গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গোলাঘর বিলুপ্তি

in hive-131369 •  last year  (edited)

স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটি সকল সদস্য আমার সালাম।সকলেই কেমন আছেন। আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। ঐতিহ্যবাহী গোলাঘর নিয়ে আজকের পোস্ট। প্রাচীনকাল থেকেই চলে গোলাঘর তবে বর্তমান সময়ে গোলাঘর বিলুপ্ত প্রায়।

IMG_20230303_172105.jpg

কালের বিবর্তনে প্রায়ই বিলুপ্তির পথে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য কৃষকদের ধান রাখার সেই ‘গোলাঘর’। গোলাঘর প্রতিটি বাড়িতেই ছিল কম বেশি।আগেকার সময়ে গৃহস্থালি বাড়িতে গোলাঘর না থাকলে কেমন হতো।কৃষেকেরা তারা তাদের উৎপাদিত ধান গোলাঘরে মজুদ করে রাখত। বসত বাড়ির আঙ্গিনায় মাটি বা টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি করা হতো গেলাঘর।গোলাঘর গুলো বসানো হতো মেঝের উচু জায়গায়। যাতে বর্ষার পানিতে গোলাঘর ধান ঠিক থাকে। গোলাঘরে প্রবেশ করার মতো বানানো হতো দরজা। দরজার বাহির থেকে তালা মেরে রাখা হতো।

IMG_20230303_172131.jpg

গোলাঘরে উচু জায়গায় করতে হয় তা নাহলে গোলাঘরে বৃষ্টির পানি ঢুকবে।এজন্য গোলাঘর গুলো সাধারণত মাচার মতো উঁচু করা হয়।গোলাঘরে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ মন ধান অনায়াসে ভর্তি করে রাখা হয়। গোলাঘর ঐতিহ্য বহন করে। গোলাঘর গ্রামাঞ্চলে নেই বললেই চলে।

IMG_20230303_172051.jpg

গোলাঘর গুলো দেখতে বেশ পিরামিডের মতো।গোলাঘর প্রায় সব গৃহস্থালি ধান রাখা হতো পরম যন্তসহকারে। গোলাঘরে প্রায় দুই ভাগে বিভক্ত করা হতো। গোলাঘর এক ভাবে ছোট কুটরি থাকতো। গোলাঘর গুলো চালের ছাউনি দিয়ে তৈরি বা টিনের ছাউনি দেয়া থাকতো।গোলাঘর গুলো বেশ চমৎকার। নব্বই দশকে দেখা যেত গ্রামবাংলার ঐতিহ্য বহন করত গোলাঘর। গোলাঘর গুলোতে ধান মজুদ করে রাখার অন্যতম কারন বা মাধ্যম ছিল গোলাঘর।গোলাঘরে ধান মজুদ করে রাখা হতো প্রধানত।

পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গোলাঘর নিয়ে অসাধারণ একটা পোস্ট করেছেন ভাই, আগের দিনের মানুষের ধান বা গম রাখার এক মাত্র মাধ্যম ছিল এই গোলাঘর,তবে এখন এই গোলাঘর দেখা যায় না, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।

Loading...

গোলাঘর গ্রামের ঐতিহ্য। ধান মাড়াই করার পর ধান রৌদ্রে শুকানোর পর এই গোলাঘর এ সংরক্ষণ করা হয়। যা এখন বিলুপ্ত প্রায়। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন। অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ।

গোলাঘর নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। এই গোলাঘর আমাদের গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্য। প্রাচীনকালের মানুষ ধান সংরক্ষণ করার জন্য গোলাঘর ব্যবহার করতো।সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।

গ্রামঞ্চলে আগেকার সময়ে দেখা যেত গোলাঘর তবে বর্তমান সময়ে গোলাঘর আর তেমন চোখে পড়ে না। গোলাঘরে আগেকার সময়ে ধান মজুদ করে রাখত। আর এখন আর ধান মজুদ করে রাখে না বিক্রি করে।

গ্রাম বাংলা ঐতিহ্যের মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্য হচ্ছে গোলাঘর।আগে ধান রোদে শুকিয়ে গোলাঘরে সংরক্ষণ করা হত।গোলাঘরে অনেক দিন পর্যন্ত ধাম ভালো থাকতো।আর এখন ধান মাড়াই করার সাথে সাথে বিক্রি করে দেয়।আপনি গোলাঘর নিয়ে খুব আলোচনা করছেন ভাই। ধন্যবাদ

অন্তত ৩০০ ওয়ার্ড এবং ৬-৭ টি ছবি ব্যবহার করে পোস্ট করুন৷ সপ্তাহে অন্তত তিনটি পোস্ট বাধ্যতামূলক করতেই হবে৷ এবং পাশাপাশি কমেন্ট করতে হবে৷ ধন্যবাদ

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী এই গোলাঘর আমি আগে কখনো দেখিনি। আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি ঐতিহ্যবাহী গোলাঘর সম্পর্কে জানতে পারলাম। মাটির তৈরি এই ধরনের গোলা গরু গুলো দেখতে অনেক সুন্দর ছিল তা আপনার ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

প্রাচীনকাল থেকে গ্রাম বাংলায় ধান সংরক্ষণ করার জন্য এই গোলাঘর ব্যবহার হয়ে আসছে। এই গোলাঘরে ধানের মান অনেক ভালো থাকে৷ ধানের অক্ষুরোদগম ক্ষমতা অনেক ভালো থাকে। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন গোলাঘর নিয়ে।

আগে ধান পরিস্কার করার পর শুকিয়ে গোলা ঘরে রাখা হত।এখন আর তেমন দেখা যায় না। আমাদের আগে এমন একটি গোলা ঘর ছিল।অনেক ধান রাখা যায় এই গোলা ঘর এ। ধন্যবাদ।

Feedback / Observation

বর্তমান সময়ে গোলা ঘর দেখা যায় না বললেই চলে। আগের দিনে মানুষের প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে ধানের গোলাঘর থাকত। যারা এলাকার ভিতরে অবস্থাশালী মানুষ ছিলো সবার বাসায় এই ধরনের গোলা ঘর থাকত। দারুণ লিখেছেন ধন্যবাদ ❤️❤️❤️

IMG-20230413-WA0003.jpg

গোলাঘর হল গ্রামের ঐতিহ্য। আগে ধান গম মাড়াই করার পর গোলাঘরে রাখা হত।আমাদের বাড়িতেও আগে গোলাঘর ছিল।কিন্তু এখন আর নেই। এখন তেমন আর চোখে পড়ে না এই গোলাঘর।আপনার পোস্টটি পড়ে ভাল লাগল। ধন্যবাদ।

গোলাঘর হল গ্রামের ঐতিহ্য। আগে ধান গম মারাই এর পর গোলা ঘরে রাখা হতো। আমাদের বাড়িতেও আগে গোলাঘর ছিল। কিন্তু এখন আর নেই। এখন গোলাঘর তেমন আর চোখে পড়ে না। আপনার পোস্ট পড়ে ভাল লাগল। ধন্যবাদ।