গ্রাম বাংলার ভাঁজা পোড়ার রকমারি খাবার

in hive-131369 •  2 years ago 

আসসালামু আলাইকুম?

আজ রবিবার ৫ এ মার্চ ২০২৩

প্রিয় ষ্টীমবাসী সবাই কেমন আছেন? আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের গ্রাম বাংলার রাস্তার পাশে এবং ছোট বাজার এর পাশের ভাঁজা পোড়া খাবার নিয়ে লিখবো আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।


Picsart_23-03-04_14-40-44-174.jpg


কভার ফটো
ভাঁজা পোড়া খাবার

আজকে আমি বাসা থেকে বের হয়ে দেখতে পেলাম অসাধারণ একটা ভাঁজা পোড়ার দোকান, দোকানটা ভ্রাম্যমাণ হলেও ভাঁজা পোড়া খাবার গুলো অসাধারণ সুস্বাদু। এসব ভাঁজা পোড়া খাবারের প্রতি আমার একটু লোভ বেশিই বলা চলে। দোকানের খাবার সুস্বাদু হাওয়ার কারণে একটু এ দোকানে ভীড় বেশি থাকে।


IMG_20230203_170014_877.jpg


ভাঁজা পোড়া খাবারের প্রতি অন্য রকম আর্কষণ। তার মধ্যে হলো আলুর চপ, বেগুনী, তৈলএর পিঠা পিঁয়াজু ধনিয়ার ভরা অন্যতম। যার কারণে এসব দোকানদার দুপুর থেকে রাত পযন্ত বেচাকেনা করে থাকে। প্রায় গ্রাম অঞ্চলের হাট বাজার বা প্রতিটি মোড়ে এসব দোকান পাওয়া যায় এসব দোকান পাওয়া প্রতিটি খাবার নিয়ে মানুষের তেমন অভিযোগ নেই।এব খেতেও অনেক মজাদার। তৈলপ্রিয় মানুষের জন্য এটি একটি প্রিয় খাবার।


IMG_20230203_165942_415.jpg

IMG_20230203_165950_602.jpg


ময়দার সাথে বেসন মিশিয়ে সেখানে হলুদ গুড়ো লবণ মরিচ গুড়া জিরা গুড়া এবং অনন্য মসলা মিশিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে সেই মাখানো ময়দার সাথে বেগুন এর ফালি দিয়ে সেটা খরচ তৈল এ ছেড়ে দেওয়া হয়। মিনিট কয়েক পরে হয়ে যায় সুস্বাদু বেগন এর চপ, আলু চপ তৈরি করতে প্রথমে আলু সিন্ধ করে সেটাকে মরিচ লবণ দিয়ে মাখিয়ে ময়দা মাখার সাথে মিশিয়ে তৈরী করা হয় সুস্বাদু আলুর চপ। একই প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয় ধনে পাতার চপ। সেটা খেতে বেশি সুস্বাদু।


IMG_20230203_165916_503.jpg

IMG_20230203_165927_543.jpg


এ ধনিয়াপাতার চপ বেশি জনপ্রিয়, এ চপ টা বেশি চলে। ধনিয়াপাতা চপ এর দাম নেয় ৫ টাকা করে। ধনিয়ার পাতার চপ মচমচে হয়। খেতেও বেশ ভালো লাগে। এই চপ তৈরি হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যায়।


IMG_20230203_170012_333.jpg

IMG_20230203_165910_050.jpg


মাটির চুলায় লাকড়ি ব্যবহার করে এসব ভাঁজা পোড়া খাবার তৈরি করা হয়। যার কারণে একটু স্বাদ বেশিই হয়। এসব দোকানদার এগুলো বিক্রি করেই চলে তাদের সংসার। এসব দোকানি খুবই আন্তরিক হয়ে থাকে। তাদের ব্যবহার এর উপর ভিত্তি করেই চলে তাদের বেচাকেনা। তাদের জীবন সংগ্রাম অনেক কষ্টের হয়ে থাকে। পরিবারের সকল সদস্যদের ভরনপোষণ করে একমাত্র দোকানি। তাই দূর্ব্য মূল্যের উর্ধগতিতে তাদের জীবন সংগ্রাম একটু কঠিন হয়ে পরেছে।


IMG_20230203_165925_548.jpg


যদি পারেন এসব দোকান থেকে কিছু কেনার চেষ্টা করবেন। তাতে তাদের সংসার একটু ভালো চলবে। আমি মাঝে মাঝেই কিনি এসব দোকান থেকে । আমার কাছে বেশ ভালোই লাগে খেতে। আমার এই লেখাগুলো কেমন লাগলো কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
লোকেশন :সৈয়দপুর
ডিভাইস : TECNO CAMON 16 PRO
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাজা পোড়া খাবার গুলো বেশ চমৎকার লাগছে দেখতে।এসব খাবার সবাই পছন্দ করেন। আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাই।

