||মাটির ব্যাংক|| ছোটবেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে

in hive-131369 •  2 years ago 

Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন



মাটির ব্যাংক



Polish_20230611_100811833~2.jpg



Logo_Maker_com.ist.logomaker_Wed_Jun_07_14_55_47_GMT_06_00_2023_1686128147056~3.jpg



IMG_20230605_104537_052.jpg

IMG_20230605_104407_733.jpg

আমাদের দেশের কুমাররা বিভিন্ন ধরনের মাটির ব্যাংক তৈরি করে। ছোটবেলায় দেখতাম প্রত্যেকের বাসায় মাটির ব্যাংক রয়েছে। তখন মাটির ব্যাংকে শুধু পয়সা রাখা হতো। বর্তমানে কুমাররা তাদের এই পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। ২০ বছর আগে এই পেশার সাথে অনেক মানুষ জড়িত ছিল। বর্তমানে মাত্র অল্প সংখ্যক মানুষ এই পেশা টিকিয়ে রেখেছে।গ্রামের বাড়িতে দেখতাম কুমাররা বিভিন্ন ধরনের মাটির জিনিসপত্র বিক্রি করতে নিয়ে আসতো। মাটির জিনিসপত্রের মধ্যে ছোট বড় বিভিন্ন আকৃতির ব্যাংক ছিল। বর্তমানে এভাবে কুমারদের মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করতে খুব কম দেখা যায়।


IMG_20230605_104618_553.jpg

বিভিন্ন জায়গায় যখন মেলা হয় তখন এই মাটির ব্যাংক পাওয়া যায়। তবে আগের তুলনায় অনেক কম। মাটির ব্যাংকগুলো ফলের আকৃতিতেও তৈরি করা হয়।এখানে যে মাটির ব্যাংকগুলো দেখা যাচ্ছে, একটি পেঁপে এবং একটি আপেল। আমি এই ব্যাংকগুলো অনেক বছর আগে একটি মেলা থেকে কিনেছিলাম। অনেকে আমার বাসায় এসে ব্যাংকটি দেখে প্রথমে মনে করে এটি সত্যিকারের পাকা পেঁপে। এই ব্যাংকে আমি কোন টাকা পয়সা রাখিনি। কারণ এই ব্যাংক ভাঙ্গার ইচ্ছে আমার নেই। স্মৃতি হিসেবে রেখে দেওয়ার জন্য নিয়েছি। ছোটবেলায় কিছুদিন পরপরই মাটির ব্যাংক কিনতাম। ছোট ছোট মাটির ব্যাংকের ভিতরে কিছু পয়সা জমিয়ে রাখতাম। অনেক সময় আবার ভর্তি হওয়ার আগেই ব্যাংক ভেঙ্গে পয়সা দিয়ে বিভিন্ন রকম খাবার কিনে খেতাম।


IMG_20230605_104447_231.jpg

IMG_20230605_104415_815.jpg

আমাদের বাসায় বড় একটি মাটির ব্যাংক ছিল, সেখানে অনেক পয়সা রাখা হতো।আমি মাঝে মাঝে ছুড়ি দিয়ে ব্যাংকটি না ভেঙে পয়সা বের করে চানাচুর কিনে খেতাম। পয়সা ভর্তি মাটির ব্যাংক যেদিন ভাঙ্গা হতো সেদিন অন্যরকম আনন্দ লাগতো। সব থেকে মজা লাগতো আমার যখন পয়সাগুলো গোনা শুরু করতাম।


IMG_20230605_104401_516.jpg

IMG_20230605_104429_137.jpg

মাটির ব্যাংকের ভিতরে কখনো টাকা রাখতাম না। একটি ধারণা ছিল যে ভিতরে টাকা রাখলে নষ্ট হয়ে যাবে। এক সময় হয়তো এই মাটির তৈরি ব্যাংকগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কুমার পেশা টিকে না থাকলে এগুলো আর কেউ তৈরি করবে না। বর্তমানে বাজারে প্লাস্টিকের তৈরি ব্যাংক পাওয়া যায়। যার ফলে অনেকে মাটির তৈরি ব্যাংক কিনতে চায় না। এই মাটির ব্যাংকের সাথে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে, যেগুলো মনে হলে এখন সত্যিই খুব ভালো লাগে।


IMG_20230605_104728_679.jpg

আমার কাছে স্কুলে পড়ার সময় গুলোই ছিল জীবনের সবচেয়ে সুখের সময়। আমাদের সকলেরই উচিত প্লাস্টিকের তৈরি ব্যাংকগুলো না কিনে মাটির ব্যাংক ক্রয় করা। এই ঐতিহ্যবাহী জিনিসগুলো টিকিয়ে রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।



লোকেশন: টাঙ্গাইল
ফটোগ্রাফার : @selimreza1
camera: Tecno pro8




আমার পরিচয়

আমি মো: সেলিম রেজা। আমি বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করি।ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি লেখালেখি, বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি।

ধন‍্যবাদ সবাইকে

You can also vote for @bangla.witness witnesses

3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpvDGTmz6yM4BdeUwpQ8vMxtR3sQse9kG46R2Lk4NBaGfzPmL5tiA85DdFd7TDvbMGaNMAY2RBgSWfNp5kM1Qjr3515gWKvjxzADBcu4.png

Vote for @bangla.witness

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার পোস্টটি পড়ে আমার ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোট বেলায় স্কুলে যাওয়ার সময় টাকা দিত আর সেখান থেকে টাকা বাঁচিয়ে আমি ব্যাংকে টাকা জমা করতাম।আমাদের বাসায় এখনো এইরকম মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের ফলের ব্যাংক রয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া মাটির ব্যাংক নিয়ে এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু

মাটির ব্যাংক নিয়ে অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাইয়া। আগে আমিও প্রচুর টাকা জমাইতাম এই ব্যাংকে। সকালবেলা ব্যাংকে টাকা রেখে স্কুল যেতাম স্কুল থেকে এসে খাটি দিয়ে আবার টাকা বের করতাম সব মিলিয়ে শূন্য পকেট। ধন্যবাদ ভাই মাটির ব্যাংক নিয়ে সুন্দর আলোচনা করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাই

এই মাটির ব্যাংক গুলো আগে সবার বাড়িতে দেখা যেত এখন আর তেমন একটা দেখা যায় না। আমার এমন অনেকগুলো ছিল।পয়সা জমানোর জন্য এগুলো বেশ চমৎকার কাজ করে।

মাটির তৈরি ব্যাংক আমি ছোট বেলায় অনেক টাকা রাখছিলাম।বাবার কাছ থেকে ১-২ টাকা করে নিয়ে সেগুলো ব্যাংকে রাখতাম। আপনি অনেক সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট উপস্থাপন করছেন ভাই আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ ভাই

মাটির ব্যাংক নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।আমিও ছোটবেলায় এই মাটির ব্যাংক এ করে টাকা জমাতাম।সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের কাছে সেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

ধন্যবাদ

মাটির ব্যাংক নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন। মাটির ব্যাংকে ছোটবেলায় টাকা জমিয়ে রাখতাম। আর কিছু দিন যেতে না যেতে ব্যাংক ভেঙে টাকা দিয়ে খাবার খেতাম আর আবার নতুন ব্যাংক কিনে টাকা জমিয়ে রাখতাম। শৈশবের স্মৃতি কখনও ভোলার নয়।

ধন্যবাদ ভাই

আমার এক সময় ছিল এই মাটির ব্যাংক।ছোট বেলায় লুকিয়ে লুকিয়ে টাকা রাখতাম সেখানে।আবার যখন টাকার দরকার হতো মুখ দিয়ে বের করে নিতাম।আর এভাবে টাকা সেখানে জমতো না।বার বার ডুকাতাম আর বের করতাম। অতীততের স্মৃতি গুলো মনে পড়লে সত্যি অনেক ভালো লাগে।

ধন্যবাদ

আসলেই ভাই ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন আপনি।মাটির ব্যাংকে কত যে টাকা রেখেছি। আমার একটি বড় মাটির ব্যাংক ছিল সেই ব্যাংকে আমি খুচরো টাকা প্রায় এক হাজার মতন জমিয়েছিলাম। দারুন লিখেছেন ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে আপনার ধন্যবাদ ভাই।

ধন্যবাদ ভাই

মাটির ব্যাংক নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আগে আমারও এমন মাটির ব্যাংক ছিল।এখন আর ব্যাংকে টাকা রাখা হয় না।এগুলো মূলত আমাদের শৈশবের সাথে জড়িয়ে আছে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

ধন্যবাদ আপু

জি ভাই মাটির তৈরি ব্যাংক এর সাথে ছোট বেলায় অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ছোট বেলায় মেলা থেকে মাটির তৈরি ব্যাংক কিনে আনতাম সেখানে টাকা জমাতাম। সেই স্মৃতি মনে পরে গেলো। অনেক ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাই

আমি যখন ছোট ছিলাম বাবাকে আমাকে স্কুল যাওয়ার সময় যে টাকা দিত তা জমিয়ে মাটির তৈরি ব্যাংক নিতাম। মাটির তৈরি ব্যাংকে টাকা জমানো শেষ হলে সেটা পরে ভাঙ্গা হতো। সুন্দর একটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন ভাই।

ধন্যবাদ ভাই

ছোট বাচ্চারা আপনার পোস্ট দেখে ভাববে আপনার পোস্ট দেখে পেঁপে খাইতে চাবে 😄। ছোট বেলায় স্বপ্নপূরী থেকে আম, কলা, কমলা'র মাটির ব্যংক কিনে আনছিলাম৷ প্রায় ১৯-২০ বছর আগের কথা মনে পরে গেলো।

ঠিক বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য

আমি ঈদগাঁ মাঠে গিয়ে এই মাটির ব্যাংক গুলো কিনে আনতাম ভাইয়া। বেশকিছুদিন টাকা জমায় তার পরে ১০০ বা ২00 টাকা হলে আবার ব্যাংক ভেঙে ফেলে টাকা বাহির করতাম। বর্তমানে প্লাস্টিকের ব্যাংক বাহির হওয়ার কারনে মাটির বানানো ব্যাংকের চাহিদা কমে গেছে।

ধন্যবাদ ভাই

এই ধরনের মাটির ব্যাংক আগে কখনো চোখে পড়েনি।আপনার ব্যাংকগুলো বেশ সুন্দর।এখন আর মাটির ব্যাংক সহজে পাওয়া যায় না।আমার বাসায় বেশ কিছু মাটির ব্যাংক আছে। ধন্যবাদ ভাইয়া মাটি তৈরি ব্যাংক নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু

Great post bro