথে পরিচিত হলাম। অনেক ভালো রিভিউ করেছেন দাদা।

হ্যা দেখবেন এবং উপভোগ করবেন সিনগুলো। তবে রাতের দিকে দেখবেন না হলে সেই মজাটা দিনের বেলা পাবেন না। ধন্যবাদ।

রিভিউটা পরেই বোঝা যাচ্ছে মুভি টা অনেক বেশি ভয়ভিতিকির।তবে দাদা ঠিকি বলেছেন যারা হরর মুভি দেখে তাদের কাছে এইসব কিছুই না। তবে আমি ব‍্যক্তিগত ভাবে হরর মুভি দেখতে চাই না কারণ আমার প্রচন্ড ভয় করে।

হ্যা এটা ঠিক বলেছেন, বেশি ভয় করলে সে বিষয়ে না দেখাই শ্রেয়। কারণ অনেক সময় বেশি ভয়ের মাধ্যমে সমস্যা হয়ে যায়। আমিও যখন প্রথম প্রথম দেখা শুরু করেছিলাম তখন রাতে খুব ভয় করতো। এখন দেখতে দেখতে সেই বিষয়টা আর তেমন অনুভব হয় না।

অনেক ফেমাস একটু মুভি রিভিউ করেছেন ভাইয়া। আমার অনেকদিন দেখার ইচ্ছে ছিলো মুভিটি,আমি অনেকদিন দেখবো দেখবো ভাবছিলাম।তবে দেখা হয়নি সময়ের কারণে। আপনার কারণে কাহিনীটা জেনে গেলাম,অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

এই মুভিটা দেখে আমিও বেশ মজা পেয়েছি। এর আগে এই মুভিটা দেখেনি, ফলে নতুন অবস্থায় বেশ ভালো লাগলো দেখে। কাহিনীটা পড়ে ফেলেছেন এখন যদি দেখেন তাহলে বিষয়টা আরো ভালো লাগবে আপনার কাছে। সময় করে একবার দেখে নেবেন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

কথায় আছে " অপকর্মের ফল একদিন না একদিন পাওয়া যায় "।তাই তারা পেয়েছে তাদের কুকর্মের ফল।
সবমিলে ভালো ছিল হরর মুভি দ্যা নান।ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

হ্যা যে যেমন কর্ম করবে জীবনে, শেষে এক সময় না এক সময় তার ফল ভোগ করতেই হবে। পাপ কখনো কাউকে পিছন ছাড়ে না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

আমি হরর মুভি খব বেশি পছন্দ করি এবং দেখি। আমার জীবনে দেখা সব থেকে ভয়ংকর মভি ছিলো এটা ভাইয়া। অনেক গুছিয়ে লিখেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আমিও আপনার মতো হরর মুভি দেখি, বিশেষ করে আগের থেকে এখন বেশি দেখি এইসব মুভিগুলো। এই মুভিতে জলের মাধ্যমে আত্মা প্রকট হওয়ার সিনটা ভয়ানক সিন্ ছিল। আপনাকেও ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।

ভাইয়া সেই একটা মুভির রিভিউ দিয়েছেন। আমি তো হরর মুভি দেখলে তেমন একটা ভয় পাই না তবে এটা দেখে খুব ভয় পেয়েছিলাম। রিভিউ টা খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন আপনি ❣️❣️❣️❣️👌👌👌

এই হরর মুভিতে আত্মার প্রকট হওয়ার সিনটা ভয়ানক ছিল। আর বেশি ভয়ানক ছিল মার্ডার করার সিনগুলো। আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

🙏🙏🙏🙏❤️❤️❤️❤️❤️❤️

হরর মুভি আমার খুব পছন্দের বলতে পারেন। তবে এখন সেরকম কোনো হরর ভালো মুভি পায় না। আপনার পোস্ট টা পড়ে মনে হলো এই ছবিটি বেশ উপভোগ করা যাবে। বেশ একটা জমজমাট ভাব আছে। এই মুভিটা আমি দেখব। খুব সুন্দর রিভিউ করেছেন মুভিটার।

হরর মুভিগুলো রাতের দিকে দেখতে আমার এখন বেশ ইন্টারেষ্টিং লাগে। আমি মাঝে মাঝে হরর মুভি রিভিউ দেব আপনি সেগুলো দেখতে পারেন, বেশ মজা পাবেন আশা করি। ধন্যবাদ।

হুম দাদা।মুভিগুলো রাতে দেখলেই আসল মজাটা পাওয়া যায়।।

ভাইয়া আমি মাঝেমধ্যে হরর মুভি দেখে থাকি। বিশেষ করে হরর মুভি গুলো ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে। তবে দেখতে অনেক ভালো লাগে। আপনি যে মুভিটি রিভিউ করেছেন সেটা এখনো দেখা হয়নি। তবে দেখার আগেই পুরু রিভিউটা পড়ার পর দেখার খুবই আগ্রহ জাগল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মুভি রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

হ্যা মুভিটি দেখবেন সময় করে বেশ মজা পাবেন দেখে। এখানে মুভিতে কিছু কিছু সিন্ আছে যেগুলো আরো ইন্টারেষ্টিং লাগবে । যেসব হরর মুভি বেশি ভয়ঙ্কর সেগুলো আরো বেশি ইন্টারেষ্টিং লাগে রাতের দিকে। ধন্যবাদ।

মুভির রিভিউটা দারুণ হয়েছে দাদা।আমি আসলে তেমন একটা হরর মুভি দেখা না।কারণ রাতের বেলা যতই ভুলে থাকার চেষ্টা করি ওই কাহিনিগুলোই শুধু মনে পড়ে।যাক এবার এই হরর মুভিটি না দেখেই এর কাহিনি সুন্দরভাবে জানতে পারলাম।ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দরভাবে গুছিয়ে দ্যা নান মুভির রিভিউ পোস্টটি করার জন্য।

হরর মুভি প্রথম প্রথম দেখলে এই বিষয়গুলো মনের মধ্যে গেঁথে যায় আর শুধু মনে পড়ে, ঘুমাতে দেয় না। আমিও আগে প্রথম যখন দেখতাম তখন বিষয়গুলো শুধু মনে পড়তো রাতের বেলা। আপনি কাহিনীটি পুরো পড়ে বুঝতে পেরেছেন তার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

হরর মুভির অনেক সুন্দর একটি রিভিউ দিয়েছেন দাদা। যেহেতু আগে থেকেই আপনার রিভিউ টা পরে নিলাম সেহেতু মুভিটা ভালোভাবে বুঝতে পারবো। ডাউনলোড করে নিচ্ছি এখনই মুভিটা। হরর মুভি দেখতে আমা মর খুবই ভালো লাগে। তবে মাঝে মাঝে খুব ভয় পাই তখন চোখ বন্ধ করে রাখি😃😃

তবে মাঝে মাঝে খুব ভয় পাই তখন চোখ বন্ধ করে রাখি

🤣.এইটা আমি প্রথম প্রথম করতাম। যখনি খুবই ভয়ঙ্কর সিন্ সামনে আসতো তখন চোখ বন্ধ করে বসে থাকতাম বা অন্যদিকে তাকিয়ে থাকতাম। পুরো কাহিনী পড়ার পরে দেখলে আরো ভালোভাবে বিষয়গুলো বোঝা যায়, আপনি এটা ভালো কাজ করেছেন।

জ্বী দাদা

হরর মুভি দেখতে আমার বেশ ভালোই লাগে কিন্তু মুভির কথা চিন্তা করে মাঝে মাঝে রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়।অনেক সুন্দর ভাবে মুভিটি রিভিউ করেছেন।খুব সুন্দর হয়েছে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।

হরর মুভির সিনগুলো এইরকমই হয়ে থাকে, দেখার পরে বিষয়গুলো অনেক সময় মনের মধ্যে থেকে যায়। আর রাতে হলেতো আরো ঝামেলা,ঘুম পড়তে গেলে ঘুম আসতে চায় না। ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।

দাদা আমি ভূত ভিত্তিক কথাবার্তা এবং হরর মুভি,
এই জিনিসগুলো খুব পছন্দ করি। কিন্তু হরর মুভি দেখার সময় একা একা দেখতে পারিনা। সাথে কেউ থাকতে হয় , না হয় দেখেও মজা পায় ন। যার কারণে হরর মুভির সব সময় দেখা হয় না।

কিন্তু দাদা এর মুভি রিভিউ আপনি খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন । দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনার খুব কষ্ট হয়েছে এই পোস্টটি আমাদের সামনে উপস্থাপন করতে। অনেক ভয়ঙ্কর মুভি। আমি পড়ে খুব মজা পেয়েছি, মুভিটি অবশ্যই দেখবো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

হরর মুভিতো একা একা ঘরে দরজা জানালা বন্ধ করে দেখতে বেশি ইন্টারেষ্টিং লাগে, একটু ভয় ভয় না পেলে ভালো লাগে না। আমিতো একা একা দেখি রাতের ১২ টার পরের থেকে। একবার যদি সাহস করে দেখতে পারেন আর এই ভয়টা করবে না। কারণ আমি নিজেও প্রথম প্রথম ভয় পেতাম কিন্তু দেখতে দেখতে এখন সেই ভয়টা আর করে না। এইটা দেখে নেবেন রাত না হোক দিনের বেলা বেশ ভালো মুভি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

হরর মুভিটা আমার দেখা হয় নি।হয়তো মুভিটা দেখলে অনেক উপভোগ করতে পারবো। আপনার মাধ্যমে হরর মুভির সাথে পরিচিত হলাম। অনেক ভালো রিভিউ করেছেন দাদা।

হ্যা, দেখবেন সময় করে। রাতের দিকে দেখবেন ভালো উপভোগ করতে পারবেন প্রতিটা জায়গার সিনগুলো। ধন্যবাদ।

মুভিটা একটু ভয়ানক টাইপের।তবে আপনার লেখা পড়ে প্রথম দিকে বুঝতে পারলে ও শেষের দিকে একটু অস্পষ্ট আছে।কারণ এই সব মুভি দেখেই ভালো বোঝা যায়।অনেক বিস্তারিত বর্ণনা।ধন্যবাদ দাদা।

সব পড়ার পরে মুভিটা দেখলে ভালো বোঝা যাবে বিষয়টা। সিনগুলো একটু ভয়ানক হওয়ার সাথে সাথে বেশ মজারও আছে। ভয় যদি না পাও তাহলে দেখতে পারো, ভালো মুভি। ধন্যবাদ।

হ্যাঁ দাদা ,অবশ্যই দেখবো।না আমি ভূতকে ভয় পাই না,বরং মানুষকে বেশি ভয় পাই।

মুভিটি আমি ২০২০ সালে দেখেছি । হলিউড হরর মুভি গুলোর মাঝে এটি অত্যন্ত ভয়ংকর ।আপনি খুব দারুন ভাবে রিভিও দিয়েছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে ।