steem__For___tradition এর সকল ভাই বোন বন্ধু ও সদস্যবৃন্দগণ সবাইকে জানাই আমার সালাম আসসালামু আলাইকুম এবং অন্য সম্প্রদায়র প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালো বাসা আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন । আলহামদুলিল্লাহ আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের ছোট বড় দোয়া এবং ভালোবাসায় আমিও ভালো আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে ঐতিহ্যবাহী হাত পাখা নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করবো। ইনশাআল্লাহ। তাহলে শুরু করা যাক,
গরম হচ্ছে আল্লাহ তায়া’লার বিশেষ একটি নিয়ামত। এই জন্য সবাই বলি আলহামদুলিল্লাহ। গরম ঠান্ডা দুইটায় আল্লাহ তায়া’লার নিয়ামত।আল্লাহ যদি বারো মাস ঠান্ডা দিতেন,তাহলে আমাদের অসুবিধা হয়ে যেত।আবার যদি বারো মাস গরম দিতেন,তাহলেও অসুবিধা হয়ে যেত। আল্লাহ জানেন যে গরম ঠান্ডা দুইটারে দরকার আছে। সেই জন্য এই দুইটি নিয়ামতে আল্লাহ আমাদের মাঝে দান করেছেন। আর এখন চলতেছে গরমের সময়। গরম ছোট থেকে বড়,বাচ্চা থেকে বুড়ো,ধনী থেকে গরীব সবাইকে লাগে।
তাই প্রাচীন কাল থেকে গরমের সময় গায়ে বাতাস করার একমাত্র অবলম্বন ছিল হাতপাখা। পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকমের হাত পাখার ব্যবহার রয়েছে। প্রাচীনকালীন রাজ প্রসাদ থেকে শুরু করে গ্রাম অঞ্চলের বাড়িতে বাড়িতে এই রকম হাতপাখা দিয়ে গরমের সময় গায়ে বাতাস করা হত। বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় এই হাত পাখা ব্যবহার অনেকাংশেই কমে গেছে।
হাতপাখা অনেক রকমের হয়ে থাকে।যেমন,তালের তাপার হাতপাখা, চাটাই এর তৈরি হাতপাখা, কাপড়ের হাতপাখা, নকশি পাখা,প্লাস্টিকের হাতপাখা ইত্যাদি। একেক রমকের হাতপাখা একেক রমকের সৌন্দর্য হয়।কাপড়ের হাতপাখা বেশি ব্যবহার হয়।কাপড়ের হাত পাখা তৈরি করতে প্রথমে বাঁশের বাতার গোল চাক তৈরি করতে হবে। এরপরে একটি দেড়া। তারপরে গোল করে হাতপাখার জমিনটাতে কাপড় দিতে হয়। আবার চাকতির চারদিকে কুচি করে কাপড়ের ঝারল লাগাতে হবে। এভাবে হাত পাখা তৈরি করা হয়।
ঐতিহ্যবাহী হাতপাখা ফুটে উঠেছে নকশায়। হাতপাখার মেজেতে অনেক রকমের নকশা করা যায়। আপনারা যে উপরে হাতপাখা দেখতেছেন তার মেজে তেও নকশা করা হয়েছে। মেজের পরিধি কম তাই অল্প নকশা করা হয়েছে। রঙিন সুতা দিয়ে খুব সুন্দর করে ফুল তুলা হয়েছে। আমার হাতপাখায় রঙিন সুতা দিয়ে নাম ও লেখা হয়েছে।
বর্তমানে বিদ্যুৎ আসার ফলে ঐতিহ্যবাহী হাতপাখার ব্যবহার নেই বললে চলে। বিদ্যুৎ আসার ফলে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বের হয়েছে বিদ্যুৎ ফ্যান। ফ্যান বের হওয়ার কারণে হাতপাখা অচল হয়ে পড়েছে। তবে আমাদের দেশে লোডশেডিং বেশি হয়। লোডশেডিং বেশি হওয়ার কারণে মাঝে মাঝে এই হাতপাখা ব্যবহার হয়। একসময় যে জিনিস বেশি আনাগোনা বা ব্যবহার ছিল সময়ের ব্যবধানে সেই জিনিস এখন অচল।এই ছিল আজকে ঐতিহ্যবাহী হাতপাখা নিয়ে আলোচনা। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আল্লাহ হাফেজ।
নকশিকাঁথা হাতা পাখ বর্তমানে কম দেখা যায়। আর বিদ্যুৎ না থাকলে হাত পাখার গুরুত্ব বোঝা যায়। দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন। ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হাত পাখা নিয়ে অসাধারণ লিখেছেন ভাই, আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন বিলুপ্ত প্রায়। এখন বিদ্যুৎ এর যোগ তাই মানুষ আর এসব হাতপাখা ব্যবহার করে না। আর বিদ্যুৎ লোডশেডিং হলেও নানা রকম চার্জার ডিভাইস ব্যবহার করে বিদ্যুৎ এর ঘাটতি পূরণ করে। হাত পাখা আমাদের ঐতিহ্য। সুন্দর লিখছেন ভাই অনেক ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হাতপাখা নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন।আধুনিকতার ছোয়ায় এখন হাত পাখা গ্রাম অঞ্চল থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের কাছে সেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঐতিহ্যবাহী হাতে চালিত পাখা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। হাতে চালিত পাখার আগে ব্যাপক চাহিদা ছিল। তখন হাতের পাখা ও তালের তৈরি পাখার বাতাস খেয়ে গরম নিবারণ করতো। তখন সেভাবে বৈদ্যুতিক না থাকার জন্য গ্রাম অঞ্চলে পাখার ব্যবহার বেশি ছিল। ধন্যবাদ
@md-sajalislam.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হাতপাখা হচ্ছে গরমের সময় প্রশান্তির জন্য হাতে চালিত পাখা।প্রাচীন কালে কৃত্রিম বাতাসের একমাত্র মাধ্যম ছিল এই হাত পাখা। কিন্তু আগের তুলনায় এখন হাতপাখার ব্যবহার অনেকটাই কমেছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন লোডশেডিং হলেও মানুষ বিভিন্ন ধরনের চার্জার ফ্যান ব্যবহার করছে।হাতপাখা নিয়ে আপনার লেখা পোস্টটি খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপ্পি
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হাত পাখা নিয়ে অসাধারণ একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন, হাত পাখা হলো আমাদের পুরনো দিনের সঙ্গি,আগের মানুষ এই হাত পাখা প্রচুর ব্যবহার করতো,তবে এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন হাত পাখা হারিয়ে যাচ্ছে, আপনি অনেক সুন্দর লেখছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যখন বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না তখন এই হাত পাখার ব্যবহার অনেক বেশি ছিল। বর্তমানে হাত পাখার ব্যবহার অনেক কমে গিয়েছে। আগে দেখতাম বিভিন্ন রকম সুতা দিয়ে নকশা করে হাত পাখা তৈরি করত। এখন সেগুলো আর চোখে পড়ে না। অনেক ভালো লিখেছেন শুভকামনা রইল
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঐতিহ্যবাহী হাত পাখা আমাদের দেশের প্রতিটি অঞ্চলে শহরে কিংবা গ্রামে সবখানেই হাত চালিত পাখার ব্যবহার অপরিসীম। এই হাত চালিত পাখা গরমের প্রশান্তি জন্য আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসছে ঐতিহ্যবাহী সব কিছুই।আপনার পোস্ট কোয়ালিটি যথেষ্ট ভাল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পাখা আমাদের গরমের ক্লান্ত দুর করে শান্তি বয়ে আনে।পাখা নকশা করা দেখে ভাল লাগল। আগেকার সময়ে বিদ্যুৎ ছিল না সেইসময়ে হাত পাখার ব্যবহার বেশি ছিল। তবে পাখা নিয়ে বেশ সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হাতপাখা হচ্ছে গরমে বিশেষত গ্রীষ্মকালে প্রশান্তির জন্য ব্যবহৃত হাতে চালিত পাখা। এটি বাংলাসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের একটি অংশ। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit