বাঁশের তৈরি "কবুতরের টং"

in hive-131369 •  2 years ago 

শনিবার

তারিখ:- ২৫ মার্চ ২০২৩ ইং

আসসালামু আলাইকুম

প্রিয় স্টীমবাসী। সবাই কেমন আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমি আল্লাহ্ রহমতে সুস্থ ও ভালো আছি। আজকে আমি "স্টীম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটিতে ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি "কবুতরের টং" নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। সবাই সাথেই থাকুন তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

20230325_211254.jpg
বাঁশের তৈরি "কবুতরের টং"

বাঁশ একটি ঐতিহ্যবাহী সম্পদ । যা গ্রামীণ জীবনের একটি নিত্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। আর আজকে আমি সেই দরকারি উপাদান নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। এটি সবার মতো আমারও গ্রামের বাড়িতে অনেক কাজে ব্যবহার করে থাকি।



20230325_211149.jpg

সর্বপ্রথম বাঁশগুলোকে চিকন চিকন করে চিড়ে নিয়েছে। কারন কবুতরের টং বানানোর জন্য প্রথমে চিকন চিকন বাতা করে এটি একটি গোলাকৃতি করে নিয়েছে। এতে কবুতরের থাকার জন্য ১ থেকে ১.৫ ফিট করে এক একটা ঘর করা আছে । কারণ কবুতর সবসময় তার নিজস্ব ঘরেই থাকতে পছন্দ করে। এই ঘরগুলোতে কবুতর খুব স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে পারে। এই ধরনের ঘরগুলো সাধারণত প্রত্যন্ত অঞ্চলের মা-বোন এরাই তৈরি করে থাকে । অনেকে তৈরি করে জীবিকা নির্বাহের জন্য আবার কেউ বা করে সাংসারিক কাজের ফাকে নিজের পারদর্শিতাকে কাজে লাগানোর জন্যে।

20230325_222812.jpg

এই ছবিটিতে লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে কবুতরের টং এর ঘরের সামনে বাঁশের চাটাইটি কিছুটা বাড়তি করে কারন কবুতর যেন তার বাসার সামনে একটু উন্মুক্ত ভাবে চলাফেরা করতে পারে। এতে তাদের বাচ্চাদের ও বেড়ে উঠতে সুবিধা হয়ে থাকে। কারণ কবুতর যত খোলামেলা পরিবেশ পাবে তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। এইগুলো চিকন গুনার তার দিয়ে সুন্দর করে আঁটকিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে যাতে খুলে না যায়।

20230325_204447.jpg
20230325_204404.jpg

এক কবুতর যেন অন্য ঘরে প্রবেশ করতে না পারে ঠিক তেমন ভাবে ঘরটি তৈরি করা হয়েছে। এই বাঁশ এর টং গুলির ওজন খুব কম হওয়াই প্রয়োজন মতো স্থানান্তর করা সহজ হয়ে থাকে। তাই এক জায়গায় কোনো কারন বসত সমস্যার সম্মুখীন হলে সাথে সাথে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া অনেক সহজ। অনেক সময় গ্রামের মানুষের জায়গার অভাব থাকায় তাদের কবুতর পালন এর শখ থাকলেও তা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না।

20230325_204135.jpg

এই কবুতরের টংগুলির মূল্য খুবই সীমিত আকারের হয়ে থাকে। তাই গ্রামীণ লোকেরা ক্রয় করতে পারে এবং তাদের শখটাও পূরণ করতে সক্ষম হয়। এই ০৫(পাঁচ) ঘরের কবুতরের টং এর মূল্য ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা হয়ে থাকে যা সবারই নাগালের মধ্যে। শুধুমাত্র বাঁশ এর তৈরি বলেই এর মূল্য সীমিত রাখা হয়েছে।

পরিশেষে বলা যায় যে, এটি দেখতে যেমন সুন্দর ও আকর্ষণীয় ঠিক তেমনি এটির দিকে তাকালে গ্রাম বাংলার মানুষের প্রতিভা ও তাদের দৈনন্দিন জীবনের জীবিকা নির্বাহের কঠোরতার চিত্র লক্ষ্য করা যায়।

ধন্যবাদ
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বাঁশের তৈরি কবুতরের টং নিয়ে অনেক সুন্দর লিখছেন ভাই। কবুতরকে শখের পায়রা বলা হয়। কবুতরের মাংশ খুবই সুস্বাদু। কবুতর পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছে অনেক মানুষ। আপনি কবুতরের টং নিয়ে অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

বাঁশের তৈরি কবুতরের টং বা কবুতরের বাসা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।আমিও আমার বাসায় কবুতর পালন করি। কবুতর পালন আমার অনেক পছন্দের। আমার অনেক ভালো লাগে কবুতর। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ

বাঁশ আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় একটি উপাদান। বাঁশ দিয়ে ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাপত্র তৈরি করা হয়ে থাকে। আপনি ছবি অনেক সুন্দর তুলেছেন। বাঁশ দিয়ে কবুতরের সুন্দর ঘর বানানো হয়ে থাকে। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

বাঁশ আমাদের গ্রাম অঞ্চলের মানুষের নিত্য-প্রয়োজনীয় কাজে লাগে। বাঁশ আমাদের লোকশিল্পের মধ্যে পড়ে। বাঁশ দিয়ে তৈরি করা কবুতরের খাঁচা বা টং ও বাসা টি অনেক সুন্দর হয়েছে। আমাদের বাসায় যখন কবুতর ছিল তখন এই কবুতরের খাঁচা বা টং ছিল। ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

@siza

বাঁশ আমাদের প্রায়জনীয় জিনিস। এই বাঁশ নিয়ে কবুতরের টং এর কথা তুলে ধরেছেন। এই কবুতরের টংগুলা দেখতে ভালো লাগে। এই টং এর ভিতরে তারা বসবাস করে। আপনি টং এর দাম সহ তুলে ধরেছেন। বাঁশের তৈরি কবুতরের টং নিয়ে খুব সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ ভাই,

বাঁশ দিয়ে তৈরি করা কবুতরের জন্য বাসা আমি আগে কোনদিন দেখিনি, আজকেই প্রথম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম। আমি কাঠ, টিন দিয়ে কবুতরে খুব বানানো দেখেছি। বাঁশ দিয়েও যে এত সুন্দর কবুতরের টং বানানো যায় তা না দেখলে বুঝতে পারতাম না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

বাঁশ একটি অতি প্রয়োজনীয় জিনিস। বাঁশ দিয়ে এমন বিভিন্ন রকমের জিনিস তৈরি করা হয়। কবুতর এর বাসা তৈরি করতে হলে বাঁশের দরকার হয়। খুব চমৎকার একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ

বাঁশের তৈরি কবুতরের টং নিয়ে অসাধারণ লেখছেন ভাই, আমাদের বাসায় এইরকম কবুতরের টং ছিল কিন্তু এখন আর নাই, কবুতরের জন্য ঘর আমরা সবাই বাঁশের তৈরি দিয়ে করি,তবে এখন আমার জানা মতে অনেক ধরনের খাঁচা বের হয়েছে যার কারনে সবাই ঐ খাঁচার মধ্যে কবুতর পালে।আপনি অনেক সুন্দর লেখছেন ভাই কবুতরের টং নিয়ে অসাধারণ বিষয় গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।

আগে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে কবুতরের টং ছিল।আগে মানুষ হাঁস মুরগির পাশাপাশি কবুতরও প্রতিপালন করতেন। এজন্য এদের থাকার জন্য টং এর প্রয়জন হত । তাই সবাই কাঠ কাঠ বা বাঁশ দিয়ে কবুতরের টং তৈরি করতেন। কিন্তু এখন বেশি কবুতর না থাকায় এদের টং দেখতে পাওয়া যায় না। এই হস্তশিল্প গুলো প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। কবুতরের টং তৈরি করতে বেশ সময় লাগে। তবে এখন অনেকে শখের বশে কবুতর প্রতিপালন করেন। আমাদের বাড়িতেও আগে এমন কবুতর প্রতি পালন করা হতো। তখন এমন টং ছিল। কবুতরের টং সম্পর্কে আপনি অনেক বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন। এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।
Loading...

আমাদের বাড়িতেও কবুতরের অনেক বড় খোপ রয়েছে। কিন্তু বাঁশের তৈরি কবুতরের টং অনুপস্থিত। আমাদের কাঠের তৈরি কবুতরের বাসা রয়েছে। যদিও এটি অনেকটা ব্যয়বহুল। আপনি কবুতরের টং সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয় এসব কবুতরের বাসা গুলো। যাতে ছোট ছোট কবুতর থাকে।এর ভেতরে কবুতরগুলোকে রাখা হয়। আপনি ঠিকই বলেছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলে মা-বোনেরা এসব ঘরগুলো তৈরি করে কবুতরের জন্য এবং বাজারে বিক্রি করে। খুব সুন্দর ছবি তুলেছেন আপনি খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই লেখাগুলো পড়লাম ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।

বাঁশের তৈরি কবুতরের টং।গ্রামের ভাষায় এটিকে খাঁচা বলা হয়ে থাকে। যা তৈরি করতে বাঁশের প্রয়োজন হয়ে থাকে। বাঁশ কেটে শুকিয়ে এত সুন্দর ভাবে এগুলো তৈরি করা হয়ে থাকে। এগুলো কবুতর রাখার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাঁশের ব্যবহার গ্রাম অঞ্চলে প্রায় নিত্য দিনের দেখা যায়। কবিতার শখের একটি পাখি এটিকে দেখতে যেমন ভালো লাগে তেমনি এর মাংস খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। কবুতর মাসে দুইবার দিম দিয়ে থাকে। কবুতররা এক সঙ্গে অনেকজন একত্রে বসবাস করে বলে এদের জন্য টং বানানোর প্রয়োজন হয়ে থাকে।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে। এত সুন্দর একটি উপস্থাপনা করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।