হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'কারাগার' ওয়েব সিরিজটির তৃতীয় পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "লাইফ এন্ড ডেথ"। গত পর্বে শেষ দেখেছিলাম যে, সেই লোকটা ফার্সি না কি ভাষায় কিছু কথা লিখেছিলো যেগুলো কেউ বুঝতে পারেনি শুধু দুটি অক্ষর ছাড়া। আজকে দেখা যাক এর পরে কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
জেলের বিভিন্ন কয়েদির কাছে লোকটার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে থাকে এবং তার ছবিও তুলে গোপনে বাইরে বিভিন্ন পদ্ধতিতে খোঁজ লাগানোর চেষ্টা করে। আসলে যদিও কয়েদির এইভাবে রক্তাক্ত ছবি নিয়ে বাইরে কাউকে দেখানোর নিয়ম নেই, তাও কয়েকজন সেই রুলস ভাঙে। এখন যে অফিসার তার বন্ধুর কাছে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার অন্য্ দিয়েছিলো সেও কোনো তথ্য খুঁজে বের করতে পারেনি। মূল কথা এই কয়েদির কোনো ডাটাও কোনো থানায় বা কোনো নথিপত্রে নেই, তাহলে খুঁজে বের করবে কিভাবে যে এই লোকটার পরিচয় কি। এখন তার যে বন্ধু সে থানায় আসে আর এই বিষয়ে কথাবার্তা বলে আর সে নিজে ভয় দেখিয়ে তার থেকে কথা বের করে নিতে চায়।
কিন্তু তার বন্ধু বলে এই বিষয়ে যে, সে বোবা আর কালা, ফলে কোনো কিছু করে লাভ নেই। আমরা সবকিছু করে দেখে নিয়েছি। কিন্তু সে তাদের কথার তোয়াক্কা করেনি, কারণ সে ভেবেছে একটু মারধর করলে বা ভয় দেখালে সব ছরছর করে বলে দেবে। সেলের মধ্যে যাওয়ার পরে তার বন্ধু কথা বলতে চায় কিন্তু লোকটা সব কিছু ইশারায় বলতে থাকে, কিন্তু সেটা আবার কেউই বুঝতে পারে না, কারণ যারা বোবা বা কালা তারা ইশারার মাধ্যমে একটা সাইন ব্যবহার করে, যেগুলো একমাত্র যারা বোঝে বা এই বিষয়ে শিখেছে তারা ছাড়া বুঝতে পারবে না বা তার সাথে কথা বলতে পারবে না। এখন তার লেখা অনুযায়ী মীরজাফর আর ২৫০ নম্বর এই দুটি জিনিস একজন আসামি বুঝতে পারে।
আর বাকি যে লেখাগুলো আছে সেগুলো বুঝতে গেলে তারই ভাষায় কথা বলার জন্য লোক লাগবে। তার বন্ধু এই নিয়ে বাইরে আবার খোঁজ লাগায় এবং মাহিয়া নামের একজন মহিলার খোঁজ পায়, যে সাইন ল্যাংগুয়েজ এর মাধ্যমে কিছুটা কথা বলতে পারে, তবে এক্সপার্ট না সে এই বিষয়ে। তাও তাকে নিয়ে যায়, কিন্তু তার পুলিশ বন্ধু মানে মোস্তাক আবার কোনো মেয়ে মানুষকে এই জেলে ঢুকতে দেবে না, কারণ এর আগে এই বিষয় নিয়ে একবার ঝামেলা হয়েছে। এখন এই ছাড়া আর কোনো অপসনও নেই তাদের কাছে, কারণ কোনো ছেলেকে আবার খুঁজতে গেলে অনেক ঝামেলা এই ব্যাপারে। এরপর কোনো উপায় না দেখে সেলের ভিতরে নিয়ে যায় তাকে। এরপর তার সাথে সেইসব সাইন ভাষায় কথা বলতে থাকে।
☬ব্যক্তিগত মতামত:☬
এই লোকটা আসলে অনেক রহস্যময় একটা ভাবমূর্তি নিয়ে থাকে সবসময়। মেয়েটা আসলে তার সাথে যে সাইন ল্যাংগুয়েজ এ কথা বলতে চাইছে সে আবার অন্য সাইনে কথা বলতে থাকে যেটা এই মেয়ে আবার বুঝতে পারে না। তার পরেও আবার চেষ্টা করে কথা বলার, তখন লোকটা বলে সে মীরজাফরকে খুন করে জেল খাটছে। মীরজাফর মানে সেই পলাশীর যুদ্ধের সময়ের কথা বলতে থাকে লোকটা। যে ওই সময়ে নাকি সে মীরজাফরের রাঁধুনি ছিল, আর তাকে কোনো একটা কারণে খুন করে। আর তার পরের থেকে জেল খাটতে থাকে। এইটা শুনে সবাই আরো অবাক হয়ে যায়, কারণ সে তো ২৫০ বছর আগের কথা। এই কথা শুনে তো কারো বিশ্বাসই হচ্ছে না, কারণ একজন মানুষ কিভাবে ২৫০ বছর ধরে বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু তার পরেও লোকটা বারবার ওই একই কোথাই বলে যায় যে, সে সে সময় থেকে জেল খাটছে। এরপর সবার চোখেমুখে বিষন্নতার ছায়া নেমে আসে, কারণ এটা কিভাবে সম্ভব। রহস্য আরো পেঁচিয়ে গিয়েছে সবার সামনে।
☬ব্যক্তিগত রেটিং:☬
৮.৭/১০
☬ট্রেইলার লিঙ্ক:☬
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা কারাগার ওয়েব সিরিজের তৃতীয় পর্বের রিভিউ পড়ে বেশ রহস্যময় লাগছে। সত্যি বলতে এই পর্বের রিভিউ সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছি। হ্যাঁ দাদা যারা বোবা কালা তাদের আলাদা কিছু সাইন রয়েছে বুঝানোর জন্য। আমাদের মহল্লায় একটি পরিবার রয়েছে এবং সেই পরিবারের সাত ভাই বোবা। তো তাদের কিছু কিছু সাইন এখন অনেকেই বুঝতে পারে। যদিও তারা যখন বিশেষ সাইনগুলো ব্যবহার করে আমাকে কিছু বললে, আমি কিছুই বুঝি না। যাইহোক তার লেখা অনুযায়ী অবশেষে একজন আসামি তাহলে দুটি কথা বুঝতে পেরেছে। আসলেই তো এটা কিভাবে সম্ভব ২৫০ বছর আগে মীরজাফরকে খুন করে, সে জেল খাটছে। একজন মানুষ ২৫০ বছর কিভাবে বাঁচতে পারে। এটা এক কথায় অসম্ভব একটি ব্যাপার। তবে তাসনিয়া ফারিন যেহেতু মোটামুটি কিছু কিছু সাইন বুঝে, তাহলে হয়তোবা সামনে আরো কিছু তথ্য বের করতে পারবে। ওয়েব সিরিজটি একেবারে জমে উঠেছে দাদা। আশা করি পরবর্তী পর্বে আরো অনেক রহস্যের উদঘাটন হবে এবং আমরাও অনেক কিছু জানতে পারবো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি ওয়েব সিরিজের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কারাগার ওয়েব সিরিজের এই পর্যায়ে এসে সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে আরো বেড়ে গেলো। আগেরে বিষয় ছিলো যে,সেলটা পঞ্চাশ বছর ধরে বন্ধ,সেই সেলের ভিতরে একজন কয়েদি কিভাবে আসলো। এখন তার বণর্না অনুযায়ী বুঝা যাচ্ছে যে, সে ২৫০ বছর আগে মীর জাফরকে খুন করে জেল খাটছে। এসব কথা শুনে সবার মাথাতো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। আর কারাগারের লোকটি একটু অদ্ভুত লাগছে। সে ফার্সি ভাষায় লেখে,বোবা আবার বইরা পুলিশ তাকে নিয়ে একটা জামেলায় পড়ছে। অনেক খুঁজাখোজি করে একজন সাইন ল্যাংগুয়েজ বুজে এমন একজন মানুষকে বের করে হলো। কয়েদি আবার এমন সাইন ল্যাংগুয়েজ বলে লোকটি আবার বুঝে না। আর যা বুজেছে তার শুনে সবার মাথা ঘুরাচ্ছে। এখন কিভাবে বের করবে আসলে লোকটি কে...। আমার মাথায় কোন কিছু ঠেকছে না। দেখি পরের পর্বে কি জানতে পারি। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আমার কাছে কারাগার ওয়েব সিরিজের তৃতীয় পর্ব পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে এই ওয়েব সিরিজের পর্ব গুলোর রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রথম দুই পর্বের মতো তিন নাম্বার পর্বটা রিভিউ সুন্দর করে লিখেছেন আপনি। আর দেখছি এই পর্বের নাম ছিল "লাইফ এন্ড ডেথ"। দেখতে দেখতে কিন্তু এই ওয়েব সিরিজের পর্বগুলো আরো বেশি রহস্যজনক হয়ে যাচ্ছে দাদা। যদিও মেয়েটা একেবারে এক্সপার্ট না, তবুও তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল কথা বলার জন্য। এই লোকটা তো দেখলাম ২৫০ বছর আগের কথা বলতেছে। সে যদি ২৫০ বছর আগের কথা বলে তাহলে তো লোকটার বয়স কত হবে। আর এতদিন একটা মানুষ কিভাবেই বা বাঁচবে। তাও আবার বলছিল মীরজাফর কে খুন করে সে জেলে এসেছে। আস্তে আস্তে রহস্য গভীরে যাচ্ছে দাদা। এখন তার এরকম কথা শুনে তো সবাই অবাক হচ্ছে ঠিক, এটাই দেখতে হবে যে লোকটা কথাগুলো সত্য বলছে কিনা। যদিও মনে হয় না সত্য বলছে বলে কারণ এত বছর কেউ বেঁচে থাকবে না। দেখা যাক পরের পর্বগুলোতে কি হতে চলেছে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা। আশা করছি খুব শীঘ্রই আপনি পরবর্তী পর্বের রিভিউ নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থিত হবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা দেখতে দেখতে কারাগার ওয়েব সিরিজটার ৩ পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। আমি আপনারে শেয়ার করা এই ওয়েব সিরিজের রিভিউ গুলো প্রথম থেকেই পড়ে আসতেছি। সত্যি দাদা আপনি সব সময় অনেক সুন্দর করে ওয়েব সিরিজ গুলো রিভিউ লিখে থাকেন, যেগুলো পড়লে আর ওয়েব সিরিজ দেখাও লাগে না। আজকে আপনি তৃতীয় নাম্বার পর্ব লিখেছেন এই দেখলাম লোকটা ২৫০ বছর আগের ঘটনা বলছিল। যদিও এ লোকটা আসলে এগুলো কেন বলছে কেউ জানে না, তবে লোকটা এসব আজগুবি কথাই বলছিল। কারণ সে যদি ২৫০ বছর আগে কাউকে মেরে জেলের মধ্যে আসে তাহলে কিভাবে সম্ভব একটা মানুষ এত বছর ধরে বেঁচে থাকা। ২৫০ বছর আগে সে মীরজাফরকে খুন করেছিল, তারপর থেকে জেল খাটছে, এটা তো একেবারে অবিশ্বাস্য একটা ঘটনা বলেই সবাই বলবে। আর এই লোকটা এত বছর ধরে এখানে কিভাবেই বা ছিল। এই লোকটার আসল পরিচয় কি এবং কি লোকটা আসলে কোথায় থেকে এসেছে এটাই এখন জানতে হবে। আশা করছি দাদা এই বিষয়গুলো পরবর্তী পর্বে ক্লিয়ার হবে এবং কি এগুলো আমরা জানতে পারবো। সেই পর্যন্ত অধীর অপেক্ষায় বসে থাকলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit