কন্টেস্ট -আমার এলাকার একটি পুরাতন স্থাপনা গির্জা

in hive-131369 •  last year 

আজ মঙ্গলবার
৫ এ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় স্টিমবাসি সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। স্টিম ফর ট্রেডিশনে আপনাদেরকে স্বাগতম। আপনাদের জন্য রইল অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা এবং শুভকামনা। প্রতি সপ্তাহে আমাদের কমিউনিটি থেকে কন্টেস্ট এর আয়োজন করা হয়।এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি , এবারের কন্টেস্টি হলো আপনার এলাকার পুরাতন স্থাপনা সম্পর্কে লিখুন। ধন্যবাদ জানাই এডমিন এবং ম্যাটারেটর ভাইদের এত সুন্দর একটা আয়োজন করার জন্য । তাই আমি আমার এলাকায় একটি পুরাতন স্থাপনা গির্জা সম্পর্কে লিখতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে, তো দেরি কেনো চলেন শুরু করা যাক।

Picsart_23-09-04_23-03-33-233.jpg
কভার ফটো
⛪খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনার স্থান গির্জা⛪

received_806229191223565.jpeg

নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে প্রাচীন স্থাপনা হলো খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের গির্জা। গির্জা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা করার প্রধান স্থান। রেলের শহর সৈয়দপুর। সৈয়দপুর রয়েছে ১১০ একর জায়গা বিশিষ্ট রেলওয়ে কারখানা। সেই ব্রিটিশ আমলে তৈরি রেলওয়ে কারখানা এখনো সচল। রেলওয়ে কারখানাতে ব্রিটিশ আমলে অনেক খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীরা কর্মরত ছিলেন।

IMG_20230904_133907_796.jpg

তৎকালীন সময়ে খ্রিস্টানদের জন্য ব্রিটিশ সরকার দুটি গির্জা স্থাপন করে সৈয়দপুরে। ব্রিটিশ সরকারের আমল থেকেই সৈয়দপুর ছিলো ব্যবসায়িক নগরী। ব্যবসা করার জন্য হলেও অনেক খ্রিস্টানদের যাতায়াত ছিলো সৈয়দপুরে।

IMG_20230904_133918_091.jpg
IMG_20230904_133926_629.jpg

এই গির্জা দুটি সৈয়দপুর প্রথা উত্তরাঞ্চলের প্রথম এবং প্রাচীনতম গির্জা। গির্জা গুলো ইউরোপীয় স্থাপত্য কলায় সমৃদ্ধ। একটি গির্জা স্টেশনের পাশে অবস্থিত, অন্যটি রেলওয়ে হাসপাতালের কাছে অবস্থিত।গির্জাকে কেন্দ্র করে খ্রিস্টানদের ধর্মগুরু ফাদারের জন্য ফাদার কুটির নির্মাণ করা হয়েছে। এবং সৈয়দপুরের সাহেব পাড়াতে একটি খ্রিস্টান ধর্মীয় স্কুল স্থাপত্য হয়েছে।

IMG_20230904_133850_787.jpg

সেন্ট জেরোজা নামের যে খ্রিষ্টধর্মের অনুসারীদের প্রচেষ্টায় নির্মিত স্কুলটির এখনো অনেক সুনাম রয়েছে। এই স্কুলে সকল ধর্মের বাচ্চারা লেখাপড়া করে। সৈয়দপুর এমন একটি শহর যে শহর বর্তমানে শিক্ষা নগরীতে স্থাপিত হয়েছে। সৈয়দপুরে সকল ধর্মের লোকজন বসবাস করে।

IMG_20230904_134005_211.jpg

সৈয়দপুরের বেশিরভাগ স্থাপনা বহু ইতিহাসের সাক্ষী, রেল কেন্দ্রিক শহর সৈয়দপুর। এ শহরে অসংখ্য পুরাতন স্থাপন রয়েছে। গির্জা সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রার্থনা করার জন্য সেরা স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। পাশেই যীশুর জীবনী সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য রয়েছে ছোট্ট একটি পাঠাগার। কি নেই এই সৈয়দপুর শহরে। সকল ধর্মের মানুষের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা স্থাপনা।

received_806229191223565.jpeg

⛪⛪ গির্জার কিছু চিত্র⛪⛪
IMG_20230904_133841_855.jpg
IMG_20230904_133849_038.jpg
IMG_20230904_133949_023.jpg
IMG_20230904_133945_700.jpg
IMG_20230904_133830_049.jpg
IMG_20230904_133823_441.jpg

গির্জা সম্পর্কে কিছু কথাঃ

গির্জা মূলত খ্রিস্টানদের প্রার্থনা করার স্থান, যেটাকে চার্চ ও বলা হয়। খ্রিস্টানদের প্রধান উৎসবের
দিন হচ্ছে বড়দিন। বড়দিন উপলক্ষে গির্জাতে সবাই একত্রিত হয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে। ঈশ্বরের কাছ থেকে কল্যাণের আশায় গির্জাতে উপাসনা করে।

IMG_20230904_133549_713.jpg

সৈয়দপুর যেভাবে আসবেনঃ

যদি কখনো সৈয়দপুর আসতে চান তাহলে, ঢাকা থেকে যদি আসতে চান, ঢাকা থেকে চিলাহাটি অভিমুখী দুটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। একটি হচ্ছে চিলাহাটি এক্সপ্রেস, অন্যটি নীলসাগর এক্সপ্রেস। সৈয়দপুর স্টেশনে নেমে, স্টেশন থেকে বের হলে হাতের ডান দিকে গেলে একটা বাম দিকে গেলে একটা দুটি গির্জা দেখতে পাবেন। এবং কি বাসে ও আসতে পারবেন। বা বিমান এ আসতে পারবেন।

IMG_20230904_133442_011.jpg

থাকবেন কোথায়ঃ

সৈয়দপুর থাকার জন্য আবাসিক হোটেল রয়েছে। আবাসিক হোটেলে কম খরচে থাকতে পারবেন। সৈয়দপুর শুধু গির্জা না,আরো অনেক দর্শনীয় অনেককিছু দেখতে পারবেন। দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আছে সৈয়দপুরে । তাহলে যদি আপনারা ঘুরে আসতে চান তাহলে আসতে পারেন। এখানে দেখতে পারবেন ইতিহাসের সংরক্ষিত স্থাপনাশালা।

IMG_20230904_133859_930.jpg

আপনাদেরকে সৈয়দপুর আসার আমন্ত্রণ রইলো, জীবিকার তাগিদে চার বছর যাবৎ সৈয়দপুর অবস্থান করছি। কেমন লাগলো গির্জা নিয়ে আমার এই সামান্য লেখাটা তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আজ এ পর্যন্তই, আবারো লিখবো অন্য কেনো বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে।

received_806229191223565.jpeg

এই প্রতিযোগিতার জন্য আমি আমার ৩জন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, @samyank, @varshav @zpzn

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
মোবাইল সংক্রান্ত তথ্যঃ
মোবাইলTECNO CAMON 16 PRO
ধরণপুরাতন স্থাপনা গির্জা
ক্যামেরা৬৪ মেগাপিক্সেল
ফটোগ্রাফার@aslamarfin
অবস্থানসৈয়দপুর, নীলফামারী।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সৈয়দপুর অবস্থিত এই গির্জা নিয়ে আপনার লেখাটি আমার দারুন লেগেছে। সৈয়দপুরে যে এমন দুটি গির্জা আছে তা আমার জানা ছিল না। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে প্রথম জানতে পারলাম।গির্জাটির কয়েকটি খুব সুন্দর ছবি আপনি শেয়ার করেছেন। সৈয়দপুর শহরে কোনদিনও গেলে অবশ্যই এই গির্জাটিতে ঘুরতে যাব। গির্জাটির চারিদিকের প্রাকৃতিক পরিবেশ অনেক সুন্দর। পুরো জায়গাটিই দেখছি গাছপালা দিয়ে ঘেরা। সৈয়দপুর শহরকে শিল্পনগরী ও বলা হয়। ব্রিটিশ আমল থেকেই এদিকে ইংরেজদের যাতায়াত ছিল। তাই তারা তাদের প্রার্থনার প্রয়োজনে এই গির্জা গুলো তৈরি করেছেন। তবে এগুলো এখনও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। গির্জা সম্পর্কে আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু

প্রথমে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাই। আপনি সৈয়দপুরের ব্রিটিশ আমলে তৈরিকৃত গির্জাটি নিয়ে চমৎকার একটি বিস্তারিত আলোচনা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। খ্রিস্টান ধর্মাবলীদের জন্য গির্জা হচ্ছে প্রধান উপাসনালয় । ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা মানে এই জিনিসটি যথার্থ পোক্ত ভাবে এখনো বিদ্যমান রয়েছে । আপনার আলোচনায় আপনি সৈয়দপুরে যাওয়ার ও থাকার ব্যবস্থা নিয়েও অনেক সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। যে বিষয়টি আমাদের যে কাউকেই সৈয়দপুরে যাওয়ার সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু

DescriptionInformation
plagiarism-free
#steemexclusive
Ai Content - free

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.

এই গির্জাটি আমি তৌফিক হুজুরের সাথে গিয়ে দেখেছি। অনেক প্রাচীনতম একটি গির্জা। এখানে প্রায় সময় খ্রিস্টান ধর্মের মানুষদেত প্রার্থনা করতে দেখতে পাওয়া যায়। এতো প্রাচীনতম গির্জা আমাদের উত্তরবঙ্গের মধ্যে আর নেই। গাছ পালায় প্রিয় সমারহ একটি স্থানে অবস্থিত এই গির্জাটি। সুন্দর লিখেছেন ভাই প্রতিযোগিতায় আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

ধন্যবাদ ভাই

এই গির্জাটি সৈয়দপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এই গির্জাটি আমি অনেক আগে দেখেছি। আমি আগে যখন আসলাম ভাইদের সাথে দেখা করতে যেতাম তখন এই গির্জাটি দেখা যেত। কারণ এই গির্জা টি সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার পাশে অবস্থিত । গির্জাটি বেশ পুরাতন একটি ঐতিহ্য আমাদের দেশের এবং এই ঐতিহ্যটি সৈয়দপুর শহরে অবস্থিত এটি ভাবতে ভালো লাগে। তবে রাস্তা থেকে এটিই দেখা হয়েছে এর কাছে কখনো যাওয়া হয়নি আশা করি পরবর্তীতে কোনদিন সৈয়দপুরে গেলে অবশ্যই এর ভেতরে গিয়ে ঘুরে আসব। আমার মনে হয় এর ভিতরে পরিবেশ অনেক মনোমুগ্ধকর কর এবং মনোরম। আসলাম ভাইকে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি গির্জা নিয়ে বিশেষ কিছু তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এবং এটি দেখার সুযোগ সবাইকে করে দিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের গির্জা নিয়ে সুন্দর একটি উপস্থাপনা। আপনি সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম এটি বৃটিশ আমলের একটি গির্জা। আমি সৈয়দপুরে অনেকবার গিয়েছি তবে এটা কখনো চোখে পড়েনি।

অনেক ধন্যবাদ ভাই

প্রথমত আপনি সৈয়দপুর সম্পর্কে খুব সুন্দর তথ্য দিয়েছেন আমাদের মাঝে। আপনি ঠিক বলেছেন সৈয়দপুর হলো এখন শিক্ষার এক অন্যতম উৎস। সৈয়দপুর শহরে যেহেতু খ্রিস্টান মানুষদের অনেক আনাগোনা ছিল তাই তারা এই গির্জাটি তৈরি করেছেন।খ্রিস্টানদের উপসনালয় হল এই গির্জা।যেখানে তারা প্রে করে। সৈয়দপুরের থাকার জন্য হোটেলে যাবো না ভাই আপনার বাসায় যাব। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে।শুভকামনা রইল আপনাকে প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণ করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাই

অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। সুন্দর লিখেছেন।