আসসালামু আলাইকুম
বর্তমানে বিলুপ্তির পথে খবরের কাগজ বা পত্রিকা পড়া
- ৮ ই মার্চ ২০২৩
- রোজ বুধবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আজ আমি আপনাদের সামনে বর্তমানে বিলুপ্তির পথে পত্রিকা পড়া সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করব।আশা করি আপনাদের সবাইকে ভালো লাগবে। |
---|
আমাদের সমাজে দেশ-বিদেশের খবরাখবর জানার জন্য অনেক মাধ্যম রয়েছে।এর মধ্যে অন্যতম কিছু মাধ্যম হলো ইন্টারনেট, খবরের কাগজ,টিভি,চিঠি ইত্যাদি। যেগুলোর মাধ্যমে আমরা খবরা খবর জানতে পারি। এর মধ্যে অন্যতম হলো খবরের কাগজ বা পত্রিকা। বর্তমানে বিভিন্ন রকম খবরের কাগজ বাংলাদেশের প্রচলিত রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো প্রথম আলো, দৈনিক ইত্তেফাক,দৈনিক জাগরণ ইত্যাদি আরো অনেক রয়েছে।এক সময় যখন কারো কাছে টিভি ছিল না বা ইন্টারনেট ছিল না তখন খবর পাওয়ার একমাত্র উপায় ছিল রেডিও ও খবরের কাগজ। এই খবরের কাগজের মাধ্যমে মানুষ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রকম খবর জানতে পারত।
আগের খবরের কাগজে শুধুমাত্র দেশীয় আন্তর্জাতিক খবর গুলো দেওয়া হতো। তবে বর্তমানে দেখা যায় যে এসব খবরের পাশাপাশি আরও বিভিন্ন রকম বিনোদন ,চিকিৎসা ,শিক্ষার খবর কিছু কিছু দেওয়া হয় যা প্রায় দুই দশক আগে থেকে শুরু হয়েছে। খবরের কাগজে যে বিষয়টি আমি সব থেকে বেশি পড়তাম সেটি হল যে বিনোদন ও খেলাধুলার অংশটি। খেলাধুলার অংশটি আমাকে সব থেকে বেশি ভালো লাগতো। কারণ দেশ বিদেশের বিভিন্ন রকম খেলার আপডেট আসতো পত্রিকাগুলোতে।আমি প্রায় সকালে উঠে উঠে বাজারে চলে যেতাম এবং বাজারে একটি পত্রিকা পড়ার জন্য বোর্ড রয়েছে সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পত্রিকা পড়তাম।খুব ভালো লাগতো আমাকে। সেটি আজ থেকে প্রায় ১২ বছর আগের কথা।
আমাকে ব্যক্তিগতভাবে প্রথম আলো পত্রিকাটি খুব ভালো লাগে। প্রথম আলো পত্রিকাটি পড়তে অনেক সহজ ও ভাষাগুলো অনেক সহজলভ্য। প্রথম আলো পত্রিকাতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রকম খবরাখবর ও খেলাধুলা বিনোদনের বিভিন্ন রকম আপডেট আসতো।এই পত্রিকার একটি বিষয় হল বিনোদন যার নিচে রয়েছে শুডুকও ও কিছু কৌতুক। যা আমি সবসময় পড়তাম খুব ভালো লাগতো সেটি।আজ থেকে ৩০-৪০ বছর আগে পত্রিকা গুলোর সম্পাদক সবথেকে বেশি ছিল তবে বর্তমানে সম্পাদক ও পত্রিকার সংখ্যা কমে গেছে। পত্রিকা পড়ার মাধ্যমে একটি মানুষের মেধাবিকাশ ও বাইরের জ্ঞান আহরণের চাহিদা খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে।যা একটি ভালো প্রভাব পড়ে সেই মানুষটির উপর।
আমাদের দেশে যে পত্রিকা গুলো শুধু বাংলাতে ছাপানো হয় তা না।পত্রিকা ইংরেজিতেও রয়েছে।এর মধ্যে অন্যতম হলো দ্য ডেইলি নিউজ।যে পত্রিকাটি যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের মানুষদেরকে ইংরেজিতে পত্রিকায় পড়াতে উৎসাহ করে।তবে বর্তমানে দিন দিন এই পত্রিকার হার কমে যাচ্ছে বাংলাদেশে। এর সঙ্গে সঙ্গে পত্রিকা পড়ার মানুষও কমে যাচ্ছে।
![]() | ![]() |
---|
পত্রিকা বিলুপ্তির প্রধান কারণ হিসেবে বলা চলে ইন্টারনেট ও টিভি।বর্তমানে ইন্টারনেট থাকার কারণে মানুষ মোবাইলেই বিভিন্ন রকম পত্রিকা পড়তেছে।খবরের কাগজ তেমন নেয় না কেউ। আর আরেকটি কারন হলো টিভি চালু করলেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রকম চ্যানেলে বিভিন্ন রকম খবর পাওয়া যায়।যা অনেক দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করা হয়।আরেকটি কারণ হলো যেমন ধরেন আজকের সকালে কিছু একটা দেশে হলো, কিন্তু এই খবরটি কালকে পত্রিকায় আসবে তাই অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু টিভি বা ইন্টারনেটে এটি সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া হয়। যার ফলে মানুষ আপডেট পায় কোন খবরের।
![]() |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
![]() |
---|

আপনি ঠিক বলেছেন ভাই আগের মত আর নিউজ পেপার দেখা যায় না। আগে অনেক মানুষ নিউজ পেপার পড়তো সবারই হাতে হাতে কম বেশি দেখা যেত। প্রযুক্তি উন্নয়নের ফলে নিউজ পেপার আজ মানুষ বেশি পড়ে না। আমাদের সমাজে দেশ-বিদেশের খবরা খবর জানার জন্য অনেক মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে খবরের কাগজ। এখন মানুষ সময়ের সঙ্গে তাল দিয়ে চলে। তাই কখন সকাল হবে কখন নিউজ পেপার হাতে পাবে তার অপেক্ষায় থাকে না। facebook instagram youtube খবর চ্যানেল এগুলোর মাধ্যমে খবর দেখে নেয় অনেকেই। তাই আর নতুন করে খবরের কাগজ তারা কিনতে চায় না। আপনি একটি ভালো বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন। আপনার প্রতিটি পোস্টেই নতুনত্বের ছোঁয়া লেগেই থাকে। আপনার উপস্থাপনা বেশ সুন্দর ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খবর এর কাগজ এখন আর তেমন দেখা যায় না। তবে সেলুন এ গেলে আমি খবরের কাগজ দেখতে পাই। আর কোথাও তেমন দেখা যায় না। আপনি বেশ চমৎকার একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি খুব সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই,আসলে এখন কেউ খবরের কাগজ পরে, আগে মানুষ সব সময় খবরের কাগজ নিয়ে পড়ে থাকতো।কিন্তু এখন আগের মতো দেখা যায় না,এখন বেশির ভাগ মানুষ সবাই মোবাইল বা টিভিতে খবর শুনে। আগে মানুষের বাসায় বাসায় খবরের কাগজ দিয়ে যায়তো।আপনি অনেক সুন্দর লেখছেন ভাই, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আধুনিক যুগে খবরের কাগজ, এখন চোখেই পড়ে না। তবে আমাদের অফিস এ বড় বাবু প্রতিদিন এ খবর এর কাগজ কিনে, তার কাছে খবর এর কাগজ যেনো একটা নেশা, সকালে অফিস এসেই চা এর সাথে খবর এর কাগজ পড়ে তারপর কাজ শুরু করা, এ যুগে তার কাছে এখনো স্কিন টার্স মোবাইল নেই, বাটন ফোন চালায়, আর দেশের খোজ খবর রাখে এই খবর এর কাগজ পড়ে। আপনি পোস্ট দেখে বড় বাবুর কথা মনে পড়ে গেলো, ওনি বাংলাদেশ প্রতিদিন কাগজ পড়ে আগে দাম ছিলো ৫ টাকা এখন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে খবরের কাগজ এর ও দাম বাড়ছে, এখন ৮ টাকা করে, ওনার কথা ২০ টাকা হলেও পড়বে কারণ এটা তার নেশা। বর্তমান মানুষের মেধা বিকাশ কমে যাচ্ছে। মানুষ এখন অলস হয়ে গেছে, আধুনিকতা সব কেড়ে নিয়েছে, মানুষ ডিভাইস এর ভিতর বেশি নির্ভরশীল হয়ে গেছে। আপনি অসাধারণ পোস্ট করছেন ভাই অনেক ভালো লাগলো এবং উপস্থাপন অনেক সুন্দর ছিলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনলাইন ভুত্তিক সবকিছু হওয়ায় আর আমাদের পত্রিকা তেমন পড়া হয় না। আগেকার দিনে কত মানুষ পত্রিকা বিক্রি করে তাদের জীবীকা নির্বাহ করতেন কিন্তু এখন বাজারে পত্রিকা না চলায় সেই সকল মানুষ অন্য কাজে নিয়োজিত হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমান যুগ হচ্ছে ই-পেপারের যুগ। ৫-৬ বছর আগেও আমাদের বাসায় পেপার রাখা হতো কিন্তু বর্তমানে আমাদের বাসায় কোন পেপার রাখা হয় না।। তার অন্যতম কারণ হলো আমরা অনলাইনের মাধ্যমে সব ধরনের খবরা-খবর পেয়ে যাই এখন। বর্তমান সময়ে বাসে বা ট্রেনে পেপার বিক্রেতার সংখ্যাও অনেক কমে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আগের থেকে এখন অনেকটায় খবরের কাগজ কমে গেছে। আগে বাজারের অনেক দোকানেয় পাওয়া যাইতো এই খবরের কাগজ। আর এখন হাতে গনা কয়েকটি দোকানে। তাছাড়া এখন খবর শোনার বড় মাধ্যম টেলিভিশন আর মোবাইল। এই জন্য খবরের কাগজ দিন দিন কমে যাচ্ছে। আপনি সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন ভাই। আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit