স্টিম ফর ট্রেডিশন |
---|
স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকলেই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আমাদের শৈশবের কিছু খেলা-ধুলা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
আমরা যারা এই পোস্টটি পড়ছি তার অবশ্যই বুঝতে পারছেন আজ শৈশব নিয়ে আমি কথা বলবো। আমাদের শৈশব সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে হারিজ হলাম আপনাদের সামনে। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
শৈশবের কথা মনে পড়লে কত স্মৃতি ভাসে চোখের সামনে তা ছাড়াও পরম সুখ অনুভব করি। কারণ হলো জীবনের সব থেকে ভালো একটি রঙিন অধ্যায় শৈশব। আমাদের জীবনের সবচেয়ে মধুর সময় নিঃসন্দেহে তা হল আমাদের শৈশবে ফেলে আসা দিনগুলি ফেলে আসা দিন গুলি। শৈশবকে ফিরে পেতে আমাদের সবাইরে খুব ইচ্ছে করে কিন্তু তা আর কি সম্ভব? কিছুতেই সম্ভব নয় আবারো শৈশবে ফিরে যাওয়া। তবে একটা বিষয় খেয়াল করে দেখেছি আমি ছোট থাকলে বড় হওয়ার খুব ইচ্ছে জাগে কিন্তু বড় হলেই আবার শৈশবে ফিরে যেতে মন চায়। কেন এমন হয়? কারণ আমরা শৈশবে স্বাধীনতা পাই তা বড় হলে পাই না। তার মধ্যে সমাজ আমাদের বিভিন্ন ভাবে নিয়ম কানুনের জীবন পরিচালনার শিক্ষা প্রদান করে। আমাদের জীবনে সামাজিক শিক্ষা বড় ধরনের ভুমিকা পালন করে থাকে।
শৈশবে সব ঘটনা মনে থাকে না আমাদের তবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে কিছু স্মৃতি ক্যামেরা বন্দি করে রাখা যায়। আমি অনেকের কাছ থেকে শুনেছি ছোট বেলায় আয়নার সামনে বাচ্ছাদের রাখলে তারা নিজেই নিজেকে KISS করতে থাকে। এটি মজার একটি দৃশ্য এবং শৈশবকে ফিরে দেখার বাস্তব উদাহারণ। আমার ছেলের এই স্মৃতি আগলে রেখেছি। সে বড় হলে তাকে উপহার হিসেবে তার শৈশবের কিছু স্মৃতি দিব।
ছোট বেলায় আমরা কিছু খেলেই আমাদের শরীরের অবস্থার একে বাইরে শেষ হয়ে যায় অর্থাৎ ভিজে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়। আমার ছেলের হাতে আম দিয়ে আমি নিজেই পরীক্ষা করেছি সে কি করে যেই কথা সেই কাজ। আমি তার হাতে আম দেওয়ার সাথে সাথে সে খাওয়া শুরু করলো এবং তার গাঁ প্রায় বেশীর ভাগ অংশ নষ্ট করে ফললো। এখন শুধু ফিরে পেতে চাই ছেলেবেলার সেই সারল্য দিম গুলোকে।
আপনাদের বর্তমান সময় কেমন কাটছে আমি জানি না তবে আমার কাছে ছেলেবেলার প্রতি দিনের একই সিডিউল ছিল। অনেক বেশি আনন্দময় দিন ছিল। তখন আমি আমার দাদা-দাদীর মাঝখানে ঘুমাতাম। খুব সকালে প্রাইভেট থাকত তাই দাদী আমাকে খুব সকালে ঘুম থেকে তুলে দিত। প্রাইভেট শেষ হলে খাওয়া করে বই পত্র নিয়ে আমি স্কুলে চলে যেতাম। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরতে ফিরতে প্রায় সময়ই দুপুর হয়ে যেত।
স্কুল থেকে ফিরে খাওয়া করে একটু পরেই চলে যেতাম বন্ধুদের নিয়ে খেলার মাঠে। গোটা বিকাল খেলার মাঠে চলতো একের পর এক খেলা কয়েক রকমের খেলা খেলতাম আমরা। কোন কোন দিন অনেক সন্ধ্যা হয়ে যেত মা নাহলে দাদী ডাকাডাকি শুরু করে দিত তাড়াতাড়ি বাড়ি আয়। খেলার মাঠ থেকে বাড়ি ফিরে সন্ধার পরেই বসে পড়তাম বই নিয়ে কারণ কালকের পড়া স্কুলের। আলিফ লায়লা বাদ যেত না এক পর্ব দেখতেই হবে।
আপনাদের কাছে জানতে চাই |
---|
আজকাল দেখি শিশুদের খেলাধুলার প্রতি খুব একটা আগ্রহ নেই। তবে আমাদের সময় শৈশবে স্কুল থেকে বাড়ী ফিরে বিকালে, ছুটির দিনে সকালে বিকালে খেলার মাঠে দল বেঁধে যেতাম। মাঠে বা গ্রামে যেখানে খেলা করি যেখানে কত রকম খেলা ছিল আমাদের। বৃষ্টির সমর বা বৃষ্টি শেষে মাঠভরা কাদার মধ্যে ফুটবল খেলার আনন্দ কোনদিন ভুলবার নয়। নিজেদের খেলার মত করে আমরা সবাই মিলে নিজেদের নিয়ম বানিয়ে নিতাম। অন্য এলাকার প্রচলিত চিরাচরিত নিয়ম তখন আমাদের খেলায় খাটে না। এই নিয়মে প্রতিদিন আমরা সকালে এবং বিকালে মাঠের মধ্যে পরম আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টি হয় তা আমাদের শৈশবের একান্তই আমাদের।
আমাদের বিকেল বলতেই ছিল সোনালী বিকেল। ছেলে-মেয়ে উভয়ই কত খুনসুটি। বিশেষ করে উৎসবের দিন গুলি আমাদের সবচেয়ে আনন্দের দিন ছিল। উৎসব উপলক্ষে গায়ে উঠত নতুন নতুন পোশাক। উৎসব আমাদের সব ছিল অনেক আনন্দমুখর। উৎসবে গিয়ে খেলনার জিনিসপত্র না কিনলে উৎসব মজার হতোই না। গ্রামের উৎসব কাটানোর যে আনন্দ, তা কখনো ভোলার নয়। এছাড়া মজার স্মৃতি ভেসে ওঠে ছেলেবেলার নববর্ষের দিনগুলির কথা। আমার মনে আছে নববর্ষের সময় আমাদের নতুন জামা কাপড় কিনে দিত না। তবে দাদা আর বাবার সাথে বাকি থাকলে দোকানে হালখাতা খেতে যেতাম। ছোট বেলার সেই আনন্দের দিনগুলি আজ যেন কোথায় হারিয়ে গেছে কে কেউ বলতে না।
ছেলেবেলায় মায়ের হাতের আদরের মাইর খায়নি এমন ছেলে মেয়ে আমার মনেহয় খুজে পাওয়া যাবে না। শৈশবের দিনগুলিতে আমার সবথেকে অপছন্দের বিষয় হলো সব কিছুতেই মা-বাবার শাসন। বিভিন্ন প্রকার বাধা নিষেধ করে থাকতো আর বাধা না মানলেই ঘটে যেত বিপত্তি। আমি যে কতদিন বাড়ি থেকে দৌড়ে পালিয়েছি তার হিসেব নেই। তবে বড় হয়ে দেখছি প্রকৃতপক্ষে এই সকল শাসনটি ছিল সন্তানের প্রতি মা-বাবার অবাধ ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ।নআপনারা অবশ্যই জানাবেন মায়ের থেকে দৌড়ানি খেয়েছেন কি না? তবে আপনাদের কাছে ছোট বেলা কেমন লাগে আমি জানি না। তবে আমি ছোট বেলাকে খুবই মিস করি।
আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। সকলের সুসাস্থ কামনা করে আমি আমাদের শৈশব নিয়ে লেখা গল্পটি এখানেই শেষ করছি। সকলেই ভাল থাকবেন এবং পরবর্তী পোস্টে আবার দেখা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। ইনশাআল্লাহ
শৈশব নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।আপনার পোস্টি দেখে ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন ভাই। অসাধারণ হয়েছে আপনার পোস্টি। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আমাকে অনুপ্রেরণা যোগানোর জন্য আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শৈশবের সৃতিচারণ মনে পড়ে গেলো। আপনি অনেক সুন্দর করে ছবি তুলেছেন ভাই। আপনার পোস্ট আপনার অনেক ভালো লাগছে ভাই। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন শৈশব কে। লেখা গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আপনার মন্তব্য আমাকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শৈশবের স্মৃতি গুলো সব সময় প্রতিটি মানুষের জীবনে গেঁথে থাকবে আজীবন। শৈশব মানেই স্মৃতি পাতায় অবিস্মরণীয় হয়ে থাকা। শৈশব হলো আমাদের জীবনের একটা সোনালী সময়।শৈশবকাল পার হয় হাসি কান্না, আনন্দ আর দুষ্টুমি দিয়ে। শৈশবের কথা বললে প্রথমেই যে বিষয়টি মনে করিয়ে দেয় তা হলো আম্মুর হাতে গোসল, ভাত খাইয়ে নেওয়া, বকুনি আর বাইরে খেলতে যাওয়া। দুষ্টুমিষ্টি আনন্দে ভরা আমাদের শৈশব।আপনার পোস্ট দেখে আমার ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। শৈশবের স্মৃতির আপনি অনেক সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।শুভকামনা রইল 😊
