গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য গরুর হাল ও লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ এর পদ্ধতি

in hive-131369 •  2 years ago  (edited)

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম,প্রিয় স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটির ব্লগারবৃন্দগন সকলে কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা সকলে ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর আলহামদুলিল্লাহ রহমতে ভালো আছি।আজকে আমি আপনাদেরকে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য গরুর লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করা নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। ইনশাআল্লাহ।

কভার ফটো
IMG_20230304_74707.jpgIMG_20230304_74546.jpg
IMG_20230304_074627.jpgIMG_20230304_074613.jpg
গরুর হাল ও লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষের পদ্ধতি

IMG_20230304_74546.jpg

প্রাচীনকাল থেকে গরুর হাল দিয়ে জমি চাষের পদ্ধতি চলে আসতেছে। এখন আর সেই রকম গরুর হাল দেখা যায় না। আগে গ্রাম বাংলা মানুষের ঐতিহ্য ছিল গরুর হাল দিয়ে জমি চাষ করা। আগে মানুষ এই গরুর হাল দিয়ে জমি চাষ করে ধান আবাদ করতো। আগে গরুর হাল ও লাঙ্গল ছিল জমি চাষের মূল পদ্ধতি।

IMG_20230304_74707.jpgIMG_20230304_74616.jpg

বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের বেশিরভাগ মানুষ কৃষি আবাদ করে।কৃষি আবাদের মাধ্যমে তারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। আর কৃষি জমির চাষের জন্য মূল হাতিয়ার ছিল গরুর হাল ও লাঙ্গল। চাষএক সময়ে বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জের কৃষি মাঠ জুড়ে গরু ও লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ প্রদ্ধতির প্রচলন ছিল। দিন দিন এই প্রদ্ধতি বিলুপ্তির পথে। দুইটা গরুর কাধে জোয়াল বসিয়ে রশি দেয়ে লাঙ্গলকে বেধে দেয়া হত।

IMG_20230304_074647.jpgIMG_20230304_074627.jpg

আগের কার যুগে মানুষ বীজ বপন থেকে শুরু করে নিয়ে জমিতে ধান লাগা পযন্ত জমি চাষ করতো গরুর হাল ও লাঙ্গল দিয়ে। লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করলে মাটি বেশি নরম হয়। গরুর হাল ও লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করলে আগাছা মাটির ভিতরে চলে যায়। ফলে মাটির শক্তি বৃদ্ধি পায়। মাটির শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় জমিতে ফসল বেশি হয়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারাতে হচ্ছে প্রাচীনকালের ঐতিহ্যবাহী গুরুর হাল ও লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ। আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে কৃষি জমিতে। বর্তমানে জমি চাষের জন্য আধুনিক যন্ত্রের মেশিন বাহির হইছে। আধুনিক মেশিন গুলা হচ্ছে পাওয়া টিলার। পাওয়ার টিলার দিয়ে তাড়াতাড়ি জমি চাষ হয়। আর এখন তো বর্তমানে ট্রাক্টর বাহির হয়েছে।এই ট্রাক্টর দিয়ে আরো তাড়াতাড়ি কৃষি জমি চাষ হয়।এই দুই কারনে হারাতে হচ্ছে গরুর হাল ও লাঙ্গল। আগে সেই সকালে দেখা যেত কৃষকরা কাধে জোয়াল এবং লাঙ্গল নিয়ে হাত গরুর রশি নিয়ে বেড়িয়ে পড়তো জমি চাষের উদ্দেশ্য। জমি চাষ শেষ করে বাড়ি ফিরতো সন্ধ্যায়। এই জমি চাষের মাধ্যমে তারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো।

IMG_20230304_074545.jpg

তবে এখনো ধরে রেখেছে গরুর হাল ও লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষের পদ্ধতি অনেক জন।মাঝে মাঝে জমি চাষের সময় দেখা যায়।গরুর হাল ও লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষের পদ্ধতি। এখনো তারা ধরে রেখেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। এই ছিলো আজকের গরুর হাল ও লাঙ্গল নিয়ে আলোচনা। আল্লাহ হাফেজ।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

গরু ও লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করা অনেক পুরাতন একটা পদ্ধতি, আপনি গরু ও লাঙ্গল দিয়ে অনেক সুন্দর লেখছেন ভাই। আগের কার দিনের মানুষ এই লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করতো। তবে এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় এই সব পদ্ধতি আর কেউ করে না।গরু আর লাঙ্গল দিয়ে জমি করলে সেই জমিতে অনেক সুন্দর ফসল উৎপন্ন হয়।আপনার পোস্ট পরে খুব ভালো লাগলো ভাই। গরু দিয়ে হাল চাষ করলে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এ দেশের মানুষের প্রধান কাজ কৃষি। আর লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ আমাদের ঐতিহ্য। তবে এখন লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ দেখা যায় না,আমাদের গ্রামে মাঝে মাঝে আমি গরু ও লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করা দেখতে পাই। তবে বেশির ভাগ মানুষ এখন আধুনিক পদ্ধতিতে জমি চাষ করে।আসলে আগের মানুষ গুলো অনেক কষ্ট করে তারা জীবন যাপন নির্বাহ করছিল। আমাদের এই গরু ও লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করা হারিয়ে যাচ্ছে দুইটা আধুনিক যন্ত্রতে,সেটা হলো পাওয়ার টিলার আর একটি হলো ট্রাক্টর এই দুই পদ্ধতি মানুষ এখন বেশি জমি চাষ করে।আগে ছিল শুধু পাওয়ার টিলার আর এখন পাওয়ার টিলারের সাথে সাথে ট্রাক্টর বের হয়েছে যার কারনে আমাদের সেই গরু ও লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করা দেখতে পাওয়া যায় না। তবে যারা এখনো গরু ও লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করে তারা সেই আগের ঐতিহ্য এখনো টিকে রাখছে।আপনার পোস্ট পরে খুব ভালো লাগলো ভাই আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

গরুর হালও লাঙ্গল নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।এই হালু ও লাঙ্গল আমাদের ঐতিহ্য। গরুর হাল ও লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করা তেমন একটা দেখা যায় না। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন। অসাধারণ হয়েছে পোস্টি।অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্টি দেখে । ধন্যবাদ ভাই।

Loading...

প্রাচীন কাল থেকে এই হাল চাষ পদ্ধতি ব্যবহার হয়ে আসছে এই হাল চাষ করার মাধ্যমে আমরা জমি তৈরি করে থাক। কিন্তু প্রযুক্তির ভিড়ে এখন এই হাল চাষ পদ্ধতি হারিয়ে গেছে আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

গ্রামে জমি চাষের জন্য এই গরুর হাল ব্যবহার করা হতো। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতি বর্তমানে আমাদের এই ঐতিহ্যকে বিলুপ্ত করেছে। এখন তেমনভাবে এই গরুর হাল জমি চাষের জন্য আর দেখা যায় না। নতুন সদস্য হিসেবে অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে এই পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

লাঙ্গল দিয়ে হাল চাষ বহু পুরাতন পদ্ধতি। গরু দিয়ে হাল চাষ করলে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এ দেশের মানুষের প্রধান কাজ কৃষি। আর লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ আমাদের ঐতিহ্য। তবে এখন লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ দেখা যায় না। আধুনিক মরট চালিত টাষ্টর এর ব্যবহার বেশি। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন। অনেক ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আগের কার যুগে মানুষ বীজ বপন থেকে শুরু করে নিয়ে জমিতে ধান লাগা পযন্ত জমি চাষ করতো গরুর হাল ও লাঙ্গল দিয়ে। লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করলে মাটি বেশি নরম হয়

সেই প্রাচীনকাল থেকে এখন পর্যন্ত বলতে গেলে লাঙ্গল হলো মানুষের একমাত্র হাতিয়ার যেটি দ্বারা জমির সবথেকে বেশি কাজ করা হয়। আমরা এখানে যারা কাজ করি প্রায় সবাই হয়তো দেখেছি যে লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করা হয়। আসলেই আপনার কথাটা ঠিক যে লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করলে মাটি হাল্কা হয় এতে বীজবপনে সুবিধা হয়।কৃষকদের ও ফলন তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়।যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রপাতি হওয়ার কারণে এই গরুর হাল বা লাংগল এখন আর নেই বললেই চলে।গ্রামেও তবুও মাঝে মাঝে দেখা যায় ,বলতে গেলে দেখাই যায় ন। খুব সুন্দর পোস্ট করেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।

গরুর হাল ও লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ পুরাতন একটি পদ্ধতি। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতিতে ঐতিহ্যবাহী এই গরুর হাল আজ বিলুপ্তির পথে।এখন আর এই গরুর হাল দিয়ে জমি চাষ দেখাই যায় না। গরুর হাল ও লাঙ্গল নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট করেছেন ধন্যবাদ ভাইয়া।

মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপ্পি।

হাজারো বছরের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গরু হাল ও জোয়াল। গরুর হাল ও জোয়াল অনেক পুরনো এবং ঐতিহ্যের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে মিশিয়ে আছে। এক সময় দেখা গ্রামগুলোতে ভোর হতে না হতেই কৃষকেরা গরুর হাল ও জোয়াল কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়ত মাঠে জমি হাল চাষ করার জন্য। গরুর হাল ও জোয়াল দিয়ে চাষ করলে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। কারন গরু হাল ও জোয়াল দিয়ে চাষ করাই উত্তম এর প্রধান কারন হলো গরুর গোবর আর জোয়াল মাটির গভীর পর্যন্ত যাওয়ার পর মাটিকে এ পাশ থেকে ওপাশ এভাবেই ওলোট পালোট করাই মাটির উর্বরতা শক্তি বহুগুণ বেড়ে যায়। এর ফলে আবাদি জমির ফলন ভাল হয়। বর্তমানে আধুনিকতার ছোয়ায় গরুর হাল ও জোয়াল খুব কমই দেখা যায় এগুলো এক পর্যায়ে বিলুপ্তি হওয়া পথে। তবে বিলুপ্তী হওয়ার মুল কারন হলো আধুনিকতার ছোয়ায় বেরিয়ে এসেছে পাওয়ারট্রিলার,ট্রাক্টর, ইত্যাদি। গরুর হাল ও জোয়াল নিয়ে খুব সুন্দর করে বর্ননা দিয়েছেন। অনেক সুন্দর করে পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।

মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ আপ্পি

অতীতের কৃষি কাজে একটি পদ্ধতির নাম হচ্ছে হাল চাষ বা লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ। আগের দিনের মানুষ এই লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করে ফসল উৎপাদন করত।গ্রামে কৃষকরা ভোর হওয়ার সাথে সাথে গরুর হাল ও জোয়াল কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়ত মাঠে জমিতে হাল চাষ করার জন্য। বর্তমানে আধুনিকতার ছোয়ার কারণে এখন আর লাঙ্গল এর প্রয়োজন পড়ে না।এখন পাওয়ার টিলারের মাধ্যমে জমি চাষ করা হয়ে থাকে । ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোষ্টের মাধ্যমে আপনি আমাদের ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছেন।

আজ কাল ্ গ্রাম বাংলার এগুলো খুব কম দেখা যায়। আরও যদিও আমাদের চোখে পড়ে তাও খুব কম। একটা সময় এগুলো খুব পরিচিত এবং জনপ্রিয় ছিল কিন্তু বর্তমানে এগুলো বিলীন হয়ে গেছে।
আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। এবং অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।