সোনালী অতীতের একমাত্র অবলম্বন হারিকেন বাতি

in hive-131369 •  2 years ago 

প্রিয় ব্লগারবৃন্দ,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন আপনারা?আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভাল আছি।

পুরনো দিনের বা প্রাচীনকালেই হারিকেন বাতি প্রভাব ছিল। হারিকেন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক স্বরুপ। প্রাচীনকালে বিদ্যৎবিহীন গ্রামগঞ্জে আলোর চাহিদা মেটাতে বা অন্ধকার থেকে বাঁচার বা দুর করার জন্য একমাত্র পন্থা ছিল হারিকেন বাতির আলো। কালের বিবর্তনে আধুনিকতার যুগেই হারিকেন আজ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। হারিকেনের প্রভাব এখন নেই বললেও চলে।

IMG-20230305-WA0009~2.jpg

বাঙ্গালির একমাত্র অবলম্বন ছিল হারিকেন যার মাধ্যমে রাতের অন্ধকার দুর করতে এক সময় গ্রামগঞ্জে মানুষের আশা আলো ছিল হারিকেন বাতি। হারিকেন বাতির একমাত্র জ্বালানি ছিল কেরোসিন। এক সময়ে দেখা স্বল্প আলোর অভাবে হারিকেন বাতি জ্বালিয়ে সব ধরনের অনুষ্ঠানে করা হতো। হারিকেন জ্বালিয়ে আগে সব রকমের কাজ করতে হতো। আগের সময়ে দেখা যেত হারিকেন জ্বালানি হিসেবে কেরোসিন আনার জন্য কাচের বোতল ব্যবহার করা হত। রাতের অন্ধকার দুর করতে সন্ধ্যার আগেই হারিকেন বাতি পরিষ্কার করে নেয়া হত। হারিকেন বাতি কাচ মুচে রাখা হত এরপর সন্ধ্যা হলে প্রতিটি বাড়িতে হারিকেন বাতি জ্বালিয়ে দিত।

IMG-20230305-WA0004.jpgIMG-20230305-WA0005.jpg

হারিকেন সাধারণত টিনের তৈরি দুটো খুঁটি,কাচের চিমনি বিশিষ্ট প্রদীপ বলি আমরা। তবে কাচের তৈরি চিমনি দেখতে বেশ আনারসের মতো এবং নীচের অংশটি টিনের তৈরি তেলের টাংকি দিয়ে আবব্ধ। কেরোসিন তেল ঢালা হত। হারিকেনের মাঝখানে থাকত ফিতে তবে গ্রাম্য ভাষায় বলা হত পলতে বা শৈলতে। এই ফিতা শৈলতে ট্যাংকের তেলের মধ্যে চতুর্থাংশ ডুবে রাখা হত। কিন্তু বাকি অংশ কাচের মাধ্যমে আবব্ধ থাকত।দিয়াশলাইয়ের মাধ্যমে আগুন জ্বালালে কাচ ভেদ করে আলো ছড়িয়ে পড়ত এতে করে অন্ধকার দুর হতো।

IMG-20230305-WA0000.jpg

ছোটবেলার স্মৃতি হিসেবেই হারিকেন বিশেষ ভূমিকা পালন করে। রাতের অন্ধকারে পথ চলাচল করা হতো হারিকেন বাতি। হারিকেন জ্বালিয়ে বই পড়া হতো তখনকার সময়ে বিদ্যুৎ না থাকায় দেখা যেত অনেক সময় কেরোসিন না থাকায় অন্ধকারে থাকতে হয়েছে । তবে হারিকেন বাতি গ্রামগঞ্জের আর্শীবাদ স্বরুপ ছিল। আধুনিকতার ছোঁয়ায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে এই হারিকেন বাতি । বৈদ্যুতিক বাতি,চার্জার ও সৌর বিদ্যুতে ব্যবহারের কারনে হারিকেন বাতির ব্যবহার আজ আর দেখা মিলে না। বর্তমান সময়ে হারিকেন বাতি গ্রামগঞ্জে কোন কোন বাড়িতে থাকলেও হারিকেন বাতি ব্যবহার না করায় সেগুলোতে ময়লা আর মরিচা পড়ে ব্যবহার করা হয় না।



পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

হারিকেন বাতি আমাদের গ্রাম বাংলার এক সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস ছিল, আমরা হারিকেন বাতি দিয়ে রাতের কাজ করতাম,তবে এখন কারো বাসায় এই হারিকেন বাতি দেখা যায় না। এই ঐতিহ্য আমাদের কাজ থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে, আপনি অনেক সুন্দর লেখছেন হারিকেন বাতি নিয়ে, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

পুরানো দিনের বাতিম এই বাতির সাথে কত সৃতি যে জড়িত আছে কত জনের। আমি এই হারিকেন বাতি নিয়ে রাতে মাছ ধরতে জাইতাম। আগেকার দিনে প্রায় সকল বাড়িতে এই বাতি ছিলো কিন্তু এখন আর নাই। প্রযুক্তির ভিড়ে আজ বিলুপ্তি প্রায়।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

হারিকেন আগের মানুষদের সবসময় রাতের সঙ্গী হিসেবে ছিল। হারিকেন ছারা মানুষ অচল ছিল এক ঐ সময়। বিদ্যুৎ চলে গেলে আমরা হারিকেন জ্বালিয়ে ভাত খাইতাম। আমাদের বাসায় হারিকেন বাতি ছিল, এখনো আছে আমি আমাদের হারিকেন নিয়ে একদিন পোস্ট করবো। আমাদের বাড়িতে যখন হারিকেনের ব্যবহার তখন আমি ঐ হারিকেনের ইঞ্জিনিয়ার ছিলাম। অর্থাৎ আমাকে প্রতিদিন জ্বালাতে হতো। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ছবি গুলো তুলছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাই।

আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজকে আলোচনা করেছেন। হারিকেন এর কথা বললেই মনে পড়ে যায় ছোটবেলার সেই সন্ধ্যেবেলা গুলো। সন্ধ্যা বেলায় গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই হারকিন জ্বালিয়ে বাড়ি ঘর আলোকিত করা হতো। কিন্তু বর্তমানে এই হারকিনের ব্যবহার একদম নেই বললেই চলে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে।

ভাল মতামত পোষণ করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

আগে গ্রামে গাঁয়ে এই হারিকেন দেখা যেত।আগে কারেন্ট ছিল না এজন্য হারিকেন এর ব্যবহার হতো। পড়ালেখা করার জন্য, রাতে খাবার খাওয়ার জন্য হারিকেন ব্যবহার হতো। এখন সবার ঘড়ে ঘড়ে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে।যার কারণে সবার ঘড়ে ঘড়ে আছে আলো। আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন, আপনার পোস্ট পড়ে আমার আগের কথা মনে পড়ে গেল। আপনার পোস্ট পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।

সুন্দর একটি মতামত কমেন্টের মাধ্যমে প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

মানুষের বিদ্যুৎবিহীন জীবনের রাতের অন্ধকার এর আলো দেখার একমাত্র মাধ্যম ছিলো এই হারিকেন, নব্বই দশকের ছেলে মেয়েরা এই হারিকেন এর আলোতে পড়াশোনা করতো, বিকালে হারিকেন এর গ্লাস মুছে রাখা ও তৈল ভরার দ্বায়িত্ব ছিলো আমার, আপনি অনেক সুন্দর লিখছেন, ধন্যবাদ সোনালী অতীত মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য

ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

CategoryYes ✅ / No ❌
Club Status
plagiarism-free
#steemexclusive
Verified user
Bot-free
300 Words

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.


Regards
shamimhossain (Moderator)

আগে গ্রামে গাঁয়ে এই হারিকেন দেখা যেত।আগে কারেন্ট ছিল না এজন্য হারিকেন এর ব্যবহার হতো।এই হারকিন জ্বালিয়ে আমি অনেক বই পড়ছি।হারিকেন বাতি আমাদের গ্রাম বাংলার এক সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস ছিল, আমরা হারিকেন বাতি দিয়ে রাতের কাজ করতাম,তবে এখন কারো বাসায় এই হারিকেন বাতি দেখা যায় না। আপনাকে ধন্যবাদ।

আগে গ্রামে গাঁয়ে এই হারিকেন দেখা যেত।আগে কারেন্ট ছিল না এজন্য হারিকেন এর ব্যবহার হতো।এই হারকিন জ্বালিয়ে আমি অনেক বই পড়ছি।হারিকেন বাতি আমাদের গ্রাম বাংলার এক সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস ছিল, আমরা হারিকেন বাতি দিয়ে রাতের কাজ করতাম,তবে এখন কারো বাসায় এই হারিকেন বাতি দেখা যায় না। আপনাকে ধন্যবাদ।

প্রাচীন কালের মানুষ হারিকেন জালিয়ে রাতের বেলা সব কাজ করত। এমনকি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া আসা করত। এটি আমাদের গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্য। হারিকেন নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছে। সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন।সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

যখন বিদ্যুৎ ছিল না তখন এর গুরুত্ব বোঝা যেত। হারিকেন ব্যবহারে একটা সুবিধা ছিল বাতাসেও এটি নিভতো না। বর্তমানে হারিকেন এর ব্যবহার একেবারেই দেখা যায় না। এক সময় হয়তো জাদুঘরে যেয়ে দেখতে হবে। ভালো লিখেছেন শুভকামনা রইল

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি কমেন্টের মাধ্যমে উৎসাহ দেয়ার জন্য।