প্রতিযোগিতার ১৪তম সপ্তাহ - ১৯৪৬ সালের নির্মিত ফুলপুর কুতুবডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

in hive-131369 •  2 years ago 

স্টিম ফর ট্রেডিশন


আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালই আছেন। আজকে আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করব।আশা করি সবাইকে পোস্টটি ভালো লাগবে।

1.png

ছবিটি তৈরি করা হয়েছে ক্যানভা দিয়ে

প্রতিযোগিতার ১৪তম সপ্তাহ - ফুলপুর কুতুবডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPgGed8pU4cH2rA8Hx16HqG9PMWGnM3gfjBmGCHeMt4UCtucTcrF7jmweXEpitrkM5o7Ka2gDojhT36rGg...Fx9wg6WUb5ejzqWUBqpBKiA2y7re32cBUTqU7ofQL67evTq1REgbByXj7Asx7nJbFjm8HNBCUTP9MYtRkUtcV4Bp9AotapzRgntKKd2PJdU3zrH4oAwouB99Qr.png


প্রথমেই ধন্যবাদ জানাতে চাই @sft-devt.acc এত সুন্দর একটি কনটেস্টের আয়োজন করার জন্য। আমি যে বিদ্যালয়টি নিয়ে কথা বলব সেটি হল ব্রিটিশ আমলের একটি বিদ্যালয়। ১৯৪৬ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ম।এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রথমে আমাদের গ্রামে।আমাদের পাড়ায় একটি পুকুরের ধারে এই বিদ্যালয়টি ছোট বেড়া দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।আমি আমার এক দাদুর কাছে শুনেছিলাম যে সে সময় নাকি তেমন পড়ালেখার প্রচলন ছিল না তাই বিদ্যালয়টি তৈরি করার পর তেমন শিক্ষার্থী পাওয়া গিয়েছিল না। তাই সে সময় খুব ছোট্ট করে বিদ্যালয়টি প্রথম তৈরি করা হয়।



20230507_121828.jpg

বিদ্যালয়টিতে ঢোকার রাস্তা।



এরপরে পাকিস্তান আমালে এই বিদ্যালয়টিকে আমাদের এলাকার স্বনামধন্য বাজার কুতুবডাঙ্গা বাজারে স্থানান্তর করা হয় নদীর ধারে।এই বিদ্যালয়টি পাকা করা হয়।যখন প্রথম নদীর ধারে এই বিদ্যালয়টি তৈরি করা হয়েছিল তখন ছিল মাত্র পাঁচ থেকে ছয়টি ঘর।ঘরগুলো টিন দিয়ে বানানো ছিল।আমি যেটা জানি ও শুনেছি বিদ্যালয়টির সামনে নদী থাকার কারণে মানুষের আকর্ষণ ছিল এই বিদ্যালয়টির প্রতি। বিশেষ করে এলাকার স্বনামধন্য লোকেরা সবাই মিলে এই বিদ্যালয়টিকে আরো বড় করার প্রয়াসে এগিয়ে আসেন। যার ফলে বিদ্যালয়টি পাকিস্তান আমলেই অনেক উন্নতি লাভ করে।


আমাদের আশেপাশের এলাকায় তখন তেমন প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল না। বেশ দূরে যেতে হতো ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়তে হতো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।কিন্তু যখন এই বিদ্যালয়টি তৈরি হয় তারপর থেকে এলাকার লোকজন তাদের শিশুদের এই বিদ্যালয়ে পড়ার জন্য আগ্রহী করে এবং এই বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দিতে শুরু করে।কিন্তু আশেপাশে জেলাগুলোর তুলনায় এই বিদ্যালয়টি বেশ ভালই নাম কুড়িয়েছে সে সময়।যা তখন ছিল একটি ভালো দিক। বাংলাদেশ সরকার যখন এই বিদ্যালয়কে সরকারি করেননি তার আগে থেকেই এই বিদ্যালয়ের বেশ ভালো নাম ডাক শোনা যাচ্ছিল।মানুষ দূর দুরান্ত থেকে বিদ্যালয়ে তাদের বাচ্চাদের ও শিশুদের ভর্তি করিয়ে দিতেন।



20230507_121817.jpg20230507_121804.jpg

সবুজ শ্যামল খোলামেলা পরিবেশের বিদ্যালয়টা অবস্থিত


যাইহোক এরপর যখন বাংলাদেশ সরকার বিদ্যালয়টিকে সরকারি ঘোষণা করলেন তখন বিদ্যালয়ের মান আরো বেড়ে গেল।তখন যেন আরো অনেক ভালো সুনাম কড়িয়েছে এই বিদ্যালয়টি।আর যেন পিছন ফিরে দেখতে হয়নি। ১৯৯০ সাল থেকে শুরু করে আজকে পর্যন্ত এই বিদ্যালয়ের বলা চলে স্বর্ণযুগ। ৯০ এর দিকে এই বিদ্যালয়ের প্রথম বোর্ডিং চালু করা হয় যাতে দূর দূরান্তের শিক্ষার্থীরা এখানে এসে থাকতে পারে এবং ভালো মানের পড়াশোনা করতে পারে। এলাকার স্বনামধন্য ও ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে বিদ্যালয়ের এই বোর্ডিং সিস্টেম চালু করা হয়। এতে দেখা যায় যে অন্যান্য জেলা থেকে অনেক রকম ছাত্র ছাত্রী এই বিদ্যালয়ে পড়তে আসে।


20230507_121953.jpg

১৯৯০ থেকে শুরু করে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়টি প্রায় ১০-১২ বার এর মত দিনাজপুর বোর্ডের প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এ সময় প্রায় দেখা যেত যে বৃত্তির দিক দিয়ে প্রথম ছিল আমাদের এই বিদ্যালয়। রেজাল্টের দিক দিয়ে অনেক ভালো হওয়ার কারণে অনেকেরই মনোযোগ আকর্ষণ করে। বিশেষ করে দিনাজপুর বোর্ড এর আকর্ষণ এই বিদ্যালয়টির প্রতি অধিক ছিল। সে কারণে বিদ্যালয়টির উন্নয়নের জন্য পরে আরো একটি বিল্ডিং তৈরি করা হয়।সেই বিল্ডিং এর আলোকে তার সঙ্গে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় বছর পর আরও একটি বিল্ডিং তৈরি করা হয়।


3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPg13dbw9cQZbWBAMsz6ohqaqkrCm7KQkkehxGNGyBHUtdhA93eZcSchXaVXZysREMB8zjUwUs3U28Dgq5...6GDBNJCmAd5JNGWLPSkuM888uyEzyBgMoeFJwAqVPrXj9kr2ZxfAAZ52YNYHTgxako2YfB8eBek887u6aX6V6xSrNFswxpNSqg9oo9aGj9PXQiHCj9R7TnZTvn.png

20230507_121846.jpg

বিদ্যালয়টিতে আমি পড়ালেখা করেছি প্রথম শ্রেণী থেকে শুরু করে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত। বিদ্যালয় অনেক শিক্ষক রয়েছেন তার ভেতর আমার সবথেকে প্রিয় শিক্ষক হলেন আমাদের হেড স্যার মোজাম্মেল হক ও আমাদের সহকারী সিনিয়র শিক্ষক লতিফ স্যার।পঞ্চম শ্রেণীতে থাকাকালীন আমি লতিফ স্যারের শাখায় ছিলাম।আমার সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায়।তখন ও সেখানকার স্যাররা অনেক আন্তরিক ছিলেন আমাদের প্রতি।

20230507_121110.jpg

২০১৩ সালে স্কুলদের শিক্ষকদের দ্বারা নির্মিত একটি বাংলাদেশের মানচিত্র।

MvwLKy3SfvJwXFKCRMDAFrt961JnKbKs2u3aeTo7L.png



বিদ্যালয়ের আমরা প্রায় সব ইভেন্টেই অংশগ্রহণ করতাম। উপজেলাভিত্তিক জেলা ভিত্তিক ফুটবল হোক বা অন্য কোন খেলা হোক সবগুলোতেই এই বিদ্যালয়ের অংশগ্রহণ অনস্বীকার্য।প্রায় সব ক্ষেত্রে আমরা প্রথম স্থান অধিকার করতাম।বেশিরভাগই শিক্ষার্থীরা তাদের খেলাধুলা ও পড়াশোনার মাধ্যমে এই বিদ্যালয়টিকে এক অনন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন।



20230507_121953.jpg20230507_121930.jpg

বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থিত শহীদ মিনার



শুধু যে পড়ালেখা তা নয়।স্কুলে একটি পাঠাগার আছে সেখানে ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন রকম বই পড়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই গল্পের বই নাটকের বই বিভিন্ন রকম লেখকের বই পড়ে থাকেন।অফিস রুমে খেলাধুলার বিভিন্ন রকম সরঞ্জাম রয়েছে।ক্রিকেট খেলা সরঞ্জাম ফুটবল খেলার সরঞ্জাম দড়ি খেলার সরঞ্জাম আরো অনেক কিছুই রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অবসর সময়ে খেলাধুলা করেন।

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPg13dbw9cQZbWBAMsz6ohqaqkrCm7KQkkehxGNGyBHUtdhA93eZcSchXaVXZysREMB8zjUwUs3U28Dgq5...6GDBNJCmAd5JNGWLPSkuM888uyEzyBgMoeFJwAqVPrXj9kr2ZxfAAZ52YNYHTgxako2YfB8eBek887u6aX6V6xSrNFswxpNSqg9oo9aGj9PXQiHCj9R7TnZTvn.png


20230507_122514.jpg

আমি প্রায় পাঁচ বছর কাটিয়েছি এই বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয়ের যেন প্রতিটি ইটের সঙ্গে আমার সম্পর্ক রয়েছে।তার ওপর এ বিদ্যালয়টি আমাদের এলাকায় অবস্থিত হওয়ার কারণে খুব ভালো লাগে। সেখানে যেতে বাজারে গেলে প্রায় সময় বিদ্যালয়ে ঘুরতে যাই। বিদ্যালয়টিকে দেখতে যাই।আগে যেমন বিদ্যালয় ছিল এখন আর তেমন নেই।


MvwLKy3SfvJwXFKCRMDAFrt961JnKbKs2u3aeTo7L.png

20230507_122313.jpg

বিদ্যালয়টির দক্ষিণ দিকে এখন একটি সরকারি উদ্যোগে বড় বিল্ডিং করা হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখা করার জন্য আগের বিল্ডিং গুলো রয়েছে। তবে সেগুলোতে তেমন আর পাঠদান করানো হয় না।আমাদের সময় আমাদের প্রিয় দুই স্যার ছিলেন লতিফ স্যার ও মোজাম্মেল হুজুর স্যার।তাদের হাত ধরেই আমরা ওই বিদ্যালয়টি আসলেই অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল যা আমরা মন ভরে এখনো স্মরণ করি।


20230507_122514.jpg20230507_122417.jpg

20230507_122532.jpg

বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পশ্চিম দিকের অংশ


লতিফ স্যার ও মোজাম্মেল হুজুর স্যার তেনারা প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছরের মতো এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে ছিলেন।তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেস্টার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের অনেক উন্নতি সাধন হয়েছে।জেলা পর্যায়ে বিভাগ পর্যায়ে বিদ্যালয়ের অনেক নাম উঠেছে। বিভিন্ন প্রকার অফিসার এখানে আসেন জেলা শিক্ষা অফিসার উপজেলা শিক্ষা অফিসার তারা এখানে বিভিন্ন রকম ইভেন্টের আয়োজন করেন এবং যারা ভাল রেজাল্ট করেন তাদেরকে পুরস্কার তুলে দেন।


20230507_122434.jpg20230507_122402.jpg
20230507_122348.jpg20230507_122332.jpg

6bhseHAdLtYRoe4mZ6fU3gFc8eKGc3JgYMfqGaKxkR3mYxaBkPSJ5LtfQXCmpShUpnnhJPeQhPUiv8wadzc5hMakZMFFHkrNBiP5xPBcCYPHEwd6g6nmi4RqDf7vKu...Tb5rr4QdQDBQHCFDVkyTe6K8bG7KkX1fSGazNXdsPmxTFCUbxGWafkjyKaJGqcDB3veKYgcnNh1uwpksppEcV6DsJvHM2LUSHouXTG7zUCYZtuivpsMLAae2qk.png



বিদ্যালয়টির একটি ভালো বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে তিন মাস পর পর এখানে গার্ডিয়ান মিটিং ডাকা হয়। যেন তাদের বাচ্চাদেরকে শিক্ষকরা বোঝায় যে কেমন করে বাসায় পড়ালেখা করতে হবে। কেমন করে তাদের দিক নির্দেশনা দিতে হবে।তারা যেন ভাল করে সেই দিকে তাদেরকে ফোকাস করা হয়।বিশেষ করে যারা মা রা আছেন তাদেরকে আরো উদ্বুদ্ধ করা হয় তাদের বাচ্চাদের জন্য স্কুলে পাঠায় এবং পড়াশোনা করার সুযোগ দেন।


এই বিদ্যালয়ের আগে এমন শিক্ষার্থী রয়েছিল যারা অনেক মেধাবী কিন্তু টাকার জন্য পড়তে পারেন না। এ সময় আমাদের শিক্ষকেরা অনেক আন্তরিক ছিলেন। তারা তাদের নিজের পকেটে টাকা খরচ করে তাদের জন্য পড়ালেখা সামগ্রী নিয়ে আসতেন।তাদেরকে ভালো পড়ালেখা করার জন্য বিভিন্ন রকম সাহায্য সহযোগিতা করতেন এবং ইস্কুলের ডোনেশন থেকেও তাদেরকে বিভিন্ন রকম আর্থিক অনুদান দেওয়া হতো। যা ছিল আসলেই অনেকটা প্রশংসীয় কাজ।


বর্তমানে বিদ্যালয়টির অবস্থা সম্পর্কে কিছু তথ্য


20230507_122257.jpg20230507_122206.jpg
পুরাতন একাডেমি ভবননতুন একাডেমি ভবন

বর্তমানে স্কুলটি প্রায় চারটি ভবন দ্বারা নির্মিত রয়েছে।প্রথমে স্কুলটিতে ঢুকতেই একটি বড় ভবন রয়েছে যা অনেক পুরনো একটি ভবন।এরপর সামনে আরও একটি ছোট্ট ভবন রয়েছে চার কক্ষ বিশিষ্ট।এরপর মাদ্রাসার মাঠ রয়েছে। স্কুলের সামনে একটি মাদ্রাসা রয়েছে যা ওই স্কুলের বয়সের ওই বয়সের একটি মাদ্রাসা।মাদ্রাসার মাঠ থেকে পূর্ব দিকে স্কুলের মেইন ক্যাম্পাস সেখানে দক্ষিণ দিকে একটি বড় বিল্ডিং রয়েছে যা গত দুই বছরে তৈরি করা হয়েছে সরকারি অনুদানে। একটু সামনে গেলেই সামনে দেখতে পাওয়া যাবে বাংলাদেশের মানচিত্র এই মানচিত্রটি ২০১৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল। যখন আমি ক্লাস ফাইভে ছিলাম।


20230507_122228.jpg


মানচিত্রের সামনে একটি বেশ বড়সড় বাগান রয়েছে। আগে এই বাগানটিকে অনেক রকমের ফুল ছিল খুব ভালো লাগতো বাগানটি দেখতে। তবে বর্তমানে বাগানে তেমন ফুল নেই কোথাও। আরেকটু সামনে গেলে বিদ্যালয়ের বাথরুম টয়লেট প্রস্রাবখানা রয়েছে। বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে মাঝের রুমে আগে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ করার জন্য একটি অফিস রুম ছিল।তবে বর্তমানে সেটি নতুন বিল্ডিং এর স্থানান্তর করা হয়েছে।


20230507_122105.jpg20230507_112019.jpg

আমাদের আগের স্কুলের ভবনটি দেখতে আসলেই অনেক অসাধারণ ছিল। অফিস রুমের চারপাশ দিয়ে বিভিন্ন রকম টিচারদের ছবি ছিল। যারা নতুন টিচার বিদ্যালয় ঢুকতো তাদের ছবি দেওয়ালে টাঙিয়ে রাখা হতো।অফিস রুমে স্যারদের বসার জন্য চেয়ার টেবিল ছিল অভিভাবকদের বসার জন্য চেয়ার ছিল একটি কম্পিউটার রুম ছিল ছোট্ট করে সেখানে। সেই কম্পিউটার রুম এখনো আমার মনে আছে।


20230507_122149.jpg20230507_122114.jpg

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPg13dbw9cQZbWBAMsz6ohqaqkrCm7KQkkehxGNGyBHUtdhA93eZcSchXaVXZysREMB8zjUwUs3U28Dgq5...6GDBNJCmAd5JNGWLPSkuM888uyEzyBgMoeFJwAqVPrXj9kr2ZxfAAZ52YNYHTgxako2YfB8eBek887u6aX6V6xSrNFswxpNSqg9oo9aGj9PXQiHCj9R7TnZTvn.png


আমার শ্রদ্ধেয় কোবির স্যার সেই কম্পিউটার রুমটি পরিচালনা করতেন। তিনি আগে প্রায় সপ্তাহে চার দিন এই কম্পিউটার রুমটি পরিচালনা করতেন। বিভিন্ন রকম নোটিস খসড়া কাগজপত্র বের করে দিতেন অফিস রুমে।


20230507_122017.jpg


স্কুলটির ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রকম গাছ রয়েছে আমলকি আম পেয়ারা আরো অন্যান্য গাছ রয়েছে। স্কুলের সামনে অর্থাৎ স্কুলের পশ্চিম দিকে একটি ঈদগা মাঠ রয়েছে। যেখানে প্রতিবছর দুই ঈদের নামাজ পড়া হয়। অবশ্য ওই ঈদগা মাঠটি মাদ্রাসার অনেক অংশ রয়েছে। ঈদগাহ মাঠের সঙ্গে একটি বড় মসজিদ রয়েছে যা বাজারও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নামাজ পড়ে থাকেন। মসজিদের সঙ্গে একটি মাদ্রাসা রয়েছে মাদ্রাসাটি আমাদের এই প্রাইমারি স্কুল থেকে অনেক পুরনো।



স্কুলটিতে আপনারা কেমন করে যাবেন?



20230507_131641.jpg

লোকেশন


  • দিনাজপুর ফুলবাড়ী মহাসড়ক থেক উচিতপুর বাসস্ট্যান্ডে নেমে সেখান থেকে ১৫ টাকা ভাড়া যোগে আপনি কুতুবডাঙ্গা বাজারে নামবেন।কুতুবডাঙ্গা বাজারের ঠিক পূর্ব পাশে এই বিদ্যালয়টি অবস্থিত। বাজার থেকে একটু হাঁটলেই বিদ্যালয়ে যাওয়া যাবে।

  • চিরিবন্দর উপজেলা থেকে ২৫ টাকা ভাড়া দিয়ে আপনাকে লোকাল রাস্তায় কুতুবডাঙ্গায় আসতে হবে। সেখান থেকে ঠিক দক্ষিণ পূর্ব অংশে গেলেই আপনি বিদ্যালয়টি দেখতে পাবেন।

  • পার্বতীপুর উপজেলা থেকে আসতে হলে আপনাকে প্রথমে বেলতলী বাজারে আসতে হবে।বেলতলী বাজার থেকে ঠিক দক্ষিণ দিকে একটি রাস্তা চলে গেছে সেই রাস্তায় বিশ টাকা ভাড়া দিয়ে আপনি সোজাসুজি কুতুবডাঙ্গায় আসতে পারবেন। সেখান থেকে একটু হাঁটলেই আপনি বিদ্যালয়টি দেখতে পাবেন।


আশা করছি আমার পোস্ট আপনাদের সবাইকে ভালো লাগবে।আপনারা সবাই অবশ্যই এই প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করবেন ধন্যবাদ সবাইকে।


আমি আমার কয়েকজন বন্ধুকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি,

@raqueluchap77 @yenny47 @yoelmo26 @madilyn02 @aparajitoalamin @shabbir86

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRQ2cJZBsiyuMbbQNbt2XY3bPDP3soCEvgarH2Jwxn58HCSwZqnJoPtfVfPHherMXdd7WgN8njYmw78rCTC...923jDPN36y1mC6nREgXLxpVNKY67PEB4YJ8cskAjk61zvxTRrXgaQQvTunA3og4Yf8mwMEEke9xojaKLxamdxm2nQR1Pken3K2jviauVWtn2WPfY4gwfKMThHP.gif



FB_IMG_1673841505965.jpg
আসসালামু আলাইকুম, আমার নাম মোঃ রাহুল কাজী। আমার স্টিমিট ব্যবহারকারীর নাম @রাহুলকাজী। আমি দিনাজপুর জেলার চিরিবন্দর উপজেলার বাসিন্দা। আমি বর্তমানে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ছি। আমি আমার পরিবার ও সমাজের মানুষকে খুব ভালোবাসি। আমি খেতে এবং আঁকতে ভালোবাসি। আমি সত্যিই steemit কাজ উপভোগ করি।

Black & White Minimalist Business Logo.png


You can also vote for @bangla.witness witnesses

3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpvDGTmz6yM4BdeUwpQ8vMxtR3sQse9kG46R2Lk4NBaGfzPmL5tiA85DdFd7TDvbMGaNMAY2RBgSWfNp5kM1Qjr3515gWKvjxzADBcu4.png
Vote for @bangla.witness


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অসাধারণ একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন, কুতুবডাঙ্গ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আমি দেখছে,ওই খানে আমার নানার বাসা,স্কুল টি অনেক পুরাতন, আপনার পোস্ট পরে খুব ভালো লাগলো, আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য 🥰

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

পুরাতন স্কুল। এই রকম পুরাতন স্কুল প্রতিটি গ্রামে রয়েছে।আর এগুলা সরকারী স্কুল। এই সরকারী স্কুলে আমি পড়াশোনা করেছি। আপনি পুরাতন স্কুল নিয়ে খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য 🥰

Loading...

চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন ভাইয়া। স্কুল সম্বন্ধে অনেক কিছু বলেছেন।২০১৩ সালের স্কুলের শিক্ষকদের দ্বারা নির্মিত মানচিত্রটির অনেক সুন্দর ভাবে ছবিটি তুলেছেন।

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য 🥰

বাহ্ চমৎকার লাগলো আমার কাছে আপনার উপস্থাপনা, অনেক সুন্দর লিখছেন ভাই, সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন পুরাতন স্কুল সম্পর্কে। ছবিগুলো অসাধারণ তুলছেন, অনেক ধন্যবাদ ভাই।

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য 🥰

@rahulkazi
Thank you so much for mentioning me, I hope you continue to climb the ladder of growth....)

Thank you for your responce.

ফুলপুর কুতুবডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। আমি কালকেই এই স্কুলের কাছ দিয়ে এলাম। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য 🥰

কুতুব ডাঙ্গা আমার প্রায়ই যাওয়া হয় এই স্কুলটি অনেক সুন্দর। ১৯৪৬ সালের স্কুল মানে বেশ পুরনো একটি স্কুল নিয়ে আপনি সুন্দর করে লিখেছেন। স্কুলটির দেখতে অনেক সুন্দর এবং বেশ খেলাধুলার জায়গা দেখতে পাইতেছি। আপনি বরাবরই অনেক সুন্দরভাবে পোষ্ট করেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য 🥰

ফুলপুর কুতুবডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন ভাইয়া। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালই লাগলো ইস্কুলে আসলেই অনেক সুন্দর। আপনার তোলা প্রতিটি পিকচার এই অসাধারণ।

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য 🥰

কুতুবডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্পর্কে বলার মগো কিছুই নেই।কুতুব ডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্থাপিত হয় ১৯৪৬ সালে। এই বিদ্যালেয়ে ছোটবেলার স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আপনার পোস্ট কোয়ালিটি যথেষ্ট ভাল।

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য 🥰

আপনি স্কুল নিয়ে বেশ সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন৷