প্রতিযোগিতার চতুর্থ সপ্তাহ || ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা || দিনাজপুর বড় ময়দান এর ঐতিহাসিক ঈদগাহ মিনার

প্রিয় বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আমি আজকে একটি বিশেষ ঐতিহ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

---

---

বড় ময়দান ঈদগাহ মাঠ

---

---

বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা। দিনাজপুর দিনাজপুর জেলা বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানের জন্য বিখ্যাত। দিনাজপুরে অবস্থিত।কান্তজিউ মন্দির, রামসাগর দিঘী, রাজবাড়ী, বড় মাঠের ঐতিহাসিক ময়দান, ইত্যাদি।

---

---

এগুলোর মধ্যে বিখ্যাত এবং ঐতিহাসিক হচ্ছে বড় মাঠ। বড় মাঠে অবস্থিত ঈদগা মিনার বিশাল আকারের। দিনাজপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বড় মাঠে এই মিনারটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি নির্মাণ করার বেশি দিন হয়নি তবে, এটি ঐতিহাসিক একটি ঈদগাহ ময়দান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দিনাজপুর শহর থেকে পশ্চিম দিকে এই বড় মাঠের অবস্থান। বড় মাঠের আশেপাশের বিভিন্ন সরকারি কার্যালয় এবং বাসভবন দিয়ে ঘেরা। এখানে অবস্থিত ডিসি অফিস এসপি অফিস বিজিবি অফিস এছাড়া অন্যান্য সরকারি কার্যালয়।

বিগত কয়েক বছর আগে বড় মাঠে যে মিনারটি ছিল সেটি ভেঙ্গে আবার নতুন করে অনেক বড় আকার এবং নান্দনিক হিসেবে তৈরি করা হয়। এটি মূলত দিনাজপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য জনাব মোঃ ইকবাল রহিম মাননীয় হুইপ জাতীয় সংসদ বাংলাদেশ তিনি তার উদ্যোগে এই মিনারটি অতি সুন্দরভাবে নির্মাণ করেছেন। এই ঐতিহ্যবাহী মিনার এবং এই মাঠে একত্রে এক লাখের বেশি মুসল্লী ঈদের নামাজ আদায় করেন। যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম একটি ঈদগাহ মাঠ। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সময় এই মাঠে দিনাজপুর জেলা সকল সরকারি কর্মকর্তা রাজনৈতিক বর্গ সবাই একসাথে ঈদের নামাজ আদায় করেন। ঈদের দিন এখানে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ এর তৈরি হয়।

এছাড়াও এ মাঠের আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া সংগঠন এর কার্যালয়ে রয়েছে। এখানে জেলা বিকেএসপি ছাড়া অন্যান্য ক্রিকেট ফুটবল একাডেমী রয়েছে। মিনারটির পাশেই ক্লেমন ক্রিকেট ক্লাব অবস্থিত। এছাড়াও মাঠের আশেপাশে অনেক গুলো ফুচকা চটপটি এবং ঝালমুড়ির দোকান রয়েছে। দিনাজপুর শহরের ছেলেমেয়েরা এবং ম্যাচে অবস্থানরত ছেলেমেয়েরা বড় মাঠে বিকেল বেলা ঘুরতে আসে এবং তারা এখানে আড্ডা দিয়ে থাকে এবং ঝাল মুড়ি ফুচকা খেয়ে থাকে। আমি ব্যক্তিগতভাবে দিনাজপুরে থাকা অবস্থায় বড় মাঠে প্রায় আসতাম ঘুরতে বড় মাঠে আসলে মন জুড়ে যায় এর প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে। আমি আমার বন্ধুদের সাথে এখানে আসতাম এখানে এসে আড্ডা দিতাম ফুচকা খেতাম এবং আশেপাশের বিভিন্ন দোকানগুলো ঘুরে দেখতাম। এখানে আসলে বেশ ভালই লাগে। এছাড়াও বছরে একবার করে এখানে বানিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয় এখানে বাণিজ্য মেলা বেশ জাকজমকপূর্ণ হয় এবং অনেক ধরনের দোকান এই মেলায় বসে এবং অনেক ধরনের পুরাতন জিনিস এবং অসাধারণ জিনিস পাওয়া যায়।

বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের আলোচনার বিষয়। আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।