বিলুপ্ত প্রায় প্রাণী কোলাব্যাঙ ও কুনোব্যাঙ

in hive-131369 •  2 years ago 

আচ্ছালামু আলাইকুম, আমি @toufiq777

আশা করি সবাই ভালো আছেন৷ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।

বিলুপ্ত প্রায় প্রাণী কোলাব্যাঙ ও কুনোব্যাঙ

বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন ও আমাদের অসচেতনতার কারণে আমাদের পৃথিবী থেকে অনেক ধরনের প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে৷ এর মধ্যে একটি প্রাণী হল ব্যাঙ৷ পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের ব্যাঙ রয়েছে। এর মধ্যে থেকে আমাদের পরিচিত দুটি ব্যাঙ হলো কুনোব্যাঙ ও কোলাব্যাঙ৷ এই ব্যাঙ গুলোর নাম আমরা ছোট বেলায় অনেকে শুনেছি৷ আগে এই ব্যাঙ গুলো সচারাচর দেখতে পাওয়া যেত৷ তবে বর্তমানে এই দুটি দেখা যায় না তেমন একটা৷




কুনোব্যাঙ


কুনোব্যাঙ সব সময় ঘরের কোনায় লুকিয়ে থাকে বা গাছোর ফোঁকরে লুকিয়ে থাকে৷ আসলে এই কারণেই হয়তো এর নাম কুনোব্যাঙ রাখা হয়েছে৷ এই ব্যাঙ গুলো এক সমস সব স্থানেই দেখা যেত৷ বর্তমানে হঠাৎ এই ব্যাঙ এর দেখা মেলে৷ আমাদের বাসায় আমি আগের বছর একটি বড় কুনোব্যাঙ দেখেছিলাম৷ তবে এই বছর আর দেখি নি৷ এই ব্যাঙ গুলো এক জায়গায় চুপটি করে বসে থাকে। এই ব্যাঙ নড়াচড়া কম করে৷ আর এই ব্যাঙ পিঁপড়া, পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে থাকে। এই ব্যাঙ গুলোর আকৃতি মাঝারি সাইজের হয়ে থাকে৷ এর ওজন ২৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে৷ এই ব্যাঙ খাওয়া যায় না। এর শরীরের রং ধুসর হয়ে থাকে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই ব্যাঙ গুলো হারিয়ে যাচ্ছে৷

ছবি সোর্স




কোলাব্যাঙ


কোলাব্যাঙ পানিতে ও জঙ্গলে থাকে৷ এই ব্যাঙ গুলোকে বর্ষাকালে জমিতে বা পুকুরে দেখতে পাওয়া যায়৷ এই ব্যাঙ গুলোর আকৃতি বড়৷ এই ব্যাঙ গুলো বৃষ্টি আসার খবর আগে থেকেই জানতে পারে৷ আর বৃষ্টি আসার আগ মুহুর্তে এই ব্যাঙ গুলো ডাকাডাকি করে৷ আগে বর্ষাকালে কোলাব্যাঙ এর ডাকে ঘুম আসতে চাইতো না৷ এতটা বেশি পরিমাণে কোলাব্যাঙ ছিলো৷ বর্তমানে কোলাব্যাঙ এর ডাক শোনাই যায় না৷ কোলাব্যাঙ মানুষ খায়৷ একসময় মানুষ এই ব্যাঙ ধরে ধরে বিদেশে পাচার করতো৷ এরফলে এই ব্যাঙ কমে গেছে হয়তো৷ আনাদের এলাকায় এখন এই ব্যাঙ মানুষ তেমন একটা খায় না। তবে পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ এখনও কোলাব্যাঙ খেয়ে থাকে৷ রাঙ্গামাটিতে আমি ব্যাঙ বিক্রি করার বাজার দেখেছিলাম৷ সেখানে কোলাব্যাঙ বিক্রি হতে দেখেছি৷ আসলে প্রত্যেকটি প্রাণীর বেঁচে থাকা আমাদের পৃথিবীর জন্য দরকারী৷ পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষাত্রে প্রত্যেকটি প্রাণী ভূমিকা রাখে৷ তবে আমাদের কিছু অসচেতনার কারণে এই সকল প্রাণী আজ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কোলাব্যাঙ দেখতে সবুজ ও ধুসর রং এর হয়ে থাকে৷ একটি কোলাব্যাঙ ৫০০ গ্রাম থেকে ১.৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। কোলাব্যাঙ বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়, মূরগীর বাচ্চা ইত্যাদি খেয়ে থাকে। এরা পানিতে থাকতে বেশি পছন্দ করে।

পৃথিবীকে সুন্দর রাখতে হলে প্রত্যেকটি প্রাণীর প্রয়োজন৷ অনেক প্রাণী আমাদের ক্ষতি করে৷ কিন্তু সেই সব প্রাণীরও প্রয়োজন আছে৷ ব্যাঙ জমির ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফেলে৷ একেক প্রাণী একেক প্রাণীর খাদ্য৷ তাই প্রত্যেকটি প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য প্রত্যেকটি প্রাণীর প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের সকল প্রাণীর বসবাসের জন্য আমাদের পৃথিবীকে সুন্দর করা দরকার৷ আমাদের বেশি বেশি গাছ লাগানো প্রয়োজন৷ আর বনভূমি তৈরি করা প্রয়োজন৷

ছবি সংগ্রহ

image.png


Vote for @bangla.witness

ধন্যবাদ
@toufiq777

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এক সময় বিশেষ করে বর্ষাকালে এসব কুনব্যাং গুলো সব থেকে বেশি দেখা যেত পাথারে বা জমি বাড়িতে।কিন্তু এখন আর তেমন সে কোন ব্যাংগের ডাক শোনা যায় না। আমার এখনো মনে আছে রাতের বেলা যখন স্কুল থেকে ফিরতাম প্রাইভেট পড়ে তখন রাস্তার ধারে একটি পুকুরে সব সময় এই ব্যাং ডাকতো। খুব সুন্দর লিখেছেন আপনি খুব সুন্দর পোস্ট করেছেন ধন্যবাদ ভাই।

ধন্যবাদ

আপনার এলাকায় বিলুপ্ত হতে পারে ভাই কিন্তু আমার এলাকায় এর ব্যাঙ এর জন্য সঠিক ভাবে মুরগির বাচ্চাহ মানুষ করতে পারিনা। ব্যঙ খেয়ে ফেলে। আপনার ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই। জদিও অনলাইনের তবুও কালার গুলো সুন্দর। সুন্দর উপস্থান করেছেন।

মূরগীর বাচ্চা কি মানুষ হবে৷ মূরগীর বাচ্চা মূরগী করতে চাইলে পারতা 🤭

ও ভাই মারো মুঝে

খুবই উপকারী একটা প্রাণী এই কুনোব্যাঙ৷ এরা ঘরের কোনায় লুকিয়ে থাকে এবং বিভিন্ন পোকামাকড় খেয়ে থাকে, এই ব্যাঙ ঘরে থাকলে। ঘরে সাপ আসতে পারে না। কোলা ব্যাঙ জমিতে নদীতে নালাতে থাকে, জমির পোকামাকড় খেয়ে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। আপনি অনেক সুন্দর লিখছেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ

ব্যাঙ একটি উপকারী প্রাণী।এরা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। বাস্তুতন্ত্র সচল রাখে। ব্যাঙ এর সংখ্যা কমে গেলে পোকামাকড়ের সংখ্যা বেড়ে যাবে। যা মানুষের জন্য হুমকি স্বরূপ।কারণ ব্যাংক পোকামাকড় খেয়েপরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। এজন্য এদের রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরি। আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্লগ শেয়ার করেছেন। যা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি কন্টেন্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

ধন্যবাদ

অনেক সুন্দর লেখছেন কোলাব্যাঙ ও কুনোব্যাঙ নিয়ে, বর্ষাকালে যখন বৃষ্টি হয় তখন কোলাব্যাঙের ডাক শুনা যায়, মানুষ বলতো কোলাব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি আসে,তবে এটা সত্যি কোলাব্যাঙ ডাকরে বৃষ্টি আসার বেশি সম্ভবনা,কোলাব্যাঙ পোকামাকড় খেয়ে তারা বেছে থাকে।কোলাব্যাঙ দেখতেও বড় ধরনের,আপনি অনেক সুন্দর লেখছেন ভাই, কোলাব্যাঙের ডাক এখন তেমন শুনা যায় না, এটা আসলেই বিলুপ্তির পথে এগুলো প্রানী,আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।

ধন্যবাদ

বর্ষাকালে বৃষ্টির সময় অনেক ব্যাঙের ডাক শোনা যায়। পার্বতীপুরে যখন ছিলাম তখন অনেক বড় বড় ব‍্যাঙ দেখতে পেতাম। কোলা ব্যাঙ অনেক বড় আকারের হয়। ব্যাঙ নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট করেছেন। ভালো লিখেছেন ভাই শুভকামনা রইল

ধন্যবাদ

আপনার এলাকায় বিলুপ্ত হতে পারে ভাই কিন্তু আমার এলাকায় এই ব্যাঙ এর জন্য সঠিক ভাবে মুরগির বাচ্চাহ মানুষ করতে পারিনা। ব্যঙ খেয়ে ফেলে। আপনার ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই। জদিও অনলাইনের তবুও কালার গুলো সুন্দর। সুন্দর উপস্থান করেছেন।

কুনো ব্যাঙ একটি উপকারী প্রাণী যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।ঘরের ভেতর ক্ষতিকর পোকামাকড়, মশা-মাছি, বিষাক্ত কীটপতঙ্গ খেয়ে এরা আমাদের নিরাপদ রাখে। বিপদ সংকেত দানে কুনোব্যাঙ এর জুড়ি নেই। ঘরে শ্বাপদ প্রাণী ঢুকলে এরা লাফালাফি শুরু করে দেয়। অনাবৃষ্টি হলে এক ধরনের কিট কিট শব্দ উচ্চারণ করে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়। এছাড়াও কুনো ব্যাঙ ভূমিকম্পের পূর্বাভাস জানান দিতে পারে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ব্যাঙ সম্বন্ধে সুন্দর আলোচনা করার জন্য।

ধন্যবাদ

ব্যাঙ এখন আর তেমন একটা দেখা যায় না। এদের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। জমিতে অধিক পরিমাণে কীটনাশক এর ব্যবহার এর ফলে ব্যাঙ মারা যাচ্ছে। আপনি অনেক সুন্দর কিছু তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ

আগে এমন বড় ব্যাঙ দেখলে যে কি ভয় পাইতাম ভাই । মানে বিশাল ভয় আর যদি আমার দিকে আগায় আসতো আমি একবারে বাসায় । এগুলা তো আগে বৃষ্টির দিনেই দেখা যাইতো। অসাধারন লিখছেন ভাই

হ্যা৷ আমার পছন্দের ব্যাঙ৷ ভালো লাগে এগুলো দেখতে আর এগুলো ডাকও ভালো লাগে।

কুনোব্যাঙ এখন তেমন একটা দেখা যায় না। তবে বর্ষাকালে বৃষ্টির সময় দেখতে পাওয়া যায়। এটি উপকারী প্রাণী। কুনো ব্যাঙ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। বর্তমানের সংখ্যা অনেক নগণ্য হয়ে গিয়েছে। এরা বিভিন্ন ক্ষতিক পতঙ্গ খেয়ে আমাদের নিরাপদে রাখে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Good post about frogs