বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

in hive-131369 •  last year  (edited)

bangladesh-4866534_1280.webp
Source

স্বাধীনতা প্রতিটি মানুষের কাছে পরম আকাঙ্ক্ষিত একটি বিষয়। পরাধীনতায় বেঁচে থাকা কোন জাতির কাছেই কাম্য নয়। পৃথিবীতে অনেক সংগ্রামী দেশ আর জাতি আছে যারা স্বাধীনতার জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবস এদেশের রক্তঝরা ইতিহাসের স্বাক্ষী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হল ২৬ মার্চ। স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীন ভাষায় কথা বলার জন্য বাঙালিদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে।

বাংলাদেশের আপামর জনগোষ্ঠি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। তখন বাঙালিরা যে সাহসিকতা এবং প্রত্যয়ের সাথে সবকিছুর মোকাবেলা করেছে, তা বাঙালি জাতিকে বিশ্বের কাছে বীরের জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। অধিকার বঞ্চিত মানুষেরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য রক্ত ঝরিয়েছেন। স্বাধীনতা দিবসের চেতনা বাঙালির কাছে অমর এবং তাৎপর্যপূর্ণ।

২৬ মার্চের পটভূমি

বাংলাদেশের মানুষের কাছে ২৬শে মার্চের স্বাধীনতা দিবসটি যেমন গৌরবের ঠিক তেমন এ দিবসের সাথে মিশে আছে বাঙালি জাতির আবেগ। এদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে পদলিত করার যে কুপ্রচেষ্টা, তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ মার্চে বাংলাদেশকে স্বাধীন দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

ব্রিটিশদের দ্বারা প্রায় দুইশত বছর শোষিত হওয়ার পর আমরা ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হই । কিন্তু স্বাধীনতার কোন সুফল বাঙালি জাতি ভোগ করতে পারেনি। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বহুল মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয় বাঙালি জাতি। সবকিছুর অবসান ঘটে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মাধ্যমে।

flag-2525861_1280.jpg
Source

যদিও এ বিজয় অর্জনের জন্য বাংলাদেশের মানুষকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে কালো রাত্রি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কারণ এদিন রাতে পাক হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত বাঙালি জাতির উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলায় অনেক বুদ্ধিজীবী নির্মমভাবে প্রাণ হারান। এ হামলার মাধ্যমে বাঙালিদের মেধাশূন্য করে দেয়ার একটি জঘন্য প্রচেষ্টা করা হয়েছিল।

এ রাতেই গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তবে গ্রেফতার হওয়ার কিছু আগেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন এবং বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা করেন এবং সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে পাক সৈন্যদের উৎখাত করার আহবান জানান। তাঁর এই ঘোষণার উপর ভিত্তি করে ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়।

২৬শে মার্চকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা

bangladesh-2128620_1280.jpg
Source

বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়, যেখানে ২৬ মার্চকে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা এবং সরকারি ছুটির ব্যাপারটি ঘোষণা করা হয়।

বাঙালি জাতির বিকাশে স্বাধীনতা দিবসের অবিস্মরণীয় অবদান আজীবন ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছু জানার আছে। আমাদের মাতৃভাষা "বাংলা", স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে আমরা নিজ ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছি।

যদি বাংলাদেশ স্বাধীন না হত তাহলে বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারতাম না, আমাদের পরাধীন থেকেই জীবন কাটাতে হত। মনের ভাব প্রকাশে ভাষা খুব গুরুত্বপূর্ণ, আর স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে আমরা নিজ ভাষায় কথা বলতে পারি। বাঙালি জাতি তথা বাংলা ভাষার উত্থানে এ দিনটির ভূমিকা ছিল অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

পরিশেষে এটা বলা যায় যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস "২৬শে মার্চ" বাংলাদেশ তথা বাঙালি জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

২৬ এ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা। ২৬ এ মার্চ নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর উপস্থাপন করছেন ভাই। যথেষ্ট ভালো হয়েছে আপনার উপস্থাপনা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ ভাই

২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। এই দিনটিকে ঘিরে বাংলাদেশের অনেক বড় ইতিহাস রয়েছে। তাই ২৬শে মার্চ এই দিনটি বাঙালি জাতি প্রতিবছর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে। অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনাকেও ধন্যবাদ।

স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রাম অর্জিত হবে জাতির সার্বিক কল্যানের সঙ্গে জড়িত হয়ে। বাঙালী জাতির ২৬ শে মার্চ দিনটি ছিল গৌরব এবং শোকের। স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছে বাঙালী জাতিকে দীর্ঘ দিন সংগ্রাম আর দিতে হয়েছে রক্তাক্ত প্রাণ। বাঙালি জাতির প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি আর বাংলা ভাষায় কথা বলার সুযোগ। ২৬ চে মার্চ গোঠা বাঙালি জাতীর চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে আজীবন। আপনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাই। শুভকামনা রইল ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

স্বাধীনতা দিবস নিয়ে আপনি অত্যন্ত চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের দেশের স্বাধীনতা, জন্ম নিয়েছে আমাদের প্রিয় দেশ বাংলাদেশ। ২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের মানুষের কাছে অবিস্মরণীয় নিয়ে একটি দিন যা পুরো জাতি আনন্দের সাথে উদযাপন করে থাকে।

ধন্যবাদ।

২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস এই দিনটি হল আমাদের বাঙালি জাতির জন্য একটি গৌরবময় দিন।আর এই দিন সম্পর্কে আপনি খুব সুন্দর ভাবে লিখেছেন।আপনার পোস্টে আমি পড়লাম শেষে খুব সুন্দর কথা লিখেছেন, যে আমরা যদি স্বাধীন না হতাম তাহলে কি কি আরো সহ্য করতে হতো আমাদেরকে। খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস।২৬ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম ভাবে হত্যা হয় আমাদের দেশের মানুশ। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মহান স্বাধীনতা দিবস নিয়ে লেখার জন্য।

ধন্যবাদ ভাই।

Loading...

অনেক সুন্দর লেখছেন ভাই আপনি,,২৬ শে মার্চ আমাদের দেশ স্বাধীন হয়,২৬ শে মার্চ অনেক মানুষ রক্ত ঝড়িয়েছে।আজকে তাদের জন্য আমরা সুন্দর একটা দেশে সুন্দর ভাবে সুন্দর একটা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারতেছি, ২৫ শে মার্চ কালো রাত বলা হয়, কারন ঐ রাতে হানাদার বাহিনি ঘুমান্ত বাঙালি জাতির উপর হামলা চালায় আর ওই হামলাতে অনেক মানুষ নির্মমভাবে প্রাণ হারায়, আপনার পোস্ট পরে খুব ভালো লাগলো ভাই, আপনি অনেক সুন্দরএকটা পোস্ট করেছেন, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই স্বাধীনতা দিবস সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ পালিত করা হয়। ছাব্বিশে মার্চ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত কিছু জানতে পারলাম আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে। ধন্যবাদ আমাদের বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ একটা দিবস নিয়ে আলোচনা করার জন্য।