কলকাতার একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা- ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল

in hive-131369 •  last year 

1000037331.jpg

কলকাতার অন্যতম সেরা পর্যটন আকর্ষণ হল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল। এটি ভারতের ব্রিটিশ সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়ার স্মরণে নির্মিত হয়েছিল। কলকাতায় এরকম অবিস্মরণীয় কাঠামো আর দ্বিতীয়টি নেই। বর্তমানে, এই ঐতিহাসিক মেমোরিয়াল হলটি ভারতে ব্রিটিশ শাসনের একটি স্মারক যাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

20190507_172454.jpg

20190507_170445.jpg

রাণী ভিক্টোরিয়া ১৯০১ সালে ৯৪ বছর বয়সে পরলোক গমন করেন। তিনি ৬৩ বছর ধরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শাসন করেছিলেন। তিনি একই সাথে ব্রিটেনের রাণী এবং ভারতের সম্রাজ্ঞী ছিলেন। ভাইসরয় লর্ড কার্জন দীর্ঘ সময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শাসন করা রাণী ভিক্টোরিয়ার স্মরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের পরিকল্পনা করেন।

20190507_170441.jpg

20190507_170432.jpg

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালটি একটি ঔপনিবেশিক স্থাপত্য শৈলীতে ডিজাইন করা হয়েছে, তবে ভবনটিতে মুঘল এবং ইসলামিক স্থাপত্যের নিদর্শন রয়েছে। ভবনটিতে ইতালীয় শৈলীর মূর্তি, মুঘল শৈলীর গম্বুজ, সাদা মার্বেলের ব্যবহার, তাজমহল শৈলীর স্থাপত্যের ব্যবহার ইত্যাদি রয়েছে। তাজমহল এবং ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের মধ্যে একটি কাকতালীয় মিল হল যে দুটি কাঠামো দুটি সম্রাজ্ঞীর স্মরণে নির্মিত হয়েছিল।

20190507_162930.jpg

20190507_163531.jpg

স্যার উইলিয়াম এমারসন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মূল কাঠামো ডিজাইন করেছিলেন, যা উত্তর আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্ট সিটি হলের আদলে তৈরি করা হয়েছিল। স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয় কলকাতার মেসার্স মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানির ওপর। লর্ড কার্জনের নেতৃত্বে এই স্থাপনার কাজ শুরু হয়। এই মেমোরিয়াল হলটি 1921 সালে রাজা অষ্টম এডওয়ার্ড উদ্বোধন করেন।

20190507_174546.jpg

20190507_170956.jpg

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে অনেকগুলো গ্যালারি রয়েছে। এই গ্যালারিগুলোতে ঐতিহাসিক অনেক নিদর্শন আছে। এখানে রাণীর অনেক স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষিত আছে। এগুলো সকল পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এছাড়া এখানে ব্রিটিশ শাসনের অনেক নিদর্শন রয়েছে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখতে খুবই আকর্ষণীয় কারণ এটি নির্মাণে শ্বেত মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হয়েছিল।

20190507_171002.jpg

বাংলাদেশ থেকে কলকাতা মেমোরিয়াল হল যেতে আপনাকে প্রথমে কলকাতা যেতে হবে। বাংলাদেশ থেকে কলকাতার দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। আপনি বাস, প্লেন অথবা ট্রেনে কলকাতা ভ্রমণ করতে পারেন। কিন্তু প্লেনে ভ্রমণ করলে আপনার সময় বাঁচবে এবং ভ্রমণের ক্লান্তি কমবে। যারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন তাদের জন্য কলকাতা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে হতে পারে আদর্শ ভ্রমণস্থল।

লোকেশনG8VV+X27 Kolkata, West Bengal, India

রেফারেন্স

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

কলকাতা গেছিলি কবে?

যাই নাই এখনো। গেলে তো জানবু

Congratulations, your post is upvoted by CCS curation trail from CCS - A community by witness @visionaer3003.

png_20230714_223610_0000.png

"Home is where your heart is !❤️."

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81LgoDfTovZFjKgw6zMQtAnAPjGMC8RWTcjJfJscBJfnwR4Gi8DzYa91VcGQiVQ6nybhCecG6tn97bGn4jfYjj26.png
Vote for @visionaer3003 as witness.

Congratulations, your post is upvoted by CCS curation trail from CCS - A community by witness @visionaer3003.

png_20230714_223610_0000.png

"Home is where your heart is !❤️."

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81LgoDfTovZFjKgw6zMQtAnAPjGMC8RWTcjJfJscBJfnwR4Gi8DzYa91VcGQiVQ6nybhCecG6tn97bGn4jfYjj26.png
Vote for @visionaer3003 as witness.

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল দেখতে তো মারাত্নক সুন্দর ভাই। রানীর স্মরণে এতো এতো সুন্দর স্থাপনা পৃথিবীতে আর হয়ত নাই। শ্বেত পাথর দিয়ে বানানোর কারনেই হয়ত দেখতে বেশি সুন্দর লাগছে। অতি সিগ্রয় কলকাতা জাওয়ার প্লান করতেছি ভাই।

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাই, ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখার মতো। কলকাতার বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্থাপনা হলো এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল।জেনে ভালো লাগলো যে ইসলামের স্থাপত্যের নির্দেশনা রয়েছে। এবং অনেকগুলো গ্যালারি রয়েছে, যে গ্যালারিতে ইতিহাস ঐতিহ্যের অনেক সাক্ষী রয়েছে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল শ্বেত মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। যদি কখনো কলকাতা যাওয়ার সৌভাগ্য হয়, তাহলে অবশ্যই ঘুরে দেখে আসবো ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

কলকাতার বিখ্যাত ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল অনেক পড়েছি বইয়ে অনেক দেখেছি টিভিতে কিন্তু কখনো যাওয়ার সুযোগ হয়নি।ভারত উপমহাদেশের কিছু কিছু ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার মধ্যে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল অন্যতম।রানী ভিক্টোরিয়ার স্মরণে এটি তৈরি করা হয়েছে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর বাইরে যেমন সুন্দর তেমনি এর ভেতরও অতি আকর্ষণীয়।দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আপনি কি কলকাতায় গিয়েছিলেন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখতে?

আপনার ফটোগ্রাফি নিয়ে নতুন করে তেমন কিছু বলার নেই। আপনি বরাবর এত চমৎকার ফটোগ্রাফি করে থাকেন যা আমাদের বেশ ভালো লাগে। আমি আপনার এই ফটোগ্রাফি দেখে বেশ অনুপ্রাণিত হই। আমিও চেষ্টা করি এভাবে আপনার মত ফটোগ্রাফি করার। আপনি কলকাতা নিয়ে বেশ পজেটিভ কিছু তথ্য এবং কলকাতার বেশ ঐতিহ্যবাহী একটি মেমোরিয়াল হলের কথা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনি এই পোস্টে এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল নিয়ে বেশ কিছু তথ্য আমাদের জানিয়েছেন। যে তথ্যগুলো আমরা আসলে জানতাম না আপনি চমৎকার কিছু তথ্য কালেকশন করেছেন এবং আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। যা বেশ ভালো লাগলো। আমারা আশা করি আমরা কোনদিন কলকাতায় ঘুরতে গেলে এখানে অবশ্যই ঘুরতে যাব। তবে আমাদের সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা ইচ্ছে করলেও যেখানে সেখানে ঘুরতে পারি না কারণ আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা সেভাবে উন্নত নয়। যে আমরা মন চাইলে যে কোন স্থানে ঘুরতে যাব। আমাদের কোন স্থানে ঘুরতে গেলে অনেক চিন্তা ভাবনা করে যেতে হয়। আমরা বাড়ি থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে গেলেও অনেক চিন্তা ভাবনা করে বের হই। এজন্য আমাদের এসব স্থানে যাওয়ার সৌভাগ্য হবে কিনা জানা নেই। এখানকার কিছু জিনিস মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে যা খুবই মূল্যবান স্থাপনা। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি বিষয় আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য। আপনি বেশ বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এই বিষয়টি নিয়ে। আপনি বেশ চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

অসাধারণ একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। কলকাতায় অবস্থিত এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল আসলেই চমৎকার একটি স্থাপনা। তবে এই হল সম্পর্কে আগে আমার জানা ছিল না। রানী ভিক্টোরিয়ার স্মরণে ৯০ দশকে নির্মিত এই হলটি সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। রানী ভিক্টোরিয়া সম্পর্কে কমবেশি আমরা সকলেই জানি।আপনার পোস্টটি পড়ে এ হল সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য গুলো জানতে পারলাম। প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।