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার সুন্দর মন্তব্য আমাকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। অনেক ভালো মন্তব্য করেছেন। আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দুরন্ত শৈশব মানেই বাবা মায়ের শাসন, স্কুল শেষ এ খেলায় চলে যাওয়া সন্ধায় ঘরে ফিরা, মায়ের বকুনি, অনেক কিছু মনে পরে গেলো ভাই, আপনি শৈশব নিয়ে অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন ভাই। অনেক ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মন্তব্য আমাকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। ভালো কাজ করার মনবল বাড়াবে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার পোস্ট পড়ে শৈশবের অনেক কথাই মনে পড়ে গেলো। কি সুন্দর ছিলো শৈশবের আনন্দ ময় জীবন। মনে হয় আমার যদি ফিরে পেতাম এই শৈশব জীবনটা। আমাকেও আমার মা বলতো ওই বাড়ির পড়াশোনা যাচ্ছে তোর পড়া কেন শোনা যায় না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি তো ভাই ছোট বেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন, আমি ছোট বেলায় অনেক মজা করছি সয়তানি করছি, আবার অন্যকে কিস পর্যন্ত করছি ভাই। আপনি অনেক ছোট বেলার কথা আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন ভাই। আর বেশির ভাগ মানুষ সবাই ছোট বেলায় অনেক সয়তানি মজা করছে।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার আব্বু এই কথা বলে ভাই। তবে আপনার পোস্ট কোয়ালিটি সত্যি অবাক করার মতো।নতুন সদস্য হিসেবে যে পোস্ট শেয়ার করেছেন। তা সত্যি বাহবা পাওয়ার যোগ্য। ধন্যবাদ ভাই সময় দিয়ে পোস্টটি করার জন্য। 🌟💝
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@shihab24 ভাই আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ। মনে হচ্ছে আপনি আমার পোস্টটি সম্পূর্ণ পরেছেন। কারন আমি একটি বিষয় কমেন্ট দাতাদের ফিট ব্যাক চেয়েছি। সেটি আপনি দিয়েছেন। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আমার কাছে আপনার পোস্টটা অনেক ভালো লাগল। চমৎকার ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।এভাবে পোস্ট শেয়ার করার চেষ্টা করবেন সবসময়। ধন্যবাদ ভাই। 💝🌟
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাই অবশ্যই চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথমত বলতে চাই আপনার টাইটেলটি দেখে আমাকে খুব ভালো লাগলো।ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো মনে করিয়ে দিলেন আমাদেরকে।ছোটবেলায় বাইরে গিয়ে খেলাধুলা করা সবার সঙ্গে ধুলোবালি মেখে আসা আবার মায়ের কাছে মার খাওয়া।সেই কথাগুলো আসলেই এখন মনে পড়ে গেল।আপনার পোস্টটি দেখে, আপনি ঠিক বলেছেন বিভিন্ন প্রকার বাঁধা নিষেধ থাকত কিন্তু কি করার ছোটবেলায় আমরা প্রায় সবাই একই রকম ছিলাম। আপনার পোস্টটি খুব সুন্দর হয়েছে ভাই খুব সুন্দর ভাবে পোস্টটি উপস্থাপন করেছেন আপনি। ছবিগুলো তো আরো দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit