কালের আর্বতে হারিয়ে যেতে বসছে কামারশিল্প

in hive-131369 •  2 years ago 
স্টিম ফর ট্রেডিশন

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ।আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও মহান আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি।কামারের হাতে তৈরি দা,ছুরি,কোদাল, বটি, কাস্তে ইত্যাদি যাবতীয় জিনিসপত্র লোহাকে পিটিয়ে বানিয়ে থাকে।কামারের তৈরি জিনিসপত্র গুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়ত কাজে লাগে।

IMG_20230608_100925.jpg

কামার নামটি আমাদের সকলের জানা এটি একটি প্রাচীন পেশা যার কাজ হচ্ছে লোহার জিনিসপত্র বানানো।গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার করা হয় লোহাজাত সামগ্রী । হিন্দু সমাজের কিছু শূদ্র সম্প্রদায়ের লোক কামার পেশা জড়িত প্রাচীনকাল থেকেই। আগেকার সময়ে দেখা যেত ঘরবাড়ি,, কৃষি-যন্ত্রপাতি কামারের দ্বারা বানানো হতো। আমাদের গৃহস্থালি কাজে কৃষি সামগ্রীর মধ্যে অন্যতম হলো দা,কোদাল,কুড়াল,কাস্তে,বটি ও খন্তি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য ছিল।

IMG_20230704_115408.jpg
IMG_20230608_100917.jpg
IMG_20230608_100917.jpg

আধুনিকতার ছোঁয়ায় কামার শিল্প অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। অনেক কামার আছে অতি কষ্টে জীবন-যাপন করে দিন পার করছে। অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাস এলেই কামারের মুখে হাসি দেখা যায়।এই দুই সময়েই দেখা যায় কৃষকদের ধান কাটার দৃশ্য। কৃষকেরা তারা তাদের ধান কাটার সামগ্রী বলতে কাস্তে ধার দিয়ে থাকে। এই সময়ে দেখা যায় লোহা পিটানো। অনেক দুর থেকে কানে ভেসে আসে লোহার পিটানোর আওয়াজ। কৃষকদের কাস্তে ধার দেয়ার সময় ও পেতো না কামরা। একটি কাস্তে ধার দেয়া ৫০ টাকা করে। আবার বড় কাস্তে ধার দেয়া ১০০ টাকা করে। যেমন কাস্তে তেমন দাম নেয়। আর এই দুই মৌসুমে দেখা যেমন কৃষকদের কাস্তে ধার দেয়ার আনাগোনা। ঠিক তেমনি কামারদের মুখে হাসি ফোটানো দিন। আবার বর্তমান সময়ে যেমন খড় কেটে দেয়ার জন্য বেরিয়ে আধুনিক যন্ত্র নাম হলো খড় কাটার মেশিন। এই মেশিনে খড় কেটে টুকরো টুকরো করে। খড় কাটা মেশিনে দা লাগানো থাকে। দায়ের ধার না থাকলে কামারের কাছে ধার করা হয়। এতে করে বোঝা যায় কামার শিল্প আছে বলেই আমাদের কাজ গুলো সহজ হচ্ছে। ইরি ও আমন মৌসুমেই কামারেরা টাকা উপার্জন করে বেশি। এছাড়া এমনি সময়ে তাদের উপার্জন একেবারেই যে নেই তা নয়।

নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার মাঝে আমাদপর সকলকে কামার শিল্পকপ টিকিয়ে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। কামারেরা তাদের মাথার ঘাম পায়ের ফেলে শরীরের রক্ত পানি করে পরিশ্রম করে। কামার শিল্প প্রাচীনকাল থেকেই এখন পর্যন্ত প্রচলিত আছে ভবিষ্যতেও টিকপ থাকবে। আমার পোস্টে কোনরকমের ভূলুণ্ঠিত হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। এই ছিল আমার কামার শিল্প নিয়ে আজকের পোস্ট।

IMG_20230704_115450.jpg

ডিভাইজ সংক্রান্ত তথ্যঃ


ডিভাইসরেডমি ১০ সি
ক্যামরা৫০ মেগাপিক্সেল
ফটোগ্রাফার@tamannafariah
লোকেশনভবের বাজার,পার্বতীপুর

4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png

পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কামার শিল্পে নিয়ে অনেক ভালো লিখেছেন। এই পেশার সাথে জড়িত লোকজন অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। একটা সময় হাটবাজারে অনেক কামার দেখা যেত।বর্তমানে খুবই কম সংখ্যক দেখা যায়। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো হয়েছে আপু। শুভকামনা রইল

আমাদের বাসা বাড়িতে ব্যবহারকৃত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরি করে থাকে কামার যেমন: দা, বটি কুড়াল ইত্যাদি বর্তমানে এই শিল্পের সাথে জড়িত লোকদের কম দেখতে পাওয়া যায় কারণ বিভিন্ন কারখানায় এসব যন্ত্রপাতি তৈরি করা হইতেছে। সুন্দর ছবি তুলেছেন।

ধন্যবাদ।

কামার শিল্প আমাদের প্রয়োজনীয় একটি শিল্প, কামারের তৈরি আসবাবপত্র যা আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সঙ্গী। কালের বিবর্তনে এখন কামাররা আধুনিক হয়ে উঠেছে। আগে বাতাসের সাহায্যে কয়লা গরম করে সেটাতে পুরিয়ে লোহা উত্তপ্ত করা হতো, এখন গ্যাসের সহায়তায় লোহা পুরায়। সুন্দর লিখছেন আপু অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

কামারশিল্প আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। কামারদের তৈরি লোহার জিনিস ছাড়া আমাদের চলে না। লোহার তৈরি হাতিয়ার ছাড়া অনেক কাজ সম্পন্ন হয় না। আশা করি এগুলো আরো অনেকদিন টিকে থাকবে।

ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।

এই কামারের দোকানটি আমাদের কুতুবডাঙ্গা বাজারে অবস্থিত। দ্য বটির ধার যদি কমে যায় তখন আমি নিয়ে যাই সেখানে ধার দেওয়ার জন্য।আপনি কি কখনো কুতুবডাঙ্গা বাজারে এসেছেন? নানান রকম প্রতিবন্ধকতার জন্য এই কামার শিল্প বর্তমানে অনেকটা বিলুপ্তির পথে। দারুন লিখেছেন আপু ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যা।ধন্যবাদ।

Loading...

আগে সব কিছু মেনুয়ালি করা হইতো৷ তবে এখন প্রযুক্তির সয়াহতা নিচ্ছেন কামাররা। কামারদের কাজে সর্ব প্রথম কয়লা প্রয়োজন৷ আগে দেখেছিলাম৷ একজন একটা জিনিস দিয়ে কয়লায় বাতাস দিতেন আর লোহা গরম করতেন৷

ধন্যবাদ।

আসলেই এই কামার শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে। আগে মানুষ কামারের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস বানিয়ে নিয়ে আসতো। আর এখন এর বিকল্প হিসাবে অনেক আধুনিক জিনিস বের হয়েছে আর মানুষ এখন সেগুলোই ব্যবহার করে। কামার শিল্প নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন আপু।

কামারেরা হাতে বানানো দা,কুড়াল,ছুরি, বটি ইত্যাদি যাবতীয় জিনিসপত্র পাওয়া যায়। তবে ইরি ও আমন এই দুই মৌসুমে কাস্তে ধার দেয়া জম্য কামারেরা অনেক ব্যস্ততায় দিন পাড় করিয়ে দেয়। কামারশিল্প আছে বলেই লোহার জিনিসপত্র গুলোর চাহিদা এখনও আছে।

কামারশিল্প নিয়ে অসাধারণ লেখছেন আপনি।কামারশিল্প কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে।আগের যুগে কামার শিল্প অনেক ছিল।আপনি সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

কামারদের হাতে পিটানো দা বটি কুড়াল শক্ত মজবুত হয়ে থাকে। আমাদের এলাকায় কামার শিল্প রয়েছে যেখানে 15 থেকে 20 জন শ্রমিক কাজ করে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

কামার আমাদের দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। কামার শিল্পের মাধ্যমে আমাদের বসতবাড়ির বিভিন্ন জিনিসপত্র ধার দেওয়া এবং তৈরি করে থাকে।