গ্রাম বাংলার বিলুপ্তর পথে ঐতিহ্যবাহী - ঢেঁকি

in hive-131369 •  2 years ago 

আসসালামু আলাইকুম, স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকল সদস্যগণেরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে ভালোই আছেন। আমিও সবার দোয়ায় ভালোই আছি।

IMG-20230221-WA0011.jpg

ঢেঁকি হলো আমাদের দেশের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। আদিমকাল বা প্রাচীনকালের গ্রাম অঞ্চলের ধান,গম,ভুট্টা ভাঙ্গার একমাত্র মাধ্যম ছিল ঢেঁকি। তবে প্রাচীনকাল থেকে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে ভারতে এই ঢেঁকির প্রচলন ও ব্যবহার হয়ে আসতেছে। ছাতু,চালের আটা, মাস কালাই প্রভূতি ঢেঁকির মাধ্যমে তৈরি করা হয়।

IMG-20230221-WA0000.jpg

আধুনিক ও নতুন নতুন প্রযুক্তি তৈরি কারনে অতীতের বা প্রাচীনকালে ব্যবহারযোগ্য ঐতিহ্যবাহী পণ্য সামগ্রী হারিয়ে যাচ্ছে। আগে ঢেঁকির ব্যবহার প্রচুর ছিল। আগে বাড়িতে বাড়িতে ঢেঁকি ছিল শুধু ধান,গম,ভুট্টা, কাউন প্রভূতি ভাঙ্গার জন্য। আমাদের দেশের বিভিন্ন উৎসব গুলোতে যেমনঃ হেমন্ত উৎসব, পৌষ পার্বণ, বসন্ত উৎসব, নববর্ষ ইত্যাদিতে হাতের তৈরী রুটি ও হরেক রকমের পিঠা তৈরির উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হত আর এখনও উৎসব হচ্ছে। এই সব উৎসব গুলোতে পিঠা,পায়েস ইত্যাদি তৈরির ধুম পড়ত। এসব তৈরীর প্রধান উপকরণ ছিল চালের আটা,চালের গুড়ি। চালের গুড়ি তৈরী করতে ঢেঁকি ব্যবহার করা হত।

IMG-20230221-WA0009.jpg

তবে আমাদের গ্রামে এই ঢেঁকির ব্যবহার এখনো প্রচলিত আছে। গ্রামের লোকেরা এখনো ধান,গম,ভুট্টা ইত্যাদি ভাংগে। তবে এই ঢেঁকি আমাদের গ্রামের যে ব্যক্তি পরিচালনা করেন তিনি প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে ধান ভাংগে। এতে করে তাদের হাতে ফসা পড়ে যায়। তারা এই ঢেঁকিতে ধান ভাংগে ৫ টাকা প্রতি কেজি চালে। এই ঢেঁকি দিয়ে ধান ভাংগে চালের গুড়ি তৈরি করে যে টাকা পায় তা দিয়ে সংসার চালায়।

IMG-20230221-WA0001.jpg

কুরবানি ঈদের গ্রামে লোকেরা সবাই তার কাছে যেয়ে চাল ভাংগিয়ে চালের আটা করত। ঐ সময় তারা সারা রাত জেগে এই চাল ভাংগার কাজ করত। সারা বছরের তুলনায় কুরবানির সময় বেশি টাকা আয় করত। আর এই ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকির ব্যবহার দিন দিন কমে যাচ্ছে। তবে অজপাড়াগাঁয়ে এই ঢেঁকি দেখা যায়। আমরা একটা বিষয় ভালো করে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারব যে দিন দিন ঢেঁকি হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের মাঝ থেকে।

ধন্যবাদ,
@rakib570

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমি নিজেও ঢেঁকি দেখেছি এবং ঢেঁকিতে চাল গুড়া করেছি।গ্রামের মানুষদের পক্ষে সবসময় টাকা খরচ করে চাল গুড়া করা সম্ভব হয় না, তাদের জন্য ঢেঁকি একমাত্র অবলম্বন। ঢেঁকি ব্যবহারে পরিশ্রম হয়, বিশেষ করে পায়ের ব্যায়াম হয়।

হুম ভাই ঠিক কথা পায়ের ব্যায়াম।ধন্যবাদ

CategoryYes ✅ / No ❌
Club Status
plagiarism-free
#steemexclusive
Verified user
Bot-free
300 Words

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.


Regards
shamimhossain (Moderator)

ঢেঁকি ধান ভানা বা শস্য কোটার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রবিশেষ।এটি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এটা আর আগের মতো দেখা যায় না।আপনার পোস্ট টি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া।

ধন্যবাদ

ভাই সত্যি অসাধারণ লাগল আমার কাছে। তবে এটি আমার পাশের বাড়িতে ছিল। আমি ছোটো বেলায় দেখেছি। তবে এখন এটি আর নাই আমাদের গ্রামে।ধন্যবাদ ভাই 💝💞

ধন্যবাদ

ঢেকি হল গ্রাম বাংলার একটি অন্যতম ঐতিহ্যবাহী কাঠের জিনিস।ছোটবেলায় এই ঢেঁকিতে অনেক চাল ভাঙ্গা দেখেছি।এখনো আমার মনে আছে সেই সব স্মৃতিগুলো। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।

ধন্যবাদ

ঢেঁকি গ্রাম অঞ্চলের একটি ঐতিহ্য। বর্তমানে ঢেঁকি অতিতের গল্প। আধুনিক যুগে সেই ঢেঁকির জায়গা দখল করে নিয়েছে বিদ্যুৎচালিত মেশিন। তবে কিছু গ্রামে এখনও ঢেঁকি দেখতে পাওয়া যায়। আমিও আগে দাদীর সাথে ঢেঁকিতে পাঁ দিয়ে চাল থেকে আঁটা করতাম। সেগুলো আজ স্মৃতির পাতায় ভেসে বেড়ায়। আপনার পোস্টটি অনেক ভালো হয়েছে সুন্দর ভাবে বিষয় গুলোকে উপস্থাপন করেছেন।

ধন্যবাদ

টেঁকি অনেক ঐতিহ্যের সাক্ষী, যখন ধান মাড়াই করার জন্য কোনো আধুনিক প্রযুক্তি ছিলো না। তখন একমাত্র ভরসা ছিলো টেঁকি। মা চাঁচি রা সাড়ারাত ধান বানতেন। ধান থেকে চাল বানাতেন এই টেঁকি দিয়ে। এবং চালের গুঁড়া করতেন। খুবই সুন্দর লিখছেন ভাই ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি নিয়ে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

ধন্যবাদ

ঢেঁকি নিয়ে অসাধারণ লেখছেন ভাই, আগে গ্রাম অঞ্চলে ঢেঁকিতে অনেক কাজ করতাম,আমরা ঢেকিতে চাউল গুড়া করতাম,কিন্তু এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় এই ঢেকি আর দেখা যায় না, আপনি অনেক সুন্দর লেখছেন ভাই, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ।

আমাদের বাসার পাশে একটা বাড়িতে ঢেকি দেকছিলাম। এখন ও ঢেকি আছে তবে এখন আর তেমন একটা ব্যবহার করা হয় না। ঢেকি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছে। সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ।

ঢেঁকি অতি পুরাতন একটি ঐতিহ্য। অনেক দিন হলো এটি আর দেখতে পাই না। আমাদের এলাকায় আগে ছিল এখন আর নেই। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে আমাদের সাথে এই ঢেঁকি নিয়ে আলোচনা করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাই।

ঢেঁকি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের সাথে অতপ্রতভাবে জড়িত। ঢেঁকি ধান ভানা ,চালকুটে আটা তৈরি করা আরো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হতো। তবে ঢেঁকির ব্যবহার একদম কমে গেছে । আমাদের ঐতিহ্য ঢেঁকি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি উপস্থাপনা করেছেন ভাইয়া ।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ছোটবেলায় যখন গ্রামের বাড়িতে আসতাম তখন দেখতাম প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতে ঢেকি থাকতো। অনেকে ঢেঁকিতে ধান থেকে চাউল বের করত। বর্তমানে ঢেঁকি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। হঠাৎ দুই একটা চোখে পড়ে শুধুমাত্র পিঠা খাওয়ার জন্য ঢেকি রেখে দিয়েছে। কারণ ঢেঁকিতে চাল থেকে গুড়া তৈরি করা হয়, সেই গুড়া দিয়ে অনেক ভালো পিঠা হয়। শুভকামনা রইল আপনার জন্য