মজাদার মিষ্টিকুমড়া বীজের রেসিপি

স্টিম ফর ট্রেডিশন

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ।কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয়ই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আজ আমি "মিষ্টিকুমড়া বীজের ভাজি" রেসিপিটি শেয়ার করছি। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।

মিষ্টিকুমড়া একটি গ্রীষ্মকালীন সবজি।এটাকে ফলও বলা যেতে পারে। প্রতিবছরই আমরা মিষ্টিকুমড়া খেয়ে থাকি। মিষ্টিকুমড়ার উল্লেখযোগ্য কিছু রেসিপি রয়েছে। এমনকি মিষ্টিকুমড়ার আচারও তৈরী করা হয়। আমার বড়আম্মু বেশ কয়েক বছর আগে মিষ্টিকুমড়ার আচার বানিয়ে আমার দাদীর জন্য পাঠিয়েছিলেন।তখন আমি খেয়েছিলাম মিষ্টিকুমড়া র আচার।এটা বেশ ভালই লেগেছিল। যাহোক এসব কথা বাদ।আমরা যখন মিষ্টিকুমড়া রান্না করি তখন এর বীজগুলো ফেলে দেই বা পরের বছর পুনরায় গাছ লাগানোর জন্য বীজগুলো সংরক্ষণ করে রাখি।গ্রামাঞ্চলে এই বীজগুলো শুকিয়ে পোটলায় বেঁধে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। আবার অনেকেই এই বীজগুলো ভেজে খায়।এ জাতীয় অন্যান্য সবজি যেমন লাউ,চালকুমড়া,ঝিঙ্গা এদের বীজ কিন্তু ভেজে খাওয়া হয় না। শুধুমাত্র শিম ও মিষ্টিকুমড়ার বীজ খাওয়া যায়। এগুলো মূলত একটি মুখরোচক খাবার। বৃষ্টি হলে বা বিকেলের আড্ডায় এসব খাবার খাওয়া হয়।আমাদের বাসায় আমরা যখন মিষ্টিকুমড়া রান্না করি তখন এর বীজগুলো ভেজে খাই।তো চলুন কথা না বাড়িয়ে রেসিপিটি শুরু করা যাক।

প্রয়োজনীয় উপকরণ

• মিষ্টিকুমড়ার বীজ
• লবন
• হলুদ
• সয়াবিন তেল

কার্যপ্রণালী

ধাপ ১

প্রথমে আমি মিষ্টিকুমড়ার বীজগুলো সংগ্রহ করে নেই।এজন্য আমি একটি ছোট সাইজের মিষ্টিকুমড়ার সবগুলো বীজ তুলে নেই।তারপর এগুলো একটি পাত্রে রাখি।তারপর এগুলো থেকে মিষ্টিকুমড়ার মাঝখানে যে শিরগুলো থাকে সেগুলো আলাদা করে নেই।

ধাপ ২

এরপর আমি পরিষ্কার পানি দিয়ে বীজগুলো ধুয়ে নেই।মিষ্টিকুমড়ার বীজগুলো খুবই পিচ্ছিল হয়ে থাকে যার কারণে ধোয়ার সময় একটু অসুবিধা হয়।হাত থেকে বারবার পিছলে যায়।

ধাপ ৩

এরপর ধুয়ে নেওয়া বীজগুলোতে হাফ চা চামুচ পরিমাণ খাবার লবণ দিয়ে দিলাম।

ধাপ ৪

এরপর বীজগুলোতে হাফ চা চামুচ হলুদের গুড়ো দিয়ে দিলাম।

ধাপ ৫

সবগুলো উপকরণ দেওয়ার পর আমি হাত দিয়ে ভালভাবে মেখে নিলাম যাতে সবগুলো বীজে সব উপকরণ সমানভাবে মিশে যেতে পারে।

ধাপ ৬

এরপর চুলায় কড়াই বসিয়ে দিলাম। তারপর কড়াই গরম হওয়ার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম।কড়াই গরম হয়ে এলে তাতে সবগুলো বীজ ঢেলে দিলাম।

ধাপ ৭

এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম যেন বীজ থাকা সবগুলো পানি ভালভাবে শুকিয়ে যায়।মাঝে মাঝে একটু নেড়ে দিলাম।

ধাপ ৮

এরপর সবগুলো পানি ভালভাবে শুকিয়ে এলে আমি অল্প পরিমাণে সয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম। আপনারা বীজের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে সবগুলো উপকরণ দেওয়ার চেষ্টা করবেন।এসময় চুলায় তাপ খুবই কম রাখতে হবে কারণ এগুলো সহজেই পুড়ে যায়। তাই এদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।

ধাপ ৯

তেল দেওয়ার পর অনবরত নাড়তে হবে।চারিদিকে ভালভাবে নাড়তে নাড়তে ৩-৫ মিনিটের মধ্যে দেখা যাবে যে এগুলোর গায়ে সোনালী রং চলে এসেছে এবং হালকা পোড়া পোড়া দাগ এসেছে।

ধাপ ১০

ছবির মতো এমন ভাব চলে আসলে বীজগুলো ভাজা হয়ে যাবে এবং তখন এগুলো নামিয়ে নিতে হবে।

পরিবেশন

কুমড়োর বিচ্চি ভাজা খেতে কারনা ভাল লাগে৷ কুমড়ো বিচ্চি আমার ভিষণ পছন্দের। আমাদের বাড়িতেই কুমড়োর বিচ্চি খাওয়া হয়। কুমড়োর বিচ্চি গুলো পরিবশন করা সময়ে একটি পাত্রে ঢেলে নিব।

ডিভাইজ সংক্রান্ত তথ্যঃ

ডিভাইস	রেডমি ১০ সি
ক্যামরা	৫০ মেগাপিক্সেল
ফটোগ্রাফার	@tamannafariah
লোকেশন	ভবের বাজার,পার্বতীপুর

---

পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