ধন্যবাদ দাদা

মিয়া এতো খাও ক্যা। হামার তো খিলাও এক দিন। ভাজা পোড়া নিয়ে দারুণ লিখেছো। আমার তো লোভ লেগে গেলো তোমার ছবি দেখে। ধন্যবাদ

খাই বলেই স্বাস্থ্য ঠিক আছে, তোমার মতো রোগা না হাহাহা

এসব ভাজাপোড়ার খাবার দেখলেই জিভে জল চলে আসে।ভাজাপোড়া খেতে আমাকে খুব ভালো লাগে বিশেষ করে রাস্তার ধারে এসব ভাজা পড়া দোকানগুলোতে অনেক ভাজাপোড়া খাই। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাই

ভাজা পোড়া নিয়ে অসাধারণ লেখছেন ভাই, ভাজা পোড়া জিনিস খেতে সবার ভালো লাগে, আমিও ভাজা পোড়া জিনিস খেতে খুব ভালো বাসি, কবে ভাজা পোড়া জিনিস গুলোর মধ্যে আমার সব থেকে বেগুনী আর ধুনিয়ার চপ খেতে ভালো লাগে, এগুলো ছবি দেখে আমার অনেক খেতে ইচ্ছে করতেছে ভাই, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।

অনেক ধন্যবাদ ভাই

রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এসব ভাজাপোড়া খাবার খেতে ভালোই লাগে৷ বিশেষ করে শীতজকালে মজাটা বেশি হয়৷ ঠান্ডার মধ্যে গরম গরম এসব খাবার খেয়ে ভালো তৃপ্তি পাওয়া যায়।

অনেক ধন্যবাদ

বিকেলে বেলা গ্রামের মোড়ে মোড়ে এসব ভাজা পোড়ার দোকান বসে। এসব ভাজা পোড়া খেতে মোড়ের দোকান গুলোতে ছোট বড় সবাই ভিড় জমায়।ভাজা পোড়া নিয়ে আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন ভাইয়া।

ধন্যবাদ আপু

গ্রাম অঞ্চলে সবথেকে বেশি মুখ রুচোক খাবার হিসাবে ভাজাপোড়া চলে। বিশেষ করে গ্রামের মোড়ে মোড়ে বেগুনি আলুর চপ ও পাপড় ভাজার দোকান গুলো থাকে। আমার ভাজাপোড়া বেশ প্রিয় ভাইয়া। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন।

ধন্যবাদ ভাই

ভাজাপোড়া আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। তবে আমার সবচেয়ে ভাল লাগে বেগুন চপ আর বড়া। গ্রাম বাংলার বেশ মজাদর খাবার হলো ভাজাপোড়া । ভাজাপোড়া নিয়ে বেশ সুন্দর একটি পোস্ট সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।

ধন্যবাদ ভাই

আলুর চপ, ডিম চপ, বেগুনী, ধনিয়ার ভাজা আমার খুব পছন্দের আমার চোখের সামনে এই ধরনের দোকান পড়লে আমি মোটামুটি সব ধরনের ভাজা খাই। কারণ আমার এক ধরনের ভাজ খেয়ে মন ভরে না ভরেনা তাই। আমি দেখি যে কয়টি আইটেম থাকে সবগুলো খাই। আমি আমার অনেক সময় বাসাতে ওই ধরনের ভাজা খেয়ে থাকি। ভাজা পোড়া খাবারের প্রতি আমার অন্য রকম আর্কষণ। আসলে এই খাবারগুলো মুখরচোখ খাবার তাই বারবার খেতে মন চায়। আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপনার উপস্থাপনা অনেক সুন্দর ছিল।

অনেক ধন্যবাদ ভাই

ভাজা পোড়া খাবারের মধ্যে পিয়াজু, পাপড় খেতে ভালো লাগে। আমাদের গ্রামে এই ভাজা পোড়া খাবারের প্রচলন খুব বেশি। সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।

অনেক ধন্যবাদ ভাই

যদি পারেন এসব দোকান থেকে কিছু কেনার চেষ্টা করবেন। তাতে তাদের সংসার একটু ভালো চলবে

ভাই আপনার এই কথাটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। আসলে আমাদের সকলেরই উচিত এ সমস্ত দোকান থেকে প্রয়োজন না থাকলেও কিছু ক্রয় করা। ভাজাপোড়া দেখলে ভাই এমনিতেই খেতে ইচ্ছে করে। অনেক ভালো লিখেছেন ভাই শুভকামনা রইল।

অনেক ধন্যবাদ ভাই

CategoryYes ✅ / No ❌
Club StatusClub5050 ✅
plagiarism-free
#steemexclusive
Verified user
Bot-free
300 Words

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.


Regards
shamimhossain (Moderator)

ভাজাপোড়া আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। আমি প্রায়ই ভাজাপোড়া খেয়ে থাকি। সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন ভাই। অসাধারণ হয়েছে পোস্টি।ধন্যবাদ ভাই।

ধন্যবাদ ভাই