অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগে গ্রাম- অঞ্চলে আলোর একমাত্র মাধ্যম ছিল- ঐতিহ্যবাহী হারিকেন ।

in hive-131369 •  2 years ago 

সোমবার
তারিখ - ৩০ মার্চ ২০২৩

আসসালামু আলাইকুম,

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, সকলে কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার রহমতে ভালোই আছি। স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটিতে আজ আমি ঐতিহ্যবাহী বাতি নিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব।

IMG-20230330-WA0004.jpg
ঐতিহ্যবাহী হারিকেন
ঐতিহ্যবাহী হারিকেনের ব্যবহারঃ

প্রাচীন কালে রাতের বেলা আলোর একমাত্র মাধ্যম ছিল হারিকেন। গ্রামের ভাষায় এই হারিকেনকে বাতি বলা হয়। হারিকেন হচ্ছে কেরোসিন তেলের মাধ্যমে বদ্ধ কাচের পাএে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা।হারিকেনের অন্যতম জ্বালানি উপাদান হলো কেরোসিন। হারিকেন নামটি শুনলেই অতিতের স্মৃতি মনে পড়ে যায়। হারিকেন বা বাতি গ্রামীণ ঐতিহ্য গুলোর মধ্যে অন্যতম।আগের সন্ধ্যা বেলা বাড়ির উঠানে বা বারান্দায় বসে বাতির আলো পড়তে বসতাম। রাতের অন্ধকারে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যমে ছিল হারিকেন। দোকানিরা রাতের অন্ধকারে হারিকেনের আলো জ্বালিয়ে বেচাকেনা করতো।আগের কার দিনে হারিকেন জ্বালিয়ে রাতের বেলায় সব ধরনের কাজ করা হতো।হারিকেনে কেরোসিন তেল রাখার জন্য কাচের বা প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করা হতো । এসব বোতলের গলায় রশ্নি লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হতো।

IMG-20230330-WA0008.jpgIMG-20230330-WA0010.jpg
ঐতিহ্যবাহী হারিকেন কিভাবে জ্বালানো হয়ঃ

হারিকেনের অর্ধবৃওাকার বদ্ধ কাচটিকে চিমনি বলা হয়।তেল থেকে আলো জ্বালানোর জন্য কাপড়ের তৈরি শলাকা ব্যবহার করা হয়।এই শলাকায় আগুন জ্বালানোর মাধ্যমেই আলো পাওয়া যায়। পুরো হারিকেন বা বাতিটি বহন করার জন্য উপরের অংশে একটি ধরুনি দেওয়া থাকে। এছাড়াও এর নিচে আলো বাড়ানো কমানোর জন্য একটি চাকতি থাকে। এই চাকতি দিয়েই আলো কম বেশি করা হয়।

IMG-20230330-WA0006.jpgIMG-20230330-WA0007.jpg

ছোট বেলায় সন্ধ্যাবেলা আমি হারিকেনের কাচের চিমনি মুছে তেল ঢেলে চলটিতে আলো জ্বালিয়ে বাড়ির উঠানে ভাই বোন মিলে একসাথে পড়তে বসতাম। প্রযুক্তির উন্নতি ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই হারিকেন আজ বিলুপ্তির পথে। এখন ঘরে ঘরে হাটবাজারে সর্বএই বিদুৎতের আলোর ঝলকানি।বৈদ্যুতিক বাতি সৌরবিদ্যুতের প্রভাবে নানান প্রযুক্তির ব্যবহারে হারিকেন ব্যবহার আজ আর নেই।এখন লোডশেডিং এর সময় মানুষ হারিকেন বা বাতি ব্যবহার না করে চার্জার লাইট ব্যবহার করে।এখনো গ্রামের কিছু বাড়িতে হারিকেন দেখা যায় যেগুলো ময়লা আর মরিচা পড়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

IMG-20230330-WA0009.jpgIMG-20230330-WA0005.jpg
বিলুপ্তর পথে ঐতিহ্যবাহী হারিকেনঃ

প্রাচীন কালে সব বাড়িতেই আলো জ্বালানোর জন্য হারিকেন ব্যবহার হতো।তখন সব বাড়িতেই হারিকেন দেখা যেত। পড়াশোনা থেকে শুরু করে গৃহস্থলির সব কাজে হারিকেন ব্যবহার হতো।সে সময় সন্ধ্যা নামলে কেরোসিন তেলের দোকানে মানুষ ভিড় জমাতো জ্বালানি কেরোসিন তেল নেওযার জন্য। কিন্তু বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী হারিকেন এখন শুধুই স্মৃতি। এখন লোডশেডিং হলেও হারিকেনের বদলে চার্জার লাইট সৌরবিদ্যুত ব্যবহার হচ্ছে।

IMG-20230330-WA0003.jpg

আমার লেখা পোস্ট পড়ার জন্য সকলকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন।

মোবাইলের তথ্য সংরক্ষণঃ
মোবাইলTecno 9t spark
ক্যামেরা৩৮ মেগাপিক্সেল
পোস্টের ধরণঐতিহ্যবাহী হারিকেন
লোকেশনচিরিরবন্দর গুড়িয়া পাড়া
3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpvDGTmz6yM4BdeUwpQ8vMxtR3sQse9kG46R2Lk4NBaGfzPmL5tiA85DdFd7TDvbMGaNMAY2RBgSWfNp5kM1Qjr3515gWKvjxzADBcu4.png
Vote for @bangla.witness

ধন্যবাদ,
@siza

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

হারিকেন বাতি নিয়ে অসাধারণ লেখছেন আপনি, আগের যুগের মানুষের আলোর এক মাত্র মাধ্যম ছিল এই হারিকেন বাতি, আগে সবার ঘরে ঘরে এই হারিকেন বাতি দিয়ে অনেক কাজ করতো, তবে এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় সব কিছু হারিয়ে গেছে। আমাদের বাসায় একটা হারিকেন বাতি ছিল কিন্তু এখন সেটা আর নাই, আগের মানুষ অনেক কষ্ট করে তারা রাত পার করাইতো,এখন অনেক মানুষের সুবিধা সবার ঘরে ঘরে এখন ইলেকট্রনিক আছে।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

Loading...

হারিকেন আমাদের একটি বিশেষ ঐতিহ্য। আগে যখন বিদ্যুৎ বেশি পাওয়া যেত না সেই সময় এই হারিকেন আমাদের অনেক কাজ এ ব্যবহার করা হত।হারিকেন এর আলোতে সবাই পড়াশুনা করত।হারিকেন নিয়ে বেশ চমৎকার একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

যখন বিদ্যুৎ ছিল না তখন রাতের বেলায় এই হারিকেন ছিল অন্যতম ভরসা। বর্তমানে হারিকেনের ব্যবহার নেই বললেই চলে।মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চলে গেলেও কেউ হারিকেন ব্যবহার করেনা কারণ এখন চার্জার লাইট সবার বাসায় রয়েছে। ভালো লিখেছেন শুভকামনা রইল

এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

যখন বিদ্যুৎ ছিল না গ্রামবাংলায় তখন এই হারিকেন ছিল একমাত্র উপায় আলোর। এক সময় প্রায় সব বাড়িতে হারিকেন দেখা যেত তবে বর্তমানে হারিকেন তেমন নেই বললেই চলে বা হারিকেনের জনপ্রিয়তা দিন দিন কমে যাচ্ছে। যার কারণ হলো বৈদ্যুতিক বাল্ব। খুব সুন্দর পোস্ট করেছেন আপনি লেখাগুলো খুব সুন্দর হয়েছে ছবিগুলো খুব সুন্দর তুলেছেন ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।


This post has been upvoted through Steemcurator09.

Congratulations! (1).png


Curated by - @ripon0630

প্রাচীন কাল থেকে আমাদের দেশেই হারিকেন বাতি ব্যবহার হয়ে আসছে। দুর্দিনে আমাদের দেশের সবথেকে আলোর বড় উৎস ছিল এই হারিকেন বাতি। প্রতিটি গ্রামের ঘরে ঘরে এখন বিদ্যুৎ হওয়ায় বিলুপ্ত হয়েছে হারিকেন বাতি। আপনি অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

হারিকেন আমাদের ঐতিহ্যের সাক্ষী, যখন বিদ্যুৎ ছিল না তখন মানুষের আলোর জন্য ভরসা ছিল এই হারিকেন। আমরা হারিকেনের আলো দিয়ে লেখাপড়া করেছি। বিকাল বেলা হারিকেনের কাঁচ মুছে তেল ভরে রাখতাম। এখন বিদ্যুতের কারণে এসব বিলুপ্তপ্রায়। আপনি হারিকেন নিয়ে অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

হারিকেন নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।এই হারিকেন আমাদের গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্য। প্রাচীন কালের মানুষ এই হারিকেন জালিয়ে রাতের বেলা সব কাজ করত। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের কাছে সেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ আপু।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

প্রাচীন কাল থেকে আমাদের দেশেই হারিকেন বাতি ব্যবহার রয়েছে। আগে যখন বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছিল না তখন আলোর একমাত্র মাধ্যম হিসেবে কাজ করতো এই হারিকেন। আগে সবার ঘরে ঘরে এই হারিকেন বাতি দিয়ে অনেক কাজ করতো সবাই। খাবার খেতে গেলে ও হারিকেন ব্যবহার করতে হতো তাদের। বর্তমানে হারিকেন নেই বললেই চলে। বিদ্যুতের কারণে এসব বিলুপ্তপ্রায়। আগে বিকাল বেলা হারিকেনের কাঁচ মুছে তেল ভরে রাখতাম।এবং সন্ধ্যা হলেই হারিকেন জালিয়ে দিতে হতো।এখন সন্ধ্যা হলে বিদ্যুৎ এর লাইট দিতে হয়।কালের গর্ভে সব হারিয়ে যাচ্ছে। আপনার ফটোগ্রাফি সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করা জন্য।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

ছোটবেলার কথা এখনো মনে পড়ে। সন্ধ্যার পরে যখন কারেন্ট থাকতো না তখন হারিকেন জ্বালিয়ে পড়তে বসতাম। প্রাচীনকালে প্রায় সকলের বাড়িতে হারিকেন দেখা যেত। আমাদের বাড়িতে এখনো দুটি হারিকেন রয়েছে। আপনি শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু ❤️

ধন্যবাদ ভাইয়া

হারিকেন বাতি গ্রাম বাংলার আলোর মাধ্যম ছিল। এই হারিকেন বা বাতির মাধ্যমে প্রতিটি বাড়িতে আলোর একমাত্র অবলম্বন ছিল। হারিকেনের তেল বিকেলের মধ্যে নিয়ে আসতে কারন সন্ধ্যা হলে আলোর জ্বালিয়ে বই পড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজেই আলোর প্রয়োজন। বিদ্যুৎ না থাকায় একমাত্র আলোর উৎস ছিল হারিকেন বাতি। আধুনিকতার ছোয়ায় বর্তমান সময়ে হারিকেন বাতি বিলুপ্তি প্রায়। আপনার পোস্ট পড়ে ভাল লাগল। হারিকেন বাতি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য।

হারিকেন হচ্ছে জ্বালানি তেলের মাধ্যমে বদ্ধ কাচের পাত্রে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা। এ হারিকেনের মাঝখানে অর্ধ গোলাকার কাছের কাছের মাধ্যম থাকে যাকে আমরা চিমনি বলে থাকি, এর ভিতরে থাকে তেল শুষে অগ্নি সংযোগের মাধ্যমে আলো জ্বালাবার জন্য কাপড়ের সলাকা। এই হারিকেনের শলাকাকে আমরা গ্রামে বলে থাকি সইল্তা। আর সম্পূর্ণ হারিকেন বহন করবার জন্য এর বহিরাংশে একটি লোহার হ্যান্থাডেল থাকে, আলো কমানো বা বাড়ানোর জন্য নিম্ন বহিরাংশে থাকে একটি চাকতি যা কমালে বাড়ালে শলাকা ওঠা নামার সাথে আলোও কমে ও বাড়ে। গ্রামাঞ্চলে এর ব্যবহার সর্বাধিক। আগে রাত্রে বেলা যখন আমরা ভ্যানে করে কোথাও যেতাম তখন দেখতাম ভ্যানের নিচে এই হারিকেনের ব্যবহার। বিশেষ করে যখন লোডশেডিং হয় তখন আমরা হারিকেন জ্বালিয়ে বই পড়তাম এবং নানা রকমের কাজ করতাম। ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেয়ার জন্য।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

ঐতিহ্যবাহী হারিকেন বাতি। আধুনিকতার ছোয়ায় হারিয়ে গেছে হারিকেন বাতি। আগে সবার ঘরে ঘরে এই হারিকেন বাতি পাওয়া যেত। বাট এখন পাওয়া যাবে না। এই বাতি দিয়ে আগে রাতের সব কাজ করা হত।আমি আগে নিজেই এই বাতি দিয়ে রাতে বই পড়ছি। আপনি খুব সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। ধন্যবাদ আপু

ধন্যবাদ ভাইয়া