আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আমি আজকে আপনাদের সাথে হাবড়া ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ি নিয়ে কিছু তত্ব শেয়ার করব।
|
---|
দিনাজপুর জেলার পার্বতীরপুর উপজেলায় একটি বিশেষ ভ্রমন স্থান হলো হাবড়া জমিদার বাড়ি। পার্বতীপুর থেকে ৭ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত এই জমিদার বাড়ি। জমিদার প্রথা চলাকালীন সময়ে হাবড়ায় একটি জমিদার বাড়ি ছিল। এই জমিদাররা ছিল সনাতন ধর্মাবলম্বী। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে জমিদাররা বাংলাদেশ ত্যাগ করে। জমিদাররা এই দেশ ত্যাগ করলেও হাবড়া অঞ্চলে তাদের কিছু স্মৃতি রেখে গেছেন এবং তাদের অনেক সম্পদ এখানে রয়েছে।
লোকমুখে শুনতে পাওয়া যায় বর্তমানে হাবড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এইখানে একটি গেট ছিলো জমিদারদের বানানো যেখানে দর্জার ডিজানই ছিলো একটি সিংহ।
আর সিংহের চোখ দুটি ছিলো হিরার।কিন্তু পরবর্তী সময়ে হীরার এই চোখ দুটি চুরি হয়ে যায়। তাদের বানানো আরো কিছু স্মৃতি রয়েছে যেমন জমিদারের রানীরা গোসল করার জন্য তৈরিকৃত একটি পুকুর প্রায় ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়ে গিয়েছে। জমিদারদের বানানো বিশেষ একটি মন্দির রয়ে গেছে এখনো হাবড়া হাটে। এখানে জেনে রাখা ভালো দুইটি মন্দির আছে এখানে একটিতে কষ্টিপাথর দিয়ে মূর্তি বানানো ছিলো কিন্তু তা এখন আর নেই।
লোকমুখে শুনা যায় দক্ষিন ভারত থেকে এক পূজারি এসে এই মূর্তি চুরি করে নিয়ে যায়। মূলত হাবড়া জমিদার বাড়ি হওয়ায় অনেক সম্পদও ছিলো এইখানে। হিরার বানানো চোখ, কষ্টিপাথর এর মূর্তি আরো অনেক কিছু। হাবড়ায় এই জমিদার অনেক অত্যাচারী ছিলো। আমার গ্রামের ১২০ বছর বয়সি দাদার মুখে শুনা গল্প থেকে জানতে পারি কেউ জমিদার বাড়ির সামনে দিয়ে জুতা পরে জাইতে পারত না। মাতা নিছু করে বগলে জুতা নিয়ে জাইতে হইতো। তাদের বাড়ির রানীরা যারে তারে দিয়ে যা ইচ্চাহ কাজ করাই নিতে পারতো। আরো অনেক ইতিহাস আছে তাদের।
দেশ থেকে বিদায় হওয়ার সময় অনেক কিছু নিয়ে জাইতে পারলেও কিছু জিনিস রেখেই জায় তারা। যা পরবর্তী সময়ে মেশিনের মাধ্যমে খনন করে সরকারিভাবে কিছু মালামাল নিয়ে জাওয়া হয়। জমিদারের লাগানো কিছু গাছ এখনো রয়ে গেছে হাবড়া বাজারে। একটি চার্ট এর লেখা থেকে বুজা যায় গাছ গুলো ১৭০০ সালের দিকের। এইখানে ৩টি ইউক্যালিপটাস গাছ ও একটু বকুল ফুলের গাছ আছে। কিছুদিন আগে ঝড়ের কারনে নষ্ট হয়ে পড়ে যায় বকুল ফুলের গাছটি। কিন্তু রয়ে গেছে সেই পুরাতন দিনের ইউক্যালিপটাস গাছ। সরকারি ভাবে অনুমোদন না পাওয়ায় কাটতে পারেনা এই গাছ গুলো। জমিদারের তৈরি পুকুরটি
বর্তমানে সরকারি ভাবে ডাকে দেওয়া হয়ে থাকে। জমিদারের কিছু বাড়ির অংশ দেখেই বুজা যায় অনেক নিখুত ভাবে বানানো হয়েছিলো অই বাড়ি গুলো। বাড়ির পাশেই মন্দির। মন্দির একটু সামনেই দেখতে পাওয়া যায় দুইটি বাড়ানো কবর। ধারনা করা হয়ে থাকে এই সম্প্রদায়ের মানুষ গুলো ছিলো সনাতন ধর্মের বৈরাগী গুষ্টির লোকজন। জমিদারের কিচজু পতিত বাড়ি, মন্দির অনেক সুন্দর। আপনারা চাইলে ঘুরে দেখতে পারেন।
ডিভাইস | রেডমি নোট ১০প্রো |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mainuna |
লোকেশন | পার্বতীপুর,দিনাজপুর |
ছবি তোলার সময় | সন্ধ্যা ৭ টা |
ঐতিহ্যবাহী হাবড়ার এই জমিদার বাড়িটি অনেক পুরনো।এখানে অনেক ধ্বংসস্তূপ রয়েছে।জমিদার বাড়ির অনেক পুরনো স্মৃতি রয়েছে পুরো জমিদার বাড়ির এলাকাটা জুড়ে।পুরনো স্থাপনা গুলো তো রয়েছেই।জমিদার বাড়িটি সম্পর্কে খুব সুন্দর লিখেছেন আপনি। খুব সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফিগুলো করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঐতিহ্যবাহী এইসব জমিদার বাড়ি কিংবা ঐতিহাসিক স্থান সবকিছুই এখন বিলুপ্তির পথে। যার মধ্যে কিছু কিছু স্থান আছে যেসব সরকার এর উদ্যেগে পু-নির্মাণ করা হয়েছে । কিন্তু ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলি দেখে আমাদের অনেক শিক্ষ্যনীয় বিষয় আছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জমিদার বাড়িটি অনেক পুরনো। হাবড়া হাটের এই জমিদার বাড়িটি আমি কয়েক মাস আগে গেছিলাম। আর এই জমিদার বাড়ি চারপাশ ঘুরে দেখছি। জমিদার বাড়ির সাথে এই মন্দির। অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হাবড়া জমিদার বাড়ির নাম আমি আগে শুনেছি কিন্তু কখনো দেখতে যায়নি। আপনার চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এই জমিদার বাড়িটি আমার মোটামুটি দেখা হয়ে গেল। আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে জমিদার বাড়ির পুকুরটি। শানে বাঁধানো পুকুর মোটামুটি সবাই ভালবাসে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শুকরিয়া প্রিয় আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথমে বলতেছি জমিদার বাড়ি দেখেই মনে হচ্ছে জমিদার বাড়িটি অনেক পুরনো। আপনার দেখানো জমিদার বাড়ি যুগ যুগ ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ।তবে এখনো দেখতে অনেক গর্জিয়াছ। জমিদার বাড়ি আমাদের দেশের ঐতিহ্য। এগুলো ঐতিহাসিক স্থাপনা। আপনার কভার ফটোটি যথেষ্ট সুন্দর হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই হাবড়া জমিদার বাড়ি নিয়ে এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শুকরিয়া বড় ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম হাবড়ায় জমিদার বাড়ি আছে। এই জমিদার বাড়িটা অনেক পুরনো। জমিদার সম্পর্কে অনেক কথা তুলে ধরেছেন। জমিদার খুব অত্যাচারী ছিল।পুরনো কিছু গাছের কথা বলছেন। আপনি খুব সুন্দর ভালো জমিদার বাড়ি কথা আমাদের মাঝে উপাস্তপনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জমিদারের বাড়ি গুলো অনেক পুরনো আর ঐতিহ্য বহন করে। হাবড়া বাজারে জমিদার বাড়ি আগে কখনো ছিল আমি জানতাম না আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। জমিদার বাড়ি গুলো সত্যি অনেক সুন্দর হয়। আর হাবড়া বাজারে এই জমিদার বাড়িটি সাথেই রয়েছে একটি মন্দির। অনেক সুন্দর করে পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পার্বতীপুর এত বছর কাটিয়েছি হাবরা গেছি অনেকবার কিন্তু সেখানে পুরাতন একটি জমিদার বাড়ি রয়েছে জানতাম না। আপনার পোস্টটি দেখে সত্যি আফসোস হচ্ছে। পার্বতীপুর যদি কখনো আবার যাওয়া হয় অবশ্যই ঘুরতে যাব। ভালো লিখেছেন শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit