||ঐতিহ্যবাহী মাচা|| একসময় গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতেই এই মাচা ছিল

in hive-131369 •  last year 

Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন



ঐতিহ্যবাহী মাচা

Polish_20230510_094554194~2.jpg




🌲🌳🌴🌲🌳🌴🌲🌳🌴🌲🌳🌴🌲🌳



IMG_20230507_105108_168-01-01.jpeg

IMG_20230507_105045_925-01.jpeg

আমরা বাঙালিরা সবসময় আড্ডা দিতে বেশি পছন্দ করি। শহর অঞ্চলের তুলনায় গ্রাম অঞ্চলে মানুষের আড্ডা দেওেয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। ঐতিহ্যবাহী মাচা একসময় গ্রাম অঞ্চলের প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতে গাছের নিচে দেখা যেত। একসময় এই মাচার ব্যবহার এবং গুরুত্ব ছিল অনেক বেশি। বর্তমানে আমাদের দেশে বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ রয়েছে।যার কারণে প্রত্যেক বাড়িতেই বৈদ্যুতিক পাখা আছে। মানুষের জীবন যাপনেও আগের থেকে অনেক পরিবর্তন এসেছে।


IMG_20230507_105112_883-01.jpeg

IMG_20230507_105019_558-01.jpeg

আগে গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ বাড়ি টিনের তৈরি ছিল। এখনো টিনের ঘর অনেক রয়েছে। দিনের বেলায় সূর্যের আলোতে টিনের ঘর অনেক গরম থাকে। বৈদ্যুতিক পাখা ছাড়া সেই ঘরে থাকা অসম্ভব। যখন বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না তখন মানুষ দিনের বেলা ঘরে খুব কম থাকতো। আগে দেখা যত প্রচন্ড গরমের মধ্যে গাছের নিচে এই মাচায় বসে সময় কাটাতে। অনেকে দেখা যেত এখানে শুয়ে দিনে ঘুমাচ্ছে। বর্তমানে মাচায় ঘুমানোর দৃশ্য এখন আর তেমন দেখা যায় না।


IMG_20230405_114913_098-01.jpeg

বাড়ির বেশিরভাগ সদস্যই দিনের অধিকাংশ সময় এই মাচায় বসেই গল্প করে বা বিভিন্ন কাজ করে কাটিয়ে দেয়। গাছের নিচে বসে ছায়া এবং শীতল যে বাতাস পাওয়া যায় সেটার সাথে কোন কিছুর তুলনা হয় না। আমার মনে আছে ছোটবেলায় যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম তখন এরকম মাচায় অনেক সময় কাটিয়েছি। এমনও হয়েছে প্রচন্ড গরমের মধ্যে আমরা রাতে এই মাচায় ঘুমিয়েছি। সেখানে বসে আমরা গল্প করতাম। বর্তমান ডিজিটাল যুগে সময় কাটানোর জন্য অন্য কোন মানুষ দরকার হয় না। একটা মোবাইল ফোন থাকলেই যথেষ্ট।


IMG_20230405_114907_442-01.jpeg

ঐতিহ্যবাহী এই মাচা বাঁশ, কাঠ অন্যান্য গাছ দিয়ে তৈরি করা হয়। এখানে যে মাচাগুলো দেখতে পাচ্ছেন এগুলো কংক্রিটের ছোট পিলার, সুপারি গাছ এবং কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ মাচা বাঁশের তৈরি হয়। এই মাচাগুলো বিভিন্ন আকারের তৈরি করা হয়। অনেকে বড় আকারের মাচা তৈরি করে। সেখানে বেশ কয়েকজন মানুষ বসে এবং শুয়ে থাকতে পারে। এখানে যে মাচাগুলো দেখা যাচ্ছে এগুলোতে সারাদিনে কেউ পাঁচ মিনিটও বসে এখন সময় কাটায় না। যদি কখনো দিনে কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ না থাকে তখন এই মাচার কথা মনে হয়। এখানে এসে বসে থাকে।


IMG_20230507_105236_766-01.jpeg

IMG_20230507_105030_331-01.jpeg

শীতকালে মাচার ব্যবহার তেমন থাকে না। কারণ গাছের নিচে থাকার কারণে তখন অনেক ঠান্ডা থাকে। আমরা সবাই তখন সূর্যের আলো খুঁজি। বর্তমান প্রজন্ম এই মাচার গুরুত্ব তেমন বুঝবে না। কারণ তারা গরম মানেই বুঝে বৈদ্যুতিক পাখা। ঐতিহ্যবাহী মাচা টিকে থাকুক বছরের পর বছর।



লোকেশন: টাঙ্গাইল
ফটোগ্রাফার : @selimreza1
camera: Tecno pro8




আমার পরিচয়

আমি মো: সেলিম রেজা। আমি বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করি।ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি লেখালেখি, বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি।

ধন‍্যবাদ সবাইকে

You can also vote for @bangla.witness witnesses

3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpvDGTmz6yM4BdeUwpQ8vMxtR3sQse9kG46R2Lk4NBaGfzPmL5tiA85DdFd7TDvbMGaNMAY2RBgSWfNp5kM1Qjr3515gWKvjxzADBcu4.png

Vote for @bangla.witness

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ঐতিহ্যবাহী মাচা বা টং। যেগুলা ঘরের ভিতরে থাকে সেগুলাকে আমরা মাচা বলি।মাচার উপর অনেক যাবতীয় জিনিসপত্র রাখা যায়। আর যেগুলাতে বসে আড্ডা দেয় সেগুলাকে আমরা টং বলি। আপনি ঐতিহ্যবাহী মাচা নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করছেন ভাই। ধন্যবাদ

ধন্যবাদ ভাই

মাচা নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন। এই মাচা আমাদের গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্য। আমাদের এলাকায় আমরা এই মাচাকে টং বলে থাকি। সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

ধন্যবাদ ভাই

Loading...

আমাদের এলাকায় এগুলো বেশ ভালোই দেখা যায় । আমরা এটাকে টং নামে চিনি।আমাদের বাড়ির পাশে একটি আমরা তৈরি করেছিলাম এবং প্রায় ৫ থেকে ৭ বছর ছিল টং টি।এখন আর নেই সবাই কাজে থাকে তাই আর আড্ডা দেওয়া হয় না।ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।

ধন্যবাদ ভাই

গ্রামে প্রতিটি বাড়িতে এই মাচা দেখা যেতো। গরমের দিনে সবাই এই মাচায় এসে আড্ডা দিতো।এমনকি এই মাচার উপরে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিও। সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। ধন্যবাদ

ধন্যবাদ ভাই

গ্রামের বাড়ি গুলাতে এমন দৃশ্য দেখতে পাওয় যায়। আমাদের দেশের মানুষ এই মাচায় বাড়ির চাল ডাল সবকিছু রাখতো৷ আমাদের দেশের এমন একটি ঐতিহ্য একন আর দেখতে পাওয়া যায় না তেমন। ইট দিয়ে বানিয়ে দেয় মাচা। আপনি সুন্দর পোস্ট করেছেন ভাইয়া।

ধন্যবাদ ভাই

ভাই অসাধারণ লিখেছেন, মাচা প্রায় প্রতিটি বাড়িতে আছে, এটা গ্রামের ঐতিহ্য। বিকাল বেলা লোকজন এই মাচায় আড্ডা দেয়, বাঁশের তৈরি এবং সুপারি গাছ দিয়ে এ মাচা তৈরি করা হয়। সুন্দর উপস্থাপন ভাই, অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

অনেক ধন্যবাদ ভাই

গ্রীষ্মকালীন সময়ে প্রশান্তির একমাত্র জায়গা হলো মাচা কিংবা টং। সকলেরই সুপরিচিত এই মাচার গুরুত্ব অপরিসীম। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাই

এগুলোকে আমাদের এলাকায় টং বলে।গরমকালে এগুলোতে বসে আড্ডা দেওয়া হয়। আমাদের বাসার বাইরে আগে টং ছিল। এখন আর নেই। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু

আপনি খুব সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আমাদের গ্রামেও এই রকম কয়েকটি মাচা রয়েছে। তবে আমাদের এইদিকে এই মাচাকে টং বলা হয়। গরমের সময় এই টংয়ে বসে আড্ডা দেওয়া হয়।

অনেক ধন্যবাদ আপু

মানুষ আড্ডা দিতে ভালবাসে।শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে এই বাঁশের তৈরি টং দেখা যায়।এই বাঁশের তৈরি টং শুধু আড্ডা দেয়,তা নয় গরমে শান্তি লাভের জন্য,টং বসে থাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ধন্যবাদ ভাই।

ধন্যবাদ ভাই

মাচার ব্যবহার বর্তমানেও দেখা যায়। বিশেষ করে গরমের দিনে এই সকল মাচায় বসে মানুষ আড্ডা দিয়ে থাকে কেননা এই মাচাগুলো তৈরি করা হয় গাছের নিচে তুলনামূলক ঠান্ডা পরিবেশে। মাচা নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

  ·  last year (edited)

ধন্যবাদ আপু

মাচা হলো গ্রাম- অঞ্চলের মানুষের জন্য প্রশান্তির জায়গা। এটি একটি ঐতিহ্য। আমাদের গ্রামের লোকেরা এটি টং নামে অভিহিত করে। মাচা বা টং এর ছবি গুলো অসাধারণ হয়েছে। সুন্দর করে পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।

@md-sajalislam.

20230511_105644__01.jpg

ধন্যবাদ ভাই

  ·  last year (edited)

Great post