||ঐতিহ্যবাহী সাপোট||

in hive-131369 •  last year 

Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন



ঐতিহ্যবাহী সাপোট



Polish_20230915_115417013~2.jpg





Logo_Maker_com.ist.logomaker_Mon_Sep_04_21_21_35_GMT_06_00_2023_1693840895188~2.jpg



IMG_20230201_125017_611-01.jpeg

IMG_20230326_121203_949-01.jpeg

আমাদের গ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী জিনিস রয়েছে,যেগুলো বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নাম রয়েছে । এখানে ছবিতে সাপোট দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে প্রায় সব বাড়িতেই এই সাপোট রয়েছে। এর সাহায্যে ধানের কাজ হয়। সারা বছর এর ব্যবহার তেমন একটা থাকে না। ধান কাটার মৌসুমে এই সাপোট গ্রাম অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বাড়ির উঠানে দেখা যায়। এর সাহায্যে খুব সহজেই ধান নেড়ে দেওয়া যায় এবং খুব সহজেই টানা যায়।


IMG_20230326_121225_455-01.jpeg

এটি তৈরি হয় একটি কাঠের খন্ড এবং বাঁশ দিয়ে। সাপোট বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনে তৈরি করা হয়। সাপোট তৈরি করতে শুকনো কাঠ এবং শুকনো বাশের প্রয়োজন হয়। ভেজা কাঠ এবং কাঁচা বাঁশ থাকলে অনেক ভারী হয়ে যাবে,তখন কাজ করতে অনেক অসুবিধা হবে। আমি ছোটবেলায় গ্রামের বাড়িতে যেয়ে মাঝে মাঝে এই সাপোট দিয়ে ধান টানতাম অনেক মজা লাগতো তখন। কিন্তু অনেক রোদের মধ্যে এটা দিয়ে ধান টানা অনেক কষ্টকর কাজ।


IMG_20230326_121219_201-01.jpeg

ধান সিদ্ধ করার পর নেড়ে দেওয়ার জন্য যখন সাপোট ব্যবহার করা হয় তখন খুব আস্তে টানতে হয় কারণ ধানগুলো তখন নরম থাকে। বেশি জোরে টানলে ধান থেকে চাউল বের হয়ে যাবে। এই সাপোট দিয়ে সব সময় স্বাভাবিক ভাবে টানতে হবে। তাহলে ধানের কোন ক্ষতি হবে না। গ্রীষ্মকালে যখন ধান কাটার মৌসুম শুরু হয় তখন তাপমাত্রা থাকে অনেক বেশি। ধান সিদ্ধ করে তখন রোদে শুকাতে দেওয়া হয়।


IMG_20230326_121211_521-01~2.jpeg

অনেক সময় দুপুরের দিকে প্রচন্ড রোদের সময় ধান শুকিয়ে গেলে এটা দিয়ে টেনে জড়ো করতে হয়। সাপোটের ব্যবহার হয়তো ভবিষ্যতেও থাকবে কারণ যতদিন মানুষ ধান চাষ করবে এবং ধান সিদ্ধ করে শুকাবে ততদিন এই সাপোটের প্রয়োজন আছে। এখানে দুই ধরনের সাপোট দেখা যাচ্ছে একটি সাপোট দেখতে অনেকটা অর্ধেক চাঁদের মত। অন্যটি প্রায় চারকোনা।


IMG_20230326_121211_521-01.jpeg

আমি বগুড়ার একটি গ্রামে ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন সাপোটের ছবিগুলো তুলেছিলাম। যখন ছবি তুলছিলাম তখন সেই বাড়ির মানুষগুলো তাকিয়ে ছিল। তাদের মধ্যে কেউ হয়তো মনে মনে বলতেছিল পাগল নাকি এগুলোর ছবিও তুলে। ঐতিহ্যবাহী এই জিনিসগুলো দেখলে অনেক ভালো লাগে। ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায়। যুগের পর যুগ টিকে থাকুক ঐতিহ্যবাহী এই জিনিসগুলো।




লোকেশন: বগুড়া
ফটোগ্রাফার : @selimreza1
camera: Tecno pro8
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। তবে আমাদের এলাকায় এই জিনিসটিকে ফাউড়ি বলা হয়। ফাউড়ি ধান শুকানোর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ধান শুকাতে দেওয়ার পর ফাউড়ি দিয়ে সমান করে দেয়া হয়। কাঠ ও বাঁশের সমন্বয়ে ফাউড়ি তৈরি করা হয়। আপনি একদম ঠিক বলেছেন গ্রামের কম বেশি প্রতিটি বাড়িতেই এই ফাউরি গুলো দেখতে পাওয়া যায়। ধান শুকানোর জন্য গ্রামের কমবেশি প্রতিটি মানুষ ফাউড়ি ব্যবহার করেন। গ্রামের ঐতিহ্যবাহী জিনিসটি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

  ·  last year (edited)

অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য

কাঠের তৈরি এই সাপোট গ্রাম গঞ্জের ঐতিহ্য, গ্রামের মানুষ ধান রৌদ্রে শুকানোর জন্য এই সাপোট ব্যবহার করে, ধান ওলট-পালট করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এবং তাড়াতাড়ি ধান একত্রে করার জন্য সাপোট ব্যবহার করা হয়। গ্রামের মা বোনেরা এটা বেশি ব্যবহার করে, আমাদের গ্রামের বাড়িতে রয়েছে এই সাপোট, আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই। অনেক দিন পর দেখতে পেলাম আপনার মাধ্যমে, ঐতিহ্যবাহী এসব জিনিস গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে এতো সুন্দর ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য ।

অনেক ধন্যবাদ ভাই

আপনি বিশেষ একটি ঐতিহ্য মূলক পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এই জিনিসটি আমরা আমাদের এলাকায় ফাউড়ি হিসেবে চিনি। এই ফাউড়ি দিয়ে আমরা ধান জরানোর কাজ করে থাকি। প্রতিবছর ধান শুকানোর জন্য এই ফাউড়ি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ধান শুকানোর জন্য বারান্দায় দিয়ে দেওয়ার পরে এগুলো জড়িয়ে রাখার জন্য এই ফাউরি ব্যবহার করা হয়। এগুলো কাঠের তৈরি হয়ে থাকে। আমরা প্রতিবছর কাঠমিস্ত্রির কাছে এগুলো তৈরি করে নেই এবং এর মাঝে একটি ছিদ্র থাকে সেই ছিদ্রের মাঝে বাঁশের লাঠি লাগিয়ে দেওয়া হয় যাতে এটি টেনে ধান জরানো যায়। আমাদের বাড়িতে এমন কয়েকটি রয়েছে। আমরা যখন ধান শুকাই তখন এগুলো ব্যবহার করি। ধান শুকানোর কাজে এগুলো অনেক পরিমাণে ব্যবহার করা হয় আমাদের এলাকায়। প্রতিটি বাড়িতে এই ফাউড়িগুলো রয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত চমৎকার একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য

ঐতিহ্যবাহী সাপোট সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। এই সাপোট টিকে আমাদের গ্রামের ফাউড়ি বলা হয়। এই ফাউড়ি মূলত আমরা ধান জ্বরার কাজে ব্যবহার করে থাকি। সাপোর্ট আমাদের গ্রাম বাংলার অন্যতম একটি ঐতিহ্য। আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া সাপোট মূলত কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয় এবং ধরার জন্য বাঁশের ডেরা ব্যবহার করা হয়। এটি সত্যি যে ধান সিদ্ধ থাকা অবস্থায় আস্তে করে টানতে হয়। তা না হলে হয়তো ধানের চাল বের হয়ে আসবে নাহলে ধানের ভেতরে ময়লা যুক্ত হবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি ঐতিহ্যবাহী পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

অনেক ধন্যবাদ ভাই

আপনি সুন্দর একটি ঐতিহ্যবাহী জিনিস আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।এ জিনিসটিকে ফাউড়িও বলা হয়।এছাড়াও সাপোটের আরো একটি নাম আছে যা আমার এ মুহুর্তে মনে পরছেনা।এ সাপোট দিয়ে ধানের সময় শুকনো ধান বা ভিজা ধান ছড়িয়ে দেয়া হয় এবং টেনে এক জায়গায় করা হয়।সাপোট গাছের কাঠ দাড়া তৈরি।কাঠমিস্ত্রি দিয়ে তৈরি করে থাকে।সাপোটের পাতলা যে কাঠটি আছে তার মাঝের ফুটাতে লম্বা লাঠিটি দিয়ে ধান টেনে আনা হয় বা ছড়িয়ে দেয়া হয়।এ জিনিসটা আমি প্রথম আমার নানা বাড়িতে দেখেছিলাম।তখনও নাম জানতামনা।আপনি অনেক সুন্দর করে সাপোট নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন।আপনার শেষের কথাটি পড়ে আমার হাসি পেলো।আমিও ছবি তুলার সময় ভাবি হয়তো আমাকে পাগল ভাবছে।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

অনেক ধন্যবাদ আপু

  ·  last year (edited)

আমাদের গ্রামে সাধারণত এটিকে ফাউরি বলে থাকে। যখন মতুন ধান বাড়িতে নিয়ে আসি তখন এটা আমাদের কাজে দেয়। ধান, পাতান,গুড়া ইত্যাদি খুব অল্প সময়ে সেগুলোকে একসঙ্গে করার জন্য ব্যবহার করে থাকি। আর আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই সাপোটটা আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। তাছাড়া ফটোগ্রাফি গুলোও অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া

ধন্যবাদ ভাই

ধান, ভুট্টা আর গম জড়ানোর কাজে এই ফাউরি ব্যবহার করা হয়। এই কাঠের তৈরি সাপোট বা ফাউরি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। তবে আমাদের এলাকায় ফাউরি নামে পরিচিত। এই ফাউরি মুলত বাঁশ ও কাঠের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়। ধান শুকানোর পর এই ফাউরি বিশেষ ভাবে কাজে লাগে ধান জড়ানো জন্য।বাঁশ ও কাঠের তৈরি ফাউরি বা সাপোর্ট নিয়ে সুন্দর লিখেছেন ভাই।

অনেক ধন্যবাদ আপু

এই জিনিসটি কে আমরা গ্রাম্য ভাষায় ফাউড়ি বলে থাকি। এটি দিয়ে সাধারণত ধান গম ইত্যাদি টানা হয়। বিশেষ করে যখন গ্রামবাংলায় মাটিতে ধান শুকাতে হয় তখন এটি সবথেকে বেশি ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়।হাতলটি থাকে বাশের এবং মাথাটাই থাকে কাঠ দিয়ে তৈরি।আমাদেরও ছোটবেলার অনেক স্মৃতি রয়েছে এসব ঐতিহ্যবাহী জিনিসের প্রতি।দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

অনেক ধন্যবাদ ভাই